নতুন ও সংশোধিত আইন নিয়ে প্রশ্ন by ওয়াকিল আহমেদ হিরন/আবু সালেহ রনি
বিদায়ী মহাজোট সরকারের আমলে পাস হওয়া অনেক
আইনের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও রয়েছে বিতর্ক।
অন্যদিকে আইন মন্ত্রণালয় বলছে, আইন সংশোধন একটি চলমান প্রক্রিয়া। সময়ের
প্রয়োজনে যুগোপযোগী করতে আইনকে সংশোধন করা প্রয়োজন। প্রয়োগের ক্ষেত্রে
জটিলতা সৃষ্টি হলেও আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। আইন জনগণের প্রয়োজনে
সংশোধন করা হচ্ছে বলে দাবি করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। সংশোধিত আইনের বৈধতা
নিয়ে চ্যালেঞ্জ করা হলেও উচ্চ আদালতে তা টিকছে না। সর্বশেষ সংশোধিত আদালত
অবমাননা আইনটি অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ চাওয়া হলে
চেম্বার আদালত আপিল বিভাগে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন।
বিদায়ী মহাজোট সরকারের আমলেই সংসদে পাস হয় ২৬০টি আইন। সংশোধন করা হয়েছে ১
হাজার ৮০০ অধস্তন আইন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০০১ সালে অর্পিত সম্পত্তি
প্রত্যর্পণ আইন সংশোধনের সিদ্ধান্তটি ছিল ভুল। অনেক বিচার-বিশ্লেষণ করে
মহাজোট সরকার আইনটি ফের সংশোধনের উদ্যোগ নেয়।
কার স্বার্থে আইন প্রণয়ন ও ফের সংশোধন? আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ন্যায়বিচারের স্বার্থে আইন প্রণীত হলেও তার সঠিক প্রয়োগ নেই। আমলানির্ভর আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়ার কারণে আইনে ত্রুটি থাকছে। ফলে আইন প্রণীত হতে না হতেই বারবার সংশোধন করা হচ্ছে। এ নিয়ে জনগণের মধ্যে নানা প্রশ্ন দেখা যায়। একপর্যায়ে জনস্বার্থে, গোষ্ঠী বা প্রশাসনের পরোক্ষ চাপে আইনটি ফের সংশোধনের উদ্যোগ নেয় সরকার। এভাবেই অনেক আইনের সংশোধন হচ্ছে একাধিকবার। বারবার কাটাছেঁড়ার ফলে আইনের মূল কাঠামোটি পর্যায়ক্রমে দুর্বল হয়ে পড়ছে। আইনজীবী বা জনসাধারণের একটি বড় অংশই জানেন না এসব আইন প্রয়োগের সুবিধাগুলো। আইনচর্চার অভাবও এ জন্য দায়ী। এ ছাড়া সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রণীত আইন সম্পর্কে ধারণা না থাকায় তার প্রয়োগ নেই। স্বাধীনতার ৪২ বছরে এসে পরিবেশ আইন, শিশু আইন, শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ আদায়ের জন্য টর্ট আইন, শ্রম আইন, শিল্প আইন, অগি্ননির্বাপক আইন, অবহেলাজনিত মৃত্যু আইন, শিশুযত্ন আইনসহ অসংখ্য আইন রয়েছে, যার প্রয়োগ হয় 'কালে-ভদ্রে'।
আইন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বিদায়ী মহাজোট সরকারের আমলে ২৬০টি আইন চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত হয়েছে। এর মধ্যে নীতিমালা, কর্মকৌশল ও কর্মপরিকল্পনার সংখ্যা অর্ধশত। দ্বিপক্ষীয়, আন্তর্জাতিক চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর এবং অনুসমর্থন প্রস্তাবের সংখ্যা মোট ১১৩। এ ছাড়া বিএনপির নেতৃত্বে চারদলীয় জোট সরকারের আমলে চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত হয়েছিল ১৯৮টি আইন।
সাবেক আইনমন্ত্রী, বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, আইন সংশোধন একটি চলমান প্রক্রিয়া। সরকার যখন প্রয়োজন মনে করবে, তখনই আইন সংশোধন করা হয়। বিশেষ কোনো স্বার্থ হাসিলের জন্য এটা করা হয় না। জনগণের সুবিধার্থেই আইন সংশোধন করা হয়। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি
সৈয়দ আমীরুল ইসলাম বলেন, নতুন কোনো আইন প্রণয়ন বা সংশোধন করতে হলে জনমত যাচাই করা উচিত। এ জন্য প্রয়োজন সংশ্লিষ্টদের নিয়ে সভা-সেমিনার বা একাধিক আলোচনা করে বিষয়টির ওপর আলোকপাত করা। যে সরকার ক্ষমতায় আসে, তারাই আইনটিকে নিজের মতো ব্যবহারের জন্য সংশোধন করে।
আদালত অবমাননা আইন :সংবাদ প্রকাশের স্বাধীনতা ও সরকারি কর্মকর্তাদের সুবিধা দিয়ে চলতি বছর আদালত অবমাননা আইন সংশোধন করে সরকার। ১৯২৬ সালে প্রণীত আদালত অবমাননা আইনটি রহিত করে গত বছর ২৩ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে আদালত অবমাননা আইন (সংশোধনী), ২০১৩ পাস করা হয়। এর পর ৩ এপ্রিল হাইকোর্ট এক আদেশে আদালত অবমাননা (সংশোধনী) আইনের আটটি ধারা কেন বাতিল ও আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না_ জানতে চেয়ে সরকারের সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে রুল জারি করেন। রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট এক রায়ে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বিবেচনায় আদালত অবমাননা আইন (সংশোধনী), ২০১৩ বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করেন। সরকারের পক্ষ থেকে আপিল করা হলেও রায়টি স্থগিত করা হয়নি।
