ব্রাজিলের গম পুলিশকে দুর্বল করছে!
খাদ্য
অধিদপ্তরের সরবরাহ করা গমের আটা অত্যন্ত নিম্নমানের। পুলিশ বাহিনীর
সদস্যরা অক্লান্ত পরিশ্রম করার পর এসব নিম্নমানের গম ও আটা খাচ্ছে। এতে
তাঁদের মনোবল দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে
বিরূপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গত রোববার দেওয়া সর্বশেষ চিঠিতে এ কথা বলা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে একই অভিযোগে কয়েক দফা চিঠি দেওয়া হয়েছে। পুলিশের চিঠি পাওয়ার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি খাদ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে।
খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ২১ জুন খাদ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন, ব্রাজিল থেকে আনা গম সরকারের আমদানি শর্তের প্রান্তসীমায় ছিল। আর নিম্নমান হওয়ায় খাদ্য বিভাগ থেকে মে মাসে গমের একটি জাহাজ ফেরত পাঠানো হয়েছিল।
তবে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম গত রোববার প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপকালে পুলিশের অভিযোগ নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘পুলিশের পক্ষ থেকে এমন কোনো চিঠি আমরা পাইনি।’
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গমের মান নিয়ে পুলিশের আপত্তির বিষয়টি তুলে খাদ্য মন্ত্রণালয়কে গত দুই মাসে একাধিক চিঠি দিয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা গমের ব্যাপারে পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের আপত্তির বিষয়টি জানতে পেরেছি। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। আশা করি, তারা বিষয়টিকে আমলে নেবে।’
খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, খাদ্য অধিদপ্তর পুলিশ বাহিনীকে ব্রাজিল থেকে আনা গম সরবরাহ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকারি পরীক্ষাতেই নিম্নমান হিসেবে চিহ্নিত ওই দেড় লাখ টন গমের মধ্যে ১ লাখ ২০ হাজার টন গ্রামাঞ্চলে বিভিন্ন সরকারি কর্মসূচি ও প্রকল্পে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ বাহিনীর ওই চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, উন্নত চাল-গম বেছে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হলে পুলিশ বাহিনীর মনোবল সুদৃঢ় হবে, যা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে সহায়ক হবে। গুদাম থেকে উন্নত মানের চাল-গম সরবরাহের জন্য খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আদেশ থাকলেও তা সরবরাহ করা হচ্ছে না।
এর আগে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো আরেক চিঠিতে বলা হয়, খাদ্য অধিদপ্তর থেকে দেওয়া চাল ও গম মোটা, দুর্গন্ধযুক্ত, নোংরা ও কাচযুক্ত। পুলিশের পাশাপাশি যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্য, জাতীয় নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা অধিদপ্তর এবং বেসামরিক কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিশেষ নিরাপত্তা ফোর্সের বেসামরিক কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং দুর্নীতি দমন কমিশনে কর্মরত তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীসহ প্রায় ৩৩ হাজার কর্মকর্তা ও কর্মচারী ঢাকা মহানগর পুলিশের রেশন স্টোর থেকে এসব গম উত্তোলন করে থাকেন।
খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফয়েজ আহমদ বলেন, ব্রাজিলের গমের মান নিয়ে পুলিশ প্রশ্ন তোলায় তাদের আর ওই গম দেওয়া হচ্ছে না। সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প এবং কর্মসূচিতে বণ্টনের জন্য এগুলো দেওয়া হয়েছে।
তাহলে কি পুলিশ বাহিনী নিম্নমান বলে প্রত্যাখ্যান করায় এগুলো গরিব মানুষকে দেওয়া হচ্ছে? জবাবে ফয়েজ আহমদ বলেন, এই গম নিম্নমান বলা হলেও অখাদ্য বা পচা কেউ বলেনি। সরকারি কর্মসূচি থেকে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ আসেনি।
এর আগে গত ১৩ মে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে পুলিশের জন্য উন্নত মানের গম সরবরাহ করতে একটি চিঠি দেওয়া হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নিরোদ চন্দ্র মণ্ডল স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, পুলিশের জেলা/ইউনিটের রেশনসামগ্রী হিসেবে জেলা খাদ্যগুদাম থেকে যে গম সংগ্রহ করা হয়, তা উন্নত নয়। পুলিশ বাহিনী থেকে পাঠানো নিম্নমানের গমের কিছু নমুনাও খাদ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
পুলিশের অভিযোগের পর ২১ জুন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রাজিল থেকে আনা গমের ব্যাপারে তাঁদের অবস্থান ব্যাখ্যা করে চিঠি দেন। এতে তিনি বলেন, ‘আমি খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হিসেবে যোগ দেওয়ার আগে চারটি প্যাকেজের আওতায় ব্রাজিল থেকে ২ লাখ ৫ হাজার ১২৮ মেট্রিক টন গম দুটি সংস্থার কাছ থেকে নেওয়া হয়। এই গমের গুণগত মান সরকারি বিনির্দেশের গ্রহণযোগ্যতার প্রান্তসীমায় অবস্থিত ছিল।’
