ইয়াবা ও মানব পাচার- এখন পারিবারিক ব্যবসা by শরিফুল হাসান
কক্সবাজার থেকে টেকনাফ যাওয়ার পথে বিজিবির প্রতিটি চেকপোস্টে একটি বিজ্ঞাপন চোখে পড়ে। সেখানে লেখা, ‘আপনার অবৈধ মাদক ব্যবসা ও অর্থ উপার্জন আপনার সন্তানকেও ওই পথে যেতে উৎসাহ জোগাবে।’ তবে ওই বিজ্ঞাপনের মর্মবাণী উপেক্ষিত টেকনাফে। ইয়াবা ও মানব পাচার যেন এখানে পারিবারিক ব্যবসায় পরিণত হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, টেকনাফে বাবা-ছেলে, ভাই-ভাই, চাচা-ভাতিজাসহ কাছের এবং দূরের আত্মীয়স্বজন একসঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন ইয়াবা চোরাচালান ও মানব পাচারে। এমনও পরিবার আছে, যেখানে চার থেকে ছয়জন সদস্যও এসব অপরাধে জড়িয়ে আছেন।
গত বছরের শেষে সমুদ্রপথে মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত ২৩০ জন শীর্ষস্থানীয় পাচারকারী ও ২৬ জন হুন্ডি ব্যবসায়ীর একটি তালিকা করে পুলিশ। এর আগে ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের একটি তালিকা করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। ওই দুই তালিকা ধরে টেকনাফে অনুসন্ধান করে অন্তত ৯০টি পরিবার খুঁজে পাওয়া গেছে, যেসব পরিবারের দুজন থেকে ছয়জন সদস্য জড়িয়ে আছেন অপরাধে। তবে ইয়াবা ও মানব পাচারবিরোধী অভিযান শুরুর পর তাঁদের অনেকেই এখন এলাকায় নেই। অনেকে মুঠোফোন নম্বরও বদলে ফেলেছেন। তবে ১০টি পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে প্রথম আলো। অনেকে এ বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি। আবার অনেকেই এই তালিকাকে ষড়যন্ত্র বলে মন্তব্য করেন।
টেকনাফের স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, পরিবারের লোকজন ব্যবসা করলে যেমন গোপনীয়তা থাকে, তেমনি দ্রুত আর্থিক অবস্থার উন্নতি ঘটে বলে একজনের দেখাদেখি আরেকজন জড়িয়ে পড়ে।
টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মুজাহিদ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘যথাযথ শিক্ষার অভাবেই এখানকার অনেক পরিবারের বাবা-ছেলে, ভাইসহ আত্মীয়স্বজন ইয়াবা ও মানব পাচারের মতো অপরাধে জড়িত। এটি বন্ধ করতে প্রতিটি এলাকায় মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা চালিয়েছি। যেখানে গিয়েছি সেখানেই মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। এমন কোনো এলাকা নেই যেখানে আমরা যাইনি।’
বাবা-ছেলে একসঙ্গে: ইয়াবা ও মানব পাচারের তালিকায় পারিবারিক সদস্যদের সংখ্যার দিক থেকে শীর্ষে আছেন সাংসদ আবদুর রহমান বদির আত্মীয়স্বজন। তাঁর ২৬ জন আত্মীয়ের নাম ওই তালিকায় আছে।
এরপরে সংখ্যার দিক থেকে এগিয়ে আছেন টেকনাফ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাফর আহমেদ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মানব পাচারকারীদের তালিকায় যেমন তাঁর নাম আছে, তেমনি লেঙ্গুরবিলের ইয়াবা ব্যবসায়ীদের তালিকায় তাঁর নাম ১ নম্বরে। এ ছাড়া তাঁর ছেলে মোস্তাক আহমেদ, দিদার হোসেন, মো. শাহজাহান, ভাই নজরুল ইসলাম, ভাতিজা রুবেল ও সোহেলও আছে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের তালিকায়। জানতে চাইলে জাফর আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘তালিকায় যে আমাদের নাম আছে, সেটা জানা নেই। আর থাকলেও এটা ষড়যন্ত্রমূলক। আমি জনপ্রিয় নেতা। এসব কারণেই হয়তো ষড়যন্ত্র করে এটা করা হয়েছে।’
