১০ ট্রাক অস্ত্র আটক মামলা ‘অস্ত্র খালাসের কথা এনএসআই কর্মকর্তা আকবর জানতেন’
চট্টগ্রামের সিইউএফএল জেটিঘাটে বিশাল
চালানের অস্ত্র খালাসের বিষয়টি এনএসআইয়ের মাঠ কর্মকর্তা আকবর হোসেন খান
জানতেন। এই অস্ত্র পরিবহনের জন্য তিনি ট্রাকও ভাড়া করেছিলেন।
গতকাল মঙ্গলবার আদালতে এসব কথা জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান চৌধুরী।
গতকাল চট্টগ্রাম বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক এস এম মজিবুর রহমানের আদালতে মনিরুজ্জামানকে আসামিপক্ষের আইনজীবী জেরা করেন। দুপুর দেড়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত তাঁকে জেরা করা হয়। পরে আজ বুধবার পর্যন্ত আদালত মুলতবি করেন বিচারক।
জেরায় তদন্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলেন, ১০ ট্রাক অস্ত্র আকবর হোসেনের দখলে ছিল না। তবে অস্ত্র খালাসের পুরো বিষয়টি তাঁর জানা ছিল।
এনএসআইয়ের মাঠ কর্মকর্তা আকবরের আইনজীবী মো. সাহাব উদ্দিন তদন্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামানের কাছে জানতে চান, অস্ত্র পরিবহনকারী জাহাজ বঙ্গবোরাকের ক্যাপ্টেন আসিফ সালাম আর উলফা নেতা পরেশ বড়ুয়ার সঙ্গী আসিফ সালাম একই ব্যক্তি কি না। জবাবে মনিরুজ্জামান বলেন, বিষয়টি তিনি তদন্ত করে দেখেননি।
জেরার সময় আইনজীবী বলেন, ‘এনএসআই কর্মকর্তা আকবরকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাঁর চোখ বেঁধে রাখা হয়েছিল। খাবার ও টয়লেটে যাওয়ার সময় শুধু চোখ খুলে দেওয়া হতো। রিমান্ডে তাঁকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়। তবে তদন্ত কর্মকর্তা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন।
গতকাল বিচারকাজ শুরুর আগে সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর এবং অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তাসহ ১১ আসামিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে আদালতে হাজির করা হয়।
২০০৪ সালের ১ এপ্রিল সিইউএফএল জেটিঘাটে ১০ ট্রাক অস্ত্রের বিশাল চালান ধরা পড়ে। এ ঘটনায় কর্ণফুলী থানায় অস্ত্র ও চোরাচালান আইনে দুটি মামলা হয়।
গতকাল চট্টগ্রাম বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক এস এম মজিবুর রহমানের আদালতে মনিরুজ্জামানকে আসামিপক্ষের আইনজীবী জেরা করেন। দুপুর দেড়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত তাঁকে জেরা করা হয়। পরে আজ বুধবার পর্যন্ত আদালত মুলতবি করেন বিচারক।
জেরায় তদন্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলেন, ১০ ট্রাক অস্ত্র আকবর হোসেনের দখলে ছিল না। তবে অস্ত্র খালাসের পুরো বিষয়টি তাঁর জানা ছিল।
এনএসআইয়ের মাঠ কর্মকর্তা আকবরের আইনজীবী মো. সাহাব উদ্দিন তদন্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামানের কাছে জানতে চান, অস্ত্র পরিবহনকারী জাহাজ বঙ্গবোরাকের ক্যাপ্টেন আসিফ সালাম আর উলফা নেতা পরেশ বড়ুয়ার সঙ্গী আসিফ সালাম একই ব্যক্তি কি না। জবাবে মনিরুজ্জামান বলেন, বিষয়টি তিনি তদন্ত করে দেখেননি।
জেরার সময় আইনজীবী বলেন, ‘এনএসআই কর্মকর্তা আকবরকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাঁর চোখ বেঁধে রাখা হয়েছিল। খাবার ও টয়লেটে যাওয়ার সময় শুধু চোখ খুলে দেওয়া হতো। রিমান্ডে তাঁকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়। তবে তদন্ত কর্মকর্তা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন।
গতকাল বিচারকাজ শুরুর আগে সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর এবং অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তাসহ ১১ আসামিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে আদালতে হাজির করা হয়।
২০০৪ সালের ১ এপ্রিল সিইউএফএল জেটিঘাটে ১০ ট্রাক অস্ত্রের বিশাল চালান ধরা পড়ে। এ ঘটনায় কর্ণফুলী থানায় অস্ত্র ও চোরাচালান আইনে দুটি মামলা হয়।
No comments