আল্লামা শফীর উদ্দেশে কিছু কথা by ড. ফেরদৌস আহমদ কোরেশী

‘কোনো ব্যক্তির ঘরে কন্যা সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর সে যেন তাকে জাহেলিয়াতের যুগের ন্যায় জীবিত কবর না দেয় এবং তাকে তুচ্ছ মনে না করে, আর পুত্র সন্তানকে উক্ত কন্যা সন্তানের উপর প্রাধান্য না দেয়। তাহলে আল্লাহ তাকে বেহেশত দান করবেন।’ [নবী করিম (সা.)-এর বাণী : হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত - আবু দাউদ ]।
উদ্ধৃত হাদিসটিতে লক্ষ্য করার মতো তিনটি বিষয় রয়েছে। ১. এতে ইসলামপূর্ব আরবে কন্যা সন্তান জন্মালে তাকে জীবন্ত কবর দেয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। অর্থাৎ তেমনি এক সময়ে, তেমনি এক সমাজে কন্যা সন্তানকে তুচ্ছ মনে না করতে বলা হয়েছে এবং তার প্রতি অমানবিক আচরণ না করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ২. পুত্র সন্তানকে কন্যা সন্তানের উপর প্রাধান্য না দেয়ার সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়ে পুত্র সন্তান ও কন্যা সন্তানের সমমর্যাদার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। ৩. যে ব্যক্তি কন্যা সন্তানের প্রতি অনুরূপ ন্যায়সঙ্গত আচরণ করবে তার জন্য পরকালে বেহেশতের সুসংবাদ দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে কোরআন ও হাদিসে অনুরূপ আরও অসংখ্য নির্দেশনা রয়েছে। ইসলামে নারীর অবস্থান কী হওয়া উচিত এ থেকেই তা স্পষ্ট।
*
সমাজে নারীর অবস্থান নিয়ে ‘হেফাজতে ইসলামে’র আমীর আল্লামা শফী সাহেবের কিছু মন্তব্য মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে। তিনি নারীকে তেঁতুলের সঙ্গে তুলনা করেছেন। বলেছেন, ‘নারী হচ্ছে তেঁতুল, তেঁতুল, তেঁতুল। তেঁতুল দেখলেই জিভে পানি আসে ... ইত্যাদি।’ তিনি গার্মেন্ট কর্মীদের প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘তারা সকালে বাইরে যায় রাত দশটা-এগারোটা-বারোটায় ফিরে আসে, কোথায় যায়, কোন্ পুরুষের সঙ্গে সময় কাটায় কে জানে ... ইত্যাদি।’ তিনি মেয়েদের স্থান গৃহের অভ্যন্তরে নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন এবং তাদের লেখাপড়ার সীমা চতুর্থ শ্রেণীতে বেঁধে দিয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই তার এ ধরনের বক্তব্যে সর্বমহলে, বিশেষ করে দেশের নারী সমাজে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
*
আল্লামা শফী যে ভাষায় এবং যে ভঙ্গিতে এসব কথা বলেছেন, নারীকে ‘তেঁতুলে’র সঙ্গে তুলনা করে যে ধরনের রসিকতা করেছেন, তা অবশ্য নতুন কিছু নয়। গ্রামবাংলার ওয়াজ-মাহফিলে কিছু মোল্লা-মৌলভী সাহেব এ ধরনের ‘মুখরোচক’ কথাবার্তা হামেশাই বলে থাকেন, বাল্যকাল থেকেই শুনে আসছি। সাধারণ মানুষ এসব শুনে খুব মজা পায়। যে মাওলানা সাহেব মেয়েদের নিয়ে যত বেশি মুখরোচক কথা বলেন, তার জনপ্রিয়তা তত বেশি। এ নিয়ে যত কম আলোচনা হয় ততই ভালো। কারণ বৃহত্তর সমাজ জীবনে এর কোনো প্রভাব পড়ে বলে মনে হয় না। সেটা বাংলাদেশের জনজীবনে, শিক্ষা ক্ষেত্রে, কর্মক্ষেত্রে, রাজনীতিতে নারীর বর্তমান অবস্থার দিকে তাকালেই বোঝা যায়।
