ভুল রায়, আপিল হবে : রাজ্জাক
বুদ্ধিজীবী হত্যাসহ একাত্তরে মানবতাবিরোধী
অপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ
মুজাহিদের বিরুদ্ধে দেওয়া ট্রাইব্যুনালের রায়কে ভুল ও ন্যায়বিচারের
পরিপন্থী হিসেবে উল্লেখ করে এর বিরুদ্ধে আপিল করা হবে বলে জানিয়েছেন তাঁর
প্রধান আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক।
একইভাবে
মুজাহিদের ছোট ছেলে আলী আহমেদ মাবরুরও দাবি করেছেন, ট্রাইব্যুনালের রায়ে
তাঁর বাবার ওপর অবিচার করা হয়েছে। তাঁরা ন্যায়বিচার পাননি।
এদিকে ব্যারিস্টার রাজ্জাক তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, 'মাননীয় বিচারপতিদের প্রতি সম্পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখে বলছি, তাঁদের এই রায় সম্পূর্ণ ভুল। তাঁরা আন্তর্জাতিক আইন অনুধাবন করতে এবং এর সঠিক ব্যাখ্যা প্রদানে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছেন। তাঁরা যে রায় দিয়েছেন তা আইনের শাসন এবং ন্যায়বিচারের পরিপন্থী। এ রায়ে আমরা সংক্ষুব্ধ। রাষ্ট্রপক্ষ মুজাহিদের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।'
গতকাল বুধবার ট্রাইব্যুনালের রায়ের পর ব্যারিস্টার রাজ্জাক তাঁর ধানমণ্ডির বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিক্রিয়া জানান। এ সময় তিনি বলেন, একাত্তর সালে আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র ছিলেন। তিনি তখন সরকারের কোনো দায়িত্বশীল পদে ছিলেন না। তাঁর সঙ্গে সামরিক-বেসামরিক কোনো ব্যক্তির কোনো বৈঠক হয়েছে বা কোনো কমিটিতে তাঁর নাম আছে, এমন তথ্য রাষ্ট্রপক্ষ উপস্থাপন করতে পারেনি।
ব্যারিস্টার রাজ্জাক আরো বলেন, 'যে পাঁচটি অভিযোগে মুজাহিদকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে, রাষ্ট্রপক্ষ তা প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে। এ মামলায় মানবতাবিরোধী কোনো উপাদান নেই। এ রায়ে আমরা সংক্ষুব্ধ। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে।'
ব্যারিস্টার রাজ্জাক বলেন, মুজাহিদের বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগে সাংবাদিক সিরাজউদ্দিন হোসেন অপহরণ ও হত্যার কথা বলা হয়েছে। অথচ সাক্ষী সিরাজউদ্দিনের ছেলে জেরায় স্বীকার করেছেন, ১৯৭২ সালে রমনা থানায় দালাল আইনে একটি মামলা করেছিলেন। ওই মামলায় তিনি সাক্ষ্যও দিয়েছিলেন। ওই মামলায় একজনের সাজাও হয়েছিল। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক আদালতে যাঁদের বিচার হয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে নিহতদের পরিবারের সদস্যরা সাক্ষ্য দিয়েছেন। আমাদের এখানে শোনা সাক্ষীর ওপর ভিত্তি করে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।'
এর আগে রায়ের পরপরই ট্রাইব্যুনাল থেকে বেরিয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী সাইফুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, দায়সারাভাবে মুজাহিদের ওপর অপরাধের দায় চাপানো হয়েছে। সাংবাদিক সিরাজউদ্দিন হোসেন হত্যার ঘটনায় খলিল নামে এক ব্যক্তিকে ১৯৭৩ সালে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। সেই অপরাধে ৪০ বছর পর আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলো।
ছেলের প্রতিক্রিয়া : ট্রাইব্যুনালের রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের ছেলে আলী আহমেদ মাবরুর বলেছেন, 'আমার বাবা কখনো আলবদর বাহিনীর সদস্য ছিলেন না। তাঁকে আলবদর বাহিনীর প্রধান হিসেবে যে পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভুল।'
গতকাল রায় শোনার জন্য মুজাহিদের তিন ছেলে ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন। রায়ের পর সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ছোট ছেলে মাবরুর আরো বলেন, 'রায়ে বলা হয়েছে, আমার বাবা অক্টোবরে ইসলামী ছাত্রসংঘের সভাপতি হন। আর ইসলামী ছাত্রসংঘের নেতা হিসেবে আলবদর বাহিনীর প্রধান ছিলেন। আলবদর বাহিনী গঠিত হয়েছে অক্টোবরের অনেক আগেই। সুতরাং আলবদর বাহিনীর অপরাধের দায় আমার বাবার ওপর চাপানো হলো কিভাবে?' তিনি আরো বলেন, 'এ রায়ে আমার বাবার ওপর অবিচার করা হয়েছে। আমরা ন্যায়বিচার পাইনি।'
