শিক্ষা-দক্ষিণ এশিয়ার জন্য একটি সর্বজনীন উচ্চশিক্ষা কাঠামো by এমএম শহীদুল হাসান
অধ্যাপক, তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক কৌশল বিভাগ, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়
ইউরোপের বিভিন্ন দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ছিল ভিন্নতর।
ইউরোপের বিভিন্ন দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ছিল ভিন্নতর।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন গঠনের পর দেশগুলো একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ উচ্চশিক্ষা
ব্যবস্থা প্রবর্তনের তাগিদ অনুভব করে। ১৯৯৯ সালে ইউরোপের ২৯টি দেশের
শিক্ষামন্ত্রী এবং বিশিষ্ট শিক্ষাবিদরা একত্র হয়ে দীর্ঘ আলাপ-আলোচনার পর
একটি সর্বজনীন উচ্চশিক্ষা কাঠামো প্রণয়ন করে, যা বোলগনা কাঠামো (Bologna
Framework) নামে পরিচিত। বর্তমানে ইউরোপের মোট ৪৬টি দেশ উচ্চশিক্ষা
ক্ষেত্রে এই সংস্কারের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছে। বোলগনা কাঠামো ইউরোপের
বিভিন্ন দেশের শিক্ষা কাঠামোর মধ্যে সামঞ্জস্য সাধনে সক্ষম হয়েছে। ফলে
শিক্ষানবিশদের বিভিন্ন দেশে অধ্যয়ন এবং গ্র্যাজুয়েটদের বিভিন্ন দেশে চাকরি
করার সুযোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সম্প্রতি দক্ষিণ এশিয়ার জন্য একটি সর্বজনীন
উচ্চশিক্ষা কাঠামো প্রণয়নের ব্যাপারে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে
উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। দেশগুলোর ভাষাগত ভিন্নতা, সংস্কৃতির পার্থক্য এবং
শিক্ষা ব্যবস্থার ভিন্নতার কারণে একটি সর্বজনীন উচ্চশিক্ষা কাঠামো প্রণয়নের
সম্ভাবনা ও যথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। শ্রীলংকায় অবস্থিত ব্রিটিশ
কাউন্সিল ' ÔTransforming Higher Education in South Asia শীর্ষক
দু'দিনব্যাপী এক সেমিনারের আয়োজন করে। ইন্ডিয়া, পাকিস্তান, আফগানিস্তান,
নেপাল, মালয়েশিয়া, বাংলাদেশ ও শ্রীলংকা থেকে আগত সেমিনারে অংশগ্রহণকারীরা
শিক্ষা সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় যেমন ক. উচ্চশিক্ষায় প্রাইভেট সেক্টরের
অংশগ্রহণ; খ. শিক্ষার মানের ক্রমাবনতি; গ. শিক্ষার সঙ্গে ইন্ডাস্ট্রিগুলোকে
সম্পৃক্ত করা; ঘ. সরকারি উদার নিয়মকানুন প্রণয়নের মাধ্যমে বিদেশি
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অংশগ্রহণে সুযোগ সৃষ্টি; ঙ. নারী শিক্ষার্থীর অধিক
অংশগ্রহণে প্রতিবন্ধক স্থানীয় সামাজিক ও আর্থিক সমস্যা নিরসন; চ. দুর্বল
ব্যবস্থাপনা ও স্বল্প বেতনের কারণে মেধাবীদের শিক্ষকতা পেশায় অনীহা এবং ছ.
আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত জাতীয় উচ্চশিক্ষা কাঠামো প্রণয়নে সুবিধা ও
প্রতিবন্ধকতা। ১৮-১৯ জুন ২০১৩ অনুষ্ঠিত ওই সেমিনারে বাংলাদেশ থেকে
যোগদানকারী ১১ সদস্যের প্রতিনিধির সঙ্গে লেখক অংশগ্রহণ করেন এবং
ÔRequirement of a National Framework for Overseas Higher Education
Delivery Models’ বিষয় উপস্থাপন করেন।
আমরা অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে বসবাস করছি। বর্তমানে কোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি নির্ভর করে সে দেশের শিক্ষার মানের ওপর। এ কারণে প্রত্যেক দেশের উচিত হবে তার দেশের জন্য একটি জাতীয় উচ্চশিক্ষা কাঠামো প্রণয়ন করা। বোলগনা কাঠামোর মতো দক্ষিণ এশিয়া যদি উচ্চশিক্ষার জন্য একটি সর্বজনীন কাঠামো প্রণয়ন করতে সক্ষম হয় এবং বাংলাদেশ যদি ওই কাঠামোর ভিত্তিতে একটি জাতীয় উচ্চশিক্ষা কাঠামো প্রণয়ন করে, তা হলে বাংলাদেশ উপকৃত হবে। উচ্চশিক্ষা কাঠামোটি অন্যান্য দেশের কাঠামোর অবিকল হওয়ার প্রয়োজন নেই এবং এটা সম্ভবও নয়। তবে কাঠামোটি অবশ্যই সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। তা না হলে আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা অন্য দেশে পড়াশোনার এবং গ্র্যাজুয়েটদের অন্য দেশে চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।
পাশ্চাত্যের বিশ্ববিদ্যালয়ে সনাতন শিক্ষার পরিবর্তে Outcome Based Education (OBE) ) চালু হয়েছে দুই দশকের অধিক সময় ধরে। সনাতন শিক্ষা পদ্ধতি একবিংশ শতাব্দীর জন্য উপযুক্ত শ্রমশক্তি তৈরি করতে পারছে না এবং তারা কর্মজীবনে কাঙ্ক্ষিত সফলতা অর্জন না করার কারণে পাশ্চাত্যে শিক্ষা পদ্ধতি সংস্কারের প্রয়োজন অপরিহার্য হয়ে পড়ে। শিক্ষা শুধু পাঠ্যপুস্তক থেকে পড়ানো বা শিক্ষকের শ্রেণীকক্ষে জ্ঞানদানের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। ছাত্ররা মুখস্থনির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থা চায় না, চায় প্রয়োগনির্ভর শিক্ষা। ওবিই শিক্ষা পদ্ধতি সংস্কারের ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠতম দিকনির্দেশক বলে বিবেচিত হয়েছে। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, পাশ্চাত্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ছাত্ররা ওবিইকে সানন্দে গ্রহণ করেছে এবং ওবিই থেকে যথেষ্ট সুফল পাচ্ছে। বাংলাদেশের গ্র্যাজুয়েটরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সুনামের সঙ্গে কাজ করছে এবং আমরা শ্রমশক্তি বিনিয়োগ করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছি। কাজেই ভবিষ্যতে এই ধারা অব্যাহত রাখার জন্য সনাতন শিক্ষা পদ্ধতি পরিবর্তন করে উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে ওবিই চালু করা প্রয়োজন।
বর্তমানে বাংলাদেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৩৪ এবং ৭১টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় আছে। ১০ লাখের অধিক ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করছে। এ দেশে যুবকদের একটা বড় অংশ উচ্চশিক্ষা নিতে আগ্রহী এবং এদের সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই বিপুলসংখ্যক যুবককে উচ্চশিক্ষা প্রদানের ব্যবস্থা করা সরকারের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ। আবার মানের সঙ্গে সংখ্যার সামঞ্জস্য করতে না পারলে এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে পাস করা গ্র্যাজুয়েটরা দক্ষ, নিবেদিত এবং নৈতিক গুণে গুণান্বিত না হলে তারা এ দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে কোনো অবদান রাখতে পারবে না। মানবসম্পদ রফতানি দেশ হিসেবে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতামূলক আঞ্চলিক ও বিশ্ব পরিমণ্ডলে বাজার হারাবে।
