রেলের নিয়োগ-বাণিজ্য-এখনো দূর করা গেল না
রেল
নিয়ে কেলেঙ্কারি কম হলো না। নিয়োগবাণিজ্যের টানাপড়েনে দায়িত্বপ্রাপ্ত
মন্ত্রী দপ্তর হারালেন। কিন্তু নিয়োগবাণিজ্য থেমে নেই। হাত গুটিয়ে বসে নেই
নিয়োগবাণিজ্যের হোতারা।
কড়ি ফেলে তেল মাখার মতো ঘুষের টাকা সম্পূর্ণ পরিশোধ
না করলে কর্মক্ষেত্রে যোগদানে নিষেধাজ্ঞা।
বাংলাদেশে রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের বুকিং সহকারী গ্রেড-২ পদে ১১৭ জন জনবল নিয়োগের জন্য গত ২৯ জুন নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ পরীক্ষায় ৪৪ হাজার ৭০০ চাকরিপ্রার্থীর মধ্যে অংশ নেন ১৫ হাজার ৪৪৩ জন। ৬০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা শেষে গত ৩০ মার্চ অনুষ্ঠিত হয় মৌখিক পরীক্ষা। তবে লিখিত পরীক্ষায় অকৃতকার্য ১০ জনকেও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে ওই পরীক্ষায় সুযোগ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। নিয়োগপ্রাপ্ত ১০৪ জনের চূড়ান্ত তালিকা রেলভবনে টানিয়ে দেওয়া হলেও নিয়োগ প্রদানে স্বজনপ্রীতি, অনিয়ম ও বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। চাকরি পাওয়া ১০৪ জনের কাছ থেকে পাঁচ-ছয় লাখ টাকা করে আদায় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে বলে কালের কণ্ঠে প্রকাশিত খবরে উল্লেখ করা হয়েছে। চাকরিপ্রাপ্তদের আগামী ১৪ আগস্টের মধ্যে রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলের প্রধান সংস্থাপন কর্মকর্তার কাছে রিপোর্ট প্রদান করতে বলা হলেও কালের কণ্ঠের ওই প্রতিবেদনে গুরুতর যে অভিযোগটি উঠে এসেছে তা হলো- চাকরিপ্রাপ্তদের মধ্যে যাঁদের টাকা বকেয়া ছিল, তাঁদের যোগদান করতে দেওয়া হচ্ছে না। গত মঙ্গলবার চাকরিপ্রাপ্ত পশ্চিমাঞ্চল এলাকার ৫২ জন প্রার্থী প্রধান সংস্থাপন কর্মকর্তার কাছে যোগদান করতে এলেও ২৪ জনকে যোগদান করানোর পর বাকিদের আর যোগদান করানো হয়নি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ অভিযোগ যদি সত্যি হয়, তাহলে ধরে নিতে হবে রেলওয়ে থেকে ঘুষচক্রকে দূর করা যায়নি। রেলওয়ের নিয়োগবাণিজ্য নিয়ে ঘুষ কেলেঙ্কারির ঘটনা সরকারকে বিব্রতকর একটি অবস্থায় ফেলে দিয়েছিল। তৎকালীন রেলমন্ত্রীর এপিএস ও তাঁর গাড়িচালকসহ রেলওয়ের একজন কর্মকর্তার টাকাসহ আটক হওয়ার ঘটনা সহজে ভুলে যাওয়ার নয়। সে টাকার অঙ্ক একেবারে কম ছিল না, কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই চট্টগ্রামেই ঘুষের টাকা পরিশোধ না হওয়ায় চাকরিতে যোগদান করতে না পারার অভিযোগ!
এ বিষয়টি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা উচিত বলে আমরা মনে করি। এমনিতেই মেধাবীরা নানা কারণে উপেক্ষিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। উৎকোচ গ্রহণ করে মেধাবীদের বঞ্চিত করা অপরাধ। পাশাপাশি নিয়োগবাণিজ্যের হোতাদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তিবিধান করতে হবে।
বাংলাদেশে রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের বুকিং সহকারী গ্রেড-২ পদে ১১৭ জন জনবল নিয়োগের জন্য গত ২৯ জুন নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ পরীক্ষায় ৪৪ হাজার ৭০০ চাকরিপ্রার্থীর মধ্যে অংশ নেন ১৫ হাজার ৪৪৩ জন। ৬০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা শেষে গত ৩০ মার্চ অনুষ্ঠিত হয় মৌখিক পরীক্ষা। তবে লিখিত পরীক্ষায় অকৃতকার্য ১০ জনকেও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে ওই পরীক্ষায় সুযোগ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। নিয়োগপ্রাপ্ত ১০৪ জনের চূড়ান্ত তালিকা রেলভবনে টানিয়ে দেওয়া হলেও নিয়োগ প্রদানে স্বজনপ্রীতি, অনিয়ম ও বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। চাকরি পাওয়া ১০৪ জনের কাছ থেকে পাঁচ-ছয় লাখ টাকা করে আদায় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে বলে কালের কণ্ঠে প্রকাশিত খবরে উল্লেখ করা হয়েছে। চাকরিপ্রাপ্তদের আগামী ১৪ আগস্টের মধ্যে রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলের প্রধান সংস্থাপন কর্মকর্তার কাছে রিপোর্ট প্রদান করতে বলা হলেও কালের কণ্ঠের ওই প্রতিবেদনে গুরুতর যে অভিযোগটি উঠে এসেছে তা হলো- চাকরিপ্রাপ্তদের মধ্যে যাঁদের টাকা বকেয়া ছিল, তাঁদের যোগদান করতে দেওয়া হচ্ছে না। গত মঙ্গলবার চাকরিপ্রাপ্ত পশ্চিমাঞ্চল এলাকার ৫২ জন প্রার্থী প্রধান সংস্থাপন কর্মকর্তার কাছে যোগদান করতে এলেও ২৪ জনকে যোগদান করানোর পর বাকিদের আর যোগদান করানো হয়নি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ অভিযোগ যদি সত্যি হয়, তাহলে ধরে নিতে হবে রেলওয়ে থেকে ঘুষচক্রকে দূর করা যায়নি। রেলওয়ের নিয়োগবাণিজ্য নিয়ে ঘুষ কেলেঙ্কারির ঘটনা সরকারকে বিব্রতকর একটি অবস্থায় ফেলে দিয়েছিল। তৎকালীন রেলমন্ত্রীর এপিএস ও তাঁর গাড়িচালকসহ রেলওয়ের একজন কর্মকর্তার টাকাসহ আটক হওয়ার ঘটনা সহজে ভুলে যাওয়ার নয়। সে টাকার অঙ্ক একেবারে কম ছিল না, কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই চট্টগ্রামেই ঘুষের টাকা পরিশোধ না হওয়ায় চাকরিতে যোগদান করতে না পারার অভিযোগ!
এ বিষয়টি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা উচিত বলে আমরা মনে করি। এমনিতেই মেধাবীরা নানা কারণে উপেক্ষিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। উৎকোচ গ্রহণ করে মেধাবীদের বঞ্চিত করা অপরাধ। পাশাপাশি নিয়োগবাণিজ্যের হোতাদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তিবিধান করতে হবে।
No comments