সর্বোচ্চ আদালতে রায় বহাল
সর্বোচ্চ আদালত যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতা মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেয়া মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রেখেছেন। আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের বেঞ্চ সোমবার এই রায় ঘোষণা করেন। রায়টি এমন দিনে ঘোষণা করা হল, যেদিন একই ধরনের অপরাধে একই দলের আমীর মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসির রায়ের প্রতিবাদে হরতাল কর্মসূচি পালন করেছে দলটি। কামারুজ্জামানের চূড়ান্ত রায়ের পর জামায়াত তাদের হরতাল কর্মসূচি সম্প্রসারিত করেছে। বুধবার ফাঁকা রেখে তারা বৃহস্পতিবার হরতাল ডেকেছিল। এখন বুধবারকেও যুক্ত করেছে কর্মসূচির সঙ্গে। অর্থাৎ চলতি পুরো সপ্তাহটিই (আজ মঙ্গলবার আশুরার সরকারি ছুটি) হরতাল পালন করছে তারা। শোনা যাচ্ছে, আগামী সপ্তাহেও তারা হরতাল পালন করবে।
কামারুজ্জামানের যুদ্ধাপরাধ নিয়ে কোনো বিতর্ক ছিল না। এই স্বতঃসিদ্ধ বিষয়টিই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পার হয়ে সর্বোচ্চ আদালতে আইনগত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে। উল্লেখ করা যেতে পারে, জামায়াতের নায়েবে আমীর দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডের রায় সর্বোচ্চ আদালতে টেকেনি। এই আদালতে তাকে দেয়া হয়েছে আমৃত্যু কারাদণ্ড। অর্থাৎ সর্বোচ্চ আদালত ট্রাইব্যুনালের রায় পুনর্বিবেচনা করে দেখেছেন, সাঈদীর অপরাধ মৃত্যুদণ্ডযোগ্য অপরাধ নয়। কামারুজ্জামানের অপরাধ মৃত্যুদণ্ডযোগ্য বলেই তা বহাল রাখা হয়েছে। আমরা বলতে চাচ্ছি, সর্বোচ্চ আদালতের রায় নিয়ে প্রশ্ন তোলার অবকাশ নেই। কামারুজ্জামান এখন বড়জোর রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রার্থনা করতে পারেন।
আমরা গত সম্পাদকীয়তেও লিখেছিলাম, জামায়াত যেসব ইস্যুতে হরতাল করছে, সেগুলো ভিত্তিহীন। এ ধরনের হরতাল কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। যুদ্ধাপরাধের রায়, অথচ তারা শিক্ষা, পরীক্ষার সিডিউল, উৎপাদন, পণ্য পরিবহন, রোগীর ভোগান্তি ইত্যাদি জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোকে তুচ্ছজ্ঞান করছে। এমন যদি হতো, তাদের হরতালে জনসমর্থন রয়েছে, তাহলে বলার কিছু ছিল না। সমাজের সর্বস্তর থেকে এই হরতালের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে। আমরা বলব, শুধু মুখে প্রতিবাদ করলেই চলবে না, জনদুর্ভোগের এসব হরতালের বিরুদ্ধে জনপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
কামারুজ্জামানের যুদ্ধাপরাধ নিয়ে কোনো বিতর্ক ছিল না। এই স্বতঃসিদ্ধ বিষয়টিই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পার হয়ে সর্বোচ্চ আদালতে আইনগত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে। উল্লেখ করা যেতে পারে, জামায়াতের নায়েবে আমীর দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডের রায় সর্বোচ্চ আদালতে টেকেনি। এই আদালতে তাকে দেয়া হয়েছে আমৃত্যু কারাদণ্ড। অর্থাৎ সর্বোচ্চ আদালত ট্রাইব্যুনালের রায় পুনর্বিবেচনা করে দেখেছেন, সাঈদীর অপরাধ মৃত্যুদণ্ডযোগ্য অপরাধ নয়। কামারুজ্জামানের অপরাধ মৃত্যুদণ্ডযোগ্য বলেই তা বহাল রাখা হয়েছে। আমরা বলতে চাচ্ছি, সর্বোচ্চ আদালতের রায় নিয়ে প্রশ্ন তোলার অবকাশ নেই। কামারুজ্জামান এখন বড়জোর রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রার্থনা করতে পারেন।
আমরা গত সম্পাদকীয়তেও লিখেছিলাম, জামায়াত যেসব ইস্যুতে হরতাল করছে, সেগুলো ভিত্তিহীন। এ ধরনের হরতাল কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। যুদ্ধাপরাধের রায়, অথচ তারা শিক্ষা, পরীক্ষার সিডিউল, উৎপাদন, পণ্য পরিবহন, রোগীর ভোগান্তি ইত্যাদি জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোকে তুচ্ছজ্ঞান করছে। এমন যদি হতো, তাদের হরতালে জনসমর্থন রয়েছে, তাহলে বলার কিছু ছিল না। সমাজের সর্বস্তর থেকে এই হরতালের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে। আমরা বলব, শুধু মুখে প্রতিবাদ করলেই চলবে না, জনদুর্ভোগের এসব হরতালের বিরুদ্ধে জনপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
No comments