তবে আল্লামা শফীর মতো একজন বর্ষীয়ান ধর্মজ্ঞ ব্যক্তিও সেই একই ভাষায় কথা বলবেন, গ্রাম্য মোল্লাদের মতো নারীদের নিয়ে অশোভন ভাষায় সস্তা রসিকতা করে লোক হাসাবার চেষ্টা করবেন, সেটা আমার ধারণার বাইরে ছিল। দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে তার যে মর্যাদার আসন গড়ে উঠেছিল, এ ধরনের বক্তব্যে সেই অবস্থানটি অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
*
শুরুতে আমরা ইসলামে নারীর অবস্থান সম্পর্কে যে হাদিসটি উদ্ধৃত করেছি, সেভাবেই মুসলমান সমাজে নারীর অবস্থান নির্ধারিত হতে হবে। পুত্র সন্তান ও কন্যা সন্তানকে সমদৃষ্টিতে দেখার এই নির্দেশনা অবশ্যই আমাদের নারীনীতিতে প্রতিফলিত হতে হবে। সেভাবেই রাষ্ট্রের নারীনীতি স্থির হতে হবে। আল্লামা শফী বা অন্য কোনো মাওলানার মন্তব্য-বক্তব্য রাসূলুল্লাহর নির্দেশনার উপরে স্থান পেতে পারে না। কাজেই তার এসব বক্তব্যে আমাদের নারী সমাজের উৎকণ্ঠিত হওয়ার কিছু নেই।
*
সমাজে নারীর অবস্থান, কর্মপরিধি, পেশাগত উপযোগিতা ইত্যাদি নিয়ে আদিকাল থেকেই টানাপোড়েন ও বিতর্ক চলে আসছে। নিছক দৈহিক শক্তি যখন ক্ষমতার নিয়ামক ছিল, তখন তুলনামূলকভাবে শক্তিমান পুরুষ অতি সহজেই নারীকে পরাভূত রাখতে পেরেছে। যুগ বদলের সঙ্গে সঙ্গে সমাজ জীবনের শক্তি বিন্যাসেও পরিবর্তন এসেছে। সেই সঙ্গে সমাজে মেয়েদের অবস্থান ও ভূমিকাও ধাপে ধাপে বদলে যাচ্ছে। পুরুষতান্ত্রিক সমাজের রক্ষণশীল ধর্মীয় নেতা বা সমাজপতিদের ভ্রুকুটি কোনো কাজে আসছে না।
এটা ঘটছে দুটি কারণে- ১. জীবনধারণের অপরিহার্য প্রয়োজনে এবং ২. বিজ্ঞানের জয়যাত্রায় কাজের ধরন ও সমাজ কাঠামোর গুণগত পরিবর্তনে।
এক শতাব্দী আগেও দুনিয়ার প্রায় সব সমাজেই নারীর জীবন মূলত গৃহকর্মেই সীমাবদ্ধ থেকেছে। পুরুষ মাঠে-ময়দানে কাজ করবে আর নারী ঘর সামলাবে, এটাই ছিল সার্বজনীন রীতি ও কর্মবিভাজন। নারীরাও যা মেনে নিয়েছে। ইউরোপ-আমেরিকাও এর ব্যতিক্রম ছিল না। কিন্তু এ শতাব্দীর দুই দুইটি মহাযুদ্ধ পশ্চিমে, বিশেষত ইউরোপে সেই প্রেক্ষাপট পাল্টে দিল। যুদ্ধে অসংখ্য প্রাণহানি ও অঙ্গহানিতে সবপক্ষে কর্মক্ষম পুরুষের সংখ্যা মারাত্মকভাবে কমে যায়। অর্থনৈতিক মন্দায় সামাজিক ও পারিবারিক জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। সেই বাস্তবতায় পুরুষের শূন্যস্থান পূরণ করে পরিবারের হাল ধরতে হয়েছে লাখ লাখ নারীকে। নিছক প্রয়োজনের তাগিদেই যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউরোপে নারীকে আয়-রোজগারের জন্য কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করতে হয়েছে। সমাজকেও তার সঙ্গে মানিয়ে নিতে হয়েছে। যার অনিবার্য প্রভাব পড়েছে সারা পৃথিবীতে।
পাশাপাশি গত এক শতকে, বিশেষ করে বিগত সিকি শতকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অবিশ্বাস্য জয়যাত্রায় মেধা শক্তি ক্রমেই পেশীশক্তির জায়গা দখল করে নিয়েছে। বিশালাকার যন্ত্রের আকার ও ওজন কমতে কমতে হাতের তালুতে চলে এসেছে। গাঁইতি-কোদাল, হাতুড়ি-বাটালের জায়গা করে নিচ্ছে ডিজিটাল সিগনাল। ফলে পুরুষের পেশিশক্তির দাপট এখন আর আগের মতো কাজে আসছে না। পেশিশক্তিতে নারী পিছিয়ে থাকলেও মেধাশক্তিতে বিধাতা নারী-পুরুষে দৃশ্যমান কোনো পার্থক্য রাখেননি। স্কুলের পরীক্ষার ফলাফলে মেধাতালিকার দিকে তাকালেই তা দেখতে পাই। মেধাশক্তির প্রতিযোগিতায় এখন প্রায় সব ক্ষেত্রেই নারী ও পুরুষের যোগ্যতা-দক্ষতা সমপর্যায়ে চলে আসছে। পরিণামে নারী-পুরুষের সম্পর্কেও গুণগত পরিবর্তন চলে এসেছে।
