ভারতে নেতাদের হালচাল by মাসুদ আনোয়ার
ভারতের জন্য রাজনৈতিকভাবে ২০১৪ সালের
গুরুত্ব একটু আলাদাভাবে চিহ্নিত হতে চলেছে। চলতি বছরেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে
১৬তম লোকসভা নির্বাচন। পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য জাতীয় রাজনীতিতে নিজেদের
অবস্থান কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, এ নিয়ে জাঁদরেল সব নেতার মধ্যে চলছে
হিসাব-নিকাশ আর দৌড়ঝাঁপ। তবে এ নিয়ে তারা যতটা ব্যস্ত, তার চেয়ে কম ব্যস্ত
নন বিশ্লেষকরাও। ভারতীয় একটি পত্রিকার চোখে নেতাদের অবস্থান বিচার করার
চেষ্টা করা হয়েছে।
নরেন্দ্র মোদি :বিজেপি মনোনীত প্রধানমন্ত্রীর পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদির কপালে হয়তো রাজযোগ থাকতে পারে। বিদ্রূপাত্মক বাক্যবাণে প্রতিপক্ষকে বিদ্ধ করতে তিনি ওস্তাদ। তবে তাকে তার নিজের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। ১৬০ আসন বা তার কম আসন তাকে নিজ দলের প্রতিদ্বন্দ্বীদের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিতে পারে। তাতে বিজেপির মোদি-ম্যাজিক ব্যর্থও হতে পারে। রাহুল গান্ধী :কংগ্রেস যদি ২০১৪ সালের নির্বাচনে সরকার গঠনে ব্যর্থ হয়, তাহলে পরবর্তী পাঁচ বছর তাদের বিরোধী দলে থাকতে হবে। সে সময়টায় রাহুল গান্ধীকে থাকতে হবে পরবর্তী সুযোগের প্রত্যাশায়। পাল্লা দিতে হবে দলের অন্য ঝানু নেতাদের সঙ্গে। রাহুল কি তা পারবেন? অতটা ধৈর্য কি তার আছে? কিন্তু তার আগে তাকে জানতে হবে, কীভাবে ভোটারদের মন জয় করে নিজের দলকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে।
মুলায়ম সিং যাদব :এক বছর আগেও উত্তর প্রদেশে তাকে মনে করা হতো 'প্রায় সবকিছুর মালিক'। কিন্তু এখন তার স্থান একজন সামান্য তালুকদারের বেশি নয়। ওদিকে মুজাফফরনগরের দাঙ্গায় ব্যর্থতার কারণেও তার জনপ্রিয়তা প্রশ্নের মুখে। মায়াবতী :বিএসপি নেত্রী মায়াবতী ভালো অবস্থানেই আছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী মুলায়ম সিংয়ের ব্যর্থতায় তিনি নতুন করে আশাবাদী হয়ে ওঠার উৎসাহ পেয়েছেন। এদিকে তার সাফল্যে বিজেপি খুশি হওয়ার কিছু দেখছে না। কারণ 'বহেনজি' যে তাদের সঙ্গে থাকবে, এমন আভাস তারা এখনও পায়নি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় :রাজ্যসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের বিপর্যস্ত অবস্থা দেখে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাসি আর ধরে না। তার ধারণা, পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস ও পুরনো শত্রু বামফ্রন্টকে পেছনে ফেলে তার দলই এগিয়ে যাবে নতুন কেন্দ্রীয় সরকারের কাছাকাছি। তবে এটা তার প্রত্যাশাই কেবল। শেষ হাসিটা না দেখলে পরিষ্কার বোঝা যাবে না।
জয়ললিতা :এইডিএমকে যখন ঘোষণা করল, তারা 'আম্মা'কে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায়, তখন কেউই তেমন অবাক হননি। জয়ললিতার নিজেরও অবশ্য আস্থার অভাব আছে বলে মনে হয় না। অরবিন্দ কেজরিওয়াল :মাথায় টুপি আর গলায় মাফলার পরা কেজরিওয়ালকে দেখলে একদম খুনি বলে মনে হয় না; বরং একজন নেহাত সাধারণ মানুষের মতো তার চালচলন। কিন্তু সম্প্রতি ভারতের রাজনীতিতে ভয়ঙ্কর খুনি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন তিনি। দিলি্লতে বিজেপি-কংগ্রেসের রুই-কাতলাকে ধরাশায়ী করে প্রথম এসে বাজিমাত করেছেন রাজ্যসভা নির্বাচনে। লোকসভা নির্বাচনে আরও অনেক বড় চমক দেখাবেন, এমনটাই এখন ভাবতে বাধ্য হচ্ছে মানুষ। প্রকাশ কারাত :সিপিএম নেতা প্রকাশ কারাত বলেছিলেন, আর নয়, এই শেষ। কিন্তু সম্প্রতি তিনি নড়েচড়ে বসেছেন। আম আদমি পার্টির দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ রেখেছেন। সূত্র :টাইমস অব ইন্ডিয়া।
