'রায় প্রত্যাখ্যান আদালত অবমাননার শামিল'
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়
প্রত্যাখ্যান করে বক্তব্য দেওয়া আদালত অবমাননার শামিল বলে মন্তব্য করেছেন
ট্রাইব্যুনাল-২-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। তিনি বলেন, 'আমরা
সুপ্রিম কোর্টের বিচারক।
আমরা আল্লাহকে হাজির-নাজির জেনে,
রাগ বা বিরাগের উর্ধ্বে থেকে রায় দিই। সুতরাং রাস্তায় গাড়ি ভাঙচুর করে
কিংবা ফাঁসি চেয়ে স্লোগান দিয়ে রায় পরিবর্তন করা যাবে না। আমাদের রায়ে ভুল
হতে পারে। সেটা দেখার জন্য আপিল বিভাগ আছে। রায়ে কেউ সন্তুষ্ট না হলে আপিল
করতে পারেন। কিন্তু কেউ রায় প্রত্যাখ্যান করতে পারেন না।'
গতকাল বুধবার জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের মামলার রায় ঘোষণার আগে তিনি এ মন্তব্য করেন। আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা ছাড়াও সাংবাদিক, পর্যবেক্ষক, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সে সময় ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন।
বিচারপতি হাসান কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, 'একটি কথা মনে রাখতে হবে, আদালতের হাত অনেক লম্বা। বাংলাদেশের সীমানার মধ্যে যদি আদালতের ওপর আঘাত আসে, তাহলে তিনি যত বড়ই হোন না কেন, তাঁকে আদালত জবাবদিহি করাতে পিছপা হবে না। এই ট্রাইব্যুনাল এবং বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট সে ক্ষমতা রাখে।'
গতকাল সকাল ১০টা ৪৮ মিনিটে ট্রাইব্যুনাল-১-এর এজলাসে বসেন ট্রাইব্যুনাল-২-এর তিন বিচারক। সাত মিনিট পর ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, 'আমরা আজ এখানে আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের মামলায় রায় ঘোষণা করতে এসেছি। তার আগে প্রয়োজনীয় কিছু কথা বলতে চাই।' অতঃপর তিনি বলেন, 'যেদিন রায় ঘোষণা হবে সেদিন একটি হরতাল দেওয়া হয়। হরতালের কারণ দেখিয়ে আসামিপক্ষের সিনিয়র কোনো আইনজীবী থাকেন না। জুনিয়রদের পাঠিয়ে দেন। অথচ তাঁদের দায়িত্ব রায় ঘোষণার দিন উপস্থিত থাকা। কিন্তু নিরাপত্তার কথা বলে তাঁরা আসেন না। এটা দুঃখজনক।'
বিচারপতি হাসান বলেন, 'রায় ঘোষণার পরই দেখা যায়, কোনো পক্ষ বলছে- রায় প্রত্যাখ্যান করছি। এ ধরনের মন্তব্য করার সুযোগ নেই। রায় কারো মনঃপূত না হলে আপিল করার সুযোগ আছে। রায় প্রত্যাখ্যান করা আদালত অবমাননার শামিল। এটা সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে।' তিনি বলেন, 'আমরা সুপ্রিম কোর্টের বিচারক। আমরা শপথ নিয়ে এসেছি। আর শপথ পালনে সব সময় বলীয়ান। আমাদের রায় ভুল হলে আপিল করবেন। আপিল বিভাগে কথা বলতে পারেন। কিন্তু রাস্তায় গাড়ি ভাঙচুর করে কিংবা ফাঁসির দাবি জানিয়ে রায় পরিবর্তন করা যাবে না। তাঁদের প্রতি অনুরোধ- এসব থেকে বিরত থাকবেন। এই ট্রাইব্যুনাল থেকে আবদুল কাদের মোল্লার মামলায় রায় দেওয়া হয়েছে। তা এখন আপিল বিভাগে বিচারাধীন। তাই এ নিয়ে কারো মন্তব্য করা ঠিক হবে না। সেখানে কী হয় তা দেখুন। আপিল বিভাগ যদি আমাদের রায়কে সমর্থন করে, তাহলে সেটা সবার জন্য বাধ্যতামূলক হবে।'
