একাদশে ভর্তি নিয়ে নয়া ভোগান্তি
একাদশ
শ্রেণী ভর্তিতে নয়া ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। দুশ্চিন্তা, দুর্ভোগ
যেন পিছু ছাড়ছে না কিছুতেই। নির্ধারিত সময়ের চারদিন পর প্রকাশিত ফলে ভুল
থাকায় বিপাকে পড়েছেন অনেক শিক্ষার্থী। এছাড়া ট্রান্সস্ক্রিপ্টে ভুলের কারণে
চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের শিক্ষার্থীরা। রোববার রাতে
প্রকাশিত ফলে নানা ধরনের ত্রুটি-বিচ্যুতি দেখা দিয়েছে। এক বিভাগের
শিক্ষার্থীকে অন্য বিভাগে ভর্তির তালিকায় রাখা হয়েছে প্রকাশিত ফলে। আবার
গতকাল অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে অভিযোগ আসে তাদের হাতে শিক্ষার্থীদের
কোন তালিকা যায়নি। এদিকে সবচেয়ে বেশি জটিলতা তৈরি হয়েছে ট্রান্সক্রিপ্ট
নিয়ে। ২৫শে জুন থেকে বিতরণ করার পর ট্রান্সক্রিপ্টে বড় ধরনের ভুল ধরা পড়ে।
এরপর তাৎক্ষণিক নোটিশ দিয়ে ট্রান্সক্রিপ্ট বিতরণ বন্ধ করে ঢাকা বোর্ড।
অন্যদিকে গতকাল থেকে শুরু হয়েছে একাদশ শ্রেণীর ভর্তির কার্যত্রুম। ভর্তির
জন্য ট্রান্সক্রিপ্ট বাধ্যতামূলক। কিন্তু ঢাকা বোর্ড গতকাল পর্যন্ত কোন
ট্রান্সক্রিপ্ট বিতরণ করতে পারেনি। উল্টো ২৫শে জুন বিতরণ প্রায় ২ লাখ
ট্রান্সক্রিপ্ট সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে ফিরতে দিতে বলেছে। রোববার মধ্যরাতে
একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য মনোনীতদের ১ম মেধা তালিকায় অসংখ্যাভুল ধরা পড়ছে
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ভর্তিচ্ছুরা। রাজধানীর
কয়েকটি কলেজ ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন কলেজে পুরোদমে ভর্তি কার্যক্রম শুরু
হয়েছে। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অভিভাবকরাও কলেজগুলোতে ভিড় করছেন। এ সময়
শিক্ষার্থীরা জানান, পছন্দের কলেজে ভর্তি হতে পেরে খুশি তারা। তবে, অনেক
শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন, ভাল ফল করেও তারা পছন্দের কলেজে ভর্তির সুযোগ
পাননি। ঢাকা বোর্ড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গতকাল থেকে শুরু হওয়া ভর্তি
কার্যক্রম ২রা জুলাই পর্যন্ত চলবে। এছাড়া আগামীকাল পহেলা জুলাই থেকে ক্লাস
শুরুর ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
গতকাল রাজধানীর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ গিয়ে দেখা যায়, রাজধানীর একটি স্কুল থেকে বাণিজ্যে পাস করার এক শিক্ষার্থীক ঢাকা বিজ্ঞান কলেজে ভর্তির জন্য মনোনীত করা হয়েছে। তার অভিভাবক সকালে ওই কলেজে এসে দেখেন, এখানে বাণিজ্যে কোন বিভাগ নেই। বিষয়টি নিয়ে ওই কলেজে অধ্যক্ষের কাছে গেলে তিনি ওই অভিভাবককে বোর্ডে যাওয়ার পররামর্শ দেন। ফল প্রকাশের পর গতকাল ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান দপ্তরে গিয়ে দেখা যায়, অভিভাবকদের ভিড়। তাদের অধিকাংশই এই সমস্যা নিয়ে যান। কেউ আবার আবেদন করেও ফল পাননি।
