জন্ম তার ভারতে অন্তরে পাকিস্তান
বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ঢাকাস্থ গোপালগঞ্জ জেলা সমিতির পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা ক্রেস্ট প্রদান করা হয় |
(গোপালগঞ্জ সমিতির সংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী)
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জ সম্পর্কে তিক্ত মন্তব্য করায়
বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার কড়া সমালোচনা করেছেন। খালেদা জিয়ার নাম
উল্লেখ না করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'উনার জন্ম ভারতের শিলিগুড়িতে; কিন্তু
অন্তরাত্মা রয়েছে পাকিস্তানে। যার জন্ম বাংলাদেশে নয়, তার এ মাটির জন্য টান
থাকবে না। তিনি সব সময় মনে মনে বলেন, আয় মেরে জান, পেয়ারে পাকিস্তান। এ
দেশ ভালো না লাগলে উনি যেন তার পেয়ারে পাকিস্তান চলে যান। তবুও তিনি যেন এ
দেশের মানুষকে যন্ত্রণা না দেন।' প্রধানমন্ত্রী গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে গোপালগঞ্জ
জেলা সমিতির দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন। ২০০৯ থেকে ২০১৩
সাল পর্যন্ত বর্তমান সরকারের আমলে দেশের উন্নয়ন করায় শেখ হাসিনাকে এ
সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সমিতির সভাপতি শেখ কবির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে
আরও বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ ও জনতা
ব্যাংকের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আবুল বারকাত। অনুষ্ঠানে
স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট মোল্লাহ মো. আবু
কাউসার।
শেখ হাসিনা বলেন, 'আমি গর্বিত যে, আমার জন্ম গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়। যিনি যাই বলুক না কেন, গোপালিরা কপালিও হয়।' তিনি বলেন, 'বিরোধীদলীয় নেতা গোপালগঞ্জকে নিয়ে কটাক্ষ করেন। আমরা যখন ক্ষমতায় থাকি তখন দেশের সব জেলার মানুষ আমাদের কাছে সমান। আমার অফিসার ফেনী জেলারও আছে।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'তার মুখ থেকে এ ধরনের উক্তি আসবে এটাই স্বাভাবিক। গোপালগঞ্জের নাম শুনলে উনার গায়ে জ্বালা ধরে। কেন জ্বলে জানি না। গোপালগঞ্জের মানুষ গোপালি নয় কপালিও হয়। যিনি তিক্ত কথা বলেন তার স্বামী মেজর ছিলেন। তাকে পদোন্নতি দিয়ে মেজর জেনারেল বানিয়েছিলেন জাতির পিতা।' শেখ হাসিনা বলেন, 'দেশের উন্নয়নের জন্য গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা দরকার। আমরা দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব। বাংলাদেশের মানুষ শান্তিতে থাকবে_ এটা উনার ভালো লাগে না। স্বাধীন বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে, তিনি এটা কোনোভাবেই চান না। দেশের মানুষের সার্বিক উন্নয়ন কীভাবে করব সে চিন্তাই করি। গ্রামীণ অর্থনীতিকে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমরা সরকারে আছি। যখন কেউ একটা রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকে, তখন সমগ্র দেশের মানুষকে একদৃষ্টিতে দেখতে হয়। আমি গোপালগঞ্জের লোক বাছতে চাইনি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের লোকদের কেউ নরসিংদীর, কেউ সিলেট, কেউবা ফরিদপুরের। আমি বাংলাদেশকে দেশ হিসেবে দেখি।' তিনি বলেন, 'এটা ঠিক, গোপালগঞ্জ দীর্ঘদিন ধরেই অবহেলিত ছিল। টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়ার সুষম উন্নয়নে আমরা বিশ্বাস করি। আমরা সবার ব্যাপকভাবে উন্নয়ন করে যাচ্ছি।'
গোপালগঞ্জবাসীসহ গোটা দেশের আপামর জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'পিতা, মাতা, ভাইকে হারিয়ে মানুষের পাশে আশ্রয় পেয়েছি। জাতির পিতার প্রিয় মানুষের জন্য কাজ করে যেতে পেরেছি। ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়া নিয়ে রাজনীতি করি না। আমার দায়িত্ব হচ্ছে মানুষের জন্য কিছু করা।' তিনি আগামী ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে দেশের মর্যাদাসম্পন্ন অবস্থান নিশ্চিত করতে সুখী ও
সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণই তার একমাত্র লক্ষ্য। এ জন্যেই বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছিল। তিনি বলেন, ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে তার দল ২০২১ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করার জন্য জনগণের কাছে অঙ্গীকার করেছে। এখন আমাদের লক্ষ্য মধ্যম আয়ের স্তর ছাড়িয়ে যাওয়া এবং ২০৪১ সাল নাগাদ একটি উন্নত দেশে পরিণত করা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার ধনী লোকদের একটি শ্রেণী সৃষ্টির জন্য নয়, দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিয়েছে। তিনি বলেন, আমরা দরিদ্র মানুষ, বিশেষ করে গ্রামের লোকদের উন্নয়ন চাই। প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির মতোই খালেদা জিয়া কখনও দেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেননি। পাকিস্তান ও পাকিস্তানি আদর্শ তার প্রিয়। এ কারণেই তিনি রাষ্ট্রীয় প্রটোকল উপেক্ষা করে পাকিস্তানি সামরিক কর্মকর্তা মেজর জেনারেল ইফতিকার খান জানজুয়া'র মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের জন্য তার কোনো সহানুভূতি নেই। বাংলাদেশের মানুষ শান্তিতে বসবাস করুক এবং তাদের অগ্রগতি হোক তিনি তা কখনোই চান না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য তার দল আওয়ামী লীগ প্রয়োজনে সবকিছু করছে। তিনি বলেন, আমরা সকল ক্ষেত্রে সফল হয়েছি এবং একটি লক্ষ্য ও আদর্শ নিয়ে
শেখ হাসিনা বলেন, 'আমি গর্বিত যে, আমার জন্ম গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়। যিনি যাই বলুক না কেন, গোপালিরা কপালিও হয়।' তিনি বলেন, 'বিরোধীদলীয় নেতা গোপালগঞ্জকে নিয়ে কটাক্ষ করেন। আমরা যখন ক্ষমতায় থাকি তখন দেশের সব জেলার মানুষ আমাদের কাছে সমান। আমার অফিসার ফেনী জেলারও আছে।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'তার মুখ থেকে এ ধরনের উক্তি আসবে এটাই স্বাভাবিক। গোপালগঞ্জের নাম শুনলে উনার গায়ে জ্বালা ধরে। কেন জ্বলে জানি না। গোপালগঞ্জের মানুষ গোপালি নয় কপালিও হয়। যিনি তিক্ত কথা বলেন তার স্বামী মেজর ছিলেন। তাকে পদোন্নতি দিয়ে মেজর জেনারেল বানিয়েছিলেন জাতির পিতা।' শেখ হাসিনা বলেন, 'দেশের উন্নয়নের জন্য গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা দরকার। আমরা দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব। বাংলাদেশের মানুষ শান্তিতে থাকবে_ এটা উনার ভালো লাগে না। স্বাধীন বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে, তিনি এটা কোনোভাবেই চান না। দেশের মানুষের সার্বিক উন্নয়ন কীভাবে করব সে চিন্তাই করি। গ্রামীণ অর্থনীতিকে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমরা সরকারে আছি। যখন কেউ একটা রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকে, তখন সমগ্র দেশের মানুষকে একদৃষ্টিতে দেখতে হয়। আমি গোপালগঞ্জের লোক বাছতে চাইনি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের লোকদের কেউ নরসিংদীর, কেউ সিলেট, কেউবা ফরিদপুরের। আমি বাংলাদেশকে দেশ হিসেবে দেখি।' তিনি বলেন, 'এটা ঠিক, গোপালগঞ্জ দীর্ঘদিন ধরেই অবহেলিত ছিল। টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়ার সুষম উন্নয়নে আমরা বিশ্বাস করি। আমরা সবার ব্যাপকভাবে উন্নয়ন করে যাচ্ছি।'
গোপালগঞ্জবাসীসহ গোটা দেশের আপামর জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'পিতা, মাতা, ভাইকে হারিয়ে মানুষের পাশে আশ্রয় পেয়েছি। জাতির পিতার প্রিয় মানুষের জন্য কাজ করে যেতে পেরেছি। ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়া নিয়ে রাজনীতি করি না। আমার দায়িত্ব হচ্ছে মানুষের জন্য কিছু করা।' তিনি আগামী ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে দেশের মর্যাদাসম্পন্ন অবস্থান নিশ্চিত করতে সুখী ও
সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণই তার একমাত্র লক্ষ্য। এ জন্যেই বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছিল। তিনি বলেন, ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে তার দল ২০২১ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করার জন্য জনগণের কাছে অঙ্গীকার করেছে। এখন আমাদের লক্ষ্য মধ্যম আয়ের স্তর ছাড়িয়ে যাওয়া এবং ২০৪১ সাল নাগাদ একটি উন্নত দেশে পরিণত করা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার ধনী লোকদের একটি শ্রেণী সৃষ্টির জন্য নয়, দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিয়েছে। তিনি বলেন, আমরা দরিদ্র মানুষ, বিশেষ করে গ্রামের লোকদের উন্নয়ন চাই। প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির মতোই খালেদা জিয়া কখনও দেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেননি। পাকিস্তান ও পাকিস্তানি আদর্শ তার প্রিয়। এ কারণেই তিনি রাষ্ট্রীয় প্রটোকল উপেক্ষা করে পাকিস্তানি সামরিক কর্মকর্তা মেজর জেনারেল ইফতিকার খান জানজুয়া'র মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের জন্য তার কোনো সহানুভূতি নেই। বাংলাদেশের মানুষ শান্তিতে বসবাস করুক এবং তাদের অগ্রগতি হোক তিনি তা কখনোই চান না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য তার দল আওয়ামী লীগ প্রয়োজনে সবকিছু করছে। তিনি বলেন, আমরা সকল ক্ষেত্রে সফল হয়েছি এবং একটি লক্ষ্য ও আদর্শ নিয়ে
No comments