শ্রম আইন সংশোধন :প্রায় চার বছর যাচাই-বাছাই শেষে গত বছরের ১৬ জুলাই পাস হয় শ্রম আইন, ২০১৩। পাস হওয়া শ্রম আইনে ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার নিশ্চিত করতে ৪৬ ধারায় নতুন একটি উপধারা যুক্ত করা হয়েছে। বলা হয়েছে, সার্বিক কল্যাণের লক্ষ্যে মালিক সংগঠন বা শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন আন্তর্জাতিক সংস্থা বা কনফেডারেশনের কাছ থেকে সহযোগিতা গ্রহণ করতে পারবে। বিদ্যমান আইনে অসদাচরণের দোহাই দিয়ে শ্রমিকদের চাকরি থেকে যখন-তখন ছাঁটাই করার বিধান করা হয়েছে। ছাঁটাইকৃত শ্রমিককে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে না বলেও সংশোধনীতে বলা হয়েছে। এরই মধ্যে এ আইন ফের সংশোধনের দাবি উঠেছে শ্রমিক ও সংগঠনগুলো থেকে।
অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন :১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর ডিফেন্স অব পাকিস্তান রুলস অনুসারে ওই বছরের ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯৬৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যেসব নাগরিক তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ত্যাগ করে ভারতে চলে যায়, তাদের রেখে যাওয়া সম্পত্তি শত্রু সম্পত্তি হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়। দেশ স্বাধীনের পর শত্রু সম্পত্তির নাম অর্পিত সম্পত্তি রাখা হয়। সেসব সম্পত্তি বৈধ উত্তরাধিকারের কাছে ফিরিয়ে দিতে ২০০১ সালে অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন সংশোধন করা হয়। এর পর ২০১১ সালে অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইনটি ফের সংশোধন করা হয়। এ পর্যন্ত আইনটির খুঁটিনাটি বিষয়সহ দেড় বছরে ছয়বার সংশোধনী আনা হয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন :পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমি বিরোধ সমস্যা নিরসনে সরকার চারটি ভূমি কমিশন গঠন করলেও ভূমি বিরোধের সমাধান হয়নি। ফলে ভূমি কমিশনকে আরও কার্যকরী করতে সরকার ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন, ২০০১-এর ১১টি সংশোধনী এনে গত বছরের ৩ জুন মন্ত্রিপরিষদে চূড়ান্তভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়। এ সংশোধনীগুলো মূলত পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ কর্তৃক প্রস্তাবিত।
কার স্বার্থে আইন প্রণয়ন ও ফের সংশোধন? আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ন্যায়বিচারের স্বার্থে আইন প্রণীত হলেও তার সঠিক প্রয়োগ নেই। আমলানির্ভর আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়ার কারণে আইনে ত্রুটি থাকছে। ফলে আইন প্রণীত হতে না হতেই বারবার সংশোধন করা হচ্ছে। এ নিয়ে জনগণের মধ্যে নানা প্রশ্ন দেখা যায়। একপর্যায়ে জনস্বার্থে, গোষ্ঠী বা প্রশাসনের পরোক্ষ চাপে আইনটি ফের সংশোধনের উদ্যোগ নেয় সরকার। এভাবেই অনেক আইনের সংশোধন হচ্ছে একাধিকবার। বারবার কাটাছেঁড়ার ফলে আইনের মূল কাঠামোটি পর্যায়ক্রমে দুর্বল হয়ে পড়ছে। আইনজীবী বা জনসাধারণের একটি বড় অংশই জানেন না এসব আইন প্রয়োগের সুবিধাগুলো। আইনচর্চার অভাবও এ জন্য দায়ী। এ ছাড়া সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রণীত আইন সম্পর্কে ধারণা না থাকায় তার প্রয়োগ নেই। স্বাধীনতার ৪২ বছরে এসে পরিবেশ আইন, শিশু আইন, শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ আদায়ের জন্য টর্ট আইন, শ্রম আইন, শিল্প আইন, অগি্ননির্বাপক আইন, অবহেলাজনিত মৃত্যু আইন, শিশুযত্ন আইনসহ অসংখ্য আইন রয়েছে, যার প্রয়োগ হয় 'কালে-ভদ্রে'।
আইন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বিদায়ী মহাজোট সরকারের আমলে ২৬০টি আইন চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত হয়েছে। এর মধ্যে নীতিমালা, কর্মকৌশল ও কর্মপরিকল্পনার সংখ্যা অর্ধশত। দ্বিপক্ষীয়, আন্তর্জাতিক চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর এবং অনুসমর্থন প্রস্তাবের সংখ্যা মোট ১১৩। এ ছাড়া বিএনপির নেতৃত্বে চারদলীয় জোট সরকারের আমলে চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত হয়েছিল ১৯৮টি আইন।