আসিফুর রহমান। রাজধানীর বনানী বিদ্যানিকেতন থেকে এবার ৪ দশমিক ৬০ গ্রেড পয়েন্ট পেয়ে পাস করেছেন। কিন্তু প্রথম তালিকায় তার নাই নেই। তার বাবা ফয়জুল হাকিম জানান, ৪ পয়েন্টের নিচে পেয়েও অনেক শিক্ষার্থী চান্স পেয়েছে। বিষয়টি আমাদের হতবাক করেছে। এক ঘণ্টা ধরে চেয়ারম্যানের সাক্ষাতের জন্য বসে আসি কিন্তু সাক্ষাৎ পাচ্ছি না।
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সুফিয়া খাতুন বলেন, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও তার স্কুল থেকে পাস করা বেশ কয়েকজন ছাত্রীর নাম বোর্ডের মেধা তালিকায় আসেনি। বোর্ডের মেধা তালিকায় তাদের নাম আসুক আর নাই আসুক, আমরা তাদের আমরা স্কুলে ভর্তি করাব। কারণ ১০ বছর ধরে তারা এখানে পড়াশোনা করছে।
মেধা তালিকার বাইরে থাকা শিক্ষার্থীদের ভর্তি করালে মোট আসনের অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হবে কি না- এই প্রশ্নে সুফিয়া বলেন, ২ হাজার আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করায় ভিকারুননিসা। প্রয়োজনে আমরা বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করাব। মেধা তালিকায় নাম না দেখে ভিকারুননিসার বেশ কয়েকজন ছাত্রী সোমবার কলেজে এসে কান্নাকাটি শুরু করেন। পরে অধ্যক্ষ তাদের নিজের কক্ষে নিয়ে ভর্তির নিশ্চয়তা দেন বলে একজন ছাত্রী জানান। এদিকে সোমবার দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত কোন তালিকা পাননি বলে জানিয়েছেন মিরপুরের মণিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেন, কোন তালিকা না পাওয়ায় কাউকেই ভর্তি করাতে পারছি না। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের অভিভাবকরাও কলেজে ভিড় করছেন। আমরা সবাই বেশ উদ্বিগ্ন।
ট্রান্সক্রিপ্ট নিয়ে নয়া ভোগান্তি: এদিকে ট্রান্সক্রিপ্ট বিতরণে মহাভুল করেছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। এ নিয়ে নয়া ভোগান্তিতে পড়েছে ঢাকা বোর্ডের শিক্ষার্থীরা। ২৫শে জুন প্রায় ২ লাখ শিক্ষার্থীর ট্রান্সক্রিপ্ট বিতরণ করেছে ঢাকা বোর্ড। কিন্তু ওইদিন রাতেই বিভিন্ন জায়গা থেকে বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে ফোন আসতে থাকে। অভিভাবকরা জানান, প্রকাশিত ফলে ইসলাম শিক্ষা, গণিত, ইংরেজিসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে এসএসসি ফল প্রকাশের পর যে গ্রেড দেখানো হয়েছিল ট্রান্সক্রিপ্টে সেটি নেই। বোর্ড যাচাই-বাছাই করে তাৎক্ষণিক ট্রান্সত্রিুপ্ট বিতরণ স্থগিত করে। বোর্ডের ওয়েবসাইটে নোটিশ দিয়ে জানানো হয়, অনিবার্য কারণে ট্রান্সক্রিপ্ট বিতরণ স্থগিত করা হয়েছে। বিতরণের পরিবর্তী তারিখ যথাসময়ে জানানো হবে। বিষয়টি স্বীকার করে ঢাকা বোর্ডে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. শ্রীকান্ত কুমার চন্দ মানবজমিনকে বলেন, এটি প্রোগ্রামিং কারণে হয়েছে। দ্রুত সমাধান করা চেষ্টা করছি। তবে গতকাল রাত পর্যন্ত ট্রান্সক্রিপ্ট বিতরণের কোন নোটিশ দেয়নি বোর্ড। