বার্গম্যানকে বের করে দিলেন বিচারক
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল
মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের আপিলের রায় ঘোষণার পর আদালত কক্ষে মোবাইল ফোনে
কথা বলায় নিউএজ পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি ও বৃটিশ নাগরিক ডেভিড
বার্গম্যানকে বের দেন আদালত। ঘটনার পর নিজেকে ‘বেকুব’ মনে হয়েছে উল্লেখ করে
ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন এই সাংবাদিক। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের
বিচার কাজ নিয়ে মন্তব্য করায় একাধিকবার ট্রাইব্যুনাল বার্গম্যানকে তলব
করে। গতকাল সকালে জামায়াত নেতা কামারুজ্জামানের আপিলের রায় ঘোষণার পর
মোবাইল ফোনে কথা বলছিলেন ডেভিড বার্গম্যান। বিষয়টি আদালতের দৃষ্টিতে এলে
বেঞ্চের সদস্য বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী তাকে দাঁড়াতে বললে
বার্গম্যান উঠে দাঁড়ান। বিচারক তাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আদালত কক্ষে মোবাইল
ফোন নিয়ে ঢোকাই নিষিদ্ধ। আপনি মোবাইল ফোন নিয়ে ঢুকেছেন, আবার কথাও বলছেন।
এরপর হাত দিয়ে ইশারা করে তাকে বের হয়ে যেতে বলেন। এ ঘটনার ঘণ্টাখানেক পরে
বার্গম্যান তার ফেসবুকে এ বিষয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন। তাতে তিনি লেখেন,
নিরাপত্তারক্ষীরা পরীক্ষা না করায় অন্য অনেকের মতো তিনিও মোবাইল ফোন নিয়ে
আদালত কক্ষে ঢুকেছিলেন, আর পকেট থেকে সেটি বের করেছিলেন অভ্যাসবশত যা দেখে
বিচারক তাকে বের করে দেন। ফেসবুকে বার্গম্যান আরও লেখেন, অভ্যাসবশতই পকেট
থেকে ফোন বের করেছিলাম, আর বিচারপতি হঠাৎ করেই ধমকে উঠলেন। বললেন, আদালতে
ফোন আনা নিষিদ্ধ, আমাকে নাকি আগেও সতর্ক করা হয়েছে। আমি বললাম, ইয়োর অনার,
আমাকে আগে সতর্ক করা হয়নি। এ সময় আমাকে বলা হলো- আদালতের বাইরেই একটি নোটিস
দেয়া আছে। আর এ কথার পরই বিচারক আমাকে আদালত থেকে বের করে দেন। আদালত থেকে
বাইরে আসার সময় ট্রাইব্যুনালের প্রধান তদন্তকারী তার কাছে ঘটনা জানতে চান।
বলেন, তার নিজের পকেটেও মোবাইল ফোন ছিল। আদালতের ফটকে নিরাপত্তারক্ষীরা
যেহেতু পরীক্ষা করেনি, সেহেতু আমার মনে হয় সবার পকেটেই একটা করে ফোন ছিল।
আর আমি নিশ্চিত নই, ওই নোটিসের বিষয়ে কেউ জানে কিনা, জানলেও মানে কিনা।
যা-ই হোক, পকেট থেকে বের করে আমিই কেবল বেকুব হলাম!!
ডেভিড বার্গম্যান সংবিধানপ্রণেতা ও প্রবীণ আইনজীবী ড. কামাল হোসেনের জামাতা। তিনি নিউএজ পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও উচ্চ আদালতের খবর সংগ্রহ করেন। ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম নিয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও তিনি নিবন্ধ লিখে থাকেন।
No comments