তিন ছেলেকে নিয়ে বাবা নিজেই ইয়াবা ব্যবসা করছেন—এমন পরিবারের মধ্যে তালিকায় আরও নাম আছে টেকনাফের হাতিয়ারগুনার হামিদ হোসেন, পানছড়ি পাড়ার আলী আহমেদ ওরফে আলুগোলা এবং পূর্ব লেদা এলাকার মো. আলমের। নাজিরপাড়ার মো. ইসলাম ও তাঁর দুই ছেলের নাম আছে ইয়াবা ব্যবসার তালিকায়। এসব পরিবারের সদস্যরা অবশ্য এই তালিকা নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি নন।
এক ছেলেসহ ইয়াবা ব্যবসার তালিকায় যাঁদের নাম আছে, তাঁদের মধ্যে কাইয়ুকপাড়ার জাহেদ হোসেন ওরফে জাকু গত বছর বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছেন।
ভাইয়ে ভাইয়ে ব্যবসা: ভাইয়ে ভাইয়ে মিলে ইয়াবা ও মানব পাচারের ঘটনা টেকনাফে সবচেয়ে বেশি। এঁদের মধ্যে শাহপরীর দ্বীপের মো. ইউনুছ একজন। তাঁর ভাই ধলু হোসেন ওরফে ধলু ডাকাত পাচারের শীর্ষ হোতাদের একজন। মানব পাচার নিয়ে সারা দেশে আলোচনার ঝড় ওঠার পর গত ৮ মে ধলু বন্দুকযুদ্ধে মারা যান। ধলুর ছেলে বেলালও আছেন মানব পাচারে।
টেকনাফে মানব পাচার ও ইয়াবা ব্যবসার শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিদের তালিকায় আছেন ডেইলপাড়ার তিন ভাই নুরুল আমিন, মোহাম্মদ আমিন ও আবদুল আমিন।
ইয়াবা ব্যবসার মূল সাত হোতার একজন নুরুল হুদা। তাঁর তিন ভাই-ই ইয়াবা ব্যবসায়ী। টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সৈয়দ হোসেন এবং তাঁর তিন ভাই জামাল হোসেন, নুরুল আলম ও জাহিদ হোসেনও তালিকায় আছেন।
এ ছাড়া নাইটংপাড়ার শাহ আলম ও তাঁর চার ভাই, মণ্ডলপাড়ার খায়ের হোসেনসহ ছয় ভাই, নাজিরপাড়ার চান মিয়াসহ তিন ভাই, জামাল হোসেনসহ তিন ভাইও আছেন ইয়াবা ব্যবসায়ীর তালিকায়। চৌধুরীপাড়া, নয়াপাড়া, খানকারপাড়া, হাবিবপাড়া, দিনপাড়া, রঙ্গিখালী, জালিয়াপাড়া ও নাজিরপাড়ায় একটি করে আটটি পরিবার আছে, যাদের তিনজন করে মোট ২৪ ভাই ইয়াবা ব্যবসায়ী।
আরেক মানব পাচারকারী ফিরোজ আহমেদের বিরুদ্ধে অন্তত ১২টি মামলা আছে। তাঁর ভাই হেলালউদ্দিন ও খালাতো ভাই মো. ফয়সাল আবার হুন্ডি ব্যবসায়ী। এ দুজন ইয়াবা ব্যবসার তালিকায়ও আছেন।
চাচা-ভাতিজা, মামা-ভাগনে, স্বামী-স্ত্রী: টেকনাফ পৌরসভার কুলালপাড়ার ইয়াবা ব্যবসায়ীদের তালিকায় ১ নম্বরে আছে জাহাঙ্গীর আলমের নাম। তাঁর বড় ভাই ইউসুফ কমিশনার ও দুই ভাতিজা, পানছড়ির আলী আহমেদ ও তাঁর দুই ভাতিজা, উত্তরপাড়া এলাকায় সৈয়দ আলম ও তাঁর ভাগনে শওকত আলমও আছেন ইয়াবা ব্যবসায়ীর তালিকায়। এ ছাড়া নাইটংপাড়ার ১১ নম্বরে টেকনাফ পৌরসভার কমিশনার মো. ইউনুছ ও তাঁর স্ত্রী ইয়াসমিনের নাম আছে ইয়াবা ব্যবসায়ী হিসেবে।
উখিয়ার মানব পাচারের তালিকায় নুরুল কবির ও তাঁর স্ত্রী রেবি আক্তার আলোচিত নাম। কক্সবাজারের পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথ প্রথম আলোকে জানান, কয়েকবার পুলিশ গ্রেপ্তার করলেও তাঁরা এখন পলাতক।
