ট্রেভন হত্যা মামলার রায়-আত্মরক্ষা আইন নিয়ে চিন্তা-ভাবনার আহবান
যুক্তরাষ্ট্রে আত্মরক্ষার্থে হামলার
অধিকার-সংক্রান্ত আইন 'স্ট্যান্ড ইয়োর গ্রাউন্ড' নিয়ে নতুন করে
বিচার-বিশ্লেষণের আহ্বান জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এরিক হোল্ডার।
ফ্লোরিডায় কৃষ্ণাঙ্গ কিশোর ট্রেভন মার্টিনের হত্যাকারী জর্জ জিমারম্যান এ
আইনের ফাঁক গলে বেকসুর খালাস পেয়েছেন গত শনিবার।
এর পর
থেকেই আইনটি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার
ফ্লোরিডায় এক সম্মেলনে আইনটি নিয়ে নতুন করে ভাবার আহ্বান জানান হোল্ডার। এ
আইনের কারণে 'জননিরাপত্তা খর্ব' হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
২০১২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের স্যানফোর্ড শহরে স্বেচ্ছাসেবী প্রহরী জিমারম্যানের গুলিতে মারা যায় নিরস্ত্র ট্রেভন মার্টিন (১৭)। আদালতে জিমারম্যান দাবি করেন, আত্মরক্ষার উদ্দেশ্যেই ট্রেভনকে গুলি করেছিলেন তিনি। গত শনিবার ফ্লোরিডার একটি আদালত জিমারম্যানকে বেকসুর খালাস দেন। রায়ের পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে গণবিক্ষোভ তৈরি হয়।
জিমারম্যানের পক্ষে 'স্ট্যান্ড ইয়োর গ্রাউন্ড' আইনকে যুক্তি হিসেবে ব্যবহার করেছেন তাঁর আইনজীবীরা। এ আইন অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা যেকোনো ধরনের হুমকি প্রতিহত করার জন্য প্রাণঘাতী শক্তি প্রয়োগের অধিকার ভোগ করে। নিজের জীবন বাঁচাতে আগ বাড়িয়ে হামলার অধিকার দেওয়া হয়েছে মার্কিন নাগরিকদের। যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৩০টি রাজ্যে এ ধরনের আইন কার্যকর আছে। জিমারম্যান খালাস পাওয়ায় এ আইনের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। গত মঙ্গলবার ফ্লোরিডার ওরল্যান্ডোতে বর্ণবাদবিরোধী সংগঠন ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব অ্যাডভান্সমেন্ট অব কালারড পিপলের (এনএএসিপি) বার্ষিক সম্মেলনে স্ট্যান্ড ইয়োর গ্রাউন্ডসহ আত্মরক্ষামূলক সব আইন নিয়ে নতুন করে চিন্তা-ভাবনার আহ্বান জানান হোল্ডার, 'ট্রেভন হত্যা মামলা জনগণের মধ্যে ব্যাপক আলোড়ন তৈরি করেছে। যেসব আইন নির্বোধের মতো আত্মরক্ষার ধারণাকে প্রসারিত করেছে এবং সমাজে মারাত্মক সংঘাত তৈরি করেছে, সেগুলো নিয়ে এখন প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। সহজে প্রতিহত করা সম্ভব, এমন সব হুমকির ক্ষেত্রে প্রাণঘাতী শক্তি প্রয়োগের আইনি ভিত্তি থাকা উচিত নয়।' আত্মরক্ষার্থে হামলার অধিকার দেওয়া আইনগুলোর কারণে নিরপরাধ মানুষের প্রাণহানির সংখ্যা বাড়ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সূত্র : এএফপি।
২০১২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের স্যানফোর্ড শহরে স্বেচ্ছাসেবী প্রহরী জিমারম্যানের গুলিতে মারা যায় নিরস্ত্র ট্রেভন মার্টিন (১৭)। আদালতে জিমারম্যান দাবি করেন, আত্মরক্ষার উদ্দেশ্যেই ট্রেভনকে গুলি করেছিলেন তিনি। গত শনিবার ফ্লোরিডার একটি আদালত জিমারম্যানকে বেকসুর খালাস দেন। রায়ের পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে গণবিক্ষোভ তৈরি হয়।
জিমারম্যানের পক্ষে 'স্ট্যান্ড ইয়োর গ্রাউন্ড' আইনকে যুক্তি হিসেবে ব্যবহার করেছেন তাঁর আইনজীবীরা। এ আইন অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা যেকোনো ধরনের হুমকি প্রতিহত করার জন্য প্রাণঘাতী শক্তি প্রয়োগের অধিকার ভোগ করে। নিজের জীবন বাঁচাতে আগ বাড়িয়ে হামলার অধিকার দেওয়া হয়েছে মার্কিন নাগরিকদের। যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৩০টি রাজ্যে এ ধরনের আইন কার্যকর আছে। জিমারম্যান খালাস পাওয়ায় এ আইনের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। গত মঙ্গলবার ফ্লোরিডার ওরল্যান্ডোতে বর্ণবাদবিরোধী সংগঠন ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব অ্যাডভান্সমেন্ট অব কালারড পিপলের (এনএএসিপি) বার্ষিক সম্মেলনে স্ট্যান্ড ইয়োর গ্রাউন্ডসহ আত্মরক্ষামূলক সব আইন নিয়ে নতুন করে চিন্তা-ভাবনার আহ্বান জানান হোল্ডার, 'ট্রেভন হত্যা মামলা জনগণের মধ্যে ব্যাপক আলোড়ন তৈরি করেছে। যেসব আইন নির্বোধের মতো আত্মরক্ষার ধারণাকে প্রসারিত করেছে এবং সমাজে মারাত্মক সংঘাত তৈরি করেছে, সেগুলো নিয়ে এখন প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। সহজে প্রতিহত করা সম্ভব, এমন সব হুমকির ক্ষেত্রে প্রাণঘাতী শক্তি প্রয়োগের আইনি ভিত্তি থাকা উচিত নয়।' আত্মরক্ষার্থে হামলার অধিকার দেওয়া আইনগুলোর কারণে নিরপরাধ মানুষের প্রাণহানির সংখ্যা বাড়ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সূত্র : এএফপি।
No comments