লতিফ সিদ্দিকী মুক্ত, শুক্রবার দেশব্যাপী ইসলামী দলের বিক্ষোভ
ধর্মীয়
অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ
সিদ্দিকী জামিনে মুক্তি পেয়ে বাসায় ফিরেছেন। গতকাল বিকালে রাজধানীর
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের ভিআইপি কেবিন ছেড়ে
তিনি বাসায় ফিরেন। গ্রেপ্তারের পর প্রায় সাত মাস তিনি কারাবন্দি অবস্থায়
ছিলেন। তার বিরুদ্ধে সারা দেশে ১৭টি মামলা দায়ের হয়েছিল ধর্মীয় অনুভূতিতে
আঘাত দেয়ার অভিযোগে। হাইকোর্ট থেকে প্রথম দফায় সাতটি ও দ্বিতীয় দফায় ১০
মামলা থেকে জামিন পান তিনি। সব প্রক্রিয়া শেষে গতকাল বিকালে বিএসএমএমইউ-এর
প্রিজন সেলের কেবিন থেকে বাসায় ফিরেন তিনি। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের
সিনিয়র জেল সুপার ফরমান আলী জানান, সব মামলায় লতিফ সিদ্দিকী জামিন পেয়েছেন।
প্রক্রিয়া শেষে হাসপাতালের প্রিজন সেল থেকেই তাকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।
বিএসএমএমইউয়ের উপপরিচালক নাজমুল করিম সাংবাদিকদের জানান, বিকাল পাঁচটার
দিকে আবদুল লতিফ সিদ্দিকী মুক্তি পেয়ে হাসপাতাল ছেড়ে গেছেন। এদিকে লতিফ
সিদ্দিকী জামিনে মুক্ত হয়ে বাসায় ফেরায় প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে ইসলামী দল ও
সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে। তারা লতিফ সিদ্দিকীকে গ্রেপ্তারের দাবি
জানিয়ে কঠোর কর্মসূচি দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
গতকাল দুপুরে বিএসএমএমইউতে গিয়ে দেখা যায়, সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী কারা সেলের কেবিন নম্বর ৫১২ তে অবস্থান করছিলেন। তার মুক্তি পাওয়ার খবরে ওই কেবিনের সামনে ভিড় করেন সংবাদকর্মীরা। বেলা পৌনে ১টায় অকস্মাৎ কেবিনের সামনে এসে দাঁড়ান ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়া এ আওয়ামী লীগ নেতা। গায়ে ছিল কালো প্যান্ট ও হাফ শার্ট। প্রথমে একগাল হাসি দিয়েই দুই হাত করজোড় করে ক্ষমা প্রার্থনার ভঙ্গিতে দাঁড়ান তিনি। এ সময় সাংবাদিকদের উদ্দেশে লতিফ সিদ্দিকী বলেন, আমার কাছে আপনাদের জন্য কোনও সংবাদ নেই। তাই এখানে ছবি তুলবেন না। ‘আপনি তো এখন মুক্ত’ সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি এখন মুক্ত না। আমি মুক্ত হবো নেত্রী যখন সিদ্ধান্ত নেবেন তখন। নেত্রীর সিদ্ধান্তের বাইরে আমি মুক্তও না অমুক্তও না। ‘আজ বাসায় চলে যাবেন কিনা’- এমন প্রশ্নের জবাবে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আমি বাসায় যাবো কি করে? আমি তো বন্দি। আপনার তো জামিন হয়ে গেছে- এই প্রশ্নের জবাবে লতিফ সিদ্দিকী বলেন, আমার মতো লোকের জামিন হলেও আরও বহু ব্যাপার আছে। এ সময় তিনি বলেন, আমি এই বারান্দায় হাঁটা-চলা করি। বন্দি হিসেবে এটা আমার অধিকার রয়েছে। তাই দয়া করে আমার ছবি তুলবেন না। এরপর মিনিট খানেক পায়চারি করে ওই কেবিনের ভেতরে চলে যান তিনি।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে এক অনুষ্ঠানে হজ, মহানবী (সা.) ও তাবলিগ জামাত নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে পড়েন আবদুল লতিফ সিদ্দিকী।
তার গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন ইসলামী সংগঠন আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করে। পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে দ্রুত তাকে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেয়া হয়। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম ও প্রাথমিক সদস্য পদ থেকেও বহিষ্কার করা হয় তাকে। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও কটূক্তির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ১৭টি মামলা হয়। নির্ধারিত সময়ে আদালতে হাজির না হওয়ায় প্রতিটি মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