সারা পৃথিবীতে এখন সব ধরনের পেশাতেই নারীর বিচরণ। আমদের দেশও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। এ বাস্তবতা মেনে নিয়েই নতুনভাবে সমাজ-শৃংখলা বিনির্মাণের কথা ভাবতে হবে। আল্লামা শফী এবং তার অনুসারীরা সেদিক থেকে মুখ ফিরিয়ে রেখে চলমান সমাজ-প্রবাহকে পেছন থেকে টেনে ধরে রাখার যত চেষ্টাই করুন না কেন, তাতে কোনো ফল হবে বলে মনে হয় না।
*
লক্ষ্য করার বিষয়, আমাদের কিছু মাওলানা সাহেব তাদের ওয়াজ নসিহতে নারীর পর্দা এবং পোশাক-পরিচ্ছদ নিয়ে অনেক কিছু বলে থাকেন। আমাদের মেয়েরা ঐতিহ্যগতভাবেই শালীন পোশাক পরিধান করে থাকেন। এজন্য তাদের কোনো প্রকার চাপ প্রয়োগ করতে হয় না। ঢাকার রাস্তার দিকে তাকালেই তা বোঝা যায়। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় বা অফিস-আদালতে কর্মরত মেয়েদের দিকে তাকালেও বোঝা যায়। তাদের শতকরা ৮০/৯০ জনই যথেষ্ট সতর্কতার সঙ্গে পোশাক পরিধান করে থাকেন। দু’-চারজন ব্যতিক্রমী মহিলাকে দিয়ে আমাদের নারী সমাজকে ঢালাওভাবে সমালোচনা করা অন্যায়। গার্মেন্টকর্মীরা যখন দলে দলে কর্মস্থলের দিকে ছোটে, তখন তাদের সেই মিছিলের দিকে তাকালেও তা-ই দেখা যায়। শহুরে উচ্চবিত্ত পরিবারের কিছু মেয়েকে ইদানীং কিছুটা উগ্র পোশাক পরিধান করতে দেখা যায়। তাদের সংখ্যা খুবই কম। ধর্তব্যের মধ্যে নয়। তবে তারাও তেমন পোশাকে কর্মস্থলে যায় না।
*
আল্লামা শফী আমাদের গার্মেন্টকর্মীদের সম্পর্কে যেসব কথা বলেছেন তা খুবই দুঃখজনক। অভাবের সংসার থেকে আসা এই মেয়েরা এখন এক বিশাল কর্মযজ্ঞের নিয়ামক শক্তিতে পরিণত হয়েছে। তাদের উদয়াস্ত পরিশ্রমে (আল্লামা শফীর ভাষায় সকাল থেকে রাত আটটা-নয়টা-বারোটা) দেশের অর্থনীতি প্রাণ ফিরে পেয়েছে। যদিও তার সুফল তারা ভোগ করছে খুব সামান্যই। দেশ এবং দেশের একটি সুবিধাভোগী শ্রেণী বিপুলভাবে লাভবান হলেও এই হতোভাগিনীদের মানবেতর জীবনের অবসান হয়নি। আমাদের মেয়েরা যুগ যুগ ধরে সেলাই-ফোঁড়নের কাজে দক্ষতা দেখিয়ে আসছে। কিন্তু এতকাল তা গৃহস্থালী পর্যায়ে সীমাবদ্ধ ছিল। এখন তাদের সেই দক্ষতা দুনিয়াজোড়া বিশাল অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যবহƒত হয়ে একটা বিপ্লব ঘটিয়ে ফেলেছে। এ থেকে পিছিয়ে আসার কোনো সুযোগ নেই। প্রয়োজনও নেই। প্রয়োজন এ ক্ষেত্রে যথাযথ নিয়ম-শৃংখলা প্রবর্তন করা। শ্রমের ন্যায্যমূল্য ও মর্যাদা নিশ্চিত করা। গার্মেন্টকর্মীদের সুস্থ-সুন্দর ও মানবিক জীবন উপহার দেয়া।
