মিসরের নতুন মন্ত্রিসভার শপথ-উপপ্রধানমন্ত্রী হলেন সিসি
মিসরের নতুন অন্তর্বর্তী সরকার গত
মঙ্গলবার শপথ নিয়েছে। সরকারবিরোধী বিক্ষোভের মুখে প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ
মুরসিকে অপসারণের ঘটনায় নেতৃত্ব দেওয়া সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আবদেল
ফাত্তাহ এল-সিসি উপপ্রধানমন্ত্রী হয়েছেন।
একই সঙ্গে
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়েরও দায়িত্ব থাকছে তাঁর হাতে। মুরসির মন্ত্রিপরিষদেও
প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছিলেন তিনি। অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আদলি মনসুরের এ
সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন হাজেম আল-বেবলাওয়ি।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে ৩৫ সদস্যের নতুন এ সরকারকে 'অবৈধ' অভিহিত করে প্রত্যাখ্যান করেছে মুসলিম ব্রাদারহুড। মুরসির সমর্থক ইসলামপন্থী এ সংগঠনটিসহ অতি-রক্ষণশীল আল নূর পার্টি আগেই জানিয়ে দিয়েছিল, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে তারা যোগ দেবে না।
৩ জুলাই 'সেনা অভ্যুত্থানের' মাধ্যমে পদচ্যুত মুরসিকে স্বপদে বহালের দাবিতে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে ব্রাদারহুড তথা মুরসির সমর্থকরা। অবশ্য সেনাবাহিনীর দাবি, জনগণের চাওয়া পূরণে তারা দেশটির ইতিহাসে প্রথবারের মতো নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুরসিকে সরিয়ে দিয়েছে।
মুরসি সমর্থকদের লাগাতার বিক্ষোভের জেরে গত সোমবার রাতভর নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে তাদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত সাতজনের প্রাণহানি ঘটে। এ নিয়ে মুরসির অপসারণের পর থেকে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ১০০ ছাড়াল। সোমবার দিবাগত রাতের রক্তক্ষয়ী ওই সংঘাতের কয়েক ঘণ্টা পর শপথ নেয় নতুন সরকারের মন্ত্রীরা। শপথ অনুষ্ঠানটি রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনে সরাসরি সমপ্রচার করা হয়।
এদিকে নতুন সরকারের শপথ নেওয়ার পরদিনই গতকাল বুধবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান ক্যাথেরাইন অ্যাশটনের কারয়ো সফরে যাওয়ার কথা। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর ত্বরান্বিত করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ওপর চাপ দেবেন তিনি। যদিও কয়েক দিন আগেই এ ব্যাপারে ইইউর পক্ষে আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি। গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি বিল বার্নস কায়রো সফরে গিয়ে সহিংসতা বন্ধসহ রাজনৈতিক সব পক্ষের মধ্যে আন্তরিক আলোচনার আহ্বান জানান। মুরসিকে অপসারণের পর যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় কোনো কূটনীতিকের এটাই ছিল প্রথম কায়রো সফর।
সর্বোচ্চ সাংবিধানিক আদালতের প্রধান বিচারপতি মনসুর গত ৪ জুলাই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন। মঙ্গলবার তিনি মন্ত্রিপরিষদের নতুন সদস্যদের শপথবাক্য পড়ান। নতুন মন্ত্রিপরিষদে মুরসির নিয়োগ পাওয়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ ইব্রাহিমকে স্বপদে বহাল রাখা হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন নাবিল ফাহমি। তেলমন্ত্রী হিসেবে শেরিফ ইসমাইল এবং বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন মুনির ফখরি আবদেল নুর। নুরসহ এ সরকারের তিনজন মন্ত্রী কপটিক খ্রিস্টান। মন্ত্রিসভায় স্থান করে নিয়েছেন তিনজন নারী সদস্যও। এর মধ্যে মাহা এল-রাবাত পেয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। ইসলামপন্থীদের অংশগ্রহণ ছাড়া মূলত টেকনোক্র্যাট এ মন্ত্রিসভাকে প্রত্যাখ্যান করে মুসলিম ব্রাদারহুডের মুখপাত্র জিহাদ এল হাদ্দাদ বলেন, 'এটি অবৈধ সরকার। এর প্রধানমন্ত্রী অবৈধ, মন্ত্রিসভা অবৈধ। আমরা এ সরকারে বৈধতা বা কর্তৃত্ব কোনোটাকেই স্বীকার করি না।'