গত বছরের ২৩ শে নভেম্বর ভারতের কলকাতা থেকে বিমানে দেশে ফিরেন। বিমানবন্দর থেকে অনেকটা গোপনে তিনি অজ্ঞাত স্থানে চলে যান। পরের দিন থেকে ফের ক্ষুব্ধ হয়ে আন্দোলনে নামে ইসলামী সংগঠনগুলো। ২৫শে নভেম্বর ধানমন্ডি থানায় লতিফ সিদ্দিকী আত্মসমর্পণ করার পর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। দীর্ঘ কারাবন্দি থাকার পর গত ২৬ শে মে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে করা সাত মামলায় সাবেক এই মন্ত্রীকে ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন আদালত। একই সঙ্গে আদালত এসব মামলার কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছিলেন। পরে গত ২৩ শে জুন একই অভিযোগে করা আরও ১০ মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পান আবদুল লতিফ সিদ্দিকী।
শুক্রবার সারা দেশে বিক্ষোভের ডাক
বহিষ্কৃত মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর মুক্তিলাভে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে ইসলামপন্থিরা। তারা বিনা বিচারে লতিফ সিদ্দিকীর মুক্তিকে তৌহিদী জনতার সঙ্গে বেঈমানী বলে অভিহিত করেছেন। ওদিকে লতিফ সিদ্দিকীকে ফের গ্রেপ্তার দাবি করেছে ঢাকা মহানগর হেফাজত। এ ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার দেশের সকল মসজিদে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে ইসলামী ঐক্যজোট। সম্মিলিত ইসলামী দলের মহাসচিব মাওলানা জাফরুল্লাহ খান বলেন, এখন মনে হচ্ছে সরকার লতিফ সিদ্দিকীকে নিয়ে যা করেছে তা ছিল আইওয়াশ। কারণ সরকার সত্যিকার অর্থে স্বঘোষিত এই নাস্তিকের বিচার করতে চাইলে তাকে মুক্তি দিত না। কোটি কোটি মুসলমানের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়া এই মুরতাদকে সরকার মুক্তি দিতে পারে না। তিনি বলেন, সরকারের উচিত ছিল তার বিচার করা। বিচারে নির্দোষ প্রমাণিত হলে তিনি খালাস পেতেন। কিন্তু সরকার তা না করে তাকে জামিন দিয়ে দিয়েছে। আমরা সরকারের এই ছলচাতুরী কোনভাবেই মেনে নিতে পারি না, ইসলামপ্রিয় তৌহিদী জনতা এটা মেনে নিবে না। সংশ্লিষ্ট নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে এ ব্যাপারে পরবর্তী করণীয় ঠিক করবেন বলে জানান জাফরুল্লাহ খান। ওদিকে লতিফ সিদ্দিকীর জামিন বাতিল করে অবিলম্বে তাকে গ্রেপ্তার করে ফের কারাগারে পাঠানোর দাবি করেছে ঢাকা মহানগর হেফাজতে ইসলাম। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে হুমকি দিয়েছে সংগঠনটির নেতারা। সন্ধ্যায় রাজধানীর বারিধারায় এক ইফতার মাহফিলে এ ঘোষণা দেন মহানগর নেতারা। লতিফ সিদ্দিকীর মুক্তির প্রতিবাদে গতকাল সন্ধ্যায় তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল বের করে ইসলামী ঐক্যজোট। এই ইস্যুতে আগামী শুক্রবার দেশের সকল মসজিদে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তারা। বিক্ষোভ সমাবেশে ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেন, মুরতাদ আবদুল লতিফ সিদ্দিকীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রেখে আইন করা না হলে তাগুত, জাহেলিয়াতের বিরুদ্ধে ঈমানদারদের যে গণআন্দোলন গড়ে উঠবে সেটা রুখবার সাধ্য কারো হবে না। সংগঠনের নেতা মাওলানা যুবায়ের আহমদ বলেন, আপাত দৃষ্টিতে নাস্তিক্যবাদী অপশক্তি নিজেদের যতোই শক্তিশালী ও চিরস্থায়ী মনে করুক না কেন, তারা ভেতর থেকে ক্ষয়ে গিয়ে ধসে পড়ার উপক্রম হয়েছে। প্রতিটা ইসলামবিরোধী, জনবিরোধী কাজের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে সাহস ও দৃঢ়তা নিয়ে। ইসলামী শক্তিকে বিকল্প শক্তি হিসেবে দৃশ্যমান হতে