রায় প্রত্যাখ্যান করা আদালত অবমাননার শামিল: ট্রাইব্যুনাল
রায় পছন্দ না হলেও কোনো পক্ষেরই তা প্রত্যাখ্যান করার সুযোগ নেই। রায় প্রত্যাখ্যান করা আদালত অবমাননার শামিল।
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের বিরুদ্ধে
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের বিরুদ্ধে
করা
মামলার রায় ঘোষণার আগে গতকাল বুধবার মুক্তিযুদ্ধকালের মানবতাবিরোধী
অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এর চেয়ারম্যান
বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এসব কথা বলেন। গতকাল রায় ঘোষণার ধার্য দিনে সকাল
১০টা ৫০ মিনিটে এজলাসে বসেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, বিচারপতি মজিবুর রহমান
মিয়া ও মো. শাহিনুর ইসলাম (জেলা জজ)।
কার্যক্রম শুরু হলে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, ‘রায় ঘোষণার আগে ট্রাইব্যুনালের পক্ষ থেকে আমরা কিছু কথা বলতে চাই। আমরা লক্ষ করছি, রায় ঘোষণার দিন আসামিপক্ষের মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবীরা আদালতে আসেন না। সেদিন হরতাল ডাকা হয়, আর নিরাপত্তার অজুহাতে তাঁরা প্রতিনিধি পাঠিয়ে দেন। প্রতিনিধিরা যদি আসতে পারেন, তাঁদেরও রায় শুনতে আসা উচিত।’
ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘আরেকটি প্রবণতা শুরু হয়েছে, রায় পছন্দ না হলেই তা প্রত্যাখ্যান করা। রায়ে আপনি সংক্ষুব্ধ হতে পারেন, রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারেন, কিন্তু রায় প্রত্যাখ্যান করার কোনো সুযোগ নেই; তা যে পক্ষই হোক না কেন। রায় প্রত্যাখ্যান করে আপনারা আমাদের আহত করেন, এটা আদালত অবমাননার শামিল। আশা করি, এটা থেকে বিরত থাকবেন।’
বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, ‘আমরা সুপ্রিম কোর্টের বিচারকেরা এখানে বিচার করতে এসেছি। আমরা শপথ নিয়েছি, ভয়ভীতি, অনুরাগ-বিরাগের বশবর্তী না হয়ে আইনানুগভাবে বিচার করব। আল্লাহকে হাজির-নাজির মেনে রায় দিই। কিন্তু অনেকে রায় পছন্দ না হলে রাস্তায় দাঁড়িয়ে স্লোগান দেন, রায় মানি না বলে গাড়ি ভাঙচুর করেন। আরেকটা বিষয় শুরু হয়েছে, রাত গভীর হলে টেলিভিশনগুলোতে টক শো শুরু হয়। টক শোতে এমন সব বিষয়ের অবতারণা করা হয়, শুনলে মনে হয় রায় না পড়েই মন্তব্য করছেন। অনেকে বলেন, বিচার রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত। একটা কথা মনে রাখবেন, আপিল বিভাগে আমাদের দেওয়া রায় বিচারাধীন আছে। আপিল বিভাগ যদি এ রায় সমর্থন করেন, তবে তা প্রতিষ্ঠিত সত্য হয়ে যাবে। যেহেতু এ রায় সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন, এসব মাথায় রেখে কথা বলবেন।’
চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘বিচারকেরা কথা বলতে পারেন না, আদালতই তাঁদের কথা বলার জায়গা। আপনাদের বক্তব্যের জবাব দেওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব হয় না। সে অর্থে বিচারকেরা দুর্বল, আপনারা রাস্তায় দাঁড়িয়ে স্লোগান দিলে আমরা জবাব দিতে পারি না। তবে একটা কথা মনে রাখবেন, আদালতের হাত অনেক লম্বা। বাংলাদেশের সীমানার মধ্যে আপনারা যে প্রান্তেই থাকুন না কেন, আদালতকে আহত করে কোনো কথা বললে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা এ ট্রাইব্যুনাল রাখে, সুপ্রিম কোর্টও রাখে।’
কার্যক্রম শুরু হলে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, ‘রায় ঘোষণার আগে ট্রাইব্যুনালের পক্ষ থেকে আমরা কিছু কথা বলতে চাই। আমরা লক্ষ করছি, রায় ঘোষণার দিন আসামিপক্ষের মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবীরা আদালতে আসেন না। সেদিন হরতাল ডাকা হয়, আর নিরাপত্তার অজুহাতে তাঁরা প্রতিনিধি পাঠিয়ে দেন। প্রতিনিধিরা যদি আসতে পারেন, তাঁদেরও রায় শুনতে আসা উচিত।’
ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘আরেকটি প্রবণতা শুরু হয়েছে, রায় পছন্দ না হলেই তা প্রত্যাখ্যান করা। রায়ে আপনি সংক্ষুব্ধ হতে পারেন, রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারেন, কিন্তু রায় প্রত্যাখ্যান করার কোনো সুযোগ নেই; তা যে পক্ষই হোক না কেন। রায় প্রত্যাখ্যান করে আপনারা আমাদের আহত করেন, এটা আদালত অবমাননার শামিল। আশা করি, এটা থেকে বিরত থাকবেন।’
বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, ‘আমরা সুপ্রিম কোর্টের বিচারকেরা এখানে বিচার করতে এসেছি। আমরা শপথ নিয়েছি, ভয়ভীতি, অনুরাগ-বিরাগের বশবর্তী না হয়ে আইনানুগভাবে বিচার করব। আল্লাহকে হাজির-নাজির মেনে রায় দিই। কিন্তু অনেকে রায় পছন্দ না হলে রাস্তায় দাঁড়িয়ে স্লোগান দেন, রায় মানি না বলে গাড়ি ভাঙচুর করেন। আরেকটা বিষয় শুরু হয়েছে, রাত গভীর হলে টেলিভিশনগুলোতে টক শো শুরু হয়। টক শোতে এমন সব বিষয়ের অবতারণা করা হয়, শুনলে মনে হয় রায় না পড়েই মন্তব্য করছেন। অনেকে বলেন, বিচার রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত। একটা কথা মনে রাখবেন, আপিল বিভাগে আমাদের দেওয়া রায় বিচারাধীন আছে। আপিল বিভাগ যদি এ রায় সমর্থন করেন, তবে তা প্রতিষ্ঠিত সত্য হয়ে যাবে। যেহেতু এ রায় সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন, এসব মাথায় রেখে কথা বলবেন।’
চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘বিচারকেরা কথা বলতে পারেন না, আদালতই তাঁদের কথা বলার জায়গা। আপনাদের বক্তব্যের জবাব দেওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব হয় না। সে অর্থে বিচারকেরা দুর্বল, আপনারা রাস্তায় দাঁড়িয়ে স্লোগান দিলে আমরা জবাব দিতে পারি না। তবে একটা কথা মনে রাখবেন, আদালতের হাত অনেক লম্বা। বাংলাদেশের সীমানার মধ্যে আপনারা যে প্রান্তেই থাকুন না কেন, আদালতকে আহত করে কোনো কথা বললে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা এ ট্রাইব্যুনাল রাখে, সুপ্রিম কোর্টও রাখে।’
No comments