ভোটার জনগণ অপেক্ষা করছে by ড. মাহবুব হাসান
'আপনাদের দেশে যেভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত
হয়, বাংলাদেশেও সেভাবে আগামী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।' এ কথাগুলো
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। যুক্তরাজ্য সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৮
জুলাই লন্ডনে সে দেশের কয়েকজন পার্লামেন্ট সদস্যের উদ্দেশে এ কথা বলেন।
শুনতে
বেশ ভালোই লাগছে যে আমরাও পারি। মানে তোমাদের গণতন্ত্র আর আমাদের গণতন্ত্র
সেইম। মানে একই রকম। তাই তোমরা যেমনভাবে নির্বাচন করো, আমরাও সেভাবেই করব।
ইনশাআল্লাহ শব্দটি তিনি বলেননি বোধ হয়।
'তোমরা আর আমরার মধ্যে যে বিস্তর ফারাক' সেটা প্রধানমন্ত্রী উপলব্ধি করতে সক্ষম নন। কারণ ব্রিটিশদের গণতান্ত্রিক বয়স কয়েক শ বছরের, লোকে বলে তারা নাকি গণতন্ত্রের সূতিকাগার। আর আমাদের গণতন্ত্রের বয়স তো কড়ে আঙুলে গোনা যায়। আমরা রাতারাতি ব্রিটিশদের সমমানের হয়ে গেলাম কিভাবে? আবার সেটা যদি মেনেও নিই যে গণতন্ত্রের বিষয়টি কোনো গাছ-পাথর মানে না, তাহলে আজকে কায়েম করে কাল থেকেই তার সুফল আমরা পেতে পারি।
হ্যাঁ, পারি। কিন্তু তার জন্য কিছু শিক্ষা, চর্চা প্রয়োজন। প্রয়োজন সময়েরও। প্রশাসন পরিচালনার জন্য যেমন কিছু অভিজ্ঞ আমলা লাগে, তেমনি গণতন্ত্রের জন্য কিছু অভিজ্ঞ পার্লামেন্টারিয়ান প্রয়োজন। আমাদের পার্লামেন্ট আছে, কিন্তু সদস্য নেই। আছেন যাঁরা তাঁরা দলের নির্বাচিত 'দলীয় লোক'। তাঁরা সংসদীয় গণতন্ত্রের সেবক হয়ে উঠতে পারেননি। আবার তাঁদের পার্লামেন্টারিয়ান হিসেবে বয়স তেমন গণনার মতো নয়। কিছু ভেঙচি-কাচা আইন ব্যবসায়ী আছেন, তাঁরা কেবল লাভ আর লোকসানের হিসাব করেন, গণতন্ত্রের নয়। তাঁরাই শেখ হাসিনার গণতন্ত্রের ধ্বজাধারী। তবে কারো আছে বহু দলে খেলার অভিজ্ঞতা। যেমন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও আবুল মাল আবদুল মুহিত। প্রথমজন 'পাকি'দের সার্ভ করেছেন ১৯৭১ সালে। পাকা হয়ে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিতে পরিণত হয়েছেন। আর দ্বিতীয়জন এরশাদ ও শেখ হাসিনার বশংবদ। সাবেক এই আমলা মূলত 'দেশের কামলা' শ্রেণীর মানুষ। যখনই হুঁশ হয়, তখনই সত্য উচ্চারণ করেন।
তো, শেখ হাসিনা যখন বলেন যে আপনাদের মতো আমাদের আগামী নির্বাচন হবে, তখন না হেসে পারি না। ব্রিটিশদের নির্বাচনের ক্রিয়াপদ্ধতি আমাদের মতো বা আমাদের গণতান্ত্রিক নির্বাচনের ক্রিয়াপদ্ধতি ব্রিটিশদের মতো দেখালেও কিন্তু ভিন্নতা আছে। সেই ভিন্নতা কেবল কাঠামোগত নয়, মনস্তাত্ত্বিকও। মননে-মানসে আমরা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদীদের লেবাসে সামন্তমননধারী গণতান্ত্রিক মানুষ। সাদা আর কালোর মধ্যে যে পার্থক্য মননগত ও আচরণগত, ওদের গণতন্ত্রের সঙ্গে আমাদের গণতন্ত্রের ফারাক ঠিক তেমনটাই, ততটাই। তাদের গণতন্ত্রে তেমনভাবে বর্ণবাদিতা নেই। কিন্তু আমাদের গণতন্ত্রে বর্ণবাদিতা আমাদের রাজনীতিকদের অন্তরে ঘুমিয়ে নেই, তা সদাই জাগ্রত। খালেদা-হাসিনা সেই বর্ণবাদিতার নিয়ামক প্রধান। তাঁরা সংসদে ও ব্যক্তিগত চিন্তাভাবনায় এবং পলিটিক্যাল পার্টিতে গণতন্ত্রের সমান অধিকার প্রয়োগ করেননি। তাঁরা অভিজাত হিসেবে চিহ্নিত ও চিত্রিত এবং দলের একচ্ছত্র নক্ষত্র। দল তাই গণতন্ত্র লেবাস পরলেও অন্তরে তার রেখা নেই। এই রাজনৈতিক অগণতান্ত্রিক বর্ণবাদিতা পরিত্যাগ না করা পর্যন্ত আমাদের মুক্তি নেই।
