সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী এলাকায় অবৈধ বাস–ট্রাক টার্মিনাল by অরূপ দত্ত
সড়কটি বাস-ট্রাকের অবৈধ টার্মিনালে পরিণত হয়েছে। চালকেরা তাঁদের মর্জিমাফিক গাড়িগুলো দাঁড় করিয়ে রেখেছেন সড়কের দুই পাশ দিয়ে।
যাত্রাবাড়ী মোড় থেকে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল হয়ে রাজধানী সুপার মাকের্ট পর্যন্ত মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারের (গুলিস্তান-যাত্রাবাড়ী উড়াল সড়ক) নিচে অবৈধ টার্মিনালের বিস্তার। এর সঙ্গে যাত্রাবাড়ী মোড় এবং ডেমরাগামী সড়কের মুখেই অবৈধ টেম্পোস্ট্যান্ড। ফলে সড়কটি সংকুচিত হয়ে সৃষ্টি করছে তীব্র যানজটের।
এ ছাড়া সড়কের দুই পাশজুড়ে কাঁচা সবজি থেকে আসবাবপত্রসহ হরেক পণ্যের বাজার। যত্রতত্র আবর্জনার স্তূপ। এর সঙ্গে পথের ওপরই রাখা আবর্জনার কনটেইনার। গতকাল রোববার সকাল ১০টা থেকে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ওই এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী প্রধান সড়কে ছিল প্রচণ্ড যানজট। বিশৃঙ্খলভাবে বাস-ট্রাক দাঁড় করিয়ে রাখায় নোয়াব স্টোন টাওয়ারের কাছে সড়ক এতই সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে যে সেখান দিয়ে একটির বেশি বাস যেতে পারছে না। এসব বাস যাবে চট্টগ্রাম, সিলেট বা নোয়াখালীর দিকে। যাত্রাবাড়ী থানার কাছেও সড়ক বন্ধ করে বাস-ট্রাক দাঁড় করিয়ে রাখতে দেখা গেছে।
দুই পাশের দোকানের ব্যবসায়ী ও ভুক্তভোগী লোকজন বলেন, সড়ক দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ বাস-ট্রাক ও টেম্পোস্ট্যান্ডের জন্য প্রচণ্ড যানজট হচ্ছে। দিন দশেক পর ‘ঈদের যাত্রা’ শুরু হবে। এখন থেকে এই প্রধান সড়কটির অবৈধ টার্মিনাল উচ্ছেদ না করা হলে ঢাকা থেকে বেরোতেই সব দূরপাল্লার পরিবহনের কয়েক ঘণ্টা লেগে যাবে। ওই ব্যবসায়ীরা বলেন, উড়ালসড়ক থাকলেও অতিরিক্ত টোলের জন্য বাসসহ বেশির ভাগ যানবাহন দুই পাশের সড়কই ব্যবহার করে। তাই এই সড়কের ওপর চাপ পড়ে বেশি।
অবশ্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (ট্রাফিক-পূর্ব) মাইনুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ঈদ সামনে রেখে অবৈধ পার্কিং ও সড়কে বিশৃঙ্খলতা রোধে প্রচার অভিযান জোরদার করা হবে। সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ীতে পুলিশের সংখ্যাও বাড়ানো হবে।
এই অবৈধ টার্মিনালের কারণে বর্তমানে গুলিস্তান থেকে যাত্রাবাড়ী যাতায়াতে সব ধরনের যানবাহনেরই দুঃসহ যানজটে পড়তে হচ্ছে। অফিস ছুটির পর বিকেলে মতিঝিল থেকে, আর কে মিশন রোড, রাজধানী সুপার মার্কেট হয়ে সায়েদাবাদ ও যাত্রাবাড়ী পার হতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় লাগছে। ফিরতি পথেও একই ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
বাজার, অবৈধ স্থাপনা: উত্তর যাত্রাবাড়ী যাওয়ার সড়কের মুখে শহীদ জিয়াউর রহমান বিদ্যালয়ের সামনে ফুটপাতের ওপরই অনেক স্থায়ী দোকান গড়ে উঠেছে। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দেখা গেল, ফুটপাত ছাড়িয়ে সড়কের ওপরও চৌকি পেতে সবজির দোকান। সড়কের ঠিক মাঝখানে রিকশাভ্যানে করে বিক্রি হচ্ছে মুরগি। রয়েছে ফলমূল, প্লাস্টিকসামগ্রী আর স্যান্ডেলের পসরা।
সবজি বিক্রেতা আবদুল মিয়া বলেন, সড়কে পসরা সাজানো ছাড়া তাঁর মতো লোকদের উপায় নেই। তবে এখানে বসার জন্য তাঁকে টাকা দিতে হয়। কাদের টাকা দিতে হয়, সেটা বলতে রাজি হননি তিনি।
যাত্রাবাড়ী থানার বিপরীত দিকে সড়কজুড়ে বসা বাজার উচ্ছেদ করা হয়েছিল গত বছরের শেষ দিকে। সেখানে আবারও বাজার বসেছে। তরিতরকারি, ফলমূলের সারি সারি দোকান।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) স্থানীয় আঞ্চলিক কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল হাশেম বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) লোকবল কম, তাই উচ্ছেদ সম্ভব হচ্ছে না। এ ছাড়া ফুটপাতের কাঁচাবাজার সকালে উচ্ছেদ করলে বিকেলেই আবার বসে যাচ্ছে। তাঁদের পক্ষে বারবার উচ্ছেদের কাজ পরিচালনা সম্ভব নয়।
