একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি- কিছু ভুলভ্রান্তির অভিযোগ, ভর্তির সুযোগ পাবে সবাই
একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিচ্ছু একজন শিক্ষার্থী আবেদনে বাণিজ্য শাখার নাম দিয়েছিল। কিন্তু বোর্ড থেকে প্রকাশিত মনোনীত তালিকায় এসেছে বিজ্ঞান শাখা। আবার আবেদন না করার পরও রাঙামাটির একটি কলেজে ভর্তির জন্য মনোনীত হয়েছে একজন শিক্ষার্থী।
চার দফা সময় বাড়িয়ে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য মনোনীত শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হলেও এখনো এমন কিছু ভুলভ্রান্তি রয়েছে। এসব বিষয়ে গতকাল সোমবার বেশ কিছু শিক্ষার্থী ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে অভিযোগ করেছে। এ ছাড়া কিছু কারিগরি সমস্যার কারণে মনোনীতদের তালিকা পেতে দেরি হওয়া কিছু কলেজ গতকাল ভর্তির কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি।
এ বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু বক্কর ছিদ্দিক প্রথম আলোকে বলেন, এ রকম কিছু অভিযোগ আসছে। এগুলো সংশোধন করা হবে। শিক্ষার্থীদের উদ্বেগের কিছু নেই। সবাই ভর্তির সুযোগ পাবে।
গত রোববার মধ্যরাতে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য মনোনীত শিক্ষার্থীদের তালিকা করা হয়। এর ভিত্তিতে গতকাল থেকে ভর্তি শুরু হয়েছে। এবারই প্রথম শিক্ষার্থীদের পছন্দক্রম অনুযায়ী ভর্তিযোগ্য কলেজ নির্ধারণ করে দিয়েছে শিক্ষা বোর্ড।
রাজধানীর আদমজী ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের একজন শিক্ষার্থীর অভিভাবক জাহাঙ্গীর আলম প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর সন্তানের ফল খুবই ভালো। সে আদমজীসহ একাধিক কলেজ পছন্দক্রম দিয়েও কোনোটিতেই ভর্তির জন্য মনোনীত হয়নি। এ জন্য এখন খুব দুশ্চিন্তায় আছেন।
এ রকম ৬২ হাজার ৮৫০ শিক্ষার্থী প্রথম দফায় কোনো কলেজে ভর্তির জন্য মনোনীত হয়নি। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, এদের অধিকাংশের এসএসসি ফল ভালো। কিন্তু পছন্দক্রমে সবাই শুধু ভালো কলেজগুলোর নাম দিয়েছে। এসএসসির ফল অনুযায়ী পছন্দক্রমের কলেজের আসনের সংখ্যা পূরণ হওয়ায় প্রথম মেধা তালিকায় তারা স্থান পায়নি।
শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু বক্কর ছিদ্দিক প্রথম আলোকে বলেন, তাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই। এখন দ্বিতীয় মেধা তালিকা প্রকাশ করা হবে। এ ছাড়া ‘রিলিজ স্লিপের’ (ছাড়পত্রের মাধ্যমে অন্য কলেজে ভর্তির সুযোগ) মাধ্যমেও শূন্য আসন থাকা কলেজে ভর্তির সুযোগ রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ভর্তির পর ‘মাইগ্রেশনের’ সুযোগ রাখা হয়েছে।
বোর্ড সূত্র জানায়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর খালি আসনের ভিত্তিতে দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশ করা হবে ৬ জুলাই। প্রথম দফায় মনোনীত শিক্ষার্থীরা প্রথমে কলেজে ভর্তি হবে। এরপর তারা চাইলে পছন্দক্রম মেনে অন্য কলেজে ভর্তি (মাইগ্রেশন) হতে পারবে। এমন শিক্ষার্থীদের ৪ জুলাইয়ের মধ্যে অনলাইনে নিজ নিজ আবেদন আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিবর্তনের সম্মতি দিতে হবে।
প্রথম ও দ্বিতীয় মেধাতালিকার যেসব শিক্ষার্থী মনোনীত হয়েও কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নির্ধারিত তারিখের মধ্যে ভর্তি হয়নি বা কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য মনোনীত হয়নি, তাদের রিলিজ স্লিপধারী হিসেবে গণ্য করা হবে। এসব শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের খালি আসনের বিপরীতে অনলাইনে সর্বোচ্চ পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের পছন্দ দিয়ে ৯ ও ১০ জুলাই আবেদন করতে হবে। রিলিজ স্লিপধারীদের আবেদনের ফল ১১ জুলাই প্রকাশ করা হবে।
আর যেসব শিক্ষার্থী এখনো কোনো আবেদন করেনি, তাদেরও শূন্য আসন থাকা কলেজগুলোতে ভর্তির সুযোগ রাখা হয়েছে। তাদের ১৩ জুলাই থেকে ২১ জুলাই অনলাইনে বা খুদে বার্তায় আবেদন করতে হবে।
এদিকে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ সূত্র জানায়, মেধাতালিকায় মনোনীত হয়েও কিছুসংখ্যক ছাত্রী গতকাল কলেজে ভর্তি হতে গেলে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। কলেজ থেকে তাদের বলে দেওয়া হয় যে তাদের স্কুল শাখার ছাত্রীরা আগে ভর্তি হবে। এরপর বাইরের শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা হবে।