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বলেন, নটর ডেম, সেন্ট জোসেফসহ ৩টি কলেজ ভর্তির শেষদিন ছিল গতকাল। আমরা কলেজ কর্তৃপক্ষকে অনলাইন ট্রান্সক্রিপ্ট দিয়ে ভর্তি নেয়ার জন্য বলেছি। তারাও রাজি হয়েছে। আশা করি এ নিয়ে কোন জটিলতা তৈরি হবে না। বোর্ডে প্রিন্ট ট্রান্সক্রিপ্ট না পেলেও কলেজে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ট্রান্সক্রিপ্ট দিয়ে ভর্তি করা যাবে বলে জানান তিনি।
জানা গেছে, ঢাকা বোর্ড থেকে এ বছর এসএসসি পাস করেছে ৩ লাখ ১০ হাজার ৪৬ জন পরীক্ষার্থী। তাদের মধ্যে প্রায় দুই লাখেরই নম্বরপত্র ভুল ছাপা হয়েছে। বাকি এক লাখ ১০ হাজার ট্রান্সক্রিপ্টের মধ্যেও ভুল থাকতে পারে এমন আশঙ্কায় তা বিতরণ স্থগিত করা হয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকা বোর্ডের কম্পিউটার শাখার কর্মকর্তাদের চরম গাফিলতি ও অবহেলার কারণেই এ ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে অভিভাবক ঐক্য ফোরামে চেয়ারম্যান জিয়াউল হক দুলু মানবজমিনকে বলেন, ট্রান্সক্রিপ্ট বিতরণে যে ভুল বোর্ড করেছে তার দায় বোর্ড এড়াতে পারে না।
গতকাল রাজধানীর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ গিয়ে দেখা যায়, রাজধানীর একটি স্কুল থেকে বাণিজ্যে পাস করার এক শিক্ষার্থীক ঢাকা বিজ্ঞান কলেজে ভর্তির জন্য মনোনীত করা হয়েছে। তার অভিভাবক সকালে ওই কলেজে এসে দেখেন, এখানে বাণিজ্যে কোন বিভাগ নেই। বিষয়টি নিয়ে ওই কলেজে অধ্যক্ষের কাছে গেলে তিনি ওই অভিভাবককে বোর্ডে যাওয়ার পররামর্শ দেন। ফল প্রকাশের পর গতকাল ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান দপ্তরে গিয়ে দেখা যায়, অভিভাবকদের ভিড়। তাদের অধিকাংশই এই সমস্যা নিয়ে যান। কেউ আবার আবেদন করেও ফল পাননি।
আসিফুর রহমান। রাজধানীর বনানী বিদ্যানিকেতন থেকে এবার ৪ দশমিক ৬০ গ্রেড পয়েন্ট পেয়ে পাস করেছেন। কিন্তু প্রথম তালিকায় তার নাই নেই। তার বাবা ফয়জুল হাকিম জানান, ৪ পয়েন্টের নিচে পেয়েও অনেক শিক্ষার্থী চান্স পেয়েছে। বিষয়টি আমাদের হতবাক করেছে। এক ঘণ্টা ধরে চেয়ারম্যানের সাক্ষাতের জন্য বসে আসি কিন্তু সাক্ষাৎ পাচ্ছি না।
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সুফিয়া খাতুন বলেন, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও তার স্কুল থেকে পাস করা বেশ কয়েকজন ছাত্রীর নাম বোর্ডের মেধা তালিকায় আসেনি। বোর্ডের মেধা তালিকায় তাদের নাম আসুক আর নাই আসুক, আমরা তাদের আমরা স্কুলে ভর্তি করাব। কারণ ১০ বছর ধরে তারা এখানে পড়াশোনা করছে।
