মায়া ও কামরুলের পদত্যাগ করা উচিত: টিআইবি
রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আজ টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বক্তব্য রাখেন। ছবি: সাহাদাত পারভেজ |
দুর্নীতির
অভিযোগের কারণে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী
মায়া এবং খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করা উচিত বলে মনে
করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। পদত্যাগ করলে এটি
একটি নজির হতো বলে মনে করে টিআইবি।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ‘সততা সম্পর্কে যুবকদের ধারণা’ শীর্ষক জরিপের ফলাফলে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান এ কথা বলেন। ত্রাণমন্ত্রী মায়ার দুর্নীতির বিষয়টি বিচারাধীন বলে উল্লেখ করে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, তাঁর দুর্নীতির বিষয়টি এখনো বিচারাধীন। তাই শুধু এটুকু বলা যায় যে এ ক্ষেত্রে তিনি যদি পদত্যাগ করতেন, তাহলে ভালো হতো। এটি একটি নজির হতো। ইফতেখারুজ্জামান বলেন, একইভাবে গম নিয়ে খাদ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এখন পর্যন্ত এটা প্রমাণিত যে গমের মান ততটা ভালো ছিল না। তাই খাদ্যমন্ত্রীরও উচিত ছিল স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করা। তিনি বলেন, এরপর যদি তদন্ত ও বিচারব্যবস্থার মাধ্যমে প্রমাণ হতো যে এই ঘটনার সঙ্গে তাঁরা জড়িত নন, তাহলে তাঁরা অনেক বেশি জনপ্রিয় হতেন। মানুষ তাঁদের ফুলের মালা দিয়ে বরণ করত।
টিআইবির যুব সততার জরিপের ফলাফলে বলা হয়, দুর্নীতি সম্পর্কে যুবকদের স্বচ্ছ ধারণা আছে। কিন্তু অনেক সময় পরিস্থিতির কারণে বা বাধ্য হয়ে তাঁদের দুর্নীতির আশ্রয় নিতে হচ্ছে। রাজনীতি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি যুবকদের ধারণা নেতিবাচক। তাঁরা মনে করেন, এসব খাতে দুর্নীতি বেশি হচ্ছে।
টিআইবির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান সুলতানা কামাল বলেন, ‘আমাদের জন্য দুঃখজনক সব কিছু জেনেশুনে তরুণদের দুর্নীতি মেনে নিতে হচ্ছে। তারা চাইলেও তাদের মূল্যবোধ কাজে লাগাতে পারছে না।’ তিনি বাজেটে শিক্ষায় কম বরাদ্দ দেওয়ায় সরকারের সমালোচনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে জরিপ উপস্থাপনা করেন টিআইবির গবেষক মঞ্জুর ই খোদা, শাম্মী লায়লা ইসলাম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সংবিধান অনুযায়ী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার মন্ত্রিত্ব এবং সংসদ সদস্য পদ ১৪ জুন থেকে খারিজ হয়ে গেছে। আইন বিশেষজ্ঞরা সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদের উল্লেখ করে এই মতামত দিয়েছেন।
ওই ধারার ২ দফার ঘ উপদফায় বলা আছে, ‘কোনো ব্যক্তি সংসদের সদস্য নির্বাচিত হবার এবং সংসদ সদস্য থাকবার যোগ্য হবেন না, যদি “তিনি নৈতিক স্খলনজনিত কোনো ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে অন্যূন দু বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং তার মুক্তিলাভের পর পাঁচ বছর অতিবাহিত না হয়ে থাকে”।’ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ২০০৮ সালে জ্ঞাত আয়ের বাইরে অবৈধভাবে ছয় কোটি টাকার বেশি সম্পদ অর্জনের মামলায় ১৩ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন। ২০১০ সালের অক্টোবরে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ কেবলই আইনি প্রশ্নে ওই রায় বাতিল করেন। দুদক এর বিরুদ্ধে আপিল করে। ১৪ জুন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় বাতিল করে হাইকোর্টে আপিলের পুনঃশুনানির নির্দেশ দেন।
এদিকে ব্রাজিল থেকে নিম্নমানের গম আনার ঘটনায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। পুলিশ সদর দপ্তর থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গত রোববার দেওয়া সর্বশেষ চিঠিতে বলা হয়েছে, খাদ্য অধিদপ্তরের সরবরাহ করা গমের আটা অত্যন্ত নিম্নমানের। পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা অক্লান্ত পরিশ্রম করার পর এসব নিম্নমানের গম ও আটা খাচ্ছেন। এতে তাঁদের মনোবল দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে বিরূপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