হবে। খেলাফত যুব আন্দোলনের সভাপতি মুফতি ফখরুল ইসলাম আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে মুক্তি দেয়ার তীব্র নিন্দা, ক্ষোভ, ধিক্কার জানিয়ে বলেন, দেশের নবী প্রেমিক তৌহিদী জনতাকে ধোঁকা দিয়ে তাকে গ্রেপ্তারের নামে জামাই আদরে লালন করে পবিত্র রমজান মাসে মুক্তি দিয়ে প্রমাণ করেছে এ সরকার নাস্তিকদের সহযোগী। তিনি বলেন, লতিফ সিদ্দিকী নবী কারীম (সাঃ), হজ ও তাবলীগ নিয়ে যে কটূক্তি করেছেন তা তার নিজের থেকে করেনি মনে হয়। সরকার পশ্চিমা দেশগুলোকে সন্তুষ্ট করার জন্য লতিফ সিদ্দিকীকে দিয়ে এহেন জঘন্য কাজ করিয়েছেন। না হয় পবিত্র রমজান মাসে তাকে মুক্তি দিয়ে দেশের ধর্মপ্রাণ নবীপ্রেমিক মুসলমানের হৃদয়ে আঘাত দিতো না।
গতকাল দুপুরে বিএসএমএমইউতে গিয়ে দেখা যায়, সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী কারা সেলের কেবিন নম্বর ৫১২ তে অবস্থান করছিলেন। তার মুক্তি পাওয়ার খবরে ওই কেবিনের সামনে ভিড় করেন সংবাদকর্মীরা। বেলা পৌনে ১টায় অকস্মাৎ কেবিনের সামনে এসে দাঁড়ান ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়া এ আওয়ামী লীগ নেতা। গায়ে ছিল কালো প্যান্ট ও হাফ শার্ট। প্রথমে একগাল হাসি দিয়েই দুই হাত করজোড় করে ক্ষমা প্রার্থনার ভঙ্গিতে দাঁড়ান তিনি। এ সময় সাংবাদিকদের উদ্দেশে লতিফ সিদ্দিকী বলেন, আমার কাছে আপনাদের জন্য কোনও সংবাদ নেই। তাই এখানে ছবি তুলবেন না। ‘আপনি তো এখন মুক্ত’ সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি এখন মুক্ত না। আমি মুক্ত হবো নেত্রী যখন সিদ্ধান্ত নেবেন তখন। নেত্রীর সিদ্ধান্তের বাইরে আমি মুক্তও না অমুক্তও না। ‘আজ বাসায় চলে যাবেন কিনা’- এমন প্রশ্নের জবাবে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আমি বাসায় যাবো কি করে? আমি তো বন্দি। আপনার তো জামিন হয়ে গেছে- এই প্রশ্নের জবাবে লতিফ সিদ্দিকী বলেন, আমার মতো লোকের জামিন হলেও আরও বহু ব্যাপার আছে। এ সময় তিনি বলেন, আমি এই বারান্দায় হাঁটা-চলা করি। বন্দি হিসেবে এটা আমার অধিকার রয়েছে। তাই দয়া করে আমার ছবি তুলবেন না। এরপর মিনিট খানেক পায়চারি করে ওই কেবিনের ভেতরে চলে যান তিনি।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে এক অনুষ্ঠানে হজ, মহানবী (সা.) ও তাবলিগ জামাত নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে পড়েন আবদুল লতিফ সিদ্দিকী।
তার গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন ইসলামী সংগঠন আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করে। পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে দ্রুত তাকে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেয়া হয়। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম ও প্রাথমিক সদস্য পদ থেকেও বহিষ্কার করা হয় তাকে। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও কটূক্তির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ১৭টি মামলা হয়। নির্ধারিত সময়ে আদালতে হাজির না হওয়ায় প্রতিটি মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
গত বছরের ২৩ শে নভেম্বর ভারতের কলকাতা থেকে বিমানে দেশে ফিরেন। বিমানবন্দর থেকে অনেকটা গোপনে তিনি অজ্ঞাত স্থানে চলে যান। পরের দিন থেকে ফের ক্ষুব্ধ হয়ে আন্দোলনে নামে ইসলামী সংগঠনগুলো। ২৫শে নভেম্বর ধানমন্ডি থানায় লতিফ সিদ্দিকী আত্মসমর্পণ করার পর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। দীর্ঘ কারাবন্দি থাকার পর গত ২৬ শে মে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে করা সাত মামলায় সাবেক এই মন্ত্রীকে ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন আদালত। একই সঙ্গে আদালত এসব মামলার কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছিলেন। পরে গত ২৩ শে জুন একই অভিযোগে করা আরও ১০ মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পান আবদুল লতিফ সিদ্দিকী।
