কেয়ার সুবর্ণ সুযোগ
দর্শক হৃদয় জয় করার মতো সবকিছুই তার আছে। আছে অভিনয় যোগ্যতাও। সৌন্দর্য, গ্লামার প্রতিভা, কোন কিছুতেই কমতি নেই তার।
তবুও
যেখানে থাকার কথা সেখানে নেই কেয়া। কেন নেই, এই প্রশ্নের উত্তর জানা নেই
কারও। এমনকি কেয়ারও। বললেন, কাজ তো মন দিয়েই করি। কোন ঘাপলা-ঝামেলা করেছি-
এমন অভিযোগ নেই। জোর দিয়ে বলতে পারি, চলচ্চিত্র শিল্পে আমার বিরুদ্ধে কোন
অভিযোগ নেই। একটা দোষ আছে, টেলিফোন ধরি না। সারা দিন এত ফোন আসে, পাগল হয়ে
যাওয়ার মতো। তখন ধরতে ইচ্ছে করে না। এর মধ্যে অনেক কাজের ফোনও থাকে। বুঝতে
পারি না। ফলে গোল বেঁধে যায়। অভিযোগ শুধু এটুকু নিয়েই। কেয়ার সরাসরি
আত্মপক্ষ সমর্থন। তবে সুযোগ তিনি বরাবরই পেয়েছেন। ভাগ্য কিংবা সময়ের কারণে
সুযোগের সুফলটা তেমনভাবে আসেনি। তবে এবার আসার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। কেয়ার
সামনে সুবর্ণ সুযোগ হয়ে দর্শকদের সামনে আসছে দেশীয় চলচ্চিত্রের জীবন্ত
কিংবদন্তি নায়করাজ রাজ্জাকের ‘আয়না কাহিনী’। ইমপ্রেস টেলিফিল্মের প্রযোজনায়
নির্মিত এ ছবিটি আসন্ন ঈদে মুক্তি পাবে। ‘আয়না কাহিনী’ নির্মিত হয়েছে
জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলনের লেখা ‘আয়না কাহিনী’ নিয়ে।
যৌতুকবিরোধী এই গল্পের নাম ভূমিকায় অর্থাৎ ‘আয়না’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন
কেয়া। সঙ্গে রয়েছেন নায়করাজ পুত্র সম্রাট। আয়না গ্রামের একজন সৎ নীতিবান
স্কুল শিক্ষকের মেয়ে। প্রেম করে গ্রামের এক প্রভাবশালী যুবকের সঙ্গে।
কিন্তু যুবক তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার জানালে সে রাতের অন্ধকারে আত্মহত্যা
করার প্রস্তুতি নেয়। আত্মহত্যার ঠিক আগ মুহূর্তে তাকে রক্ষা করে সম্রাট।
জানতে চায় আত্মহত্যার কারণ। শুনে পরামর্শ দেয়, প্রতিবাদ স্বরূপ প্রেমিকের
বাড়িতে গিয়ে অবস্থান ধর্মঘট করার। আয়না পরামর্শ মেনে নিয়ে শুরু করে অবস্থান
ধর্মঘট। সেখানে সম্রাটও উপস্থিত হয়। এর মধ্যে সম্রাটের সততা আর ব্যক্তিত্ব
দেখে আয়না দুর্বল হয়ে পড়ে সম্রাটের প্রতি। গল্প মোড় নেয় অন্যদিকে। কেয়া
বলেন, আমার অভিনয় জীবনের সেরা চ্যালেঞ্জিং চরিত্র। চেষ্টা করছি পরিচালকের
নির্দেশ মেনে কাজ করতে। আর পরিচালক নায়করাজ তো আমাদের আদর্শ অভিভাবক। তার
নির্দেশে কাজ করতে পেরে আমি ধন্য। আমার বিশ্বাস ‘আয়না কাহিনী’তে অভিনেত্রী
কেয়ার সকল স্বপ্ন পূরণ হবে।
No comments