সংসদে বৃটিশ পার্লামেন্টের সমালোচনা
বৃটিশ হাউস অব কমন্সে সম্প্রতি একটি কমিটিতে বাংলাদেশ নিয়ে দেয়া বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করেছেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। তিনি বলেন, সেখানে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে একটি রং ব্রিফিং করা হয়েছে। একটি দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অন্য দেশের সংসদে আলোচনার কোন সুযোগ নেই। তারা সেই কাজটি করেছে। গতকাল সংসদে বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি বলেন, জিয়া চ্যারিটিবল ট্রাস্ট, অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা, ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিচার হতেই হবে, কার কী শাস্তি হবে তা আদালতই নির্ধারণ করবে। এ নিয়ে কোন মন্ত্রীর আগাম মন্তব্য করা ঠিক নয়। কারণ সংসদে কোন মন্ত্রী বক্তব্য রাখলে তা ক্যাবিনেট প্রধান প্রধানমন্ত্রীর ওপর বর্তায়। তাই কথা বলার আগে মন্ত্রীদের আরেকটু সতর্ক হওয়া উচিত। তিনি বলেন, মাননীয় মন্ত্রীরা আপনারা যে দলেরই হোন না কেন, মন্ত্রী হয়ে সংসদে যখন বলেন, তখন তার দায়-দায়িত্ব তো প্রধানমন্ত্রীকেও নিতে হয়। এটা চিন্তা-ভাবনা করবেন, যাতে আমরা বিব্রত না হই। ‘আগামী নির্বাচনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অংশ নিতে পারবেন না, তার স্থান হবে কাশিমপুর কারাগার- তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর এমন বক্তব্যের বিষয়ে ইঙ্গিত করে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ‘এই প্রজাতন্ত্রে আমি নির্বাচন করতে পারবো, কি পারবো না, কবে করবো, কি করবো না- এই সিদ্ধান্ত তো সংসদ দেবে না। তার জন্য আদালত আছে, উচ্চতর আদালত আছে, তার জন্য নির্বাচন কমিশন আছে, তার জন্য সংবিধান আছে।’ প্রবীণ এই রাজনীতিক আরও বলেন, ‘পলিটিক্যাল ডিক্লারেশন দিয়ে কাউকে আনট্রিট করা যায় না। ’৫৮ সালে আইয়ুব খান করেছে, তার বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু বাঘের মতো গর্জন কইরা ডাক দিছিলেন, ছাত্রসমাজ দাঁড়াইছিল।’
তিনি আরও বলেন, বহু ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত হয়েছে, কিন্তু শেখ হাসিনা ক্ষমতায় রয়েছেন বলেই বাংলাদেশ আবার বাহাত্তরের সংবিধানে ফিরে যেতে পেরেছে। গণতন্ত্রের প্রতি অবিচল বিশ্বাস রেখে দিন-রাত পরিশ্রম করে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে শেখ হাসিনা নিজেকে যেমন বিশাল উচ্চতায় নিয়ে গেছেন, দেশের জনগণকেও সম্মানের উচ্চ আসনে নিয়ে গেছেন। বাংলাদেশের ৫৬টি ব্যাংকে ৫৫ হাজার কোটি টাকা খেলাপি ঋণ আদায়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। তিনি বলেন, ৬-৭ বছরেও খেলাপি ঋণ আদায়ে আমরা অর্থঋণ আদালতকে কাজে লাগাতে পারলাম না। এইগুলার ব্যাপারে আমি সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করবো। এটাকে কমিয়ে আনতে হবে। ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে ব্যাংকিং কমিশন গঠনের প্রস্তাবও দেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, বহু ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত হয়েছে, কিন্তু শেখ হাসিনা ক্ষমতায় রয়েছেন বলেই বাংলাদেশ আবার বাহাত্তরের সংবিধানে ফিরে যেতে পেরেছে। গণতন্ত্রের প্রতি অবিচল বিশ্বাস রেখে দিন-রাত পরিশ্রম করে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে শেখ হাসিনা নিজেকে যেমন বিশাল উচ্চতায় নিয়ে গেছেন, দেশের জনগণকেও সম্মানের উচ্চ আসনে নিয়ে গেছেন। বাংলাদেশের ৫৬টি ব্যাংকে ৫৫ হাজার কোটি টাকা খেলাপি ঋণ আদায়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। তিনি বলেন, ৬-৭ বছরেও খেলাপি ঋণ আদায়ে আমরা অর্থঋণ আদালতকে কাজে লাগাতে পারলাম না। এইগুলার ব্যাপারে আমি সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করবো। এটাকে কমিয়ে আনতে হবে। ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে ব্যাংকিং কমিশন গঠনের প্রস্তাবও দেন তিনি।
No comments