বাংলাদেশকে একটি জাতীয় উচ্চশিক্ষা কাঠামো প্রণয়ন করতে হবে, যার উদ্দেশ্যগুলো হবে : ক. জ্ঞান অর্জনের জন্য একটি সমন্বিত জাতীয় কাঠামো তৈরি; খ. বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বিভিন্ন প্রোগ্রাম প্রণয়নে এবং চালু প্রোগ্রামগুলোর উৎকর্ষ সাধনে সহায়তা; গ. মানের নিশ্চয়তা প্রদান পদ্ধতি এবং মানোন্নয়নে সহযোগিতা এবং ঘ. আজীবন শিক্ষার ক্ষেত্র তৈরিতে সহায়তা। উচ্চশিক্ষা কাঠামোটি অন্যান্য দেশের মডেলের সঙ্গে সামঞ্জস্য সাধন ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভের জন্য সনাতন শিক্ষার পরিবর্তে ওবিই শিক্ষা পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে।
এটা সাধারণভাবে স্বীকৃত যে, বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যকে অক্ষুণ্ন রেখে ও জাতীয় স্বকীয়তা বজায় রেখে প্রণীত সামঞ্জস্যপূর্ণ্য উচ্চশিক্ষা কাঠামো অধিকতর টেকসই ও গ্রহণযোগ্য হয়। এমন একটি সর্বজনীন কাঠামো প্রস্তুতের কাজটি সহজ নয়। ভালো কাঠামোর জন্য কুসংস্কার থেকে মুক্ত হতে হবে এবং আমাদের সন্দেহ ও দ্বিধামুক্ত হতে হবে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে রাজনীতিবিদরাই সব সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। কাজেই এ ব্যাপারে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একটি জাতীয় অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল এবং ইউজিসির নেতৃত্বে একটি জাতীয় উচ্চশিক্ষা কাঠামো প্রণয়ন কমিটি গঠন করা। বোলগনা কাঠামোর আলোকে একটি সর্বজনীন উচ্চশিক্ষা কাঠামো প্রণয়নের জন্য বাংলাদেশ সরকারের দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের সরকারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা শুরু করা দরকার এবং প্রয়োজনে বোলগনা কাঠামো প্রণয়নকারীদের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।
আমরা অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে বসবাস করছি। বর্তমানে কোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি নির্ভর করে সে দেশের শিক্ষার মানের ওপর। এ কারণে প্রত্যেক দেশের উচিত হবে তার দেশের জন্য একটি জাতীয় উচ্চশিক্ষা কাঠামো প্রণয়ন করা। বোলগনা কাঠামোর মতো দক্ষিণ এশিয়া যদি উচ্চশিক্ষার জন্য একটি সর্বজনীন কাঠামো প্রণয়ন করতে সক্ষম হয় এবং বাংলাদেশ যদি ওই কাঠামোর ভিত্তিতে একটি জাতীয় উচ্চশিক্ষা কাঠামো প্রণয়ন করে, তা হলে বাংলাদেশ উপকৃত হবে। উচ্চশিক্ষা কাঠামোটি অন্যান্য দেশের কাঠামোর অবিকল হওয়ার প্রয়োজন নেই এবং এটা সম্ভবও নয়। তবে কাঠামোটি অবশ্যই সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। তা না হলে আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা অন্য দেশে পড়াশোনার এবং গ্র্যাজুয়েটদের অন্য দেশে চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।
পাশ্চাত্যের বিশ্ববিদ্যালয়ে সনাতন শিক্ষার পরিবর্তে Outcome Based Education (OBE) ) চালু হয়েছে দুই দশকের অধিক সময় ধরে। সনাতন শিক্ষা পদ্ধতি একবিংশ শতাব্দীর জন্য উপযুক্ত শ্রমশক্তি তৈরি করতে পারছে না এবং তারা কর্মজীবনে কাঙ্ক্ষিত সফলতা অর্জন না করার কারণে পাশ্চাত্যে শিক্ষা পদ্ধতি সংস্কারের প্রয়োজন অপরিহার্য হয়ে পড়ে। শিক্ষা শুধু পাঠ্যপুস্তক থেকে পড়ানো বা শিক্ষকের শ্রেণীকক্ষে জ্ঞানদানের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। ছাত্ররা মুখস্থনির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থা চায় না, চায় প্রয়োগনির্ভর শিক্ষা। ওবিই শিক্ষা পদ্ধতি সংস্কারের ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠতম দিকনির্দেশক বলে বিবেচিত হয়েছে। