২০১৪ by একরামুল হক শামীম
২০১২ সালের শুরুতে সালটি যতটা আলোচনা
হয়েছে অতটা ২০১৪-এর ক্ষেত্রে হয়নি। মায়া মিথের ঘাটতির কারণেই আলোচনায় এই
কমতি। মায়া সভ্যতার মিথ ছিল ২০১২ সালকে নিয়ে। এই মিথ অনুযায়ী, ২০১২ সালের
২১ ডিসেম্বর পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। পৃথিবী ধ্বংস হওয়া নিয়ে ইনকা
সভ্যতারও ভবিষদ্বাণী ছিল। শেষ পর্যন্ত ২০১২ সালকে ঘিরে সব মিথ পানসে হয়ে
যায়। ২০১৩ সালের শুরুতে কোনো মিথের কাজকারবার ছিল না। ২০১৪-এর ক্ষেত্রেও
তাই। মিথ নেই বলে কিন্তু সালটি নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করা থেমে যায়নি। ২০০৪ সাল
থেকে নতুন বছর নিয়ে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ প্রকাশ করে ইকোনমিস্ট। এবারও দি
ইকোনমিস্ট একটি বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করেছে, যার নাম 'দ্য ওয়ার্ল্ড ইন
২০১৪'। এই বিশেষ সংখ্যার সম্পাদক ড্যানিয়েল ফ্রাঙ্কলিন তার সম্পাদকীয় লেখায়
২০১৪ সালকে 'শো টাইম' হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। বড় দুটি বিশ্বক্রীড়ার
অনুষ্ঠান এ বছরে থাকার কারণেই এই নামকরণ। ৭ থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত
রাশিয়ার সোচি শহরে শীতকালীন অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হবে। অলিম্পিক বিশ্বক্রীড়ার
বড় একটি ইভেন্ট। এরপর ১২ জুন থেকে ১৩ জুলাই পর্যন্ত ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত হবে
বিশ্বকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট। ১৬ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত ঢাকায়
অনুষ্ঠিত হবে টি২০ ক্রিকেট বিশ্বকাপ। ফলে এটি বলা যেতে পারে, ২০১৪ সালের
প্রথম অর্ধ পৃথিবীর মানুষ ক্রীড়া ইভেন্ট নিয়ে নানা রকমের আলোচনায় মাতবেন।
ইকোনমিস্টের বিশেষ সংখ্যার সম্পাদকীয়তেও এমনটাই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
দি ইকোনমিস্ট তাদের বিশেষ সংখ্যায় অনেক কিছুকেই সামনে নিয়ে এসেছে। এর মধ্যে রয়েছে রাজনীতি, অর্থনীতি, সামাজিক অস্থিরতা, ব্যবসা, বিনোদন ও প্রযুক্তি। অর্থনীতি, বাণিজ্য, ব্যাংকিং ব্যবস্থার জন্য ২০১৪ সাল একটি গুরুত্বপূর্ণ সাল হতে যাচ্ছে। ইকোনমিস্টের মতে, ২০১৪ সালে কিছু দেশে জিডিপির মিরাকল দেখা দেবে। দক্ষিণ সুদান, মঙ্গোলিয়া ও ভুটানের মতো দেশে বাড়বে জিডিপি প্রবৃদ্ধি। ইকোনমিস্টের মতে, ২০১৪ সালে অর্থনীতিতে তিন ধরনের ঘটনা পরিলক্ষিত হবে। প্রথমত, পশ্চিম আমেরিকা, জাপান ও ইউরোপের কিছু অংশের অর্থনৈতিক সক্রিয়তা বৃদ্ধি পাবে; দ্বিতীয়ত, বিভিন্ন দেশে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সক্রিয়তা বাড়বে; তৃতীয়ত, চীনের মতো কিছু দেশের দ্রুত উন্নয়নের হার অব্যাহত থাকবে।