নরেন্দ্র মোদি :বিজেপি মনোনীত প্রধানমন্ত্রীর পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদির কপালে হয়তো রাজযোগ থাকতে পারে। বিদ্রূপাত্মক বাক্যবাণে প্রতিপক্ষকে বিদ্ধ করতে তিনি ওস্তাদ। তবে তাকে তার নিজের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। ১৬০ আসন বা তার কম আসন তাকে নিজ দলের প্রতিদ্বন্দ্বীদের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিতে পারে। তাতে বিজেপির মোদি-ম্যাজিক ব্যর্থও হতে পারে। রাহুল গান্ধী :কংগ্রেস যদি ২০১৪ সালের নির্বাচনে সরকার গঠনে ব্যর্থ হয়, তাহলে পরবর্তী পাঁচ বছর তাদের বিরোধী দলে থাকতে হবে। সে সময়টায় রাহুল গান্ধীকে থাকতে হবে পরবর্তী সুযোগের প্রত্যাশায়। পাল্লা দিতে হবে দলের অন্য ঝানু নেতাদের সঙ্গে। রাহুল কি তা পারবেন? অতটা ধৈর্য কি তার আছে? কিন্তু তার আগে তাকে জানতে হবে, কীভাবে ভোটারদের মন জয় করে নিজের দলকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে।
মুলায়ম সিং যাদব :এক বছর আগেও উত্তর প্রদেশে তাকে মনে করা হতো 'প্রায় সবকিছুর মালিক'। কিন্তু এখন তার স্থান একজন সামান্য তালুকদারের বেশি নয়। ওদিকে মুজাফফরনগরের দাঙ্গায় ব্যর্থতার কারণেও তার জনপ্রিয়তা প্রশ্নের মুখে। মায়াবতী :বিএসপি নেত্রী মায়াবতী ভালো অবস্থানেই আছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী মুলায়ম সিংয়ের ব্যর্থতায় তিনি নতুন করে আশাবাদী হয়ে ওঠার উৎসাহ পেয়েছেন। এদিকে তার সাফল্যে বিজেপি খুশি হওয়ার কিছু দেখছে না। কারণ 'বহেনজি' যে তাদের সঙ্গে থাকবে, এমন আভাস তারা এখনও পায়নি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় :রাজ্যসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের বিপর্যস্ত অবস্থা দেখে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাসি আর ধরে না। তার ধারণা, পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস ও পুরনো শত্রু বামফ্রন্টকে পেছনে ফেলে তার দলই এগিয়ে যাবে নতুন কেন্দ্রীয় সরকারের কাছাকাছি। তবে এটা তার প্রত্যাশাই কেবল। শেষ হাসিটা না দেখলে পরিষ্কার বোঝা যাবে না।
জয়ললিতা :এইডিএমকে যখন ঘোষণা করল, তারা 'আম্মা'কে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায়, তখন কেউই তেমন অবাক হননি। জয়ললিতার নিজেরও অবশ্য আস্থার অভাব আছে বলে মনে হয় না। অরবিন্দ কেজরিওয়াল :মাথায় টুপি আর গলায় মাফলার পরা কেজরিওয়ালকে দেখলে একদম খুনি বলে মনে হয় না; বরং একজন নেহাত সাধারণ মানুষের মতো তার চালচলন। কিন্তু সম্প্রতি ভারতের রাজনীতিতে ভয়ঙ্কর খুনি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন তিনি। দিলি্লতে বিজেপি-কংগ্রেসের রুই-কাতলাকে ধরাশায়ী করে প্রথম এসে বাজিমাত করেছেন রাজ্যসভা নির্বাচনে। লোকসভা নির্বাচনে আরও অনেক বড় চমক দেখাবেন, এমনটাই এখন ভাবতে বাধ্য হচ্ছে মানুষ। প্রকাশ কারাত :সিপিএম নেতা প্রকাশ কারাত বলেছিলেন, আর নয়, এই শেষ। কিন্তু সম্প্রতি তিনি নড়েচড়ে বসেছেন। আম আদমি পার্টির দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ রেখেছেন। সূত্র :টাইমস অব ইন্ডিয়া।
No comments