তারেককে খালাস দেওয়া বিচারকের খোঁজে দুদক by মোর্শেদ নোমান
অর্থ পাচার মামলায় বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বেকসুর খালাসের আদেশ দিয়ে দেশ ছেড়ে যাওয়া বিচারক মোতাহার হোসেনকে খুঁজে বের করতে ইন্টারপোল ও এফবিআইয়ের শরণাপন্ন হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ ছাড়া তাঁর সম্পদের খোঁজে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছেও চিঠি পাঠানো হয়েছে। দুদক সূত্র প্রথম আলোকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
দুদকের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে জানান, আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা (ইন্টারপোল) ও যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) কাছে চিঠি দিয়ে মোতাহার হোসেনের অবস্থান জানতে সহায়তা চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসী অর্থায়ন প্রতিরোধ সংস্থা এগমন্ট গ্রুপের কাছেও চিঠি পাঠানো হয়েছে। বিশ্বের কোথাও মোতাহার হোসেনের সম্পদ রয়েছে কি-না তা জানতে সহায়তা চাওয়া হয়েছে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে দেওয়া ওই সব চিঠিতে বিচারক মোতাহার হোসেন যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, দুবাই ও সৌদি আরবে গোপনে পালিয়ে আছেন বলে ধারণা দেওয়া হয়। এ ছাড়া এসব দেশে তাঁর পাচার করা অর্থ থাকতে পারে বলে দুদক ধারণা করছে।
‘অবৈধভাবে বিদেশে অর্থ পাচার’-সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানকে ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর বেকসুর খালাস দিয়েছিলেন বিচারক মোতাহার হোসেন। সে সময় তিনি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এর বিচারক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ওই বছরের ডিসেম্বরে তিনি অবসরে যান।
দুদক সূত্র জানায়, দুই সপ্তাহ আগে অবসরে যাওয়ার আগে মোটা অঙ্কের ঘুষ নিয়ে তারেক রহমানের মামলার রায় দেওয়া হয়েছে মর্মে মোতাহার হোসেনের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আসে সংস্থাটির কাছে। এসব অভিযোগ নিজস্ব সূত্রে খবর নেয় সংস্থাটি। অভিযোগের ক্ষেত্রে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পরই বিস্তারিত অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।
সূত্রটি জানায়, মোতাহার হোসেনের বিরুদ্ধে তারেক রহমানের মামলার বিচারক হিসেবে নয় বরং সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই অনুসন্ধান শুরু হয়। একজন বিশেষ জজ হিসেবে দায়িত্বে থাকা অবস্থায় তার আয়ের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে অঢেল সম্পত্তির মালিক হয়েছেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থপাচার, অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন ও ঘুষ নিয়ে আসামিদের খালাস দেওয়ার অভিযোগ কমিশনের প্রাথমিক অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে।
মোতাহার হোসেনের বিরুদ্ধে আসা অভিযোগ অনুসন্ধান করছেন দুদকের উপপরিচালক হারুন-অর-রশীদ।
গত বছরের জানুয়ারিতে অনুসন্ধান শুরুর পরপরই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মোতাহার হোসেনকে দুদকে তলব করা হলেও তিনি হাজির হননি। ওই সময় তাঁর বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করে দুদক। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট স্থলবন্দর, নৌবন্দর ও বিমানবন্দরেও সতর্কসংকেত জারি করা হয়। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা জারি করার আগেই গত বছরের ৮ জানুয়ারি মোতাহার হোসেন মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান বলে দুদক ওই সময় নিশ্চিত হয়।
দুদক সূত্র জানায়, বিচারক মোতাহার হোসেনের নামে বিদেশে অবৈধ উপায়ে অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে। তাঁর ছেলে লন্ডনে থেকে পড়াশোনা করেন। লন্ডনে মোতাহার হোসেন বাড়ি কিনেছেন। রাজধানীর ধানমন্ডিতে তিনি দুটি অ্যাপার্টমেন্ট কিনেছেন। এ ছাড়া তাঁর গ্রামের বাড়ি নাটোরে নামে-বেনামে প্রায় ৫০ বিঘা কৃষি-অকৃষি জমি কিনেছেন। তাঁর দৃশ্যত সম্পদের সঙ্গে আয়ের যথেষ্ট অমিল রয়েছে বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে বলে সূত্রটি জানিয়েছে।
২০১০ সালের ৬ জুলাই বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর ব্যবসায়িক অংশীদার গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থ পাচারের মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয় দুদক। বিচারক মোতাহার হোসেন ২০১৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর দেওয়া রায়ে তারেককে বেকসুর খালাস ও মামুনকে অর্থদণ্ডসহ সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।