'ওস্তাদের মার শেষ রাতে' বলে বাংলাদেশে যে কথাটা চালু আছে, শেখ হাসিনা নির্বাচনে হেরে যেতে যেতে ওস্তাদের মার মেরে দেওয়ার একটা তির্যক ফন্দি এঁটেছেন বলেই মনে করে বিরোধী দল এবং আমজনতার একাংশ। তারা সংখ্যায় অধিক। বিরোধী দল সে কারণেই হাসিনার সেই 'কথিত ফাঁদে' পা দিতে রাজি নয়। হাসিনার এই জেদি মনোভাব আমরা কিন্তু আগেও দেখেছি। সেটা অবশ্য শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশে দেখাননি। তখন ওই জেদের প্রধান ছিলেন খালেদা জিয়া। শেখ হাসিনা তখন জামায়াতকে গলায় ঝুলিয়ে নিয়ে আন্দোলন করছেন। বলছেন বা দাবি করছেন আমাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিতে হবে। না হলে আমরা নির্বাচনে যাব না। নির্বাচন হতে দেব না। আপনাদের নির্বাচনে আমাদের বিশ্বাস নেই। জনগণের আস্থা নেই আপনাদের ওপর।
খালেদা জিয়া তখন বুঝিয়ে বলেছেন আমরা সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, কারচুপিহীন নির্বাচন করতে সক্ষম। আমাদের নির্বাচনে আসেন। দেখেন। টেস্ট করেন, আমরা পারি কি পারি না।
কিন্তু আপসহীন খালেদাকে হারিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনা 'আপসহীন' তকমাটি সেঁটে নিলেন নিজের গায়ে। এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা কায়েমের লক্ষ্যে ১৭৩ দিন মাত্র 'হরতাল' করলেন। কিন্তু তাতেও খালেদা সরকার নট নড়নচড়ন।
আজকে যেমন গোঁয়ার্তুমি করছেন শেখ হাসিনা, ঠিক তেমনি করেছিলেন খালেদা জিয়া। ফলাফল শূন্য। মাঝখান থেকে তাজা প্রাণের অনেক তরুণ পুলিশের গুলিতে জীবন দিল। হরতালে আগুনে পুড়িয়ে মারা হলো বাসের যাত্রীদের। তত্ত্বাবধায়কের জন্য এই রকম মাটি খেয়ে পড়ে থাকার ফল কিন্তু পেয়েছিলেন শেখ হাসিনা। খালেদা সরকার বাধ্য হয়ে নির্বাচন করে সরকার গঠন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে সংযোজন করল। আবার নির্বাচন দিল এবং হাসিনার দল ক্ষমতায় এলো।
এবারও তো সেই একই পথ ধরেছেন শেখ হাসিনা। বেশির ভাগ ভোটার চায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার। কারণ হাসিনা মহাজোট সরকারের ওপর তাদের বিশ্বাস নেই। মহাজোটের কোনো কোনো দলেরও বিশ্বাস নেই হাসিনার ওপর। সরকারপ্রধান যদি সেটা বিশ্বাস না করেন, তাহলে এ নিয়ে 'গণভোট' দিয়ে প্রমাণ নিন, তারা কী চায়। দেশ-বিদেশে বলে বেড়ালেই তো আর তা হবে না। ব্রিটেনের সেই এমপিরাও হাসিনার কথায় বিশ্বাস করেননি। তাঁরা বলেছেন, সব দলের অংশগ্রহণের নির্বাচন দেখতে চান বাংলাদেশে।