এদিকে ব্যারিস্টার রাজ্জাক তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, 'মাননীয় বিচারপতিদের প্রতি সম্পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখে বলছি, তাঁদের এই রায় সম্পূর্ণ ভুল। তাঁরা আন্তর্জাতিক আইন অনুধাবন করতে এবং এর সঠিক ব্যাখ্যা প্রদানে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছেন। তাঁরা যে রায় দিয়েছেন তা আইনের শাসন এবং ন্যায়বিচারের পরিপন্থী। এ রায়ে আমরা সংক্ষুব্ধ। রাষ্ট্রপক্ষ মুজাহিদের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।'
গতকাল বুধবার ট্রাইব্যুনালের রায়ের পর ব্যারিস্টার রাজ্জাক তাঁর ধানমণ্ডির বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিক্রিয়া জানান। এ সময় তিনি বলেন, একাত্তর সালে আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র ছিলেন। তিনি তখন সরকারের কোনো দায়িত্বশীল পদে ছিলেন না। তাঁর সঙ্গে সামরিক-বেসামরিক কোনো ব্যক্তির কোনো বৈঠক হয়েছে বা কোনো কমিটিতে তাঁর নাম আছে, এমন তথ্য রাষ্ট্রপক্ষ উপস্থাপন করতে পারেনি।
ব্যারিস্টার রাজ্জাক আরো বলেন, 'যে পাঁচটি অভিযোগে মুজাহিদকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে, রাষ্ট্রপক্ষ তা প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে। এ মামলায় মানবতাবিরোধী কোনো উপাদান নেই। এ রায়ে আমরা সংক্ষুব্ধ। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে।'
ব্যারিস্টার রাজ্জাক বলেন, মুজাহিদের বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগে সাংবাদিক সিরাজউদ্দিন হোসেন অপহরণ ও হত্যার কথা বলা হয়েছে। অথচ সাক্ষী সিরাজউদ্দিনের ছেলে জেরায় স্বীকার করেছেন, ১৯৭২ সালে রমনা থানায় দালাল আইনে একটি মামলা করেছিলেন। ওই মামলায় তিনি সাক্ষ্যও দিয়েছিলেন। ওই মামলায় একজনের সাজাও হয়েছিল। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক আদালতে যাঁদের বিচার হয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে নিহতদের পরিবারের সদস্যরা সাক্ষ্য দিয়েছেন। আমাদের এখানে শোনা সাক্ষীর ওপর ভিত্তি করে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।'
এর আগে রায়ের পরপরই ট্রাইব্যুনাল থেকে বেরিয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী সাইফুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, দায়সারাভাবে মুজাহিদের ওপর অপরাধের দায় চাপানো হয়েছে। সাংবাদিক সিরাজউদ্দিন হোসেন হত্যার ঘটনায় খলিল নামে এক ব্যক্তিকে ১৯৭৩ সালে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। সেই অপরাধে ৪০ বছর পর আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলো।
ছেলের প্রতিক্রিয়া : ট্রাইব্যুনালের রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের ছেলে আলী আহমেদ মাবরুর বলেছেন, 'আমার বাবা কখনো আলবদর বাহিনীর সদস্য ছিলেন না। তাঁকে আলবদর বাহিনীর প্রধান হিসেবে যে পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভুল।'
গতকাল রায় শোনার জন্য মুজাহিদের তিন ছেলে ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন। রায়ের পর সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ছোট ছেলে মাবরুর আরো বলেন, 'রায়ে বলা হয়েছে, আমার বাবা অক্টোবরে ইসলামী ছাত্রসংঘের সভাপতি হন। আর ইসলামী ছাত্রসংঘের নেতা হিসেবে আলবদর বাহিনীর প্রধান ছিলেন। আলবদর বাহিনী গঠিত হয়েছে অক্টোবরের অনেক আগেই। সুতরাং আলবদর বাহিনীর অপরাধের দায় আমার বাবার ওপর চাপানো হলো কিভাবে?' তিনি আরো বলেন, 'এ রায়ে আমার বাবার ওপর অবিচার করা হয়েছে। আমরা ন্যায়বিচার পাইনি।'
No comments