পাঠক ভুবন
যে প্রশ্নটির উত্তর মেলে না
ঘড়িতে বিষণ্ন গোধূলি। গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি গায়ে মেখে উড়ছে উত্তরের ভেজা হাওয়া। ভীষণ-ঠাণ্ডা। ফুলার রোডের মলিন আকাশে অগণিত কাকের কা, কা, আহাজারি, মাতম। এর মধ্যে আমি। আমার মধ্যে মেঘ। ব্রিটিশ কাউন্সিল থেকে বেরিয়েছি। রিমিকে অনেক অনুরোধ করার পরও আসেনি। অপেক্ষায় থাকি, সে আসবে। হ্যাঁ, রিমি এসেছিল। তাকে দেখে আমার হৃৎপিণ্ড কয়েক মুহূর্ত থমকে গিয়েছিল! পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ংকর দৃশ্যের মুখোমুখি আমি। তার কোমরে অচেনা যুবকের হাত। না, এ নিছক অভিনয়। আমার রিমি এমনটি করতেই পারে না। ।
সমস্ত আবেগ দিয়ে, সবটুকু অনুভূতি নিংড়ে পরানের গহীন ভেতর থেকে ওকে বোঝানোর চেষ্টা করি, ভালোবাসার কথা। হাতটি বাড়িয়ে দেই ওর দিকে। আমি জানতাম, বাড়িয়ে দেওয়া এ হাত রিমি কখনো এড়িয়ে যেতে পারবে না। না, রিমির স্পর্শ আমি পাই না। প্রসারিত শূন্য হাতটি পড়ে থাকে। অর্থহীনভাবে নিষ্প্রাণ খালি হাতের দিকে তাকিয়ে থাকি। চোখের আকাশে শরতের মেঘ জমে। মেঘ ফেটে বৃষ্টি হতে চায়। আধো ভেজা চোখ তুলে তাকাই ওর মুখে ওর চোখে_ আরো গভীরে। না, রিমির পৃথিবীতে ব্যথিত মানুষের ছবি নেই। চেষ্টা করি সেই আগের মতো হাসার। যে হাসিতে ও বিহ্বল হতো। কিন্তু পারি না। বিপন্ন হাসিতে ওকে বিদায় জানাই। ও গুটি পায়ে এগিয়ে ছেলেটির হাত ধরে। ওরা ঘনিষ্ঠ হয়ে ধীর পায়ে হারিয়ে যেতে থাকে। আমার চোখের ফোঁটা ফোঁটা জল ওদের দুজনকে ঝাঁপসা করে দেয়। একটা ভঙ্গুর, বিধ্বস্ত, অসহায় হৃদয়ের বোঝা বুকে নিয়ে আবছা আলো-আঁধারে আমি দাঁড়িয়ে থাকি। ঠিক কতক্ষণ, জানি না।
২. রোদেলা দুপুর শুয়ে থাকে পিচঢালা রাজপথে, খোলা মাঠে ঘাসের বুকে। সবুজ আঁচল বিছিয়ে জেগে থাকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সেগুন আর পাম গাছগুলি। সেই আঁচলে লুকিয়ে থাকে প্রিয় কষ্টের ছায়া। জোড়া জোড়া হৃদয়ের উষ্ণতা মিশে যায় রোদের মিছিলে। সন্ধ্যায় সোডিয়াম বাল্ব মুছে দেয় দুপুরের পদচিহ্ন। রোকেয়া হল, শামসুন্নাহার হল, গোটা টিএসসিতে হৃদয়ের নিঃশব্দ নিবিড় আলিঙ্গন। রিমি হয়তো সেখানে এখনও থাকে কিংবা থাকে না। যদি থাকে, তবে তার পেলব হাত আর মটরশুঁটির ডগার মতো আঙ্গুলগুলি নিশ্চয়ই লুকোচুরি খেলে। হয়ত তখন আমার আঙ্গুল সিগরেটের ধোঁয়া ওড়ায়। অজানা ভয় আর শঙ্কায় আমি ওই দিকে যায় না। এক সময় রিমিকে ছেড়ে যেতে চাইলে সে অনায়াসে নির্মেলেন্দুতে আশ্রয় নিতো। 'যাত্রাভঙ্গ' থেকে বলতো_ 'তুই কেমন করে যাবি?/পা বাড়ালেই পায়ের ছাঁয়া/আমাকে তুই পাবি।' আমি ঠিকই যে তোর পায়ের ছাঁয়া পাই। কেবল তুই পাসনারে গাধা মেয়ে (গাধাই বলতাম,গাধি না)। যদি আমায় না পায়, আমি যদি হারিয়ে যাই সেই শঙ্কায় বুকের পাঁজরে মুখ লুকিয়ে এখন কি তার একটুও শ্রাবণ হতে ইচ্ছে করে না_ ছোট্ট এ প্রশ্নটি আমাকে এলোমেলো করে দেয়। অথচ উত্তর মেলে না।
নিলয় নিলু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
চোখ খুললাম_ হাত ভর্তি বকুল নেই
১. হাত ভর্তি বকুল। হয়তো কারো জন্যে তুলেছে। নয়তো বা নিজের জন্যই মালা গাঁথবে। আমি বকুল ফুল চাইলাম। সে মাথা নেড়ে বললো, দেবে না। ফুলগুলো নিয়ে এক দৌড়ে সে চলে গেল। মনটা খারাপ হয়ে গেল। একটা বকুল যদি পেতাম, আহা!