সাবেক সাংসদ ও টেকনাফের উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘টেকনাফে আগে ইয়াবাও ছিল না, মানব পাচারও না। গত ছয়-সাত বছরে এগুলো এসেছে। এখান থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে পরিণতি ভালো হবে না।’
অনুসন্ধানে জানা গেছে, টেকনাফে বাবা-ছেলে, ভাই-ভাই, চাচা-ভাতিজাসহ কাছের এবং দূরের আত্মীয়স্বজন একসঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন ইয়াবা চোরাচালান ও মানব পাচারে। এমনও পরিবার আছে, যেখানে চার থেকে ছয়জন সদস্যও এসব অপরাধে জড়িয়ে আছেন।
গত বছরের শেষে সমুদ্রপথে মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত ২৩০ জন শীর্ষস্থানীয় পাচারকারী ও ২৬ জন হুন্ডি ব্যবসায়ীর একটি তালিকা করে পুলিশ। এর আগে ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের একটি তালিকা করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। ওই দুই তালিকা ধরে টেকনাফে অনুসন্ধান করে অন্তত ৯০টি পরিবার খুঁজে পাওয়া গেছে, যেসব পরিবারের দুজন থেকে ছয়জন সদস্য জড়িয়ে আছেন অপরাধে। তবে ইয়াবা ও মানব পাচারবিরোধী অভিযান শুরুর পর তাঁদের অনেকেই এখন এলাকায় নেই। অনেকে মুঠোফোন নম্বরও বদলে ফেলেছেন। তবে ১০টি পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে প্রথম আলো। অনেকে এ বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি। আবার অনেকেই এই তালিকাকে ষড়যন্ত্র বলে মন্তব্য করেন।
টেকনাফের স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, পরিবারের লোকজন ব্যবসা করলে যেমন গোপনীয়তা থাকে, তেমনি দ্রুত আর্থিক অবস্থার উন্নতি ঘটে বলে একজনের দেখাদেখি আরেকজন জড়িয়ে পড়ে।
টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মুজাহিদ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘যথাযথ শিক্ষার অভাবেই এখানকার অনেক পরিবারের বাবা-ছেলে, ভাইসহ আত্মীয়স্বজন ইয়াবা ও মানব পাচারের মতো অপরাধে জড়িত। এটি বন্ধ করতে প্রতিটি এলাকায় মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা চালিয়েছি। যেখানে গিয়েছি সেখানেই মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। এমন কোনো এলাকা নেই যেখানে আমরা যাইনি।’
বাবা-ছেলে একসঙ্গে: ইয়াবা ও মানব পাচারের তালিকায় পারিবারিক সদস্যদের সংখ্যার দিক থেকে শীর্ষে আছেন সাংসদ আবদুর রহমান বদির আত্মীয়স্বজন। তাঁর ২৬ জন আত্মীয়ের নাম ওই তালিকায় আছে।
এরপরে সংখ্যার দিক থেকে এগিয়ে আছেন টেকনাফ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাফর আহমেদ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মানব পাচারকারীদের তালিকায় যেমন তাঁর নাম আছে, তেমনি লেঙ্গুরবিলের ইয়াবা ব্যবসায়ীদের তালিকায় তাঁর নাম ১ নম্বরে। এ ছাড়া তাঁর ছেলে মোস্তাক আহমেদ, দিদার হোসেন, মো. শাহজাহান, ভাই নজরুল ইসলাম, ভাতিজা রুবেল ও সোহেলও আছে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের তালিকায়। জানতে চাইলে জাফর আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘তালিকায় যে আমাদের নাম আছে, সেটা জানা নেই। আর থাকলেও এটা ষড়যন্ত্রমূলক। আমি জনপ্রিয় নেতা। এসব কারণেই হয়তো ষড়যন্ত্র করে এটা করা হয়েছে।’
