যশোরের এমপির বক্তব্যে তোলপাড়
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত যশোরের
এক এমপির বক্তব্যে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নির্বাচন কমিশন
কর্মকর্তাদেরও গোচরে আনা হয়েছে বলে জানা গেছে । যশোর-১ আসনে আওয়ামী লীগদলীয়
এমপি শেখ আফিল উদ্দিন বলেছেন, 'আগামী ৫ জানুয়ারি ভোটকেন্দ্রে ভোটার লাগবে না। ১০০ কর্মী সারাদিন লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেবে। ভোট দিয়ে আবার লাইনে দাঁড়াবে। সাংবাদিকরা এসে দেখবেন লাইনে দিনভরই ভোটার আছে।' তার এ বক্তব্য প্রকাশের পর যশোর এলাকায় ওই সাংসদের বক্তব্য অডিও রেকর্ড বিক্রি হয়েছে।
একজন সংসদ সদস্যের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সরকারের এক শীর্ষ নেতা জানান, সংসদ সদস্যদের বুঝে-শুনে কথা বলা উচিত। মনে রাখতে হবে, তারা জাতীয় সংসদে আইন প্রণয়ন করেন। এ ধরনের লাগামহীন ও অসার বক্তব্য দিয়ে সরকারকে বিপাকে ফেলা উচিত নয়। নির্বাচনের সময় অবশ্যই সব প্রার্থীকে অত্যন্ত সংযত হয়ে কথা বলা উচিত।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক সেনাপ্রধান লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান সমকালকে বলেন, সরকার প্রহসনের নির্বাচন করতে যাচ্ছে_ এটা সবার কাছেই পরিষ্কার। যশোরের ওই এমপির বক্তব্যে সরকারের পরিকল্পনারই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে। তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের ব্যাপারে কারও কোনো আগ্রহ নেই। দেশবাসী ওই নির্বাচন প্রত্যাখান করেছে। এ কারণে ভোটারবিহীন নির্বাচন করতে তারা দলীয় কর্মীদের এভাবে জাল ভোট দিতে সরাসরি নির্দেশ দিচ্ছেন। আমরা আশা করি, সরকারের এখনও শুভবুদ্ধি হবে।
গত ৩০ ডিসেম্বর যশোরের ঝিকরগাছার পারবাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে কর্মী সভায় যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মনিরুল ইসলামের পক্ষে এসব কথা বলেন শেখ আফিল উদ্দিন। তিনি বলেন, এভাবে ভোট দেওয়ার জন্য ওই নির্বাচনী এলাকার বাইরে থেকে প্রতিটি কেন্দ্রের জন্য ১০০ জন কর্মী সরবরাহ করা হবে। আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্টদের উদ্দেশে আফিলউদ্দিন বলেন, 'সাংবাদিক ও মানুষ যাতে বলতে না পারে এটা একতরফা নির্বাচন, ভোটার উপস্থিতি কম। মানুষকে বোঝাতে হবে, ৫ তারিখে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে সারাদিন খুব লম্বা লাইন ছিল।'
তিনি ঘোষণা করেন, 'প্রতিটি কেন্দ্রে তার উপজেলা (শার্শা) থেকে ১০০ নির্ভীক কর্মী উপস্থিত থাকবে। মাঠ যেন ফাঁকা না হয়ে যায়। ১০০ ছেলে থাকবে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের লাইনে। ওরা বুথে গিয়ে ভোট দেবে, আবার এসে লাইনের পেছনে দাঁড়াবে। ওরা বাড়ি যাবে না। ১০০ ছেলে সারাদিনই লাইনে থাকবে।' এসব কর্মীর নিরাপত্তা বিষয়ে আওয়ামী লীগের এই এমপি বলেন, প্রশাসনিক কোনো ভয় নেই। সেটা আমি দেখব। লোক ও সাংবাদিকরা এসে দেখবে মাঠ ভরা। ওই আসনে অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলামের প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম।
এমপি শেখ আফিল উদ্দিন বলেছেন, 'আগামী ৫ জানুয়ারি ভোটকেন্দ্রে ভোটার লাগবে না। ১০০ কর্মী সারাদিন লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেবে। ভোট দিয়ে আবার লাইনে দাঁড়াবে। সাংবাদিকরা এসে দেখবেন লাইনে দিনভরই ভোটার আছে।' তার এ বক্তব্য প্রকাশের পর যশোর এলাকায় ওই সাংসদের বক্তব্য অডিও রেকর্ড বিক্রি হয়েছে।
একজন সংসদ সদস্যের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সরকারের এক শীর্ষ নেতা জানান, সংসদ সদস্যদের বুঝে-শুনে কথা বলা উচিত। মনে রাখতে হবে, তারা জাতীয় সংসদে আইন প্রণয়ন করেন। এ ধরনের লাগামহীন ও অসার বক্তব্য দিয়ে সরকারকে বিপাকে ফেলা উচিত নয়। নির্বাচনের সময় অবশ্যই সব প্রার্থীকে অত্যন্ত সংযত হয়ে কথা বলা উচিত।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক সেনাপ্রধান লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান সমকালকে বলেন, সরকার প্রহসনের নির্বাচন করতে যাচ্ছে_ এটা সবার কাছেই পরিষ্কার। যশোরের ওই এমপির বক্তব্যে সরকারের পরিকল্পনারই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে। তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের ব্যাপারে কারও কোনো আগ্রহ নেই। দেশবাসী ওই নির্বাচন প্রত্যাখান করেছে। এ কারণে ভোটারবিহীন নির্বাচন করতে তারা দলীয় কর্মীদের এভাবে জাল ভোট দিতে সরাসরি নির্দেশ দিচ্ছেন। আমরা আশা করি, সরকারের এখনও শুভবুদ্ধি হবে।
গত ৩০ ডিসেম্বর যশোরের ঝিকরগাছার পারবাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে কর্মী সভায় যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মনিরুল ইসলামের পক্ষে এসব কথা বলেন শেখ আফিল উদ্দিন। তিনি বলেন, এভাবে ভোট দেওয়ার জন্য ওই নির্বাচনী এলাকার বাইরে থেকে প্রতিটি কেন্দ্রের জন্য ১০০ জন কর্মী সরবরাহ করা হবে। আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্টদের উদ্দেশে আফিলউদ্দিন বলেন, 'সাংবাদিক ও মানুষ যাতে বলতে না পারে এটা একতরফা নির্বাচন, ভোটার উপস্থিতি কম। মানুষকে বোঝাতে হবে, ৫ তারিখে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে সারাদিন খুব লম্বা লাইন ছিল।'
তিনি ঘোষণা করেন, 'প্রতিটি কেন্দ্রে তার উপজেলা (শার্শা) থেকে ১০০ নির্ভীক কর্মী উপস্থিত থাকবে। মাঠ যেন ফাঁকা না হয়ে যায়। ১০০ ছেলে থাকবে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের লাইনে। ওরা বুথে গিয়ে ভোট দেবে, আবার এসে লাইনের পেছনে দাঁড়াবে। ওরা বাড়ি যাবে না। ১০০ ছেলে সারাদিনই লাইনে থাকবে।' এসব কর্মীর নিরাপত্তা বিষয়ে আওয়ামী লীগের এই এমপি বলেন, প্রশাসনিক কোনো ভয় নেই। সেটা আমি দেখব। লোক ও সাংবাদিকরা এসে দেখবে মাঠ ভরা। ওই আসনে অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলামের প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম।
No comments