আল্লামা শফী এবং তার সহযোগীদের দৃষ্টি সেদিকে আকৃষ্ট হওয়া প্রয়োজন ছিল। রাসূলুল্লাহর নির্দেশ মতো ‘কন্যাদেরকে পুত্রদের’ সমান বিবেচনা করে গার্মেন্টের মেয়েদের পুরুষের সমপর্যায়ে ন্যায্য মজুরি ও সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা, কর্মস্থলে ইজ্জত-আব্র“ রক্ষা করে কাজ করার পরিবেশ বহাল করা, তাদের পর্দা-পুশিদা মতো থাকার উপযুক্ত বাসস্থান ও যাতায়াতের নিরাপদ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা ... ইত্যাদি বিষয়ের দিকে তারা দৃষ্টি দেবেন সেটাই প্রত্যাশিত ছিল। কিন্তু তা না করে তারা ঢালাওভাবে এই মেয়েদের চরিত্র হনন করেছেন। তাদের সম্পর্কে গিবৎ রটনা করেছেন। ইসলামে কোনো নারীর নামে মিথ্যা গিবৎ রটনা করার জন্য কী ধরনের শাস্তির কথা বলা হয়েছে তা উল্লেখ করে হুজুরদের লজ্জা দিতে চাই না।
*
নারী-পুরুষের একত্রে কাজ করার ব্যাপারে যাদের আপত্তি, তাদের সময়ের বাস্তবতা অনুধাবন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা অবশ্যই আছে। সেজন্য পশ্চিমের দেশগুলোতে কর্মস্থলে নারী সহকর্মীর প্রতি আচরণ কঠোরভাবে বিধিবদ্ধ করা হয়েছে। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় বা অন্যত্র নারী-পুরুষের প্রকাশ্য আপত্তিকর আচরণ কেইবা পছন্দ করে? জনমত জরিপ করলে শতকরা ৯৯ জন এর বিপক্ষে অবস্থান নেবে। সামাজিক প্রতিরোধ গড়েই এসব রুখতে হবে। পশ্চিমের দেশগুলোতেও সহশিক্ষা নিয়ে বিতর্ক হয়। আমাদের দেশের মতো সেখানেও মেয়েদের আলাদা স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় আছে। কিন্তু সব শিক্ষা, বিশেষ করে উচ্চশিক্ষা সেভাবে পৃথকীকরণ করা বাস্তবসম্মত নয়। নারীকে এবং নারীদেহকে পণ্য হিসেবে ব্যবহার করা এখন বড় মাপের ব্যবসা। এর বিরুদ্ধেও এখন দুনিয়াজুড়েই প্রতিবাদ উঠছে। নোংরা ওয়েবসাইট, পর্নোগ্রাফি গ্রাস করছে বিশ্ব জনপদ। একের পর এক পশ্চিমের দেশগুলোতে ‘সমলিঙ্গ’ বিবাহ আইনসিদ্ধ হচ্ছে। এসব সমাজবিধ্বংসী টাইফুন কী করে রুখতে হবে, সেদিকেই দৃষ্টি দেয়া দরকার।
*
তবে নারী দেখলেই ‘যাদের মুখে লালা আসে না’ তারা যদি শফী সাহেবের ভাষায় ‘ধ্বজভঙ্গ’ রোগী হয়, তাহলে নারী দেখামাত্রই যাদের লালা ঝরতে থাকে তারা তো আরও বড় রোগী। দু’টারই চিকিৎসা দরকার।
তেঁতুল গাছ দেখলেই তাতে ঢিল মারা বিধেয় নয়। সেজন্য সমাজকে বিধিবিধান শক্ত করতে হবে। পশ্চিমের দেশগুলোতে একই অফিসে পাশাপাশি কর্মরত কোনো মহিলাকে আকারে ইঙ্গিতেও কোনো আপত্তিকর বার্তা দেয়া, এমনকি বাঁকা চোখে তাকালেও, এখন গুরুতর দণ্ডনীয় অপরাধ। তাদেরও শক্ত হতে হচ্ছে। আমাদেরও হতে হবে। এটা কেবল শফী সাহেবের সমস্যা নয়, গোটা সমাজের সমস্যা। গোটা দুনিয়ার সমস্যা। নারীকে শৃংখলিত করে তার সমাধান হবে না। রাষ্ট্রের আইন এবং কঠোর সামাজিক শৃংখলা প্রবর্তন করেই তার সমাধান খুঁজতে হবে।
*
বর্তমান বিশ্বে কোনো শিশুকে বিদ্যা শিক্ষা থেকে দূরে রাখা তাকে জীবন্ত কবর দেয়ার শামিল। তাই যারা বলেন, মেয়েরা চতুর্থ শ্রেণীর বেশি পড়বে না, তাদের বক্তব্যে আইয়ামে জাহেলিয়ার মতো কন্যা সন্তানকে জীবন্ত কবর দেয়ার আভাস পাওয়া যায়। আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের তালেবানদের হাতে নিগৃহিতা স্কুলছাত্রীদের আর্তনাদ প্রকৃতপক্ষে আইয়ামে জাহেলিয়ার জীবন্ত কবর দেয়া সেই সব শিশুরই আর্তনাদ।
আমাদের দেশে আমরা তেমন আর্তনাদ শুনতে চাই না। আমার বিশ্বাস আল্লামা শফীও তা চান না।
ড. ফেরদৌস আহমদ কোরেশী : ভূরাজনীতি ও উন্নয়ন গবেষক, চেয়ারম্যন, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল-পিডিপি

No comments

Powered by Blogger.