সাবেক আইনমন্ত্রী, বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, আইন সংশোধন একটি চলমান প্রক্রিয়া। সরকার যখন প্রয়োজন মনে করবে, তখনই আইন সংশোধন করা হয়। বিশেষ কোনো স্বার্থ হাসিলের জন্য এটা করা হয় না। জনগণের সুবিধার্থেই আইন সংশোধন করা হয়। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি
সৈয়দ আমীরুল ইসলাম বলেন, নতুন কোনো আইন প্রণয়ন বা সংশোধন করতে হলে জনমত যাচাই করা উচিত। এ জন্য প্রয়োজন সংশ্লিষ্টদের নিয়ে সভা-সেমিনার বা একাধিক আলোচনা করে বিষয়টির ওপর আলোকপাত করা। যে সরকার ক্ষমতায় আসে, তারাই আইনটিকে নিজের মতো ব্যবহারের জন্য সংশোধন করে।
আদালত অবমাননা আইন :সংবাদ প্রকাশের স্বাধীনতা ও সরকারি কর্মকর্তাদের সুবিধা দিয়ে চলতি বছর আদালত অবমাননা আইন সংশোধন করে সরকার। ১৯২৬ সালে প্রণীত আদালত অবমাননা আইনটি রহিত করে গত বছর ২৩ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে আদালত অবমাননা আইন (সংশোধনী), ২০১৩ পাস করা হয়। এর পর ৩ এপ্রিল হাইকোর্ট এক আদেশে আদালত অবমাননা (সংশোধনী) আইনের আটটি ধারা কেন বাতিল ও আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না_ জানতে চেয়ে সরকারের সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে রুল জারি করেন। রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট এক রায়ে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বিবেচনায় আদালত অবমাননা আইন (সংশোধনী), ২০১৩ বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করেন। সরকারের পক্ষ থেকে আপিল করা হলেও রায়টি স্থগিত করা হয়নি।
শ্রম আইন সংশোধন :প্রায় চার বছর যাচাই-বাছাই শেষে গত বছরের ১৬ জুলাই পাস হয় শ্রম আইন, ২০১৩। পাস হওয়া শ্রম আইনে ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার নিশ্চিত করতে ৪৬ ধারায় নতুন একটি উপধারা যুক্ত করা হয়েছে। বলা হয়েছে, সার্বিক কল্যাণের লক্ষ্যে মালিক সংগঠন বা শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন আন্তর্জাতিক সংস্থা বা কনফেডারেশনের কাছ থেকে সহযোগিতা গ্রহণ করতে পারবে। বিদ্যমান আইনে অসদাচরণের দোহাই দিয়ে শ্রমিকদের চাকরি থেকে যখন-তখন ছাঁটাই করার বিধান করা হয়েছে। ছাঁটাইকৃত শ্রমিককে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে না বলেও সংশোধনীতে বলা হয়েছে। এরই মধ্যে এ আইন ফের সংশোধনের দাবি উঠেছে শ্রমিক ও সংগঠনগুলো থেকে।
অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন :১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর ডিফেন্স অব পাকিস্তান রুলস অনুসারে ওই বছরের ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯৬৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যেসব নাগরিক তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ত্যাগ করে ভারতে চলে যায়, তাদের রেখে যাওয়া সম্পত্তি শত্রু সম্পত্তি হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়। দেশ স্বাধীনের পর শত্রু সম্পত্তির নাম অর্পিত সম্পত্তি রাখা হয়। সেসব সম্পত্তি বৈধ উত্তরাধিকারের কাছে ফিরিয়ে দিতে ২০০১ সালে অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন সংশোধন করা হয়। এর পর ২০১১ সালে অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইনটি ফের সংশোধন করা হয়। এ পর্যন্ত আইনটির খুঁটিনাটি বিষয়সহ দেড় বছরে ছয়বার সংশোধনী আনা হয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন :পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমি বিরোধ সমস্যা নিরসনে সরকার চারটি ভূমি কমিশন গঠন করলেও ভূমি বিরোধের সমাধান হয়নি। ফলে ভূমি কমিশনকে আরও কার্যকরী করতে সরকার ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন, ২০০১-এর ১১টি সংশোধনী এনে গত বছরের ৩ জুন মন্ত্রিপরিষদে চূড়ান্তভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়। এ সংশোধনীগুলো মূলত পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ কর্তৃক প্রস্তাবিত।
No comments