শুক্রবার সারা দেশে বিক্ষোভের ডাক
বহিষ্কৃত মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর মুক্তিলাভে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে ইসলামপন্থিরা। তারা বিনা বিচারে লতিফ সিদ্দিকীর মুক্তিকে তৌহিদী জনতার সঙ্গে বেঈমানী বলে অভিহিত করেছেন। ওদিকে লতিফ সিদ্দিকীকে ফের গ্রেপ্তার দাবি করেছে ঢাকা মহানগর হেফাজত। এ ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার দেশের সকল মসজিদে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে ইসলামী ঐক্যজোট। সম্মিলিত ইসলামী দলের মহাসচিব মাওলানা জাফরুল্লাহ খান বলেন, এখন মনে হচ্ছে সরকার লতিফ সিদ্দিকীকে নিয়ে যা করেছে তা ছিল আইওয়াশ। কারণ সরকার সত্যিকার অর্থে স্বঘোষিত এই নাস্তিকের বিচার করতে চাইলে তাকে মুক্তি দিত না। কোটি কোটি মুসলমানের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়া এই মুরতাদকে সরকার মুক্তি দিতে পারে না। তিনি বলেন, সরকারের উচিত ছিল তার বিচার করা। বিচারে নির্দোষ প্রমাণিত হলে তিনি খালাস পেতেন। কিন্তু সরকার তা না করে তাকে জামিন দিয়ে দিয়েছে। আমরা সরকারের এই ছলচাতুরী কোনভাবেই মেনে নিতে পারি না, ইসলামপ্রিয় তৌহিদী জনতা এটা মেনে নিবে না। সংশ্লিষ্ট নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে এ ব্যাপারে পরবর্তী করণীয় ঠিক করবেন বলে জানান জাফরুল্লাহ খান। ওদিকে লতিফ সিদ্দিকীর জামিন বাতিল করে অবিলম্বে তাকে গ্রেপ্তার করে ফের কারাগারে পাঠানোর দাবি করেছে ঢাকা মহানগর হেফাজতে ইসলাম। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে হুমকি দিয়েছে সংগঠনটির নেতারা। সন্ধ্যায় রাজধানীর বারিধারায় এক ইফতার মাহফিলে এ ঘোষণা দেন মহানগর নেতারা। লতিফ সিদ্দিকীর মুক্তির প্রতিবাদে গতকাল সন্ধ্যায় তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল বের করে ইসলামী ঐক্যজোট। এই ইস্যুতে আগামী শুক্রবার দেশের সকল মসজিদে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তারা। বিক্ষোভ সমাবেশে ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেন, মুরতাদ আবদুল লতিফ সিদ্দিকীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রেখে আইন করা না হলে তাগুত, জাহেলিয়াতের বিরুদ্ধে ঈমানদারদের যে গণআন্দোলন গড়ে উঠবে সেটা রুখবার সাধ্য কারো হবে না। সংগঠনের নেতা মাওলানা যুবায়ের আহমদ বলেন, আপাত দৃষ্টিতে নাস্তিক্যবাদী অপশক্তি নিজেদের যতোই শক্তিশালী ও চিরস্থায়ী মনে করুক না কেন, তারা ভেতর থেকে ক্ষয়ে গিয়ে ধসে পড়ার উপক্রম হয়েছে। প্রতিটা ইসলামবিরোধী, জনবিরোধী কাজের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে সাহস ও দৃঢ়তা নিয়ে। ইসলামী শক্তিকে বিকল্প শক্তি হিসেবে দৃশ্যমান হতে হবে। খেলাফত যুব আন্দোলনের সভাপতি মুফতি ফখরুল ইসলাম আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে মুক্তি দেয়ার তীব্র নিন্দা, ক্ষোভ, ধিক্কার জানিয়ে বলেন, দেশের নবী প্রেমিক তৌহিদী জনতাকে ধোঁকা দিয়ে তাকে গ্রেপ্তারের নামে জামাই আদরে লালন করে পবিত্র রমজান মাসে মুক্তি দিয়ে প্রমাণ করেছে এ সরকার নাস্তিকদের সহযোগী। তিনি বলেন, লতিফ সিদ্দিকী নবী কারীম (সাঃ), হজ ও তাবলীগ নিয়ে যে কটূক্তি করেছেন তা তার নিজের থেকে করেনি মনে হয়। সরকার পশ্চিমা দেশগুলোকে সন্তুষ্ট করার জন্য লতিফ সিদ্দিকীকে দিয়ে এহেন জঘন্য কাজ করিয়েছেন। না হয় পবিত্র রমজান মাসে তাকে মুক্তি দিয়ে দেশের ধর্মপ্রাণ নবীপ্রেমিক মুসলমানের হৃদয়ে আঘাত দিতো না।
No comments