তিন শতাধিক বিদেশি প্রতিনিধি দলের ঢাকা সফর বাতিল by আবু হেনা মুহিব
চলমান রাজনৈতিক সহিংসতায় পোশাক খাতের দেশি
উদ্যোক্তা ও বিদেশি ক্রেতারা এখন চরম উদ্বিগ্ন। বিশেষ করে হরতাল-অবরোধে
নাশকতার আশঙ্কায় কোনো বিদেশি ক্রেতা এখন বাংলাদেশে আসছেন না। পোশাক খাতের
বিদেশি ক্রেতা ছাড়াও উন্নয়ন সহযোগী অন্তত তিন শতাধিক প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ
সফর বাতিল করেছে। এ শিল্পের নিরাপত্তা, মান এবং পরিবেশ উন্নয়ন ও
বিশ্ববাজারে বিপণন সংক্রান্ত সহযোগিতা দেওয়ার জন্য এসব প্রতিনিধি দলের ঢাকা
সফরের কথা ছিল। গুরুত্বপূর্ণ এসব সফর বাতিল হওয়ায় দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির মুখে
স্থায়ীভাবে বাজার হারানোর আশঙ্কা করছেন গার্মেন্ট মালিকরা। নিট বা গেঞ্জি
জাতীয় পোশাক উৎপাদন ও রফতানিকারক ব্যবসায়ীদের সংগঠন বিকেএমইএর তথ্য
অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যভিত্তিক দাতা সংস্থা ডিএফআইডির একটি প্রতিনিধি দল
টিমলিডার স্টিভ হোমারের নেতৃত্বে এ মাসের প্রথম দিকে বাংলাদেশ সফরে আসার
কথা ছিল। সফরে বেশি শ্রমিক অধ্যুষিত কয়েকটি কারখানা পরিদর্শন, উৎপাদন ও মান
উন্নয়নে কাজ করার কথা ছিল। কিন্তু নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে তারা এ সফর
বাতিল করেছেন। এ সফর আদৌ হওয়ার আর কোনো সম্ভাবনা নেই। একই সংস্থার
ইনস্টিউট অব অ্যাপারেল রিসার্চ অ্যান্ড টেকনোলজির (আইএআরটি) মিস মারিয়ার
নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল গত মাসের শেষে ঢাকা আসার কথা ছিল। কিন্তু এ সফর
স্থগিত করা হয়েছে। একইভাবে শ্রমিকদের দক্ষতা উন্নয়ন, ব্যবস্থাপনা
প্রশিক্ষণ, টিওটি (ট্রেনিং অব ট্রেইনার) ও প্রযুুক্তি সহায়তাসহ এশিয়ান
ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) ও ইউএনআইডিওর বিভিন্ন সহায়তা কর্মসূচিও ঝুঁকির
মুখে পড়েছে।
বিকেএমইএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম সমকালকে বলেন, বিকেএমইএর ক্রেতা এবং এ খাতের উন্নয়নে সহযোগিতা ও পরামর্শ দেওয়ার জন্য অন্তত ৩০০ প্রতিনিধি দল গত তিন মাসে বাংলাদেশ সফরে আসার কথা ছিল। রাজনৈতিক অস্থিরতার কবলে পড়ে এসব সফর বাতিল হয়েছে। রফতানি আদেশ পেতে ক্রেতারা তাদের দেশে অথবা ভারতে যেতে বাধ্য করছেন। বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ক্রেতারা অনেক কমিয়ে দরকষাকষি করছেন। দরকষাকষি সফল না হলে সেই আদেশ ভারতে দিয়ে তারা দেশে ফিরে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
কত ক্রেতা প্রতিনিধি ও উন্নয়ন সহযোগী গত তিন মাসে বাংলাদেশ সফর বাতিল করেছে তার নির্দিষ্ট পরিসংখ্যান নেই বিজিএমইএর কাছে। তবে সংগঠনের সভাপতি আতিকুল ইসলাম সমকালকে বলেছেন, অসংখ্য ক্রেতা এবং উন্নয়ন সহযোগী গত তিন মাসে বাংলাদেশ সফর বাতিল করেছেন। বর্তমানে বাংলাদেশে আসার যে পরিস্থিতি নেই তা শ্রমমন্ত্রীকে ক্রেতাদের প্রতিনিধিরাই জানিয়েছেন। আতিকুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ থেকে পোশাক নেওয়া ছাড়াও পোশাক কারখানার কর্মপরিবেশ উন্নয়ন, শ্রমিকদের দক্ষতা বৃদ্ধি, অগি্ননিরাপত্তা, দুর্ঘটনাজনিত ঝুঁকি হ্রাসসহ বিভিন্ন উদ্যোগে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা দেওয়ার কথা ছিল প্রতিনিধিদের। সফর বাতিল হওয়ায় তাৎক্ষণিক ক্ষতি ছাড়াও দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির মুখে পড়েছে পোশাক খাত।
বিকেএমইএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম সমকালকে বলেন, বিকেএমইএর ক্রেতা এবং এ খাতের উন্নয়নে সহযোগিতা ও পরামর্শ দেওয়ার জন্য অন্তত ৩০০ প্রতিনিধি দল গত তিন মাসে বাংলাদেশ সফরে আসার কথা ছিল। রাজনৈতিক অস্থিরতার কবলে পড়ে এসব সফর বাতিল হয়েছে। রফতানি আদেশ পেতে ক্রেতারা তাদের দেশে অথবা ভারতে যেতে বাধ্য করছেন। বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ক্রেতারা অনেক কমিয়ে দরকষাকষি করছেন। দরকষাকষি সফল না হলে সেই আদেশ ভারতে দিয়ে তারা দেশে ফিরে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
কত ক্রেতা প্রতিনিধি ও উন্নয়ন সহযোগী গত তিন মাসে বাংলাদেশ সফর বাতিল করেছে তার নির্দিষ্ট পরিসংখ্যান নেই বিজিএমইএর কাছে। তবে সংগঠনের সভাপতি আতিকুল ইসলাম সমকালকে বলেছেন, অসংখ্য ক্রেতা এবং উন্নয়ন সহযোগী গত তিন মাসে বাংলাদেশ সফর বাতিল করেছেন। বর্তমানে বাংলাদেশে আসার যে পরিস্থিতি নেই তা শ্রমমন্ত্রীকে ক্রেতাদের প্রতিনিধিরাই জানিয়েছেন। আতিকুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ থেকে পোশাক নেওয়া ছাড়াও পোশাক কারখানার কর্মপরিবেশ উন্নয়ন, শ্রমিকদের দক্ষতা বৃদ্ধি, অগি্ননিরাপত্তা, দুর্ঘটনাজনিত ঝুঁকি হ্রাসসহ বিভিন্ন উদ্যোগে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা দেওয়ার কথা ছিল প্রতিনিধিদের। সফর বাতিল হওয়ায় তাৎক্ষণিক ক্ষতি ছাড়াও দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির মুখে পড়েছে পোশাক খাত।
No comments