এ বিষয়ে অধ্যক্ষ সুফিয়া খাতুনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু বক্কর ছিদ্দিক প্রথম আলোকে বলেন, কলেজ অধ্যক্ষকে ফোন করে মঙ্গলবারের মধ্যে ওই সব ছাত্রীকে ভর্তি করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চার দফা সময় বাড়িয়ে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য মনোনীত শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হলেও এখনো এমন কিছু ভুলভ্রান্তি রয়েছে। এসব বিষয়ে গতকাল সোমবার বেশ কিছু শিক্ষার্থী ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে অভিযোগ করেছে। এ ছাড়া কিছু কারিগরি সমস্যার কারণে মনোনীতদের তালিকা পেতে দেরি হওয়া কিছু কলেজ গতকাল ভর্তির কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি।
এ বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু বক্কর ছিদ্দিক প্রথম আলোকে বলেন, এ রকম কিছু অভিযোগ আসছে। এগুলো সংশোধন করা হবে। শিক্ষার্থীদের উদ্বেগের কিছু নেই। সবাই ভর্তির সুযোগ পাবে।
গত রোববার মধ্যরাতে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য মনোনীত শিক্ষার্থীদের তালিকা করা হয়। এর ভিত্তিতে গতকাল থেকে ভর্তি শুরু হয়েছে। এবারই প্রথম শিক্ষার্থীদের পছন্দক্রম অনুযায়ী ভর্তিযোগ্য কলেজ নির্ধারণ করে দিয়েছে শিক্ষা বোর্ড।
রাজধানীর আদমজী ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের একজন শিক্ষার্থীর অভিভাবক জাহাঙ্গীর আলম প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর সন্তানের ফল খুবই ভালো। সে আদমজীসহ একাধিক কলেজ পছন্দক্রম দিয়েও কোনোটিতেই ভর্তির জন্য মনোনীত হয়নি। এ জন্য এখন খুব দুশ্চিন্তায় আছেন।
এ রকম ৬২ হাজার ৮৫০ শিক্ষার্থী প্রথম দফায় কোনো কলেজে ভর্তির জন্য মনোনীত হয়নি। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, এদের অধিকাংশের এসএসসি ফল ভালো। কিন্তু পছন্দক্রমে সবাই শুধু ভালো কলেজগুলোর নাম দিয়েছে। এসএসসির ফল অনুযায়ী পছন্দক্রমের কলেজের আসনের সংখ্যা পূরণ হওয়ায় প্রথম মেধা তালিকায় তারা স্থান পায়নি।
শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু বক্কর ছিদ্দিক প্রথম আলোকে বলেন, তাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই। এখন দ্বিতীয় মেধা তালিকা প্রকাশ করা হবে। এ ছাড়া ‘রিলিজ স্লিপের’ (ছাড়পত্রের মাধ্যমে অন্য কলেজে ভর্তির সুযোগ) মাধ্যমেও শূন্য আসন থাকা কলেজে ভর্তির সুযোগ রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ভর্তির পর ‘মাইগ্রেশনের’ সুযোগ রাখা হয়েছে।
বোর্ড সূত্র জানায়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর খালি আসনের ভিত্তিতে দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশ করা হবে ৬ জুলাই। প্রথম দফায় মনোনীত শিক্ষার্থীরা প্রথমে কলেজে ভর্তি হবে। এরপর তারা চাইলে পছন্দক্রম মেনে অন্য কলেজে ভর্তি (মাইগ্রেশন) হতে পারবে। এমন শিক্ষার্থীদের ৪ জুলাইয়ের মধ্যে অনলাইনে নিজ নিজ আবেদন আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিবর্তনের সম্মতি দিতে হবে।
প্রথম ও দ্বিতীয় মেধাতালিকার যেসব শিক্ষার্থী মনোনীত হয়েও কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নির্ধারিত তারিখের মধ্যে ভর্তি হয়নি বা কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য মনোনীত হয়নি, তাদের রিলিজ স্লিপধারী হিসেবে গণ্য করা হবে। এসব শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের খালি আসনের বিপরীতে অনলাইনে সর্বোচ্চ পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের পছন্দ দিয়ে ৯ ও ১০ জুলাই আবেদন করতে হবে। রিলিজ স্লিপধারীদের আবেদনের ফল ১১ জুলাই প্রকাশ করা হবে।
আর যেসব শিক্ষার্থী এখনো কোনো আবেদন করেনি, তাদেরও শূন্য আসন থাকা কলেজগুলোতে ভর্তির সুযোগ রাখা হয়েছে। তাদের ১৩ জুলাই থেকে ২১ জুলাই অনলাইনে বা খুদে বার্তায় আবেদন করতে হবে।
এদিকে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ সূত্র জানায়, মেধাতালিকায় মনোনীত হয়েও কিছুসংখ্যক ছাত্রী গতকাল কলেজে ভর্তি হতে গেলে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। কলেজ থেকে তাদের বলে দেওয়া হয় যে তাদের স্কুল শাখার ছাত্রীরা আগে ভর্তি হবে। এরপর বাইরের শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা হবে।
এ বিষয়ে অধ্যক্ষ সুফিয়া খাতুনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু বক্কর ছিদ্দিক প্রথম আলোকে বলেন, কলেজ অধ্যক্ষকে ফোন করে মঙ্গলবারের মধ্যে ওই সব ছাত্রীকে ভর্তি করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
No comments