সংসদ উপনির্বাচন আজ-স্বচ্ছতাই কাম্য
বিশাল হাওরাঞ্চলের বুকজুড়ে যেন উৎসবের
আয়োজন। ইটনা, অষ্টগ্রাম ও মিঠামইন উপজেলা নিয়ে গঠিত কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের
উপনির্বাচন আজ। এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে সব আয়োজন।
সকাল
৮টা থেকে শুরু হবে ভোটগ্রহণ, চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। প্রার্থী দুজনই
আওয়ামী লীগের। একজন বর্তমান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ অ্যাডভোকেটের ছেলে এবং
দলের মনোনয়নপ্রাপ্ত রেজোয়ান আহাম্মদ তৌফিক। তিনি লড়বেন দলীয় নৌকা প্রতীক
নিয়ে। অন্যজন হলেন অষ্টগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক মোহিতুল
ইসলাম অসীম। তিনি লড়ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এবং তাঁর নির্বাচনী
প্রতীক ফুটবল। জয়-পরাজয় যা-ই হোক না কেন, আমরা আশা করি, উভয় প্রার্থী ও
তাঁদের কর্মী-সমর্থকরা নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলবেন এবং সাধারণ মানুষ যেন
অবাধে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, সে ব্যাপারে সর্বাত্মক
সহযোগিতা করবেন। নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি সরকারের জন্যও এটি একটি বড়
চ্যালেঞ্জ। বর্তমান জাতীয় সংসদের শেষ সময়ে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচন যাতে
সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়, সে জন্য সম্ভাব্য সব কিছু করা প্রয়োজন।
কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে ভোটার সংখ্যা দুই লাখ ৭৭ হাজার ১২৬ এবং কেন্দ্রের সংখ্যা ১১৮টি। এর মধ্যে ১০৪টি কেন্দ্রকেই ঝুঁকিপূর্ণ মনে করা হচ্ছে। প্রশাসন অবশ্য এ বছর 'ঝুঁকিপূর্ণ' শব্দটির বদলে 'গুরুত্বপূর্ণ' শব্দটি ব্যবহার করছে। শব্দের ব্যবহারে কিছু যায় আসে না। নির্বাচন কেন্দ্রগুলোতে শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় থাকাটাই হচ্ছে মোদ্দা কথা। সাধারণত সরকারের শেষ বছর বা নির্বাচনের বছরে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হয়। তদুপরি, এ বছর এখনো নির্বাচনকালীন সরকারপদ্ধতি নিয়ে কোনো সমঝোতা না হওয়ায় রাজনীতিতে একধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে। তার কিছুটা প্রভাব কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের নির্বাচনেও পড়তে পারে। প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, নির্বাচনের সার্বিক নিরাপত্তায় বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও আনসারের প্রায় পাঁচ হাজার সদস্য মোতায়েন রাখা হবে। নির্বাচনের আগের দিন থেকে নির্বাচনের পরদিন পর্যন্ত তাঁরা দায়িত্ব পালন করবেন। কিন্তু কেবল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষে শান্তি-শৃঙ্খলা সুনিশ্চিত করা সম্ভব নয়, যদি না এ কাজে জনপ্রতিনিধি ও সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা আন্তরিকতা নিয়ে এগিয়ে আসেন। দেশের সর্বোচ্চ সম্মানিত ব্যক্তি তথা রাষ্ট্রপতির ছেড়ে দেওয়া আসনে যে নির্বাচন হচ্ছে, আমরা আশা করি, সেই নির্বাচনী এলাকার মানুষ দেশবাসীর প্রত্যাশার সঙ্গে সংগতিপূর্ণভাবেই নির্বাচনীযুদ্ধ সম্পন্ন করবে।
নির্বাচনে ভোটারদের রায়ই চূড়ান্ত। সেই রায় সন্তুষ্টচিত্তে মেনে নেওয়াটাই গণতান্ত্রিক রীতি ও ঐতিহ্য। আমাদের বিশ্বাস, হাওরাঞ্চলের বাসিন্দাদের মধ্যেও সেই গৌরবময় ঐতিহ্য আমরা দেখতে পাব।
কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে ভোটার সংখ্যা দুই লাখ ৭৭ হাজার ১২৬ এবং কেন্দ্রের সংখ্যা ১১৮টি। এর মধ্যে ১০৪টি কেন্দ্রকেই ঝুঁকিপূর্ণ মনে করা হচ্ছে। প্রশাসন অবশ্য এ বছর 'ঝুঁকিপূর্ণ' শব্দটির বদলে 'গুরুত্বপূর্ণ' শব্দটি ব্যবহার করছে। শব্দের ব্যবহারে কিছু যায় আসে না। নির্বাচন কেন্দ্রগুলোতে শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় থাকাটাই হচ্ছে মোদ্দা কথা। সাধারণত সরকারের শেষ বছর বা নির্বাচনের বছরে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হয়। তদুপরি, এ বছর এখনো নির্বাচনকালীন সরকারপদ্ধতি নিয়ে কোনো সমঝোতা না হওয়ায় রাজনীতিতে একধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে। তার কিছুটা প্রভাব কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের নির্বাচনেও পড়তে পারে। প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, নির্বাচনের সার্বিক নিরাপত্তায় বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও আনসারের প্রায় পাঁচ হাজার সদস্য মোতায়েন রাখা হবে। নির্বাচনের আগের দিন থেকে নির্বাচনের পরদিন পর্যন্ত তাঁরা দায়িত্ব পালন করবেন। কিন্তু কেবল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষে শান্তি-শৃঙ্খলা সুনিশ্চিত করা সম্ভব নয়, যদি না এ কাজে জনপ্রতিনিধি ও সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা আন্তরিকতা নিয়ে এগিয়ে আসেন। দেশের সর্বোচ্চ সম্মানিত ব্যক্তি তথা রাষ্ট্রপতির ছেড়ে দেওয়া আসনে যে নির্বাচন হচ্ছে, আমরা আশা করি, সেই নির্বাচনী এলাকার মানুষ দেশবাসীর প্রত্যাশার সঙ্গে সংগতিপূর্ণভাবেই নির্বাচনীযুদ্ধ সম্পন্ন করবে।
নির্বাচনে ভোটারদের রায়ই চূড়ান্ত। সেই রায় সন্তুষ্টচিত্তে মেনে নেওয়াটাই গণতান্ত্রিক রীতি ও ঐতিহ্য। আমাদের বিশ্বাস, হাওরাঞ্চলের বাসিন্দাদের মধ্যেও সেই গৌরবময় ঐতিহ্য আমরা দেখতে পাব।
No comments