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, পাশ্চাত্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ছাত্ররা ওবিইকে সানন্দে গ্রহণ করেছে এবং ওবিই থেকে যথেষ্ট সুফল পাচ্ছে। বাংলাদেশের গ্র্যাজুয়েটরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সুনামের সঙ্গে কাজ করছে এবং আমরা শ্রমশক্তি বিনিয়োগ করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছি। কাজেই ভবিষ্যতে এই ধারা অব্যাহত রাখার জন্য সনাতন শিক্ষা পদ্ধতি পরিবর্তন করে উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে ওবিই চালু করা প্রয়োজন।
বর্তমানে বাংলাদেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৩৪ এবং ৭১টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় আছে। ১০ লাখের অধিক ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করছে। এ দেশে যুবকদের একটা বড় অংশ উচ্চশিক্ষা নিতে আগ্রহী এবং এদের সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই বিপুলসংখ্যক যুবককে উচ্চশিক্ষা প্রদানের ব্যবস্থা করা সরকারের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ। আবার মানের সঙ্গে সংখ্যার সামঞ্জস্য করতে না পারলে এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে পাস করা গ্র্যাজুয়েটরা দক্ষ, নিবেদিত এবং নৈতিক গুণে গুণান্বিত না হলে তারা এ দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে কোনো অবদান রাখতে পারবে না। মানবসম্পদ রফতানি দেশ হিসেবে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতামূলক আঞ্চলিক ও বিশ্ব পরিমণ্ডলে বাজার হারাবে।
বাংলাদেশকে একটি জাতীয় উচ্চশিক্ষা কাঠামো প্রণয়ন করতে হবে, যার উদ্দেশ্যগুলো হবে : ক. জ্ঞান অর্জনের জন্য একটি সমন্বিত জাতীয় কাঠামো তৈরি; খ. বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বিভিন্ন প্রোগ্রাম প্রণয়নে এবং চালু প্রোগ্রামগুলোর উৎকর্ষ সাধনে সহায়তা; গ. মানের নিশ্চয়তা প্রদান পদ্ধতি এবং মানোন্নয়নে সহযোগিতা এবং ঘ. আজীবন শিক্ষার ক্ষেত্র তৈরিতে সহায়তা। উচ্চশিক্ষা কাঠামোটি অন্যান্য দেশের মডেলের সঙ্গে সামঞ্জস্য সাধন ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভের জন্য সনাতন শিক্ষার পরিবর্তে ওবিই শিক্ষা পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে।
এটা সাধারণভাবে স্বীকৃত যে, বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যকে অক্ষুণ্ন রেখে ও জাতীয় স্বকীয়তা বজায় রেখে প্রণীত সামঞ্জস্যপূর্ণ্য উচ্চশিক্ষা কাঠামো অধিকতর টেকসই ও গ্রহণযোগ্য হয়। এমন একটি সর্বজনীন কাঠামো প্রস্তুতের কাজটি সহজ নয়। ভালো কাঠামোর জন্য কুসংস্কার থেকে মুক্ত হতে হবে এবং আমাদের সন্দেহ ও দ্বিধামুক্ত হতে হবে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে রাজনীতিবিদরাই সব সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। কাজেই এ ব্যাপারে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একটি জাতীয় অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল এবং ইউজিসির নেতৃত্বে একটি জাতীয় উচ্চশিক্ষা কাঠামো প্রণয়ন কমিটি গঠন করা। বোলগনা কাঠামোর আলোকে একটি সর্বজনীন উচ্চশিক্ষা কাঠামো প্রণয়নের জন্য বাংলাদেশ সরকারের দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের সরকারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা শুরু করা দরকার এবং প্রয়োজনে বোলগনা কাঠামো প্রণয়নকারীদের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।
No comments