পৃথিবীর শীতলতম স্থান!
সম্প্রতি
নাসার অ্যাকোয়া স্যাটেলাইট খোঁজ দিল পৃথিবীর শীতলতম স্থানের। এটা পূর্ব
অ্যান্টার্কটিকার বরফঢাকা মালভূমিতে। ৩১ জুলাই ২০১৩-এর তথ্যানুযায়ী ওখানকার
তাপমাত্রা মাইনাস ৯৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস (মাইনাস ১৩৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি
ফারেনহাইট)। এর আগে ১০ আগস্ট ২০১০ সালে এখানে তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ৯৩
দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস (মাইনাস ১৩৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট)। ১৯৮৩
সালের ২১ জুলাই অ্যান্টার্কটিকার মালভূমির কাছাকাছি খোঁজ মিলেছিল এমন একটি
স্থানের যেখানকার তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ৮৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে
পূর্ব অ্যান্টার্কটিকার হাজার কিলোমিটার বিস্তৃত বরফ চাদরের মধ্যে একের পর
এক শীতল স্থানের খোঁজ গবেষকদের বিভ্রান্তি বাড়িয়ে দিয়েছে। এর আগে শীতলতম
স্থানের গবেষণাটি চালিয়েছিল ভস্তক রিসার্চ স্টেশন। এবার দায়িত্বে ছিল
যুক্তরাষ্ট্রের বোলডারে অবস্থিত এনএসআইডিসি। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান গবেষক
টেড স্ক্যাম্বোস বলেন, 'এ ধরনের ঠাণ্ডা পরিবেশে কখনও দেখা যায়নি। এখানে
শ্বাস নেওয়াটাই কষ্টকর। প্রতি মুহূর্তে ভয়_ অতিরিক্ত ঠাণ্ডায় গলা ধরে না
যায়। মাত্রারিক্ত ঠাণ্ডায় ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কাও থাকে।' গবেষকরা
জানান, আর্গাস ও ফুজি শৈলশিরার মধ্যবর্তী অঞ্চলটিতে প্রতি ৫-১০ কিলোমিটার
অন্তরই ছোট ছোট পকেটের সৃষ্টি হয়, যেখানে তাপমাত্রা রেকর্ড পরিমাণ কমে যায়।
পকেটগুলোর গভীরতা হয় দুই থেকে চার মিটার। ঠাণ্ডা বাতাস নিচের দিকে নামতে
থাকে এবং তা জমা হয় উপত্যকা মধ্যবর্তী এ পকেটগুলোতে। আকাশ পরিষ্কার থাকলে
এই পকেটগুলোর তাপমাত্রা ক্রমাগত কমতে থাকে। প্রধান গবেষক টেড স্ক্যাম্বোস
বলেন, 'আগামী বছরে এই তাপমাত্রা আরও নামতে পারে। তবে এটিই যে পৃথিবীর
শীতলতম স্থানের অবস্থান, এ ব্যাপারে এখন আমরা নিশ্চিত।'হপ্রদীপ সাহা, সূত্র
: নাসা সায়েন্স
No comments