বিএনপির মৌনতার কারণ by নুরুল ইসলাম বিএসসি
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় ঘোষিত হচ্ছে।
রায়ের ওপর আমার কোনো কথা নেই। আমার কথাটা বিএনপিকে নিয়ে। রায়ের পক্ষে বা
বিপক্ষে কোনো মন্তব্য না করে বিএনপি প্রমাণ করল, এরা সুবিধাবাদী ও
সুযোগসন্ধানীর দল। এদের কাছে আদর্শ নেই। মুক্তিযুদ্ধের প্রতি কোনো
সম্মানবোধ নেই। ক্ষমতাই এদের কাছে এখন মুখ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিএনপির
নেতৃত্ব জানে এবং ভালো করেই জানে, যাদের বিচার হচ্ছে এবং যাদের বিরুদ্ধে
রায় হচ্ছে এরা অপরাধী। শাস্তি যাই হোক, মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকাটা ভোটের
রাজনীতি ও জোটবাজির রাজনীতি বলে অনেকে মনে করেন। জামায়াত যে সন্ত্রাসী দল,
এখন এটা প্রমাণিত। বিএনপি কি সন্ত্রাসীদের নিয়ে থাকবে?
বিএনপি ক্ষমতায় এসে মুজাহিদসহ জামায়াত নেতাদের গাড়িতে বাংলাদেশের পতাকা উড়াতে সুযোগ করে দেয়। সর্বপ্রথমই জেনারেল জিয়া গোলাম আযমদের এদেশে থাকার সুযোগ করে দেন। এরই ধারাবাহিকতায় ওই সময় থেকেই বিএনপির রাজনীতি অপরিবর্তিত রয়েছে এবং তা মুজাহিদদের ক্ষমতার ভাগীদার করে। অথচ এই মুজাহিদরা বাংলাদেশে বিশ্বাস করেনি। বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের যাতে জন্ম না হয়, সেদিকে খেয়াল রেখে নানা অপকর্ম করেছে। দুর্ভাগ্য যে, তারাই এদেশের মন্ত্রী হয়েছিল। বিএনপি এই সরকারকে মোটেই সহ্য করতে পারছে না। প্রথমদিন থেকে সরকারকে নানা কৌশলে পর্যুদস্ত করার চেষ্টার অংশ হিসেবে বিডিআর বিদ্রোহ হয়েছে। বিদ্রোহ করে যখন সুবিধা হয়নি, সংসদ বর্জন করে সংসদকে নিষ্প্র্রাণ করার চেষ্টা করা হয়েছে।
এখন বিএনপি সংসদে যায়। পাঁচ সিটি কর্পোরেশনে জিতে এরা উজ্জীবিত। এরা এখন ভালোয় ভালোয় নির্বাচন চায়। এখন এদের দৃঢ় বিশ্বাস নির্বাচন হলে এরা ক্ষমতায় যাবেন এবং আওয়ামী লীগকে তখন একহাত দেখে নেবেন। এদের বিশ্বাস জন্মেছে, আন্দোলন না করেই যখন ক্ষমতায় যাওয়া যাবে, খামাকা আন্দোলন করে সরকারের হাতে অজুহাত সৃষ্টির সুযোগ দেবেন কেন? ওদিকে লক্ষ্য রেখে এরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে কথা বলেন না বা আন্দোলনের ভয়ও দেখান না।
যারা আওয়ামী লীগ করেন, চোখ বন্ধ করে ডিসেম্বর, জানুয়ারিতে যান। দেখবেন, বিএনপি নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার রাতে যদি দেখে ক্ষমতায় যাচ্ছে, আপনাদের বাড়িঘর আক্রমণ, হত্যা, ধর্ষণ শুরু করেছে। জামায়াত আরও একহাত এগিয়ে তালিকা নিয়ে মাঠে নামবে। কচুগাছ যেমন কাটা হয়, ওই কচুকাটাই তারা করবে। আওয়ামী লীগ বা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি কচুকাটা হতে চান, নাকি সম্মিলিতভাবে এদের মোকাবেলা করবেন, সিদ্ধান্ত নিন। আওয়ামী লীগ সরকার সব ভালো করেছে, একথা দাবি করছি না। অনেক ভুল-ত্র“টি আছে। কিন্তু অনেক ভালো কাজও তো করেছে, এগুলোকে পুঁজি করেই মাঠে নামুন। দেখবেন, বাতাস ঘুরে গেছে। শেখ হাসিনা আবার সরকার গঠনে সমর্থ হয়েছেন।
বিএনপি গোলাম আযমের রায়ের ওপর কোনো প্রতিক্রিয়া না জানালেও বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিশেষ করে সিডনি বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতারা ফোন করে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। রায়ে তাদের চাওয়া-পাওয়ার প্রতিফলন না দেখে তারা হতাশ হয়েছেন। দেশেও অনেকে হতাশা ব্যক্ত করেছেন। হতাশা থেকে জন্ম নেয় ঘৃণা, আর ঘৃণা থেকে পশ্চাৎপসরণ। এখন কিন্তু পশ্চাৎপদের কোনো সুযোগ নেই। সব ঘৃণা, বিদ্বেষ ভুলে এক কাতারে দাঁড়িয়ে প্রতিরোধের দেয়াল খাড়া করতে হবে। সরকারের ওপর নির্ভরশীল না থেকে নিজেদের আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে জিতিয়ে আনতে হবে। কে দোষ করল, কে কী বলল ওদিকে দেখার সময় নেই। নিজেদের প্রাণ রক্ষার্থে নিজেদেরই প্রস্তুত করুন। নতুবা এই দেশটা আফগানিস্তানে পরিণত হবে।