ট্রাইব্যুনাল-২-এর চেয়ারম্যান বলেন, 'আর একটা কথা না বললেই নয়, সেটা হলো- রাত যত গভীর হয়, টক শো তখন শুরু হয়। আমরা লক্ষ করি, সেখানে এমন কিছু বলা হয়, যাতে মনে হয় রায় না পড়েই মন্তব্য করা হচ্ছে। আমরা বিচারক। তাই টক শোতে গিয়ে জবাব দিতে পারি না।' তিনি আরো বলেন, 'যাঁরা রাস্তায় স্লোগান দেন, গাড়ি ভাঙচুর করেন বা ট্রাইব্যুনাল সম্পর্কে মন্তব্য করেন, তাঁদের সবাইকে বলছি, আপনারা এমন কোনো কাজ করবেন না, যা আদালতের সম্মানহানি করে।'
গতকাল বুধবার জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের মামলার রায় ঘোষণার আগে তিনি এ মন্তব্য করেন। আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা ছাড়াও সাংবাদিক, পর্যবেক্ষক, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সে সময় ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন।
বিচারপতি হাসান কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, 'একটি কথা মনে রাখতে হবে, আদালতের হাত অনেক লম্বা। বাংলাদেশের সীমানার মধ্যে যদি আদালতের ওপর আঘাত আসে, তাহলে তিনি যত বড়ই হোন না কেন, তাঁকে আদালত জবাবদিহি করাতে পিছপা হবে না। এই ট্রাইব্যুনাল এবং বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট সে ক্ষমতা রাখে।'
গতকাল সকাল ১০টা ৪৮ মিনিটে ট্রাইব্যুনাল-১-এর এজলাসে বসেন ট্রাইব্যুনাল-২-এর তিন বিচারক। সাত মিনিট পর ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, 'আমরা আজ এখানে আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের মামলায় রায় ঘোষণা করতে এসেছি। তার আগে প্রয়োজনীয় কিছু কথা বলতে চাই।' অতঃপর তিনি বলেন, 'যেদিন রায় ঘোষণা হবে সেদিন একটি হরতাল দেওয়া হয়। হরতালের কারণ দেখিয়ে আসামিপক্ষের সিনিয়র কোনো আইনজীবী থাকেন না। জুনিয়রদের পাঠিয়ে দেন। অথচ তাঁদের দায়িত্ব রায় ঘোষণার দিন উপস্থিত থাকা। কিন্তু নিরাপত্তার কথা বলে তাঁরা আসেন না। এটা দুঃখজনক।'
বিচারপতি হাসান বলেন, 'রায় ঘোষণার পরই দেখা যায়, কোনো পক্ষ বলছে- রায় প্রত্যাখ্যান করছি। এ ধরনের মন্তব্য করার সুযোগ নেই। রায় কারো মনঃপূত না হলে আপিল করার সুযোগ আছে। রায় প্রত্যাখ্যান করা আদালত অবমাননার শামিল। এটা সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে।' তিনি বলেন, 'আমরা সুপ্রিম কোর্টের বিচারক। আমরা শপথ নিয়ে এসেছি। আর শপথ পালনে সব সময় বলীয়ান। আমাদের রায় ভুল হলে আপিল করবেন। আপিল বিভাগে কথা বলতে পারেন। কিন্তু রাস্তায় গাড়ি ভাঙচুর করে কিংবা ফাঁসির দাবি জানিয়ে রায় পরিবর্তন করা যাবে না। তাঁদের প্রতি অনুরোধ- এসব থেকে বিরত থাকবেন। এই ট্রাইব্যুনাল থেকে আবদুল কাদের মোল্লার মামলায় রায় দেওয়া হয়েছে। তা এখন আপিল বিভাগে বিচারাধীন। তাই এ নিয়ে কারো মন্তব্য করা ঠিক হবে না। সেখানে কী হয় তা দেখুন। আপিল বিভাগ যদি আমাদের রায়কে সমর্থন করে, তাহলে সেটা সবার জন্য বাধ্যতামূলক হবে।'
ট্রাইব্যুনাল-২-এর চেয়ারম্যান বলেন, 'আর একটা কথা না বললেই নয়, সেটা হলো- রাত যত গভীর হয়, টক শো তখন শুরু হয়। আমরা লক্ষ করি, সেখানে এমন কিছু বলা হয়, যাতে মনে হয় রায় না পড়েই মন্তব্য করা হচ্ছে। আমরা বিচারক। তাই টক শোতে গিয়ে জবাব দিতে পারি না।' তিনি আরো বলেন, 'যাঁরা রাস্তায় স্লোগান দেন, গাড়ি ভাঙচুর করেন বা ট্রাইব্যুনাল সম্পর্কে মন্তব্য করেন, তাঁদের সবাইকে বলছি, আপনারা এমন কোনো কাজ করবেন না, যা আদালতের সম্মানহানি করে।'
No comments