নতুন সরকারের আগামী সপ্তাহের মধ্যে একটি প্যানেল নিয়োগ দেওয়ার কথা। ওই প্যানেল সংবিধানের বিতর্কিত ধারাগুলো সংশোধনের খসড়া তৈরি করবে। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে ৩৫ সদস্যের নতুন এ সরকারকে 'অবৈধ' অভিহিত করে প্রত্যাখ্যান করেছে মুসলিম ব্রাদারহুড। মুরসির সমর্থক ইসলামপন্থী এ সংগঠনটিসহ অতি-রক্ষণশীল আল নূর পার্টি আগেই জানিয়ে দিয়েছিল, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে তারা যোগ দেবে না।
৩ জুলাই 'সেনা অভ্যুত্থানের' মাধ্যমে পদচ্যুত মুরসিকে স্বপদে বহালের দাবিতে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে ব্রাদারহুড তথা মুরসির সমর্থকরা। অবশ্য সেনাবাহিনীর দাবি, জনগণের চাওয়া পূরণে তারা দেশটির ইতিহাসে প্রথবারের মতো নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুরসিকে সরিয়ে দিয়েছে।
মুরসি সমর্থকদের লাগাতার বিক্ষোভের জেরে গত সোমবার রাতভর নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে তাদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত সাতজনের প্রাণহানি ঘটে। এ নিয়ে মুরসির অপসারণের পর থেকে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ১০০ ছাড়াল। সোমবার দিবাগত রাতের রক্তক্ষয়ী ওই সংঘাতের কয়েক ঘণ্টা পর শপথ নেয় নতুন সরকারের মন্ত্রীরা। শপথ অনুষ্ঠানটি রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনে সরাসরি সমপ্রচার করা হয়।
এদিকে নতুন সরকারের শপথ নেওয়ার পরদিনই গতকাল বুধবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান ক্যাথেরাইন অ্যাশটনের কারয়ো সফরে যাওয়ার কথা। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর ত্বরান্বিত করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ওপর চাপ দেবেন তিনি। যদিও কয়েক দিন আগেই এ ব্যাপারে ইইউর পক্ষে আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি। গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি বিল বার্নস কায়রো সফরে গিয়ে সহিংসতা বন্ধসহ রাজনৈতিক সব পক্ষের মধ্যে আন্তরিক আলোচনার আহ্বান জানান। মুরসিকে অপসারণের পর যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় কোনো কূটনীতিকের এটাই ছিল প্রথম কায়রো সফর।
সর্বোচ্চ সাংবিধানিক আদালতের প্রধান বিচারপতি মনসুর গত ৪ জুলাই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন। মঙ্গলবার তিনি মন্ত্রিপরিষদের নতুন সদস্যদের শপথবাক্য পড়ান। নতুন মন্ত্রিপরিষদে মুরসির নিয়োগ পাওয়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ ইব্রাহিমকে স্বপদে বহাল রাখা হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন নাবিল ফাহমি। তেলমন্ত্রী হিসেবে শেরিফ ইসমাইল এবং বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন মুনির ফখরি আবদেল নুর। নুরসহ এ সরকারের তিনজন মন্ত্রী কপটিক খ্রিস্টান। মন্ত্রিসভায় স্থান করে নিয়েছেন তিনজন নারী সদস্যও। এর মধ্যে মাহা এল-রাবাত পেয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। ইসলামপন্থীদের অংশগ্রহণ ছাড়া মূলত টেকনোক্র্যাট এ মন্ত্রিসভাকে প্রত্যাখ্যান করে মুসলিম ব্রাদারহুডের মুখপাত্র জিহাদ এল হাদ্দাদ বলেন, 'এটি অবৈধ সরকার। এর প্রধানমন্ত্রী অবৈধ, মন্ত্রিসভা অবৈধ। আমরা এ সরকারে বৈধতা বা কর্তৃত্ব কোনোটাকেই স্বীকার করি না।'
নতুন সরকারের আগামী সপ্তাহের মধ্যে একটি প্যানেল নিয়োগ দেওয়ার কথা। ওই প্যানেল সংবিধানের বিতর্কিত ধারাগুলো সংশোধনের খসড়া তৈরি করবে। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
No comments