নুরুল ইসলাম বিএসসি : সংসদ সদস্য ও কলাম লেখক
বিএনপি ক্ষমতায় এসে মুজাহিদসহ জামায়াত নেতাদের গাড়িতে বাংলাদেশের পতাকা উড়াতে সুযোগ করে দেয়। সর্বপ্রথমই জেনারেল জিয়া গোলাম আযমদের এদেশে থাকার সুযোগ করে দেন। এরই ধারাবাহিকতায় ওই সময় থেকেই বিএনপির রাজনীতি অপরিবর্তিত রয়েছে এবং তা মুজাহিদদের ক্ষমতার ভাগীদার করে। অথচ এই মুজাহিদরা বাংলাদেশে বিশ্বাস করেনি। বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের যাতে জন্ম না হয়, সেদিকে খেয়াল রেখে নানা অপকর্ম করেছে। দুর্ভাগ্য যে, তারাই এদেশের মন্ত্রী হয়েছিল। বিএনপি এই সরকারকে মোটেই সহ্য করতে পারছে না। প্রথমদিন থেকে সরকারকে নানা কৌশলে পর্যুদস্ত করার চেষ্টার অংশ হিসেবে বিডিআর বিদ্রোহ হয়েছে। বিদ্রোহ করে যখন সুবিধা হয়নি, সংসদ বর্জন করে সংসদকে নিষ্প্র্রাণ করার চেষ্টা করা হয়েছে।
এখন বিএনপি সংসদে যায়। পাঁচ সিটি কর্পোরেশনে জিতে এরা উজ্জীবিত। এরা এখন ভালোয় ভালোয় নির্বাচন চায়। এখন এদের দৃঢ় বিশ্বাস নির্বাচন হলে এরা ক্ষমতায় যাবেন এবং আওয়ামী লীগকে তখন একহাত দেখে নেবেন। এদের বিশ্বাস জন্মেছে, আন্দোলন না করেই যখন ক্ষমতায় যাওয়া যাবে, খামাকা আন্দোলন করে সরকারের হাতে অজুহাত সৃষ্টির সুযোগ দেবেন কেন? ওদিকে লক্ষ্য রেখে এরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে কথা বলেন না বা আন্দোলনের ভয়ও দেখান না।
যারা আওয়ামী লীগ করেন, চোখ বন্ধ করে ডিসেম্বর, জানুয়ারিতে যান। দেখবেন, বিএনপি নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার রাতে যদি দেখে ক্ষমতায় যাচ্ছে, আপনাদের বাড়িঘর আক্রমণ, হত্যা, ধর্ষণ শুরু করেছে। জামায়াত আরও একহাত এগিয়ে তালিকা নিয়ে মাঠে নামবে। কচুগাছ যেমন কাটা হয়, ওই কচুকাটাই তারা করবে। আওয়ামী লীগ বা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি কচুকাটা হতে চান, নাকি সম্মিলিতভাবে এদের মোকাবেলা করবেন, সিদ্ধান্ত নিন। আওয়ামী লীগ সরকার সব ভালো করেছে, একথা দাবি করছি না। অনেক ভুল-ত্র“টি আছে। কিন্তু অনেক ভালো কাজও তো করেছে, এগুলোকে পুঁজি করেই মাঠে নামুন। দেখবেন, বাতাস ঘুরে গেছে। শেখ হাসিনা আবার সরকার গঠনে সমর্থ হয়েছেন।
বিএনপি গোলাম আযমের রায়ের ওপর কোনো প্রতিক্রিয়া না জানালেও বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিশেষ করে সিডনি বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতারা ফোন করে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। রায়ে তাদের চাওয়া-পাওয়ার প্রতিফলন না দেখে তারা হতাশ হয়েছেন। দেশেও অনেকে হতাশা ব্যক্ত করেছেন। হতাশা থেকে জন্ম নেয় ঘৃণা, আর ঘৃণা থেকে পশ্চাৎপসরণ। এখন কিন্তু পশ্চাৎপদের কোনো সুযোগ নেই। সব ঘৃণা, বিদ্বেষ ভুলে এক কাতারে দাঁড়িয়ে প্রতিরোধের দেয়াল খাড়া করতে হবে। সরকারের ওপর নির্ভরশীল না থেকে নিজেদের আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে জিতিয়ে আনতে হবে। কে দোষ করল, কে কী বলল ওদিকে দেখার সময় নেই। নিজেদের প্রাণ রক্ষার্থে নিজেদেরই প্রস্তুত করুন। নতুবা এই দেশটা আফগানিস্তানে পরিণত হবে।
নুরুল ইসলাম বিএসসি : সংসদ সদস্য ও কলাম লেখক
No comments