২. ভীষণ ভিড়। পা ফেলবার জো নেই ভেতরে ম্যাজিক চলছে। ইয়া লম্বা গোঁফওয়ালা ম্যাজিশিয়ান। ভেনট্রিলোকুইজম দেখাচ্ছে। এ ম্যাজিক আমি বেশ ক'বার দেখেছি। কিন্তু যিনি দেখাচ্ছেন সেটার ভেতর মাদকতা আছে। পরপর বেশ ক'টা ম্যাজিক হলো। ভিড় ঠেলে একেবারে সামনে দাঁড়ালাম। প্রশ্ন করলাম, আচ্ছা ম্যজিকের সাহায্যে ভালোবাসা আনা যায় না?
ম্যাজিশিয়ানটা থমকে গিয়ে ফ্যাল ফ্যাল করে আমার চোখের দিকে তাকিয়ে রইল।
৩. গ্রিনরুম থেকে দীপা এসে বললো, আজ তো যেতে পারব না। সুদিপ দুটোয় একটা শো আছে; তুই চলে যা।
একটা তো মাত্র দিন। আয় না কোথাও যাই। না দীপা এলো না।
দুপুরের সূর্য মাথার উপর উঠে গেছে। হাঁটছি একা। পার্ক ভর্তি জুটি। আজ বসন্তদিন। হঠাৎ দেখিএকটা পাগল হাসছে। সামনে দাড়াল। দশটা টাকা দে? বলে হাতটা বাড়ালো পাগলটা; বললাম, কেন? দশ টাহার ভালবাসা দিমু তরে।
৪. গা-গুলানো ভাবটা যাচ্ছে না। নোংরামি। ঝুপঝাপ সন্ধ্যে নামতেই ঝোপের পাশে জাপটা জাপটি। এর নাম ভালোবাসা। প্রেম নাকি স্বর্গীয়। এ যে সাক্ষাৎ নরকপুরী। রাস্তার সোডিয়াম লাইটগুলো জ্বলে উঠতে শুরু করেছে। ঘরে ফিরব। আলোতে অন্ধকার দূর হচ্ছে কিন্তু নোংরামিতে ভালোবাসা ঢেকে যাচ্ছে!
৫. সন্ধ্যে তারাটা ডুবে যাচ্ছে। ঘরের দরজা খুলতে যাবো দেখি দুয়ারে এক জোড়া বকুল ফুলের মালা। দুয়ারে ভালোবাসা রেখে হন্যে হয়ে খুঁজেছি সারাদিন। আমার হাত ভর্তি বকুল। গন্ধ ছড়াচ্ছে । চোখ বন্ধ করলাম। মাতাল হচ্ছি ক্রমশ! চোখ খুললাম_ হাত ভর্তি বকুল নেই!