দুদকের সহকারী পরিচালক মো. ইব্রাহীম ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মানি লন্ডারিং আইনে ওই মামলাটি করেন (নম্বর-৮)। তাতে অভিযোগ করা হয়, তারেক রহমান ও মামুন ২০০৩ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন পথে মোট ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার টাকা অবৈধভাবে সিঙ্গাপুরে পাচার করেছেন।
দুদকের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে জানান, আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা (ইন্টারপোল) ও যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) কাছে চিঠি দিয়ে মোতাহার হোসেনের অবস্থান জানতে সহায়তা চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসী অর্থায়ন প্রতিরোধ সংস্থা এগমন্ট গ্রুপের কাছেও চিঠি পাঠানো হয়েছে। বিশ্বের কোথাও মোতাহার হোসেনের সম্পদ রয়েছে কি-না তা জানতে সহায়তা চাওয়া হয়েছে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে দেওয়া ওই সব চিঠিতে বিচারক মোতাহার হোসেন যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, দুবাই ও সৌদি আরবে গোপনে পালিয়ে আছেন বলে ধারণা দেওয়া হয়। এ ছাড়া এসব দেশে তাঁর পাচার করা অর্থ থাকতে পারে বলে দুদক ধারণা করছে।
‘অবৈধভাবে বিদেশে অর্থ পাচার’-সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানকে ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর বেকসুর খালাস দিয়েছিলেন বিচারক মোতাহার হোসেন। সে সময় তিনি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এর বিচারক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ওই বছরের ডিসেম্বরে তিনি অবসরে যান।
দুদক সূত্র জানায়, দুই সপ্তাহ আগে অবসরে যাওয়ার আগে মোটা অঙ্কের ঘুষ নিয়ে তারেক রহমানের মামলার রায় দেওয়া হয়েছে মর্মে মোতাহার হোসেনের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আসে সংস্থাটির কাছে। এসব অভিযোগ নিজস্ব সূত্রে খবর নেয় সংস্থাটি। অভিযোগের ক্ষেত্রে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পরই বিস্তারিত অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।
সূত্রটি জানায়, মোতাহার হোসেনের বিরুদ্ধে তারেক রহমানের মামলার বিচারক হিসেবে নয় বরং সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই অনুসন্ধান শুরু হয়। একজন বিশেষ জজ হিসেবে দায়িত্বে থাকা অবস্থায় তার আয়ের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে অঢেল সম্পত্তির মালিক হয়েছেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থপাচার, অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন ও ঘুষ নিয়ে আসামিদের খালাস দেওয়ার অভিযোগ কমিশনের প্রাথমিক অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে।
মোতাহার হোসেনের বিরুদ্ধে আসা অভিযোগ অনুসন্ধান করছেন দুদকের উপপরিচালক হারুন-অর-রশীদ।
গত বছরের জানুয়ারিতে অনুসন্ধান শুরুর পরপরই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মোতাহার হোসেনকে দুদকে তলব করা হলেও তিনি হাজির হননি। ওই সময় তাঁর বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করে দুদক। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট স্থলবন্দর, নৌবন্দর ও বিমানবন্দরেও সতর্কসংকেত জারি করা হয়। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা জারি করার আগেই গত বছরের ৮ জানুয়ারি মোতাহার হোসেন মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান বলে দুদক ওই সময় নিশ্চিত হয়।
দুদক সূত্র জানায়, বিচারক মোতাহার হোসেনের নামে বিদেশে অবৈধ উপায়ে অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে। তাঁর ছেলে লন্ডনে থেকে পড়াশোনা করেন। লন্ডনে মোতাহার হোসেন বাড়ি কিনেছেন। রাজধানীর ধানমন্ডিতে তিনি দুটি অ্যাপার্টমেন্ট কিনেছেন। এ ছাড়া তাঁর গ্রামের বাড়ি নাটোরে নামে-বেনামে প্রায় ৫০ বিঘা কৃষি-অকৃষি জমি কিনেছেন। তাঁর দৃশ্যত সম্পদের সঙ্গে আয়ের যথেষ্ট অমিল রয়েছে বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে বলে সূত্রটি জানিয়েছে।
২০১০ সালের ৬ জুলাই বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর ব্যবসায়িক অংশীদার গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থ পাচারের মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয় দুদক। বিচারক মোতাহার হোসেন ২০১৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর দেওয়া রায়ে তারেককে বেকসুর খালাস ও মামুনকে অর্থদণ্ডসহ সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।
দুদকের সহকারী পরিচালক মো. ইব্রাহীম ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মানি লন্ডারিং আইনে ওই মামলাটি করেন (নম্বর-৮)। তাতে অভিযোগ করা হয়, তারেক রহমান ও মামুন ২০০৩ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন পথে মোট ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার টাকা অবৈধভাবে সিঙ্গাপুরে পাচার করেছেন।
No comments