পুলিশের পক্ষ থেকে একই অভিযোগে কয়েক দফা চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম গত রোববার প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপকালে পুলিশের অভিযোগ নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘পুলিশের পক্ষ থেকে এমন কোনো চিঠি আমরা পাইনি।’
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ‘সততা সম্পর্কে যুবকদের ধারণা’ শীর্ষক জরিপের ফলাফলে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান এ কথা বলেন। ত্রাণমন্ত্রী মায়ার দুর্নীতির বিষয়টি বিচারাধীন বলে উল্লেখ করে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, তাঁর দুর্নীতির বিষয়টি এখনো বিচারাধীন। তাই শুধু এটুকু বলা যায় যে এ ক্ষেত্রে তিনি যদি পদত্যাগ করতেন, তাহলে ভালো হতো। এটি একটি নজির হতো। ইফতেখারুজ্জামান বলেন, একইভাবে গম নিয়ে খাদ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এখন পর্যন্ত এটা প্রমাণিত যে গমের মান ততটা ভালো ছিল না। তাই খাদ্যমন্ত্রীরও উচিত ছিল স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করা। তিনি বলেন, এরপর যদি তদন্ত ও বিচারব্যবস্থার মাধ্যমে প্রমাণ হতো যে এই ঘটনার সঙ্গে তাঁরা জড়িত নন, তাহলে তাঁরা অনেক বেশি জনপ্রিয় হতেন। মানুষ তাঁদের ফুলের মালা দিয়ে বরণ করত।
টিআইবির যুব সততার জরিপের ফলাফলে বলা হয়, দুর্নীতি সম্পর্কে যুবকদের স্বচ্ছ ধারণা আছে। কিন্তু অনেক সময় পরিস্থিতির কারণে বা বাধ্য হয়ে তাঁদের দুর্নীতির আশ্রয় নিতে হচ্ছে। রাজনীতি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি যুবকদের ধারণা নেতিবাচক। তাঁরা মনে করেন, এসব খাতে দুর্নীতি বেশি হচ্ছে।
টিআইবির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান সুলতানা কামাল বলেন, ‘আমাদের জন্য দুঃখজনক সব কিছু জেনেশুনে তরুণদের দুর্নীতি মেনে নিতে হচ্ছে। তারা চাইলেও তাদের মূল্যবোধ কাজে লাগাতে পারছে না।’ তিনি বাজেটে শিক্ষায় কম বরাদ্দ দেওয়ায় সরকারের সমালোচনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে জরিপ উপস্থাপনা করেন টিআইবির গবেষক মঞ্জুর ই খোদা, শাম্মী লায়লা ইসলাম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সংবিধান অনুযায়ী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার মন্ত্রিত্ব এবং সংসদ সদস্য পদ ১৪ জুন থেকে খারিজ হয়ে গেছে। আইন বিশেষজ্ঞরা সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদের উল্লেখ করে এই মতামত দিয়েছেন।
ওই ধারার ২ দফার ঘ উপদফায় বলা আছে, ‘কোনো ব্যক্তি সংসদের সদস্য নির্বাচিত হবার এবং সংসদ সদস্য থাকবার যোগ্য হবেন না, যদি “তিনি নৈতিক স্খলনজনিত কোনো ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে অন্যূন দু বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং তার মুক্তিলাভের পর পাঁচ বছর অতিবাহিত না হয়ে থাকে”।’ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ২০০৮ সালে জ্ঞাত আয়ের বাইরে অবৈধভাবে ছয় কোটি টাকার বেশি সম্পদ অর্জনের মামলায় ১৩ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন। ২০১০ সালের অক্টোবরে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ কেবলই আইনি প্রশ্নে ওই রায় বাতিল করেন। দুদক এর বিরুদ্ধে আপিল করে। ১৪ জুন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় বাতিল করে হাইকোর্টে আপিলের পুনঃশুনানির নির্দেশ দেন।
এদিকে ব্রাজিল থেকে নিম্নমানের গম আনার ঘটনায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। পুলিশ সদর দপ্তর থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গত রোববার দেওয়া সর্বশেষ চিঠিতে বলা হয়েছে, খাদ্য অধিদপ্তরের সরবরাহ করা গমের আটা অত্যন্ত নিম্নমানের। পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা অক্লান্ত পরিশ্রম করার পর এসব নিম্নমানের গম ও আটা খাচ্ছেন। এতে তাঁদের মনোবল দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে বিরূপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
পুলিশের পক্ষ থেকে একই অভিযোগে কয়েক দফা চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম গত রোববার প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপকালে পুলিশের অভিযোগ নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘পুলিশের পক্ষ থেকে এমন কোনো চিঠি আমরা পাইনি।’
No comments