অনলাইন থেকে-শুভ জন্মদিন ম্যান্ডেলা
যত ব্যস্ততাই থাকুক, আজ প্রত্যেকেই নিজের
সময় থেকে ৬৭ মিনিট করে ব্যয় করবে, প্রিয় নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার নামে।
ম্যান্ডেলা দিবসের এই সময়টা তারা উৎসর্গ করবে জনহিতকর কোনো কাজের মাধ্যমে।
এই সংখ্যাটি ম্যান্ডেলার জীবনের সংগ্রামের প্রতীক। জীবনের ৬৭ বছর তিনি
উৎসর্গ করেছেন শুধু দক্ষিণ আফ্রিকার মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য। সেই
ত্যাগের কারণেই বর্ণবাদবিরোধী সংগ্রামে নিজেকে শীর্ষনেতৃত্বে পৌঁছাতে
পেরেছিলেন তিনি। সুতরাং সেই মানুষটির জন্য মাত্র ৬৭ মিনিট ব্যয় করবে দক্ষিণ
আফ্রিকার মানুষ, এটা কি আর খুব বেশি কিছু? ৯৫ বছর পেরিয়ে যাবেন তিনি এই
জন্মদিনে।
শ্রদ্ধা-ভালোবাসা আর পরবর্তী প্রজন্মের অনুভূতির খোঁজ নেওয়া যায়, আফ্রিকার সব স্থানেই। এই যেমন ছোট মেয়ে মালালার কথাই ধরা যাক। সে প্রিয় নেতা নেলসন ম্যান্ডেলাকে চিঠি লিখেছিল একটা। বড় আবেগঘন চিঠি। স্পষ্টতই সে স্বীকার করেছিল তার নেতার সামনে। বলেছিল, শুধু তোমার জন্য আমি অন্য বর্ণের বন্ধু পেয়েছি। আর এখন আমার আকাঙ্ক্ষা, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী প্রেসিডেন্ট হবো আমি।
তাঁর জন্মদিনে বিশ্বের নেতারা তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন বলেছেন, নেলসন ম্যান্ডেলা তাঁর জীবনে কাজের মাধ্যমে দেখিয়েছেন, সমস্যা যত বেশি বড় হোক না কেন, আন্তরিকতা ও সদিচ্ছা তার সমাধান ডেকে আনতে বাধ্য। বিভাজন মানুষকে এগিয়ে যেতে বাধা দেয়। ম্যান্ডেলা বলেছেন, ইতিহাস আমাদের দেখিয়ে দেবে, আমরা আমাদের শিশুদেরও কিভাবে বিভাজন করেছি। তাদের কিভাবে জীবনের শুরু থেকেই পৃথক হওয়ার ভাবনা তৈরি করে দিয়েছি।
নেলসন ম্যান্ডেলার জীবনচিত্র তৈরি হচ্ছে পুরোদমে। দক্ষিণ আফ্রিকার চিত্রপরিচালক অনন্ত সিং এক দশককাল আগেই নেলসন ম্যান্ডেলার ওপর জীবনচিত্র তৈরির অনুমতি পেয়েছিলেন। সেই কাজটি এগিয়ে চলেছে। লং ওয়াক টু ফ্রিডম নামের এই জীবনীচিত্রটি আগামী নভেম্বরে কিংবা ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে মুক্তি পেতে পারে। সেখানে ব্রিটিশ শিল্পী ইদ্রিস এলবা নেলসন ম্যান্ডেলার চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
এমন সময় বর্ণবাদবিরোধী সেই মহান নেতা হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন; কিন্তু আফ্রিকার মানুষের প্রত্যাশা- তিনি অবশ্যই হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আসবেন। আবার তিনি গণমানুষের কথা বলবেন। তাঁরা নেলসন ম্যান্ডেলার চিকিৎসকদের ব্যাপারেও যথেষ্ট আস্থাবান। মনে করেন, চিকিৎসকরা নিশ্চয়ই তাঁকে সুস্থ করে তুলবেন। প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমা অবশ্য আশা করার সঙ্গে ভালোবাসার প্রসঙ্গ টেনেছেন। আর বলেছেন, এটা বলতে পারেন চিকিৎসকরা। আমরা আশা করতে পারি, আমাদের নেতা আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবেন।
লেখক : রিনা নিনান, এবিসি নিউজ থেকে ভাষান্তর মোস্তফা হোসেইন
শ্রদ্ধা-ভালোবাসা আর পরবর্তী প্রজন্মের অনুভূতির খোঁজ নেওয়া যায়, আফ্রিকার সব স্থানেই। এই যেমন ছোট মেয়ে মালালার কথাই ধরা যাক। সে প্রিয় নেতা নেলসন ম্যান্ডেলাকে চিঠি লিখেছিল একটা। বড় আবেগঘন চিঠি। স্পষ্টতই সে স্বীকার করেছিল তার নেতার সামনে। বলেছিল, শুধু তোমার জন্য আমি অন্য বর্ণের বন্ধু পেয়েছি। আর এখন আমার আকাঙ্ক্ষা, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী প্রেসিডেন্ট হবো আমি।
তাঁর জন্মদিনে বিশ্বের নেতারা তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন বলেছেন, নেলসন ম্যান্ডেলা তাঁর জীবনে কাজের মাধ্যমে দেখিয়েছেন, সমস্যা যত বেশি বড় হোক না কেন, আন্তরিকতা ও সদিচ্ছা তার সমাধান ডেকে আনতে বাধ্য। বিভাজন মানুষকে এগিয়ে যেতে বাধা দেয়। ম্যান্ডেলা বলেছেন, ইতিহাস আমাদের দেখিয়ে দেবে, আমরা আমাদের শিশুদেরও কিভাবে বিভাজন করেছি। তাদের কিভাবে জীবনের শুরু থেকেই পৃথক হওয়ার ভাবনা তৈরি করে দিয়েছি।
নেলসন ম্যান্ডেলার জীবনচিত্র তৈরি হচ্ছে পুরোদমে। দক্ষিণ আফ্রিকার চিত্রপরিচালক অনন্ত সিং এক দশককাল আগেই নেলসন ম্যান্ডেলার ওপর জীবনচিত্র তৈরির অনুমতি পেয়েছিলেন। সেই কাজটি এগিয়ে চলেছে। লং ওয়াক টু ফ্রিডম নামের এই জীবনীচিত্রটি আগামী নভেম্বরে কিংবা ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে মুক্তি পেতে পারে। সেখানে ব্রিটিশ শিল্পী ইদ্রিস এলবা নেলসন ম্যান্ডেলার চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
এমন সময় বর্ণবাদবিরোধী সেই মহান নেতা হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন; কিন্তু আফ্রিকার মানুষের প্রত্যাশা- তিনি অবশ্যই হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আসবেন। আবার তিনি গণমানুষের কথা বলবেন। তাঁরা নেলসন ম্যান্ডেলার চিকিৎসকদের ব্যাপারেও যথেষ্ট আস্থাবান। মনে করেন, চিকিৎসকরা নিশ্চয়ই তাঁকে সুস্থ করে তুলবেন। প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমা অবশ্য আশা করার সঙ্গে ভালোবাসার প্রসঙ্গ টেনেছেন। আর বলেছেন, এটা বলতে পারেন চিকিৎসকরা। আমরা আশা করতে পারি, আমাদের নেতা আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবেন।
লেখক : রিনা নিনান, এবিসি নিউজ থেকে ভাষান্তর মোস্তফা হোসেইন
No comments