সরকারের টাকায় রাশিয়ায় সপরিবারে ভ্রমণ, যুক্তরাজ্যে রেহেনার মেয়ের বিয়েতে অংশগ্রহণ- গণতন্ত্রের কোনো নর্মসেও পড়ে না। এ জন্য জাতির কাছে হাসিনাকে জবাবদিহি করতে হবে একদিন। আর 'উড়ালপাখি'খ্যাত বিদেশমন্ত্রী দীপু মনিকেও জবাবদিহি করতে হবে তাঁর বিদেশপ্রেমের জন্য! ভোটার জনগণ অপেক্ষা করছে।
লেখক : কবি, সাংবাদিক, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী
'তোমরা আর আমরার মধ্যে যে বিস্তর ফারাক' সেটা প্রধানমন্ত্রী উপলব্ধি করতে সক্ষম নন। কারণ ব্রিটিশদের গণতান্ত্রিক বয়স কয়েক শ বছরের, লোকে বলে তারা নাকি গণতন্ত্রের সূতিকাগার। আর আমাদের গণতন্ত্রের বয়স তো কড়ে আঙুলে গোনা যায়। আমরা রাতারাতি ব্রিটিশদের সমমানের হয়ে গেলাম কিভাবে? আবার সেটা যদি মেনেও নিই যে গণতন্ত্রের বিষয়টি কোনো গাছ-পাথর মানে না, তাহলে আজকে কায়েম করে কাল থেকেই তার সুফল আমরা পেতে পারি।
হ্যাঁ, পারি। কিন্তু তার জন্য কিছু শিক্ষা, চর্চা প্রয়োজন। প্রয়োজন সময়েরও। প্রশাসন পরিচালনার জন্য যেমন কিছু অভিজ্ঞ আমলা লাগে, তেমনি গণতন্ত্রের জন্য কিছু অভিজ্ঞ পার্লামেন্টারিয়ান প্রয়োজন। আমাদের পার্লামেন্ট আছে, কিন্তু সদস্য নেই। আছেন যাঁরা তাঁরা দলের নির্বাচিত 'দলীয় লোক'। তাঁরা সংসদীয় গণতন্ত্রের সেবক হয়ে উঠতে পারেননি। আবার তাঁদের পার্লামেন্টারিয়ান হিসেবে বয়স তেমন গণনার মতো নয়। কিছু ভেঙচি-কাচা আইন ব্যবসায়ী আছেন, তাঁরা কেবল লাভ আর লোকসানের হিসাব করেন, গণতন্ত্রের নয়। তাঁরাই শেখ হাসিনার গণতন্ত্রের ধ্বজাধারী। তবে কারো আছে বহু দলে খেলার অভিজ্ঞতা। যেমন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও আবুল মাল আবদুল মুহিত। প্রথমজন 'পাকি'দের সার্ভ করেছেন ১৯৭১ সালে। পাকা হয়ে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিতে পরিণত হয়েছেন। আর দ্বিতীয়জন এরশাদ ও শেখ হাসিনার বশংবদ। সাবেক এই আমলা মূলত 'দেশের কামলা' শ্রেণীর মানুষ। যখনই হুঁশ হয়, তখনই সত্য উচ্চারণ করেন।
তো, শেখ হাসিনা যখন বলেন যে আপনাদের মতো আমাদের আগামী নির্বাচন হবে, তখন না হেসে পারি না। ব্রিটিশদের নির্বাচনের ক্রিয়াপদ্ধতি আমাদের মতো বা আমাদের গণতান্ত্রিক নির্বাচনের ক্রিয়াপদ্ধতি ব্রিটিশদের মতো দেখালেও কিন্তু ভিন্নতা আছে। সেই ভিন্নতা কেবল কাঠামোগত নয়, মনস্তাত্ত্বিকও। মননে-মানসে আমরা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদীদের লেবাসে সামন্তমননধারী গণতান্ত্রিক মানুষ। সাদা আর কালোর মধ্যে যে পার্থক্য মননগত ও আচরণগত, ওদের গণতন্ত্রের সঙ্গে আমাদের গণতন্ত্রের ফারাক ঠিক তেমনটাই, ততটাই। তাদের গণতন্ত্রে তেমনভাবে বর্ণবাদিতা নেই। কিন্তু আমাদের গণতন্ত্রে বর্ণবাদিতা আমাদের রাজনীতিকদের অন্তরে ঘুমিয়ে নেই, তা সদাই জাগ্রত। খালেদা-হাসিনা সেই বর্ণবাদিতার নিয়ামক প্রধান। তাঁরা সংসদে ও ব্যক্তিগত চিন্তাভাবনায় এবং পলিটিক্যাল পার্টিতে গণতন্ত্রের সমান অধিকার প্রয়োগ করেননি। তাঁরা অভিজাত হিসেবে চিহ্নিত ও চিত্রিত এবং দলের একচ্ছত্র নক্ষত্র। দল তাই গণতন্ত্র লেবাস পরলেও অন্তরে তার রেখা নেই। এই রাজনৈতিক অগণতান্ত্রিক বর্ণবাদিতা পরিত্যাগ না করা পর্যন্ত আমাদের মুক্তি নেই।