মেধা তালিকার বাইরে থাকা শিক্ষার্থীদের ভর্তি করালে মোট আসনের অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হবে কি না- এই প্রশ্নে সুফিয়া বলেন, ২ হাজার আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করায় ভিকারুননিসা। প্রয়োজনে আমরা বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করাব। মেধা তালিকায় নাম না দেখে ভিকারুননিসার বেশ কয়েকজন ছাত্রী সোমবার কলেজে এসে কান্নাকাটি শুরু করেন। পরে অধ্যক্ষ তাদের নিজের কক্ষে নিয়ে ভর্তির নিশ্চয়তা দেন বলে একজন ছাত্রী জানান। এদিকে সোমবার দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত কোন তালিকা পাননি বলে জানিয়েছেন মিরপুরের মণিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেন, কোন তালিকা না পাওয়ায় কাউকেই ভর্তি করাতে পারছি না। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের অভিভাবকরাও কলেজে ভিড় করছেন। আমরা সবাই বেশ উদ্বিগ্ন।
ট্রান্সক্রিপ্ট নিয়ে নয়া ভোগান্তি: এদিকে ট্রান্সক্রিপ্ট বিতরণে মহাভুল করেছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। এ নিয়ে নয়া ভোগান্তিতে পড়েছে ঢাকা বোর্ডের শিক্ষার্থীরা। ২৫শে জুন প্রায় ২ লাখ শিক্ষার্থীর ট্রান্সক্রিপ্ট বিতরণ করেছে ঢাকা বোর্ড। কিন্তু ওইদিন রাতেই বিভিন্ন জায়গা থেকে বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে ফোন আসতে থাকে। অভিভাবকরা জানান, প্রকাশিত ফলে ইসলাম শিক্ষা, গণিত, ইংরেজিসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে এসএসসি ফল প্রকাশের পর যে গ্রেড দেখানো হয়েছিল ট্রান্সক্রিপ্টে সেটি নেই। বোর্ড যাচাই-বাছাই করে তাৎক্ষণিক ট্রান্সত্রিুপ্ট বিতরণ স্থগিত করে। বোর্ডের ওয়েবসাইটে নোটিশ দিয়ে জানানো হয়, অনিবার্য কারণে ট্রান্সক্রিপ্ট বিতরণ স্থগিত করা হয়েছে। বিতরণের পরিবর্তী তারিখ যথাসময়ে জানানো হবে। বিষয়টি স্বীকার করে ঢাকা বোর্ডে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. শ্রীকান্ত কুমার চন্দ মানবজমিনকে বলেন, এটি প্রোগ্রামিং কারণে হয়েছে। দ্রুত সমাধান করা চেষ্টা করছি। তবে গতকাল রাত পর্যন্ত ট্রান্সক্রিপ্ট বিতরণের কোন নোটিশ দেয়নি বোর্ড। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বলেন, নটর ডেম, সেন্ট জোসেফসহ ৩টি কলেজ ভর্তির শেষদিন ছিল গতকাল। আমরা কলেজ কর্তৃপক্ষকে অনলাইন ট্রান্সক্রিপ্ট দিয়ে ভর্তি নেয়ার জন্য বলেছি। তারাও রাজি হয়েছে। আশা করি এ নিয়ে কোন জটিলতা তৈরি হবে না। বোর্ডে প্রিন্ট ট্রান্সক্রিপ্ট না পেলেও কলেজে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ট্রান্সক্রিপ্ট দিয়ে ভর্তি করা যাবে বলে জানান তিনি।
জানা গেছে, ঢাকা বোর্ড থেকে এ বছর এসএসসি পাস করেছে ৩ লাখ ১০ হাজার ৪৬ জন পরীক্ষার্থী। তাদের মধ্যে প্রায় দুই লাখেরই নম্বরপত্র ভুল ছাপা হয়েছে। বাকি এক লাখ ১০ হাজার ট্রান্সক্রিপ্টের মধ্যেও ভুল থাকতে পারে এমন আশঙ্কায় তা বিতরণ স্থগিত করা হয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকা বোর্ডের কম্পিউটার শাখার কর্মকর্তাদের চরম গাফিলতি ও অবহেলার কারণেই এ ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে অভিভাবক ঐক্য ফোরামে চেয়ারম্যান জিয়াউল হক দুলু মানবজমিনকে বলেন, ট্রান্সক্রিপ্ট বিতরণে যে ভুল বোর্ড করেছে তার দায় বোর্ড এড়াতে পারে না।
No comments