নতুন বইয়ে দাবি
নতুন প্রকাশিত এক বইয়ে দুই ব্রিটিশ
ইতিহাসবিদ দাবি করছেন, দেশটির রাজনীতিকরাও সমাজ সচেতনভাবেই ভুলেছে ব্লাক
পাওয়ার মুভমেন্টের ইতিহাস। এ দুই লেখকের দাবি, কৃষ্ণাঙ্গদের এই আন্দোলনকে
সচেতনভাবেই ব্রিটিশ সাংস্কৃতিক ইতিহাসের বিবরণে জায়গা দেয়া হচ্ছে না। কারণ,
একে জায়গা দিলে ব্রিটেনের এক দুর্বলতার কথা জানান দেয়া হবে। একে ইতিহাসের
বাইরে রেখেই শুধু এই ‘কল্পনা’ প্রমাণ করা সম্ভব যে বর্তমানে ব্রিটেন তার
রাজনীতি ও সমাজে হচ্ছে সভ্যতার পরিপালন করে। ব্রিটেনের ব্লাক পাওয়ার
আন্দোলন নিয়ে এই প্রথম বিস্তারিত কোনো বই লেখা হল। লেখক রবিন বান্স ও পল
ফিল্ড। আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ডার্কাস হোয়ের জীবনী ধরে বইটি রচনা করা
হয়েছে। ডার্কাস হোয়ে : এ পলিটিকাল বায়োগ্রাফি নামের বইটি প্রকাশ করেছে
ব্লুমবারি। বইয়ে দুই লেখক বলছেন, ব্লাক পাওয়ার আন্দোলনের বড় ঘটনাগুলো যেমন
ম্যানগ্রোফ নাইন বলে খ্যাত আন্দোলনকারীদের ১৯৭০ সালের বিচার এবং ১৯৮১ সালের
ব্লাক পিপল মার্চের মতো ঘটনাও ভুলতে বসেছে ব্রিটেন। বইয়ে বলা হয়, তখনকার
আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্রের ঘটনাবলির সূত্র ধরেই ব্রিটেনে কৃষ্ণাঙ্গ লোকদের
আন্দোলন শুরু হয়। ১৯৬৭ সালে ব্রিটিশ ব্ল্যাক প্যানথার মুভমেন্ট শুরু হয়।
আন্দোলনের মূল কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হতো লন্ডনের নাটিং হিলের দি
ম্যানগ্রোভ রেস্টুরেন্টটি। সরকারের চোখে ওই রেস্টুরেন্টটি ছিল সন্ত্রাসের
কেন্দ্র। পরে আন্দোলনের তুখোড় অবস্থায় ডার্কাস হোয়েসহ নয়জনকে বিচারের
মুখোমুখি দাঁড় করায় সরকার। আদালতে সব জুরি কৃষ্ণাঙ্গ না হলে তারা
কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি বৈষম্যের ধরন বুঝতে পারবেন না বলে যুক্তি দেন হোয়ে।
জুরিদের রায়ে মামলায় জিতেও যান। পরে ১৯৮১ সালে ব্লাক পিপল মার্চ আয়োজন করা
হয় হোয়ের নেতৃত্বে।
নতুন বইয়ে লেখকরা বলছেন, এসব ঘটনাই ভুলতে বসেছে ব্রিটেন। আমেরিকার কৃষ্ণাঙ্গদের আন্দোলন নিয়ে পাঠ্যবইয়ে অনেক লেখা থাকলেও ব্রিটিশ ব্লাক পাওয়ার আন্দোলন সেখানে অনুপস্থিত। অন্যান্য কোনো ধরনের লেখা বা সাংস্কৃতিক পরিবেশনায়ও এর কোনো হদিস খুঁজে পাওয়া যায় না।
নতুন বইয়ে লেখকরা বলছেন, এসব ঘটনাই ভুলতে বসেছে ব্রিটেন। আমেরিকার কৃষ্ণাঙ্গদের আন্দোলন নিয়ে পাঠ্যবইয়ে অনেক লেখা থাকলেও ব্রিটিশ ব্লাক পাওয়ার আন্দোলন সেখানে অনুপস্থিত। অন্যান্য কোনো ধরনের লেখা বা সাংস্কৃতিক পরিবেশনায়ও এর কোনো হদিস খুঁজে পাওয়া যায় না।
No comments