'ওস্তাদের মার শেষ রাতে' বলে বাংলাদেশে যে কথাটা চালু আছে, শেখ হাসিনা নির্বাচনে হেরে যেতে যেতে ওস্তাদের মার মেরে দেওয়ার একটা তির্যক ফন্দি এঁটেছেন বলেই মনে করে বিরোধী দল এবং আমজনতার একাংশ। তারা সংখ্যায় অধিক। বিরোধী দল সে কারণেই হাসিনার সেই 'কথিত ফাঁদে' পা দিতে রাজি নয়। হাসিনার এই জেদি মনোভাব আমরা কিন্তু আগেও দেখেছি। সেটা অবশ্য শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশে দেখাননি। তখন ওই জেদের প্রধান ছিলেন খালেদা জিয়া। শেখ হাসিনা তখন জামায়াতকে গলায় ঝুলিয়ে নিয়ে আন্দোলন করছেন। বলছেন বা দাবি করছেন আমাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিতে হবে। না হলে আমরা নির্বাচনে যাব না। নির্বাচন হতে দেব না। আপনাদের নির্বাচনে আমাদের বিশ্বাস নেই। জনগণের আস্থা নেই আপনাদের ওপর।
খালেদা জিয়া তখন বুঝিয়ে বলেছেন আমরা সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, কারচুপিহীন নির্বাচন করতে সক্ষম। আমাদের নির্বাচনে আসেন। দেখেন। টেস্ট করেন, আমরা পারি কি পারি না।
কিন্তু আপসহীন খালেদাকে হারিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনা 'আপসহীন' তকমাটি সেঁটে নিলেন নিজের গায়ে। এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা কায়েমের লক্ষ্যে ১৭৩ দিন মাত্র 'হরতাল' করলেন। কিন্তু তাতেও খালেদা সরকার নট নড়নচড়ন।
আজকে যেমন গোঁয়ার্তুমি করছেন শেখ হাসিনা, ঠিক তেমনি করেছিলেন খালেদা জিয়া। ফলাফল শূন্য। মাঝখান থেকে তাজা প্রাণের অনেক তরুণ পুলিশের গুলিতে জীবন দিল। হরতালে আগুনে পুড়িয়ে মারা হলো বাসের যাত্রীদের। তত্ত্বাবধায়কের জন্য এই রকম মাটি খেয়ে পড়ে থাকার ফল কিন্তু পেয়েছিলেন শেখ হাসিনা। খালেদা সরকার বাধ্য হয়ে নির্বাচন করে সরকার গঠন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে সংযোজন করল। আবার নির্বাচন দিল এবং হাসিনার দল ক্ষমতায় এলো।
এবারও তো সেই একই পথ ধরেছেন শেখ হাসিনা। বেশির ভাগ ভোটার চায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার। কারণ হাসিনা মহাজোট সরকারের ওপর তাদের বিশ্বাস নেই। মহাজোটের কোনো কোনো দলেরও বিশ্বাস নেই হাসিনার ওপর। সরকারপ্রধান যদি সেটা বিশ্বাস না করেন, তাহলে এ নিয়ে 'গণভোট' দিয়ে প্রমাণ নিন, তারা কী চায়। দেশ-বিদেশে বলে বেড়ালেই তো আর তা হবে না। ব্রিটেনের সেই এমপিরাও হাসিনার কথায় বিশ্বাস করেননি। তাঁরা বলেছেন, সব দলের অংশগ্রহণের নির্বাচন দেখতে চান বাংলাদেশে।
সরকারের টাকায় রাশিয়ায় সপরিবারে ভ্রমণ, যুক্তরাজ্যে রেহেনার মেয়ের বিয়েতে অংশগ্রহণ- গণতন্ত্রের কোনো নর্মসেও পড়ে না। এ জন্য জাতির কাছে হাসিনাকে জবাবদিহি করতে হবে একদিন। আর 'উড়ালপাখি'খ্যাত বিদেশমন্ত্রী দীপু মনিকেও জবাবদিহি করতে হবে তাঁর বিদেশপ্রেমের জন্য! ভোটার জনগণ অপেক্ষা করছে।
লেখক : কবি, সাংবাদিক, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী
No comments