মহাপরিচালক ওই চিঠিতে লেখেন, ‘মহাপরিচালক হিসেবে আমি যোগদানের পর একটি জাহাজের গম গ্রহণের অপেক্ষায় ছিল। কিন্তু এগুলোর আকার, প্রকার ও বর্ণ চাক্ষুষ দৃষ্টিতে গ্রহণযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়নি। তাই তা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। গমগুলোর আমদানিকারক গ্লেনকোর বিভির স্থানীয় প্রতিনিধি ওই গম ফেরত নেয়।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গত রোববার দেওয়া সর্বশেষ চিঠিতে এ কথা বলা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে একই অভিযোগে কয়েক দফা চিঠি দেওয়া হয়েছে। পুলিশের চিঠি পাওয়ার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি খাদ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে।
খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ২১ জুন খাদ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন, ব্রাজিল থেকে আনা গম সরকারের আমদানি শর্তের প্রান্তসীমায় ছিল। আর নিম্নমান হওয়ায় খাদ্য বিভাগ থেকে মে মাসে গমের একটি জাহাজ ফেরত পাঠানো হয়েছিল।
তবে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম গত রোববার প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপকালে পুলিশের অভিযোগ নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘পুলিশের পক্ষ থেকে এমন কোনো চিঠি আমরা পাইনি।’
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গমের মান নিয়ে পুলিশের আপত্তির বিষয়টি তুলে খাদ্য মন্ত্রণালয়কে গত দুই মাসে একাধিক চিঠি দিয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা গমের ব্যাপারে পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের আপত্তির বিষয়টি জানতে পেরেছি। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। আশা করি, তারা বিষয়টিকে আমলে নেবে।’
খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, খাদ্য অধিদপ্তর পুলিশ বাহিনীকে ব্রাজিল থেকে আনা গম সরবরাহ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকারি পরীক্ষাতেই নিম্নমান হিসেবে চিহ্নিত ওই দেড় লাখ টন গমের মধ্যে ১ লাখ ২০ হাজার টন গ্রামাঞ্চলে বিভিন্ন সরকারি কর্মসূচি ও প্রকল্পে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ বাহিনীর ওই চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, উন্নত চাল-গম বেছে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হলে পুলিশ বাহিনীর মনোবল সুদৃঢ় হবে, যা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে সহায়ক হবে। গুদাম থেকে উন্নত মানের চাল-গম সরবরাহের জন্য খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আদেশ থাকলেও তা সরবরাহ করা হচ্ছে না।
এর আগে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো আরেক চিঠিতে বলা হয়, খাদ্য অধিদপ্তর থেকে দেওয়া চাল ও গম মোটা, দুর্গন্ধযুক্ত, নোংরা ও কাচযুক্ত। পুলিশের পাশাপাশি যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্য, জাতীয় নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা অধিদপ্তর এবং বেসামরিক কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিশেষ নিরাপত্তা ফোর্সের বেসামরিক কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং দুর্নীতি দমন কমিশনে কর্মরত তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীসহ প্রায় ৩৩ হাজার কর্মকর্তা ও কর্মচারী ঢাকা মহানগর পুলিশের রেশন স্টোর থেকে এসব গম উত্তোলন করে থাকেন।
খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফয়েজ আহমদ বলেন, ব্রাজিলের গমের মান নিয়ে পুলিশ প্রশ্ন তোলায় তাদের আর ওই গম দেওয়া হচ্ছে না। সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প এবং কর্মসূচিতে বণ্টনের জন্য এগুলো দেওয়া হয়েছে।
তাহলে কি পুলিশ বাহিনী নিম্নমান বলে প্রত্যাখ্যান করায় এগুলো গরিব মানুষকে দেওয়া হচ্ছে? জবাবে ফয়েজ আহমদ বলেন, এই গম নিম্নমান বলা হলেও অখাদ্য বা পচা কেউ বলেনি। সরকারি কর্মসূচি থেকে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ আসেনি।
এর আগে গত ১৩ মে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে পুলিশের জন্য উন্নত মানের গম সরবরাহ করতে একটি চিঠি দেওয়া হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নিরোদ চন্দ্র মণ্ডল স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, পুলিশের জেলা/ইউনিটের রেশনসামগ্রী হিসেবে জেলা খাদ্যগুদাম থেকে যে গম সংগ্রহ করা হয়, তা উন্নত নয়। পুলিশ বাহিনী থেকে পাঠানো নিম্নমানের গমের কিছু নমুনাও খাদ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
পুলিশের অভিযোগের পর ২১ জুন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রাজিল থেকে আনা গমের ব্যাপারে তাঁদের অবস্থান ব্যাখ্যা করে চিঠি দেন। এতে তিনি বলেন, ‘আমি খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হিসেবে যোগ দেওয়ার আগে চারটি প্যাকেজের আওতায় ব্রাজিল থেকে ২ লাখ ৫ হাজার ১২৮ মেট্রিক টন গম দুটি সংস্থার কাছ থেকে নেওয়া হয়। এই গমের গুণগত মান সরকারি বিনির্দেশের গ্রহণযোগ্যতার প্রান্তসীমায় অবস্থিত ছিল।’
মহাপরিচালক ওই চিঠিতে লেখেন, ‘মহাপরিচালক হিসেবে আমি যোগদানের পর একটি জাহাজের গম গ্রহণের অপেক্ষায় ছিল। কিন্তু এগুলোর আকার, প্রকার ও বর্ণ চাক্ষুষ দৃষ্টিতে গ্রহণযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়নি। তাই তা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। গমগুলোর আমদানিকারক গ্লেনকোর বিভির স্থানীয় প্রতিনিধি ওই গম ফেরত নেয়।
No comments