বিশ্ব রাজনীতির জন্যও গুরুত্বপূর্ণ বছর হতে পারে ২০১৪ সাল। বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ বাস করে এমন কিছু দেশে জাতীয় নির্বাচন হবে। এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় নির্বাচন। ভারতের নির্বাচনকে বলা হচ্ছে পৃথিবীর বৃহত্তম জাতীয় নির্বাচন। ইকোনমিস্টের মতে, এসব নির্বাচনের মাধ্যমে বিশ্ব রাজনীতির ক্ষমতায় পটপরিবর্তন আসতে পারে। অন্যদিকে বেশ কিছু স্বাধীনতাকামী দেশের জন্য ২০১৪ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সাল। ১৮ সেপ্টেম্বর স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ৯ নভেম্বর স্পেন থেকে কাতালানদের স্বাধীনতাপ্রাপ্তির ব্যাপারে চূড়ান্ত ভোটাভুটি হওয়ার তারিখ নির্ধারিত রয়েছে। ইকোনমিস্টের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ২০১৪ সালে বিশ্বব্যাপী সামাজিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পেতে পারে। বৃদ্ধি পাবে প্রতিবাদের সংখ্যা। এমনিতেই নানা দেশে মধ্যবিত্ত শ্রেণী বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন করছে। এ বছরে চীন ও জাপানের মধ্যে শীতল যুদ্ধ দেখা যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে ইকোনমিস্ট। বছরের শেষ দিনটি হয়তো চিহ্নিত হয়ে থাকবে আফগানিস্তান থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সৈন্য প্রত্যাহার করে নেওয়ার তারিখ হিসেবে।
দি ইকোনমিস্ট তাদের বিশেষ সংখ্যায় অনেক কিছুকেই সামনে নিয়ে এসেছে। এর মধ্যে রয়েছে রাজনীতি, অর্থনীতি, সামাজিক অস্থিরতা, ব্যবসা, বিনোদন ও প্রযুক্তি। অর্থনীতি, বাণিজ্য, ব্যাংকিং ব্যবস্থার জন্য ২০১৪ সাল একটি গুরুত্বপূর্ণ সাল হতে যাচ্ছে। ইকোনমিস্টের মতে, ২০১৪ সালে কিছু দেশে জিডিপির মিরাকল দেখা দেবে। দক্ষিণ সুদান, মঙ্গোলিয়া ও ভুটানের মতো দেশে বাড়বে জিডিপি প্রবৃদ্ধি। ইকোনমিস্টের মতে, ২০১৪ সালে অর্থনীতিতে তিন ধরনের ঘটনা পরিলক্ষিত হবে। প্রথমত, পশ্চিম আমেরিকা, জাপান ও ইউরোপের কিছু অংশের অর্থনৈতিক সক্রিয়তা বৃদ্ধি পাবে; দ্বিতীয়ত, বিভিন্ন দেশে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সক্রিয়তা বাড়বে; তৃতীয়ত, চীনের মতো কিছু দেশের দ্রুত উন্নয়নের হার অব্যাহত থাকবে।
বিশ্ব রাজনীতির জন্যও গুরুত্বপূর্ণ বছর হতে পারে ২০১৪ সাল। বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ বাস করে এমন কিছু দেশে জাতীয় নির্বাচন হবে। এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় নির্বাচন। ভারতের নির্বাচনকে বলা হচ্ছে পৃথিবীর বৃহত্তম জাতীয় নির্বাচন। ইকোনমিস্টের মতে, এসব নির্বাচনের মাধ্যমে বিশ্ব রাজনীতির ক্ষমতায় পটপরিবর্তন আসতে পারে। অন্যদিকে বেশ কিছু স্বাধীনতাকামী দেশের জন্য ২০১৪ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সাল। ১৮ সেপ্টেম্বর স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ৯ নভেম্বর স্পেন থেকে কাতালানদের স্বাধীনতাপ্রাপ্তির ব্যাপারে চূড়ান্ত ভোটাভুটি হওয়ার তারিখ নির্ধারিত রয়েছে। ইকোনমিস্টের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ২০১৪ সালে বিশ্বব্যাপী সামাজিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পেতে পারে। বৃদ্ধি পাবে প্রতিবাদের সংখ্যা। এমনিতেই নানা দেশে মধ্যবিত্ত শ্রেণী বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন করছে। এ বছরে চীন ও জাপানের মধ্যে শীতল যুদ্ধ দেখা যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে ইকোনমিস্ট। বছরের শেষ দিনটি হয়তো চিহ্নিত হয়ে থাকবে আফগানিস্তান থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সৈন্য প্রত্যাহার করে নেওয়ার তারিখ হিসেবে।
No comments