সড়কের ওপরই বিভিন্ন স্থানে রয়েছে অবৈধ স্থাপনা। যাত্রাবাড়ীর কাছে ফাতেমা নাজ ফিলিং স্টেশনের সামনে তিনটি অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠেছে।
যাত্রাবাড়ী মোড় থেকে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল হয়ে রাজধানী সুপার মাকের্ট পর্যন্ত মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারের (গুলিস্তান-যাত্রাবাড়ী উড়াল সড়ক) নিচে অবৈধ টার্মিনালের বিস্তার। এর সঙ্গে যাত্রাবাড়ী মোড় এবং ডেমরাগামী সড়কের মুখেই অবৈধ টেম্পোস্ট্যান্ড। ফলে সড়কটি সংকুচিত হয়ে সৃষ্টি করছে তীব্র যানজটের।
এ ছাড়া সড়কের দুই পাশজুড়ে কাঁচা সবজি থেকে আসবাবপত্রসহ হরেক পণ্যের বাজার। যত্রতত্র আবর্জনার স্তূপ। এর সঙ্গে পথের ওপরই রাখা আবর্জনার কনটেইনার। গতকাল রোববার সকাল ১০টা থেকে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ওই এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী প্রধান সড়কে ছিল প্রচণ্ড যানজট। বিশৃঙ্খলভাবে বাস-ট্রাক দাঁড় করিয়ে রাখায় নোয়াব স্টোন টাওয়ারের কাছে সড়ক এতই সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে যে সেখান দিয়ে একটির বেশি বাস যেতে পারছে না। এসব বাস যাবে চট্টগ্রাম, সিলেট বা নোয়াখালীর দিকে। যাত্রাবাড়ী থানার কাছেও সড়ক বন্ধ করে বাস-ট্রাক দাঁড় করিয়ে রাখতে দেখা গেছে।
দুই পাশের দোকানের ব্যবসায়ী ও ভুক্তভোগী লোকজন বলেন, সড়ক দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ বাস-ট্রাক ও টেম্পোস্ট্যান্ডের জন্য প্রচণ্ড যানজট হচ্ছে। দিন দশেক পর ‘ঈদের যাত্রা’ শুরু হবে। এখন থেকে এই প্রধান সড়কটির অবৈধ টার্মিনাল উচ্ছেদ না করা হলে ঢাকা থেকে বেরোতেই সব দূরপাল্লার পরিবহনের কয়েক ঘণ্টা লেগে যাবে। ওই ব্যবসায়ীরা বলেন, উড়ালসড়ক থাকলেও অতিরিক্ত টোলের জন্য বাসসহ বেশির ভাগ যানবাহন দুই পাশের সড়কই ব্যবহার করে। তাই এই সড়কের ওপর চাপ পড়ে বেশি।
অবশ্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (ট্রাফিক-পূর্ব) মাইনুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ঈদ সামনে রেখে অবৈধ পার্কিং ও সড়কে বিশৃঙ্খলতা রোধে প্রচার অভিযান জোরদার করা হবে। সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ীতে পুলিশের সংখ্যাও বাড়ানো হবে।
এই অবৈধ টার্মিনালের কারণে বর্তমানে গুলিস্তান থেকে যাত্রাবাড়ী যাতায়াতে সব ধরনের যানবাহনেরই দুঃসহ যানজটে পড়তে হচ্ছে। অফিস ছুটির পর বিকেলে মতিঝিল থেকে, আর কে মিশন রোড, রাজধানী সুপার মার্কেট হয়ে সায়েদাবাদ ও যাত্রাবাড়ী পার হতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় লাগছে। ফিরতি পথেও একই ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
বাজার, অবৈধ স্থাপনা: উত্তর যাত্রাবাড়ী যাওয়ার সড়কের মুখে শহীদ জিয়াউর রহমান বিদ্যালয়ের সামনে ফুটপাতের ওপরই অনেক স্থায়ী দোকান গড়ে উঠেছে। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দেখা গেল, ফুটপাত ছাড়িয়ে সড়কের ওপরও চৌকি পেতে সবজির দোকান। সড়কের ঠিক মাঝখানে রিকশাভ্যানে করে বিক্রি হচ্ছে মুরগি। রয়েছে ফলমূল, প্লাস্টিকসামগ্রী আর স্যান্ডেলের পসরা।
সবজি বিক্রেতা আবদুল মিয়া বলেন, সড়কে পসরা সাজানো ছাড়া তাঁর মতো লোকদের উপায় নেই। তবে এখানে বসার জন্য তাঁকে টাকা দিতে হয়। কাদের টাকা দিতে হয়, সেটা বলতে রাজি হননি তিনি।
যাত্রাবাড়ী থানার বিপরীত দিকে সড়কজুড়ে বসা বাজার উচ্ছেদ করা হয়েছিল গত বছরের শেষ দিকে। সেখানে আবারও বাজার বসেছে। তরিতরকারি, ফলমূলের সারি সারি দোকান।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) স্থানীয় আঞ্চলিক কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল হাশেম বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) লোকবল কম, তাই উচ্ছেদ সম্ভব হচ্ছে না। এ ছাড়া ফুটপাতের কাঁচাবাজার সকালে উচ্ছেদ করলে বিকেলেই আবার বসে যাচ্ছে। তাঁদের পক্ষে বারবার উচ্ছেদের কাজ পরিচালনা সম্ভব নয়।
সড়কের ওপরই বিভিন্ন স্থানে রয়েছে অবৈধ স্থাপনা। যাত্রাবাড়ীর কাছে ফাতেমা নাজ ফিলিং স্টেশনের সামনে তিনটি অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠেছে।
No comments