সকাল রায়, সুসং নগর, facebook.com/sokal.roy
আমরাই পারবো
সেই ছোটবেলা থেকেই টের পেতাম চার পাশের মানুষগুলো সুযোগ পেলেই বিদেশে পাড়ি জমাতে চেষ্টা করছে।
বিদেশে গেলেই নাকি জীবনটা অন্যরকম হয়ে যায়। কথাটা কিন্তু খুবই সত্যি। অচিন দেশ, অচিন মানুষ। পরিচিত মানুষজন নেই। ব্যস্ত জীবনে কার এত ফুরসত সেখানে আপনার জন্য সময় বের করার! বেঁচে থাকতে হলে সেখানে আপনাকে নিরন্তর শ্রম দিতে হবে। আচ্ছা, বিদেশে গিয়ে এত পরিশ্রম যখন করবেনই, সেটা নিজের দেশে কেন নয়? এই প্রশ্নটা কি একবারও নিজেকে করেছেন? কিসের অভাব বাংলাদেশের? কী নেই? আসল অভাব উদ্যোগের। আপনিই নিন না একটু ছোট্ট উদ্যোগ। দেখবেন আপনার ছোট্ট উদ্দ্যেগেই দাঁড়িয়ে যাচ্ছে দেশ। বাংলাদেশের মত অমিত সম্ভাবনার এই দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য-শিল্প-সাহিত্য সৃজনশীলতার এমন কোনো শাখা নাই যেখানে আমার, আপনার, আমাদের সবার কাজের সুযোগ নাই। প্রতিটি ক্ষেত্রেই প্রয়োজন শুধু একটু উদ্যোগ। অনেক সুযোগ নিজেকে মেলে ধরার। আমাদের দেশের অর্থনীতির গতি কি শুধু দেশি ও প্রবাসী শ্রমিকেরাই ধরে রাখবে? আমাদের মতো লাখ লাখ শিক্ষিত যুবকও পারি এই অর্থনীতির গতিধারাকে বেগবান করার চ্যালেঞ্জ নিতে। আসুন, আমরা নিজেদের ওপর বিশ্বাস রাখি। নিজের দেশে নিজের পায়ে দাঁড়াই।
মাসুক রহমান, মগবাজার, ঢাকা
প্রিয় পাঠক , আপনিও লিখুন
পাঠক ভুবনে লিখুন। ২৫০ শব্দের মধ্যে লিখুন। নিজের কোনো গল্প, ভাবনা বা চিন্তা। উস্কে দিতে পারেন কোনো বিতর্ক_ আমরা যত্ন করে ছাপবো। _বি.স.
ঘড়িতে বিষণ্ন গোধূলি। গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি গায়ে মেখে উড়ছে উত্তরের ভেজা হাওয়া। ভীষণ-ঠাণ্ডা। ফুলার রোডের মলিন আকাশে অগণিত কাকের কা, কা, আহাজারি, মাতম। এর মধ্যে আমি। আমার মধ্যে মেঘ। ব্রিটিশ কাউন্সিল থেকে বেরিয়েছি। রিমিকে অনেক অনুরোধ করার পরও আসেনি। অপেক্ষায় থাকি, সে আসবে। হ্যাঁ, রিমি এসেছিল। তাকে দেখে আমার হৃৎপিণ্ড কয়েক মুহূর্ত থমকে গিয়েছিল! পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ংকর দৃশ্যের মুখোমুখি আমি। তার কোমরে অচেনা যুবকের হাত। না, এ নিছক অভিনয়। আমার রিমি এমনটি করতেই পারে না। ।
