হলিউড আসুন ভিলেন হই
যুগটা হিরোদেরও নয়, সুপারহিরোদের। এই যুগে
ব্যাটম্যান, সুপারম্যানদের জয়জয়কার। সবাই নায়ক বনতে চায়। সাজতে চায় সুপার
হিরো। সুপার হিরোদের পেশির তাকদের কাছে যে হার মানে ভিলেন।
বিরাশি সিক্কার এক ঘুষি, তাতেই ভবলীলা সাঙ্গ ভিলেনকুলের। এই যুগে স্বেচ্ছায় ভিলেন হতে চায় কে!
গ্রু চায়! শুধু ভিলেন নয়, নিজেকে সে সুপারহিরোদের মতো ভাবে সুপার ভিলেন। সে চায় পৃথিবীর সেরা, সবচেয়ে কুখ্যাত ভিলেন হিসেবে ছড়িয়ে পড়ুক তার নাম। কিন্তু গ্রুর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আবির্ভূত হয় অজানা এক ভিলেন, যে কিনা সবাইকে ফাঁকি দিয়ে চুরি করে আস্ত গিজার পিরামিডটাই! ভিলেন সমাজে হায় হায় উঠে যায়। অজানা-অখ্যাত এক ভিলেন কিনা তাদের টেক্কা দিয়ে এত বড় একটা বুজরুকি করে দেখাল!
গ্রু বুঝতে পারে মান বাঁচাতে আরও বড় কিছু করে দেখাতে হবে তাকে। ছোটবেলায় তার স্বপ্ন ছিল নভোচারী হবে, নিল আর্মস্ট্রংয়ের মতো চাঁদ জয় করে নায়ক হবে। সেই নায়ক যখন সে হতেই পারেনি, এখন যখন সে সুপার ভিলেন হতে চায়, তা-ই সই। এবার তার পরিকল্পনা আস্ত চাঁদটাই চুরি করে আনার!
সেই পরিকল্পনায় গ্রু কীভাবে সফল হয়েছিল, এরপর কীভাবে খলনায়কের বদলে নায়ক হয়ে গিয়েছিল, অনাথ আশ্রম থেকে নিজের ষড়যন্ত্র সফল করার জন্য পরিচয় পাল্টে তিন মেয়েকে দত্তক নিয়ে শেষ পর্যন্ত তাদের বাঁচাতে জীবনের ঝুঁকি নিয়েছিল, দত্তক নেওয়া তিন কন্যার আদর্শ বাবা হয়ে গিয়েছিল কীভাবে—সেই দুর্দান্ত গল্প নিয়ে বানানো হয়েছিল ডেসপিক্যাবল মি।
ঠিক তিন বছর পর অ্যানিমেটেড ছবি সাই-ফাই ছবিটির সিকুয়েল ডেসপিক্যাবল মি টু মুক্তি পেল এ মাসে। এবং আবারও মাতিয়ে দিল বিশ্ব। মাত্র ছয় কোটি ৯০ লাখ ডলার বাজেটের ছবি ডেসপিক্যাবল মি সেবার বিশ্বজুড়ে আয় করেছিল বাজেটের আট গুণ। ৫৪ কোটি ৩০ লাখ ডলার। এ মাসের প্রথম সপ্তাহে মুক্তির পর টানা দুই সপ্তাহ টপচার্টে থেকে ডেসপিক্যাবল মি টু পূর্বাভাস দিচ্ছে প্রথম ছবির চেয়েও বড় সাফল্যের। মাত্র দুই সপ্তাহেই যে এই ছবি আয় করেছে ৪৭ কোটি ২৪ লাখ ডলার!
ছবির এবারের গল্পটাও অসাধারণ। রহস্যজনকভাবে গোপন একটি গবেষণাগার আস্ত চুরি হয়ে যায়। এই খবর ভিলেনবিরোধী সংগঠন অ্যান্টি-ভিলেন লিগকে (এভিএল) উদ্বিগ্ন করে। কারণ, এই গবেষণাগারে ছিল রূপান্তরকারী রাসায়নিক পদার্থ পিএক্সফরটি ওয়ান। এই কেমিক্যাল কোনো ভিলেনের হাতে পড়লে সর্বনাশ। কারণ, এই কেমিক্যালের সাহায্যে কোনো কিছুকে ভয়ংকর এক মারণাস্ত্রে রূপান্তর করা যায়, যার কোনো বিনাশ নেই। সাবেক একজন সুপার ভিলেন হিসেবে খলনায়কদের নাড়িনক্ষত্র যেহেতু গ্রুর জানা, তাই এভিএল তার কাছে সাহায্যের আবেদন জানায়।
কিন্তু গ্রুর মনোযোগ এখন একেবারেই অন্যখানে। এখন সে তিন সন্তানকে গড়ে তুলতেই ব্যস্ত। এদের মধ্যে অ্যাগনেসের আবার জন্মদিন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মত পাল্টে এভিএলের ডাকে সাড়া দেয় গ্রু। কিন্তু সে কি পারবে এবার নায়ক হতে?
