মস্কো-ওয়াশিংটন সম্পর্কই বেশি গুরুত্বপূর্ণ: পুতিন
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন
গতকাল বুধবার বলেছেন, স্নোডেন কেলেঙ্কারির চেয়ে মস্কো-ওয়াশিংটন সম্পর্কের
বিষয়টি রাশিয়ার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তিনি তথ্য ফাঁস করে
যুক্তরাষ্ট্রের আর কোনো ক্ষতি না করতে চাইলে তাঁকে স্বাগত জানানো যেতে
পারে। এদিকে স্নোডেনকে রাশিয়ায় আশ্রয় পাওয়ার আবেদন করতে সহায়তা করা
রুশ আইনজীবী আনাতোলি কুচেরেনা গতকাল জানিয়েছেন, মার্কিন কেন্দ্রীয়
গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) সাবেক এই কর্মী এক সপ্তাহের মধ্যেই বিমানবন্দর
ছেড়ে বাইরে যেতে পারেন। এডওয়ার্ড স্নোডেন তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে
মস্কোর শেরেমেয়িতেভো বিমানবন্দরের ট্রানজিট এলাকায় আটকা পড়ে আছেন।
আনাতোলি কুচেরেনার সহায়তায় গত মঙ্গলবার সাময়িক রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে
রাশিয়ার কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করেছেন স্নোডেন। রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা
আরআইএ নভোস্তি জানিয়েছে, স্নোডেনের ব্যাপারে আগের অবস্থানেই আছেন
প্রেসিডেন্ট পুতিন। গতকাল তিনি বলেন, ‘আমরা স্নোডেনকে আগেই সতর্ক করে
দিয়েছি। রুশ-মার্কিন সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে—এমন কোনো কার্যক্রম
আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না।’ স্নোডেনের রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদনের
বিষয়ে পুতিন বলেন, ‘স্নোডেনের কপালে কী আছে, সেটা তার সিদ্ধান্তের ওপর
নির্ভর করে। আমরা আমাদের রাষ্ট্রীয় স্বার্থ নিয়ে আছি। রাশিয়া ও
যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কোন্নয়নের বিষয়টিও আমরা বিবেচনা করছি।’ রাশিয়ার
কাছে স্নোডেন আশ্রয়ের আবেদন করার পর যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এর বিরোধিতা
করা হয়। এরপর এসব কথা বললেন পুতিন। এর আগে গত মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসের
মুখপাত্র জে কারনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, স্নোডেনকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে
হস্তান্তরের পর্যাপ্ত আইনি যুক্তি রাশিয়ার কাছে আছে। তবে বিষয়টি রাশিয়ার
সঙ্গে আমাদের সম্পর্কে কোনো প্রভাব ফেলবে না।’ কারনি আরও বলেন, ‘আমাদের
বিশ্বাস, স্নোডেনকে নিয়ে সৃষ্ট বর্তমান পরিস্থিতি রাশিয়া সমাধান করবে।
তারা তিন সপ্তাহ ধরে বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে।’ আইনজীবী আনাতোলি কুচেরেনা
গতকাল জানান, তাঁর বিশ্বাস, স্নোডেন এক সপ্তাহের মধ্যেই বিমানবন্দর থেকে
বেরিয়ে যেতে সক্ষম হবেন। রাশিয়ায় কিছুদিন অবস্থানের পর চূড়ান্ত
গন্তব্যে যাবেন তিনি। এএফপি, রয়টার্স।
No comments