দৈনন্দিন বিজ্ঞান-অ্যারোসল ও এয়ার ফ্রেশনার
বাসা, অফিস এবং গাড়ির ভেতরের মশা তাড়াতে
এবং বায়ুমণ্ডলকে সতেজ বা দুর্গন্ধমুক্ত রাখতে অ্যারোসল ব্যবহার করা এখন খুব
বেশি দেখা যায়। এগুলো সম্পূর্ণটাই রাসায়নিক বস্তু দিয়ে তৈরি।
গ্যাসীয় বস্তু উচ্চচাপে টিনের বা অ্যালুমিনিয়ামের বোতলে ভরে তৈরি করা হয়
অ্যারোসল এবং এয়ারফ্রেশনার। হঠাৎ যেকোন স্থানে অ্যারোসল বা এয়ারফ্রেশনার
স্প্রে করার সময় অবশ্যই লক্ষ রাখুন যে এলাকাটা বদ্ধ কি না। বদ্ধ এলাকায়
স্প্রে করলে বায়ুতে রাসানিক বস্তুর ঘনত্ব হঠাৎ বেড়ে যায়, এতে তৎক্ষণাৎ যে
কারো প্রশ্বাসের সঙ্গে শরীরে অধিক পরিমাণ রাসায়নিক বস্তু প্রবেশ করতে পারে।
এসব স্প্রে সাধারণত কিছু জীবাণু, কীট বা দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী বায়ুকণা নষ্ট
করার জন্য তৈরি করা হয়ে থাকে। অর্থাৎ এতে ক্ষতিকর রাসানিক বস্তু ব্যবহার
অব্যশই দরকার, যা মানুষ বা আশপাশের পোষা প্রাণীর জন্য ক্ষতিকর, তা সে যত
কমই হোক। অ্যারোসল তৈরি করা হয় কিছু বিশেষ প্রজাতির মশা বা কীটপতঙ্গের
উদ্দেশ্যে। তাই ভালো করে জেনে নির্দিষ্ট এলাকার জন্য প্রয়োজনীয় অ্যারোসল
ব্যবহার করুন। অন্যথায় অতিরিক্ত পরিমাণে স্প্রে করেও মশা তাড়ানো সম্ভব হবে
না। বরং মানুষের জন্য ক্ষতিকর। এয়ারফ্রেশনার ব্যবহার করার জন্যও চেষ্টা
করুন প্রাকৃতিক পারফিউম বা সুগদ্ধি দিয়ে তৈরি এয়ারফ্রেশনার কিনতে। স্প্রে
করার জন্য বাচ্চাদের হাতে তুলে দেবেন না। অযথা বেশি পরিমাণে স্প্রে করা
থেকে বিরত থাকুন। স্প্রে করার সময় দরজা-জানালা খুলে রাখুন।
No comments