রাজীব হাসান
হলিউড রিপোর্টার অবলম্বনে
গ্রু চায়! শুধু ভিলেন নয়, নিজেকে সে সুপারহিরোদের মতো ভাবে সুপার ভিলেন। সে চায় পৃথিবীর সেরা, সবচেয়ে কুখ্যাত ভিলেন হিসেবে ছড়িয়ে পড়ুক তার নাম। কিন্তু গ্রুর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আবির্ভূত হয় অজানা এক ভিলেন, যে কিনা সবাইকে ফাঁকি দিয়ে চুরি করে আস্ত গিজার পিরামিডটাই! ভিলেন সমাজে হায় হায় উঠে যায়। অজানা-অখ্যাত এক ভিলেন কিনা তাদের টেক্কা দিয়ে এত বড় একটা বুজরুকি করে দেখাল!
গ্রু বুঝতে পারে মান বাঁচাতে আরও বড় কিছু করে দেখাতে হবে তাকে। ছোটবেলায় তার স্বপ্ন ছিল নভোচারী হবে, নিল আর্মস্ট্রংয়ের মতো চাঁদ জয় করে নায়ক হবে। সেই নায়ক যখন সে হতেই পারেনি, এখন যখন সে সুপার ভিলেন হতে চায়, তা-ই সই। এবার তার পরিকল্পনা আস্ত চাঁদটাই চুরি করে আনার!
সেই পরিকল্পনায় গ্রু কীভাবে সফল হয়েছিল, এরপর কীভাবে খলনায়কের বদলে নায়ক হয়ে গিয়েছিল, অনাথ আশ্রম থেকে নিজের ষড়যন্ত্র সফল করার জন্য পরিচয় পাল্টে তিন মেয়েকে দত্তক নিয়ে শেষ পর্যন্ত তাদের বাঁচাতে জীবনের ঝুঁকি নিয়েছিল, দত্তক নেওয়া তিন কন্যার আদর্শ বাবা হয়ে গিয়েছিল কীভাবে—সেই দুর্দান্ত গল্প নিয়ে বানানো হয়েছিল ডেসপিক্যাবল মি।
ঠিক তিন বছর পর অ্যানিমেটেড ছবি সাই-ফাই ছবিটির সিকুয়েল ডেসপিক্যাবল মি টু মুক্তি পেল এ মাসে। এবং আবারও মাতিয়ে দিল বিশ্ব। মাত্র ছয় কোটি ৯০ লাখ ডলার বাজেটের ছবি ডেসপিক্যাবল মি সেবার বিশ্বজুড়ে আয় করেছিল বাজেটের আট গুণ। ৫৪ কোটি ৩০ লাখ ডলার। এ মাসের প্রথম সপ্তাহে মুক্তির পর টানা দুই সপ্তাহ টপচার্টে থেকে ডেসপিক্যাবল মি টু পূর্বাভাস দিচ্ছে প্রথম ছবির চেয়েও বড় সাফল্যের। মাত্র দুই সপ্তাহেই যে এই ছবি আয় করেছে ৪৭ কোটি ২৪ লাখ ডলার!
ছবির এবারের গল্পটাও অসাধারণ। রহস্যজনকভাবে গোপন একটি গবেষণাগার আস্ত চুরি হয়ে যায়। এই খবর ভিলেনবিরোধী সংগঠন অ্যান্টি-ভিলেন লিগকে (এভিএল) উদ্বিগ্ন করে। কারণ, এই গবেষণাগারে ছিল রূপান্তরকারী রাসায়নিক পদার্থ পিএক্সফরটি ওয়ান। এই কেমিক্যাল কোনো ভিলেনের হাতে পড়লে সর্বনাশ। কারণ, এই কেমিক্যালের সাহায্যে কোনো কিছুকে ভয়ংকর এক মারণাস্ত্রে রূপান্তর করা যায়, যার কোনো বিনাশ নেই। সাবেক একজন সুপার ভিলেন হিসেবে খলনায়কদের নাড়িনক্ষত্র যেহেতু গ্রুর জানা, তাই এভিএল তার কাছে সাহায্যের আবেদন জানায়।
কিন্তু গ্রুর মনোযোগ এখন একেবারেই অন্যখানে। এখন সে তিন সন্তানকে গড়ে তুলতেই ব্যস্ত। এদের মধ্যে অ্যাগনেসের আবার জন্মদিন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মত পাল্টে এভিএলের ডাকে সাড়া দেয় গ্রু। কিন্তু সে কি পারবে এবার নায়ক হতে?
রাজীব হাসান
হলিউড রিপোর্টার অবলম্বনে
No comments