মিয়ানমারে সংবিধান সংশোধন হচ্ছে
(প্রেসিডেন্ট পদে লড়তে পারবেন সু চি)
মিয়ানমারের সংবিধান সংশোধনের পক্ষে সমর্থন দিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট থেইন
সেইন। যে আইন সু চির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়ার অন্তরায়, সেটি সংশোধন করার
ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, মিয়ানমারের কোনো একজন নাগরিক দেশের প্রেসিডেন্ট
হতে পারবেন না_ সংবিধানে এমন বাধ্যবাধকতা থাকা যুক্তিসঙ্গত নয়। এর মাধ্যমে
আগামী নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে দেশটির গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু
চির অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বর্তমান সংবিধানে আইনি
বাধার কারণে প্রেসিডেন্ট পদে লড়তে পারবেন না সু চি। সংবিধান সংশোধনের জন্য
সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান
জানিয়ে আসছে সু চির দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি। খবর এএফপি ও রয়টার্স
অনলাইনের। রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত নিউ লাইট অব মিয়ানমারে এক বক্তব্যে
প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন বলেন, 'আমি বিশ্বাস করি, দেশের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক
পরিবর্তনে সংবিধান সংশোধন জরুরি। মিয়ানমারের কোনো একজন নাগরিক দেশটির
প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না_ সংবিধানে এমন কোনো আইন থাকা বাস্তবসম্মত নয়।'
তিনি বলেন, 'এ ছাড়া দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংস্কারে মিয়ানমারের
সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন রয়েছে।' মিয়ানমারের সব সম্প্রদায়ের মধ্যে একতা
প্রয়োজন রয়েছে। তা না হলে সব গণতান্ত্রিক অর্জন ব্যর্থ হবে বলে আশঙ্কা
ব্যক্ত করেন তিনি। যে আইন সু চির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়ার অন্তরায়, সেটি
সংশোধন করার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। ফলে ২০১৫ সালের নির্বাচনে সু চি লড়বেন_
এমন সম্ভাবনা এখন বেশ জোরালো। বিতর্কিত ওই আইনে বলা হয়েছে, যে ব্যক্তির
স্বামী, স্ত্রী বা সন্তান অন্য কোনো দেশের নাগরিক, তিনি মিয়ানমারের
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়তে পারবেন না। সু চিকে ঠেকাতেই এ আইন বলে আসছে
ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি)। কেননা, তার দুই সন্তান ও প্রয়াত
স্বামী ব্রিটিশ নাগরিক।
সু চি নিজেও একাধিকবার এ আইন সংশোধনের দাবিতে সরব হয়েছেন। সম্প্রতি আইনটি বদলাতে মিয়ানমার সরকারকে চাপ দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিও আহ্বান জানান তিনি। যদিও এনএলডি আগেই জানিয়েছিল, সরকার আইন সংশোধন করুক বা নাই করুক, তারা ভোটে লড়বেই। দলটি ইয়াঙ্গুনসহ দেশের প্রায় সব বড় শহরে সংবিধান সংশোধনে স্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযান চালায়। তাতে দেখা গেছে, অধিকাংশ মানুষ সংবিধান সংশোধনের পক্ষে সই করেছে।
সু চি নিজেও একাধিকবার এ আইন সংশোধনের দাবিতে সরব হয়েছেন। সম্প্রতি আইনটি বদলাতে মিয়ানমার সরকারকে চাপ দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিও আহ্বান জানান তিনি। যদিও এনএলডি আগেই জানিয়েছিল, সরকার আইন সংশোধন করুক বা নাই করুক, তারা ভোটে লড়বেই। দলটি ইয়াঙ্গুনসহ দেশের প্রায় সব বড় শহরে সংবিধান সংশোধনে স্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযান চালায়। তাতে দেখা গেছে, অধিকাংশ মানুষ সংবিধান সংশোধনের পক্ষে সই করেছে।
No comments