রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় মোশাররফের বিচার শুরু
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় পাকিস্তানের সাবেক সেনাশাসক পারভেজ মোশাররফের বিচারকাজ গতকাল বুধবার থেকে শুরু হয়েছে। তবে গতকাল তিনি আদালতে হাজির হননি। আজ বৃহস্পতিবার তাঁকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিশেষ আদালত।
মোশাররফের আইনজীবীরা জানান, নিরাপত্তা হুমকির কারণে তাঁদের মক্কেলের পক্ষে আদালতে হাজির হওয়া সম্ভব হয়নি। তবে আদালত বলেছেন, আজ তিনি হাজির না হলে রুল জারি করা হবে। মোশাররফের আইনজীবী আহমেদ রেজা কাসুরি জানান, তাঁর মক্কেলের চক শাহবাজ এলাকার খামারবাড়ির কাছ থেকে প্রায় এক কিলোগ্রাম বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেলে আদালতকে সেই দায়িত্ব নিতে হবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, কোনো বোমা হামলা হলে বিশেষ আদালতের বিচারকসহ সবাইকে মরতে হবে। কাসুরির ওই বক্তব্যের জবাবে বিশেষ আদালতের প্রধান বিচারক ফয়সাল আরাব আদালতকে হুমকি দেওয়ার জন্য তাঁকে সতর্ক করেন। তবে কাসুরি বলেন, বিশেষ এই আদালতকে শেক্সপিয়ারের থিয়েটার বলেই মনে হয়। কেননা, এখানে সরকারপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি আকরাম শেখ প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ঘনিষ্ঠ সহচর। এর জবাবে আকরাম শেখ বলেন,
মোশাররফের আইনজীবীরা জানান, নিরাপত্তা হুমকির কারণে তাঁদের মক্কেলের পক্ষে আদালতে হাজির হওয়া সম্ভব হয়নি। তবে আদালত বলেছেন, আজ তিনি হাজির না হলে রুল জারি করা হবে। মোশাররফের আইনজীবী আহমেদ রেজা কাসুরি জানান, তাঁর মক্কেলের চক শাহবাজ এলাকার খামারবাড়ির কাছ থেকে প্রায় এক কিলোগ্রাম বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেলে আদালতকে সেই দায়িত্ব নিতে হবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, কোনো বোমা হামলা হলে বিশেষ আদালতের বিচারকসহ সবাইকে মরতে হবে। কাসুরির ওই বক্তব্যের জবাবে বিশেষ আদালতের প্রধান বিচারক ফয়সাল আরাব আদালতকে হুমকি দেওয়ার জন্য তাঁকে সতর্ক করেন। তবে কাসুরি বলেন, বিশেষ এই আদালতকে শেক্সপিয়ারের থিয়েটার বলেই মনে হয়। কেননা, এখানে সরকারপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি আকরাম শেখ প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ঘনিষ্ঠ সহচর। এর জবাবে আকরাম শেখ বলেন,
তিনি চাইলে কাসুরির চেয়ে শতগুণ গলা চড়িয়ে কথা বলতে পারেন। আদালত তাঁকে পক্ষপাতী মনে করলে তিনি প্রধান কৌঁসুলির দায়িত্ব ছেড়ে দেবেন। মোশাররফের আরেক আইনজীবী আনোয়ার মনসুর আদালতে বলেন, সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগে তাঁর মক্কেলকে যদি অভিযুক্ত করা হয়, তাহলে সেই কাজে যাঁরা সহযোগিতা করেছিলেন, তাঁদেরও একইভাবে অভিযুক্ত করা উচিত। এ ক্ষেত্রে নওয়াজ শরিফ পক্ষপাতমূলক আচারণ করছেন বলে অভিযোগ করেন আনোয়ার মনসুর। নিরাপত্তার ঝুঁকির কারণ দেখিয়ে মোশাররফকে আদালতের হাজিরা থেকে মুক্তি দেওয়া জন্য আবেদন করেন তাঁর আইনজীবীরা। এ ছাড়া মামলাটি পাঁচ সপ্তাহের জন্য স্থগিতের অনুরোধ জানিয়ে আরেকটি আবেদন করেন। এতে বলা হয়, কেন্দ্রীয় সরকার সাবেক প্রেসিডেন্ট মোশাররফের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে পারেনি। আইনজীবীরা তাঁদের আবেদনে উল্লেখ করেন, ২০০৭ সালের ৩ নভেম্বর সেনাপ্রধান হিসেবে নিজের এখতিয়ারবলেই জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন পারভেজ মোশাররফ।
জরুরি অবস্থা জারির কারণে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে তাঁর বিচার করতে হলে সামরিক আদালতেই তা করা উচিত। এই অভিযোগে তাঁর বিচার করার অধিকার কোনো বিশেষ আদালতের নেই। আইনজীবীদের যুক্তি শোনার পর বিচারক ফয়সাল আরাব নির্দেশ দেন, এ বিষয়ে আগামী শুনানির দিনে মোশাররফের একজন আইনজীবী তাঁর মামলায় প্রতিনিধিত্ব করবেন। কেননা, একাধিক আইনজীবী বক্তব্য দিলে তাঁদের বক্তব্যের মধ্যে মতপার্থক্য সৃষ্টি হয়। গত ২৪ ডিসেম্বর মোশাররফের বিচার শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তাঁর খামারবাড়ি থেকে আদালতে আসার রাস্তায় বিস্ফোরকদ্রব্য পাওয়ায় বিচার শুরুর তারিখ পিছিয়ে দেওয়া হয়। এরপর গত সোমবারও একই পথ থেকে আরও বিস্ফোরকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়। শুনানির সময় ইসলামাবাদের পুলিশপ্রধান আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তিনি জানান, মোশাররফের বাড়ি থেকে আদালত পর্যন্ত রাস্তায় প্রায় এক হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এএফপি ও ডন।
জরুরি অবস্থা জারির কারণে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে তাঁর বিচার করতে হলে সামরিক আদালতেই তা করা উচিত। এই অভিযোগে তাঁর বিচার করার অধিকার কোনো বিশেষ আদালতের নেই। আইনজীবীদের যুক্তি শোনার পর বিচারক ফয়সাল আরাব নির্দেশ দেন, এ বিষয়ে আগামী শুনানির দিনে মোশাররফের একজন আইনজীবী তাঁর মামলায় প্রতিনিধিত্ব করবেন। কেননা, একাধিক আইনজীবী বক্তব্য দিলে তাঁদের বক্তব্যের মধ্যে মতপার্থক্য সৃষ্টি হয়। গত ২৪ ডিসেম্বর মোশাররফের বিচার শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তাঁর খামারবাড়ি থেকে আদালতে আসার রাস্তায় বিস্ফোরকদ্রব্য পাওয়ায় বিচার শুরুর তারিখ পিছিয়ে দেওয়া হয়। এরপর গত সোমবারও একই পথ থেকে আরও বিস্ফোরকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়। শুনানির সময় ইসলামাবাদের পুলিশপ্রধান আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তিনি জানান, মোশাররফের বাড়ি থেকে আদালত পর্যন্ত রাস্তায় প্রায় এক হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এএফপি ও ডন।
No comments