প্রার্থীদের প্রচার শেষ ভোট গ্রহণে প্রস্তুত ইসি
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচার কাজ
গতকাল শেষ করেছেন প্রার্থীরা। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারের সময়
শেষ হচ্ছে আজ শুক্রবার সকাল ৮টায়। আগামী ৫ জানুয়ারির নির্বাচন অনুষ্ঠানে
নির্বাচন কমিশনের সব প্রস্তুতি চূড়ান্ত। আগামীকাল ৪ জানুয়ারি মধ্য রাত থেকে
৫ জানুয়ারি মধ্যরাত পর্যন্ত দেশের সব নির্বাচনী এলাকায় ট্যাক্সি ক্যাব,
বেবিট্যাক্সি, অটোরিকশা, মাইক্রোবাস, জিপ, পিকআপ, কার, বাস, ট্রাক, টেম্পো,
লঞ্চ, ইজিবাইক, ইঞ্জিনবোট, স্পিডবোট চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে
নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মহানগরী এলাকায় ট্যাক্সি ক্যাব, মাইক্রোবাস, পিকআপ ও
জিপ চলাচলের ওপরও দেওয়া হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। নির্বাচনের প্রার্থী,
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসন ও অনুমতিপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক এবং
নির্বাচনী এজেন্টরা এ নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবেন। তবে তাদের নির্বাচন কমিশন
থেকে দেওয়া স্টিকার ব্যবহৃত যানবাহনে থাকতে হবে। জাতীয় মহাসড়কগুলোও এ
নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীরা গতকাল বিকেলেই তাদের শেষ নির্বাচনী জনসভা করে মানুষের কাছে নিজের জন্য ভোট চেয়েছেন। আজ ৩ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে ৭ জানুয়ারি বিকেল ৪টা পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় আর কোনো সভা-সমাবেশ করা যাবে না। গতকাল নির্বাচন কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা বলা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, এ আদেশ অমান্য করে হিংসাত্মক কাজ বা বিশৃঙ্খল আচরণ করলে তাকে ২ থেকে ৭ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া হবে।
ইতিমধ্যে নির্বাচনের সব প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচনী মালামাল নিরাপদে জেলা পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে। ভোটের সার্বিক প্রস্তুতি জানাতে গতকাল রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা
করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ কমিশন সদস্যরা।
বিরোধী জোটের অবরোধের মুখে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন শেষ করতে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে সশস্ত্র বাহিনী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের। ২৬ ডিসেম্বর সারাদেশে সেনা মোতায়েনের পর র্যাব ও আর্মড পুলিশও নামানো হয়েছে।
ইসি সূত্র জানায়, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে দেশের ৫৯ জেলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এসব জেলায় নির্বাচনের দিন ছুটি ঘোষণার পাশাপাশি সব যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ৩শ' সংসদীয় আসনের মধ্যে ১৫৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। বাকি ১৪৭ আসনে ভোট হচ্ছে। এসব আসনে ১২টি রাজনৈতিক দলের প্রার্থী ৩৮৯ জন। ভোট গ্রহণের জন্য প্রস্তুত প্রশিক্ষিত আড়াই লাখ কর্মকর্তা। এবার ভোট গ্রহণের জন্য ১৮ হাজার ২০৯টি ভোটকেন্দ্র ও ৯১ হাজার ২১৩টি ভোটকক্ষ নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে অর্ধেক ভোটকেন্দ্রকেই ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে ইসি। ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে প্রয়োজনে মেটাল ডিটেক্টর ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ভোট প্রদানের পরিবেশ সৃষ্টি করতে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত মাঠে থাকছেন সেনা সদস্যরা। বুধবার মোতায়েন করা র্যাব ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন সদস্যরা থাকবেন ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। এ ছাড়া বিজিবি ও কোস্টগার্ড ৩ থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে।
ইতিমধ্যে বিজিবি-র্যাবের নিরাপত্তায় ৫৯ জেলায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে ব্যালট পেপারসহ নির্বাচনী মালপত্র পাঠানোর কাজ শেষ হয়েছে। ভোটের দিন সকালে বিশেষ নিরাপত্তায় তা ভোটকেন্দ্রে পাঠানো হবে। ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোট নেওয়ার সব প্রস্তুতিও চূড়ান্ত।
নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তারা জানান, প্রায় ৪ কোটি ৩৯ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৮টি ব্যালট ছাপানো হয়েছে। এ ছাড়া নির্বাচনী সরঞ্জাম (স্ট্যাম্প প্যাড, মার্কিং সিল, ব্রাশ সিল, গালা, অমোচনীয় কালি) নিরাপদে মাঠ পর্যায়ে পেঁৗছে দিয়েছে কমিশন।
নির্বাচন কমিশনার শাহনেওয়াজ বলেন, কর্মকর্তাদের কড়া নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কোনো কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ নিয়ে সমস্যা হলে সঙ্গে সঙ্গে তাদের জানাতে হবে। কোথাও কোনো কর্মকর্তা ভোট কম-বেশি করার চেষ্টা করে ধরা পড়লে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীরা গতকাল বিকেলেই তাদের শেষ নির্বাচনী জনসভা করে মানুষের কাছে নিজের জন্য ভোট চেয়েছেন। আজ ৩ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে ৭ জানুয়ারি বিকেল ৪টা পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় আর কোনো সভা-সমাবেশ করা যাবে না। গতকাল নির্বাচন কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা বলা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, এ আদেশ অমান্য করে হিংসাত্মক কাজ বা বিশৃঙ্খল আচরণ করলে তাকে ২ থেকে ৭ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া হবে।
ইতিমধ্যে নির্বাচনের সব প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচনী মালামাল নিরাপদে জেলা পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে। ভোটের সার্বিক প্রস্তুতি জানাতে গতকাল রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা
করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ কমিশন সদস্যরা।
বিরোধী জোটের অবরোধের মুখে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন শেষ করতে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে সশস্ত্র বাহিনী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের। ২৬ ডিসেম্বর সারাদেশে সেনা মোতায়েনের পর র্যাব ও আর্মড পুলিশও নামানো হয়েছে।
ইসি সূত্র জানায়, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে দেশের ৫৯ জেলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এসব জেলায় নির্বাচনের দিন ছুটি ঘোষণার পাশাপাশি সব যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ৩শ' সংসদীয় আসনের মধ্যে ১৫৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। বাকি ১৪৭ আসনে ভোট হচ্ছে। এসব আসনে ১২টি রাজনৈতিক দলের প্রার্থী ৩৮৯ জন। ভোট গ্রহণের জন্য প্রস্তুত প্রশিক্ষিত আড়াই লাখ কর্মকর্তা। এবার ভোট গ্রহণের জন্য ১৮ হাজার ২০৯টি ভোটকেন্দ্র ও ৯১ হাজার ২১৩টি ভোটকক্ষ নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে অর্ধেক ভোটকেন্দ্রকেই ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে ইসি। ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে প্রয়োজনে মেটাল ডিটেক্টর ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ভোট প্রদানের পরিবেশ সৃষ্টি করতে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত মাঠে থাকছেন সেনা সদস্যরা। বুধবার মোতায়েন করা র্যাব ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন সদস্যরা থাকবেন ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। এ ছাড়া বিজিবি ও কোস্টগার্ড ৩ থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে।
ইতিমধ্যে বিজিবি-র্যাবের নিরাপত্তায় ৫৯ জেলায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে ব্যালট পেপারসহ নির্বাচনী মালপত্র পাঠানোর কাজ শেষ হয়েছে। ভোটের দিন সকালে বিশেষ নিরাপত্তায় তা ভোটকেন্দ্রে পাঠানো হবে। ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোট নেওয়ার সব প্রস্তুতিও চূড়ান্ত।
নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তারা জানান, প্রায় ৪ কোটি ৩৯ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৮টি ব্যালট ছাপানো হয়েছে। এ ছাড়া নির্বাচনী সরঞ্জাম (স্ট্যাম্প প্যাড, মার্কিং সিল, ব্রাশ সিল, গালা, অমোচনীয় কালি) নিরাপদে মাঠ পর্যায়ে পেঁৗছে দিয়েছে কমিশন।
নির্বাচন কমিশনার শাহনেওয়াজ বলেন, কর্মকর্তাদের কড়া নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কোনো কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ নিয়ে সমস্যা হলে সঙ্গে সঙ্গে তাদের জানাতে হবে। কোথাও কোনো কর্মকর্তা ভোট কম-বেশি করার চেষ্টা করে ধরা পড়লে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
No comments