অবৈধ শ্রমিকদের জন্য সুখবর বাহরাইনে ৬ মাসের সাধারণ ক্ষমা
বাংলাদেশী
অবৈধ শ্রমিক সহ বাহরাইনে অবস্থান করা সব অবৈধ শ্রমিকের জন্য সাধারণ ক্ষমা
ঘোষণা করেছে বাহরাইন। এ ক্ষমার মেয়াদ ১লা জুলাই থেকে ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত
মোট ছয় মাস। এর মধ্যে অবৈধ শ্রমিক, নিবন্ধিত নয় এমন শ্রমিককে এ ক্ষমার
সুযোগ নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, বাহরাইনে প্রায় ১১৫০০০
বাংলাদেশী কর্মী রয়েছেন। এর মধ্যে ৩৬৫৭২ অবৈধ বলে ধারণা করা হয়। ফলে তারাও এ
সুযোগ নিতে পারেন। দেশটির শ্রমবাজার নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ (এলএমআরএ) তাদের
অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গতকাল এক ঘোষণায় বলেছে, ৬ মাস মেয়াদি এ ক্ষমার সময়সীমা
এ বছরের ১লা জুলাই থেকে শুরু করে ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। এ সময়সীমার
মধ্যে অনথিভুক্ত অবৈধ অভিবাসী শ্রমিকরা যেকোন দুইটি কাজ করতে পারেন। একটি
হলো, কোন জরিমানা ছাড়াই দেশত্যাগের সুযোগ গ্রহণ। অপরটি হলো, এ সময়ের মধ্যে
বৈধ কর্মক্ষেত্র খুঁজে নেয়ার মাধ্যমে বাহরাইনে নিজেদের অবস্থান বৈধকরণ।
যারা এ ছয় মাসে জরিমানা ছাড়াই দেশত্যাগ করবেন, তাদের নাম কালো তালিকাভুক্ত
করা হবে না। এর অর্থ, তারা বৈধ কাগজপত্র ও কর্মক্ষেত্র নিশ্চিত করে আবারও
যেকোন সময় কোন বাঁধা ছাড়াই বাহরাইনে প্রবেশ করতে পারবেন। আর যারা নতুন বৈধ
কর্মক্ষেত্র ঠিক করবেন, তাদের পূর্বের চাকরিদাতার সঙ্গে কোন পরামর্শ বা
অনুমতি নিতে হবে না। তাদের বিরুদ্ধে পূর্বের বিভিন্ন অভিযোগও প্রত্যাহার
করা হবে। এলএমআরএ’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অসামাহ আলাবসি বলেন, যারা
নিজেদের অবস্থান অবৈধ বলে বুঝতে পেরেছেন, তাদেরকে আমরা এ সুযোগ দিচ্ছি।
যাতে করে তারা কোন জরিমানা প্রদান বা আইনি প্রক্রিয়ার মোকাবিলা ছাড়াই
নিজেদের অবস্থান ত্রুটিমুক্ত করতে পারেন। তিনি আরও বলেন, অবৈধ হয়ে থাকা বা
শোষণের শিকার হওয়ার মতো ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থান থেকে যত বেশি সম্ভব মানুষকে
আমরা সরাতে চাই। তাদেরকে কোন আর্থিক খরচ ছাড়াই নতুন করে সবকিছু শুরু করার
সুযোগ দিতে চাই। এ সুযোগের জন্য কোন ধরনের অর্থ দিতে হবে না বলে জানান
আলাবসি। তিনি এও জানিয়ে দেন, এ সেবা গ্রহণের জন্য শ্রমিকদের কাছ থেকে
অর্থগ্রহণ চাকরিদাতা বা মধ্যস্বত্বভোগীদের জন্য অবৈধ। যেসব শ্রমিক এ সুবিধা
গ্রহণের আওতায় থাকবেন, তারা হলেন, কাজ থেকে অনুপস্থিত (পালিয়ে বেড়ানো),
ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ, ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর পালিয়ে থাকা, নবায়ন
না করা ভিসার অধিকারী শ্রমিকগণ।
যারা জরিমানা দেয়া ও কালো তালিকাভুক্ত হওয়া ছাড়া বাহরাইন ছেড়ে চলে যাবেন, তারা ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তথা এনপিআরএ’র সদর দপ্তরে (অভিবাসন বিভাগ) গিয়ে পাসপোর্ট ও ট্রাভেল পেপারের ওপর বর্ধিত সময়সীমা গ্রহণ করতে পারবেন। আর যারা অবৈধ থেকে বৈধভাবে থাকতে চান, তাদের প্রথমে একটি বৈধ কর্মক্ষেত্র খুঁজে বের করতে হবে। নতুন চাকরিদাতাকে এনপিআরএ’র সদর দপ্তর (অভিবাসন বিভাগ) থেকে বর্ধিত সময়সীমা গ্রহণ করতে হবে। এরপর শ্রমিককে ইনটেনশন টু ট্রান্সফার ফরম পূরণ ও স্বাক্ষর করতে হবে। এ ফরমটি নতুন চাকরিদাতাকে সরবরাহ করতে হবে। চাকরিদাতা নিজে ফরমটি শ্রমিকের নতুন ওয়ার্ক পারমিট আবেদনপত্রের সঙ্গে এলএমআরএ’র এক্সপ্যাট্রিয়েট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে আপলোড করবেন। এগুলোর কোন প্রক্রিয়া অনুসরণের জন্য চাকরিদাতার এলএমআরএ’র কার্যালয়ে যাবার প্রয়োজন হবে না।
যারা জরিমানা দেয়া ও কালো তালিকাভুক্ত হওয়া ছাড়া বাহরাইন ছেড়ে চলে যাবেন, তারা ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তথা এনপিআরএ’র সদর দপ্তরে (অভিবাসন বিভাগ) গিয়ে পাসপোর্ট ও ট্রাভেল পেপারের ওপর বর্ধিত সময়সীমা গ্রহণ করতে পারবেন। আর যারা অবৈধ থেকে বৈধভাবে থাকতে চান, তাদের প্রথমে একটি বৈধ কর্মক্ষেত্র খুঁজে বের করতে হবে। নতুন চাকরিদাতাকে এনপিআরএ’র সদর দপ্তর (অভিবাসন বিভাগ) থেকে বর্ধিত সময়সীমা গ্রহণ করতে হবে। এরপর শ্রমিককে ইনটেনশন টু ট্রান্সফার ফরম পূরণ ও স্বাক্ষর করতে হবে। এ ফরমটি নতুন চাকরিদাতাকে সরবরাহ করতে হবে। চাকরিদাতা নিজে ফরমটি শ্রমিকের নতুন ওয়ার্ক পারমিট আবেদনপত্রের সঙ্গে এলএমআরএ’র এক্সপ্যাট্রিয়েট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে আপলোড করবেন। এগুলোর কোন প্রক্রিয়া অনুসরণের জন্য চাকরিদাতার এলএমআরএ’র কার্যালয়ে যাবার প্রয়োজন হবে না।
No comments