তিন ছেলেকে নিয়ে বাবা নিজেই ইয়াবা ব্যবসা করছেন—এমন পরিবারের মধ্যে তালিকায় আরও নাম আছে টেকনাফের হাতিয়ারগুনার হামিদ হোসেন, পানছড়ি পাড়ার আলী আহমেদ ওরফে আলুগোলা এবং পূর্ব লেদা এলাকার মো. আলমের। নাজিরপাড়ার মো. ইসলাম ও তাঁর দুই ছেলের নাম আছে ইয়াবা ব্যবসার তালিকায়। এসব পরিবারের সদস্যরা অবশ্য এই তালিকা নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি নন।
এক ছেলেসহ ইয়াবা ব্যবসার তালিকায় যাঁদের নাম আছে, তাঁদের মধ্যে কাইয়ুকপাড়ার জাহেদ হোসেন ওরফে জাকু গত বছর বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছেন।
ভাইয়ে ভাইয়ে ব্যবসা: ভাইয়ে ভাইয়ে মিলে ইয়াবা ও মানব পাচারের ঘটনা টেকনাফে সবচেয়ে বেশি। এঁদের মধ্যে শাহপরীর দ্বীপের মো. ইউনুছ একজন। তাঁর ভাই ধলু হোসেন ওরফে ধলু ডাকাত পাচারের শীর্ষ হোতাদের একজন। মানব পাচার নিয়ে সারা দেশে আলোচনার ঝড় ওঠার পর গত ৮ মে ধলু বন্দুকযুদ্ধে মারা যান। ধলুর ছেলে বেলালও আছেন মানব পাচারে।
টেকনাফে মানব পাচার ও ইয়াবা ব্যবসার শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিদের তালিকায় আছেন ডেইলপাড়ার তিন ভাই নুরুল আমিন, মোহাম্মদ আমিন ও আবদুল আমিন।
ইয়াবা ব্যবসার মূল সাত হোতার একজন নুরুল হুদা। তাঁর তিন ভাই-ই ইয়াবা ব্যবসায়ী। টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সৈয়দ হোসেন এবং তাঁর তিন ভাই জামাল হোসেন, নুরুল আলম ও জাহিদ হোসেনও তালিকায় আছেন।
এ ছাড়া নাইটংপাড়ার শাহ আলম ও তাঁর চার ভাই, মণ্ডলপাড়ার খায়ের হোসেনসহ ছয় ভাই, নাজিরপাড়ার চান মিয়াসহ তিন ভাই, জামাল হোসেনসহ তিন ভাইও আছেন ইয়াবা ব্যবসায়ীর তালিকায়। চৌধুরীপাড়া, নয়াপাড়া, খানকারপাড়া, হাবিবপাড়া, দিনপাড়া, রঙ্গিখালী, জালিয়াপাড়া ও নাজিরপাড়ায় একটি করে আটটি পরিবার আছে, যাদের তিনজন করে মোট ২৪ ভাই ইয়াবা ব্যবসায়ী।
আরেক মানব পাচারকারী ফিরোজ আহমেদের বিরুদ্ধে অন্তত ১২টি মামলা আছে। তাঁর ভাই হেলালউদ্দিন ও খালাতো ভাই মো. ফয়সাল আবার হুন্ডি ব্যবসায়ী। এ দুজন ইয়াবা ব্যবসার তালিকায়ও আছেন।
চাচা-ভাতিজা, মামা-ভাগনে, স্বামী-স্ত্রী: টেকনাফ পৌরসভার কুলালপাড়ার ইয়াবা ব্যবসায়ীদের তালিকায় ১ নম্বরে আছে জাহাঙ্গীর আলমের নাম। তাঁর বড় ভাই ইউসুফ কমিশনার ও দুই ভাতিজা, পানছড়ির আলী আহমেদ ও তাঁর দুই ভাতিজা, উত্তরপাড়া এলাকায় সৈয়দ আলম ও তাঁর ভাগনে শওকত আলমও আছেন ইয়াবা ব্যবসায়ীর তালিকায়। এ ছাড়া নাইটংপাড়ার ১১ নম্বরে টেকনাফ পৌরসভার কমিশনার মো. ইউনুছ ও তাঁর স্ত্রী ইয়াসমিনের নাম আছে ইয়াবা ব্যবসায়ী হিসেবে।
উখিয়ার মানব পাচারের তালিকায় নুরুল কবির ও তাঁর স্ত্রী রেবি আক্তার আলোচিত নাম। কক্সবাজারের পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথ প্রথম আলোকে জানান, কয়েকবার পুলিশ গ্রেপ্তার করলেও তাঁরা এখন পলাতক।
সাবেক সাংসদ ও টেকনাফের উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘টেকনাফে আগে ইয়াবাও ছিল না, মানব পাচারও না। গত ছয়-সাত বছরে এগুলো এসেছে। এখান থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে পরিণতি ভালো হবে না।’
No comments