সমস্ত আবেগ দিয়ে, সবটুকু অনুভূতি নিংড়ে পরানের গহীন ভেতর থেকে ওকে বোঝানোর চেষ্টা করি, ভালোবাসার কথা। হাতটি বাড়িয়ে দেই ওর দিকে। আমি জানতাম, বাড়িয়ে দেওয়া এ হাত রিমি কখনো এড়িয়ে যেতে পারবে না। না, রিমির স্পর্শ আমি পাই না। প্রসারিত শূন্য হাতটি পড়ে থাকে। অর্থহীনভাবে নিষ্প্রাণ খালি হাতের দিকে তাকিয়ে থাকি। চোখের আকাশে শরতের মেঘ জমে। মেঘ ফেটে বৃষ্টি হতে চায়। আধো ভেজা চোখ তুলে তাকাই ওর মুখে ওর চোখে_ আরো গভীরে। না, রিমির পৃথিবীতে ব্যথিত মানুষের ছবি নেই। চেষ্টা করি সেই আগের মতো হাসার। যে হাসিতে ও বিহ্বল হতো। কিন্তু পারি না। বিপন্ন হাসিতে ওকে বিদায় জানাই। ও গুটি পায়ে এগিয়ে ছেলেটির হাত ধরে। ওরা ঘনিষ্ঠ হয়ে ধীর পায়ে হারিয়ে যেতে থাকে। আমার চোখের ফোঁটা ফোঁটা জল ওদের দুজনকে ঝাঁপসা করে দেয়। একটা ভঙ্গুর, বিধ্বস্ত, অসহায় হৃদয়ের বোঝা বুকে নিয়ে আবছা আলো-আঁধারে আমি দাঁড়িয়ে থাকি। ঠিক কতক্ষণ, জানি না।
২. রোদেলা দুপুর শুয়ে থাকে পিচঢালা রাজপথে, খোলা মাঠে ঘাসের বুকে। সবুজ আঁচল বিছিয়ে জেগে থাকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সেগুন আর পাম গাছগুলি। সেই আঁচলে লুকিয়ে থাকে প্রিয় কষ্টের ছায়া। জোড়া জোড়া হৃদয়ের উষ্ণতা মিশে যায় রোদের মিছিলে। সন্ধ্যায় সোডিয়াম বাল্ব মুছে দেয় দুপুরের পদচিহ্ন। রোকেয়া হল, শামসুন্নাহার হল, গোটা টিএসসিতে হৃদয়ের নিঃশব্দ নিবিড় আলিঙ্গন। রিমি হয়তো সেখানে এখনও থাকে কিংবা থাকে না। যদি থাকে, তবে তার পেলব হাত আর মটরশুঁটির ডগার মতো আঙ্গুলগুলি নিশ্চয়ই লুকোচুরি খেলে। হয়ত তখন আমার আঙ্গুল সিগরেটের ধোঁয়া ওড়ায়। অজানা ভয় আর শঙ্কায় আমি ওই দিকে যায় না। এক সময় রিমিকে ছেড়ে যেতে চাইলে সে অনায়াসে নির্মেলেন্দুতে আশ্রয় নিতো। 'যাত্রাভঙ্গ' থেকে বলতো_ 'তুই কেমন করে যাবি?/পা বাড়ালেই পায়ের ছাঁয়া/আমাকে তুই পাবি।' আমি ঠিকই যে তোর পায়ের ছাঁয়া পাই। কেবল তুই পাসনারে গাধা মেয়ে (গাধাই বলতাম,গাধি না)। যদি আমায় না পায়, আমি যদি হারিয়ে যাই সেই শঙ্কায় বুকের পাঁজরে মুখ লুকিয়ে এখন কি তার একটুও শ্রাবণ হতে ইচ্ছে করে না_ ছোট্ট এ প্রশ্নটি আমাকে এলোমেলো করে দেয়। অথচ উত্তর মেলে না।
নিলয় নিলু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
চোখ খুললাম_ হাত ভর্তি বকুল নেই
১. হাত ভর্তি বকুল। হয়তো কারো জন্যে তুলেছে। নয়তো বা নিজের জন্যই মালা গাঁথবে। আমি বকুল ফুল চাইলাম। সে মাথা নেড়ে বললো, দেবে না। ফুলগুলো নিয়ে এক দৌড়ে সে চলে গেল। মনটা খারাপ হয়ে গেল। একটা বকুল যদি পেতাম, আহা!
২. ভীষণ ভিড়। পা ফেলবার জো নেই ভেতরে ম্যাজিক চলছে। ইয়া লম্বা গোঁফওয়ালা ম্যাজিশিয়ান। ভেনট্রিলোকুইজম দেখাচ্ছে। এ ম্যাজিক আমি বেশ ক'বার দেখেছি। কিন্তু যিনি দেখাচ্ছেন সেটার ভেতর মাদকতা আছে। পরপর বেশ ক'টা ম্যাজিক হলো। ভিড় ঠেলে একেবারে সামনে দাঁড়ালাম। প্রশ্ন করলাম, আচ্ছা ম্যজিকের সাহায্যে ভালোবাসা আনা যায় না?
ম্যাজিশিয়ানটা থমকে গিয়ে ফ্যাল ফ্যাল করে আমার চোখের দিকে তাকিয়ে রইল।
৩. গ্রিনরুম থেকে দীপা এসে বললো, আজ তো যেতে পারব না। সুদিপ দুটোয় একটা শো আছে; তুই চলে যা।
একটা তো মাত্র দিন। আয় না কোথাও যাই। না দীপা এলো না।
দুপুরের সূর্য মাথার উপর উঠে গেছে। হাঁটছি একা। পার্ক ভর্তি জুটি। আজ বসন্তদিন। হঠাৎ দেখিএকটা পাগল হাসছে। সামনে দাড়াল। দশটা টাকা দে? বলে হাতটা বাড়ালো পাগলটা; বললাম, কেন? দশ টাহার ভালবাসা দিমু তরে।
৪. গা-গুলানো ভাবটা যাচ্ছে না। নোংরামি। ঝুপঝাপ সন্ধ্যে নামতেই ঝোপের পাশে জাপটা জাপটি। এর নাম ভালোবাসা। প্রেম নাকি স্বর্গীয়। এ যে সাক্ষাৎ নরকপুরী। রাস্তার সোডিয়াম লাইটগুলো জ্বলে উঠতে শুরু করেছে। ঘরে ফিরব। আলোতে অন্ধকার দূর হচ্ছে কিন্তু নোংরামিতে ভালোবাসা ঢেকে যাচ্ছে!
৫. সন্ধ্যে তারাটা ডুবে যাচ্ছে। ঘরের দরজা খুলতে যাবো দেখি দুয়ারে এক জোড়া বকুল ফুলের মালা। দুয়ারে ভালোবাসা রেখে হন্যে হয়ে খুঁজেছি সারাদিন। আমার হাত ভর্তি বকুল। গন্ধ ছড়াচ্ছে । চোখ বন্ধ করলাম। মাতাল হচ্ছি ক্রমশ! চোখ খুললাম_ হাত ভর্তি বকুল নেই!
সকাল রায়, সুসং নগর, facebook.com/sokal.roy
আমরাই পারবো
সেই ছোটবেলা থেকেই টের পেতাম চার পাশের মানুষগুলো সুযোগ পেলেই বিদেশে পাড়ি জমাতে চেষ্টা করছে।
বিদেশে গেলেই নাকি জীবনটা অন্যরকম হয়ে যায়। কথাটা কিন্তু খুবই সত্যি। অচিন দেশ, অচিন মানুষ। পরিচিত মানুষজন নেই। ব্যস্ত জীবনে কার এত ফুরসত সেখানে আপনার জন্য সময় বের করার! বেঁচে থাকতে হলে সেখানে আপনাকে নিরন্তর শ্রম দিতে হবে। আচ্ছা, বিদেশে গিয়ে এত পরিশ্রম যখন করবেনই, সেটা নিজের দেশে কেন নয়? এই প্রশ্নটা কি একবারও নিজেকে করেছেন? কিসের অভাব বাংলাদেশের? কী নেই? আসল অভাব উদ্যোগের। আপনিই নিন না একটু ছোট্ট উদ্যোগ। দেখবেন আপনার ছোট্ট উদ্দ্যেগেই দাঁড়িয়ে যাচ্ছে দেশ। বাংলাদেশের মত অমিত সম্ভাবনার এই দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য-শিল্প-সাহিত্য সৃজনশীলতার এমন কোনো শাখা নাই যেখানে আমার, আপনার, আমাদের সবার কাজের সুযোগ নাই। প্রতিটি ক্ষেত্রেই প্রয়োজন শুধু একটু উদ্যোগ। অনেক সুযোগ নিজেকে মেলে ধরার। আমাদের দেশের অর্থনীতির গতি কি শুধু দেশি ও প্রবাসী শ্রমিকেরাই ধরে রাখবে? আমাদের মতো লাখ লাখ শিক্ষিত যুবকও পারি এই অর্থনীতির গতিধারাকে বেগবান করার চ্যালেঞ্জ নিতে। আসুন, আমরা নিজেদের ওপর বিশ্বাস রাখি। নিজের দেশে নিজের পায়ে দাঁড়াই।
মাসুক রহমান, মগবাজার, ঢাকা
প্রিয় পাঠক , আপনিও লিখুন
পাঠক ভুবনে লিখুন। ২৫০ শব্দের মধ্যে লিখুন। নিজের কোনো গল্প, ভাবনা বা চিন্তা। উস্কে দিতে পারেন কোনো বিতর্ক_ আমরা যত্ন করে ছাপবো। _বি.স.
No comments