স্টাইল মনিরুল ইসলাম শিল্পীর বহুমাত্রিক জীবন by তৌহিদা শিরোপা
ছোটবেলায় সুযোগ পেলেই মাছ ধরতেন। ছোট ছোট
হাতে বানাতেন রং-বেরঙের ঘুড়ি। কেউ কেউ পছন্দ করে সেসব ঘুড়ি দু-চার আনায়
কিনতেন তাঁর কাছ থেকে। হয়ে যেত লজেন্স খাওয়ার টাকা। কোনো দিন ভাবেননি
শিল্পী হবেন।
বড় হয়ে মাথায় চাপল শিল্পী হওয়ার ভূত। বাবাকে
রাজি করিয়ে ভর্তি হলেন চারুকলায়। একসময় বিশেষ বৃত্তি নিয়ে চলে গেলেন
স্পেন। সেখানেও গড়লেন আরেকটি আবাস। প্রায় ৪৩ বছর তিনি স্পেনের মাদ্রিদে
থাকেন। তবে দেশে আসা চাই। তাই তো প্রতিবছর একবার হলেও দেশে আসেন। ঠিক
করেছেন ছয় মাস থাকবেন বাংলাদেশে, আর বাকি ছয় মাস থাকবেন মাদ্রিদে। যখন
যেখানে থাকেন, তখন সে দেশের পরিবেশ ও সংস্কৃতির সঙ্গে মানিয়ে থাকেন।
চিত্রশিল্পী মনিরুল ইসলামের জীবনযাপনের ধরনটাই এমন।
ঢাকার ধানমন্ডির পুরো বাসাটাই ছবির স্টুডিও। ছবি আঁকার জন্য দিনের কোন সময়টাকে বেছে নেন? উত্তরে মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ঢাকায় থাকলে দুপুরে খাওয়ার পরেই আঁকতে বসে যাই। আর মাদ্রিদে সকালের নাশতা খেয়ে কাজে লেগে যাই। ভোরের দিকে ঘুমানোর অভ্যাস আমার। খুব সকালে ঘুম থেকে উঠি না। চার ঘণ্টার বেশি অবশ্য ঘুমানো হয় না।’
মনিরুল ইসলামের রান্নার প্রতি আছে বিশেষ ঝোঁক। মাদ্রিদ বা ঢাকা যেখানেই থাকেন না কেন, সব সময় নিজেই রান্না করেন। অতি অতিথিপরায়ণ শব্দটা মনে হয় তাঁর সঙ্গেই মানানসই। বাংলাদেশ থেকে স্পেনে যাওয়া তাঁর পরিচিত প্রায় সবাই একবার হলেও মনিরুল ইসলামের আতিথেয়তা গ্রহণ করেন। মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘অতিথিকে জিজ্ঞাসা করে তাঁর পছন্দমতো খাবার রান্না করি।’ অতিথিরা তাঁকে খুব ভালো হোস্ট—এই স্বীকৃতি দিয়েছেন।
রান্না করলেও নিজেকে ভোজনরসিক বলতে নারাজ। ডায়েট করেন না। তবে পরিমিত পরিমাণে খাওয়া দাওয়া করেন। বাইরের খাবার খুব একটা খান না। তবে স্পেনে হোক বা বাংলাদেশে হোক, বন্ধুরা বললে বা আড্ডা দেওয়ার সময় বাইরের খাবার খাওয়া হয় তাঁর। ভারী ধরনের খাবার ও জাঙ্কফুড এড়িয়ে চলেন। পেঁয়াজও কম খান। আর স্পেনের মানুষের মতো তিনিও আদা ও রসুন খেতে পছন্দ করেন। তিনি মনে করেন, শরীর সুস্থ রাখতে যতটা সম্ভব এসব খাবার না খাওয়া ভালো। মাছ খেতে খুব ভালোবাসেন। স্পেনের সকালটা চা দিয়ে শুরু হলেও কফি তাঁর বেশি ভালো লাগে।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও ফিটফাট থাকতে পছন্দ করেন। তাঁর মতে, চিত্রশিল্পী হলেই পাঞ্জাবি পরতে হবে, অগোছাল থাকতে হবে তা তো নয়। কালো রং মনিরুল ইসলামের প্রিয় হলেও সাদা, খাকি রঙের পোশাকও মাঝেমধ্যে পরা হয়। শীত ও অনুষ্ঠানে শার্টের সঙ্গে ব্লেজার ও জুতা পরেন। ফিতাওয়ালা জুতা ও টাই কখনোই পরেন না। আরামকে সবার আগে প্রাধান্য দেন, তাই বেছে নেন ঢিলেঢালা পোশাক। নিজের জন্য খুব কম কেনাকাটা করেন। বেশির ভাগ পোশাক উপহার হিসেবে পান। তবে দরদাম করে কেনাকাটা করাটা উপভোগ করেন। স্পেনে সুতির হালকা রঙের শার্ট ও জিনস পরেন। বাংলাদেশে এলে খাদি কাপড় কিনে ফতুয়া তৈরি করে নেন। আর কোটি তাঁর খুব প্রিয় অনুষঙ্গ। কাজের সময় কোটি ও জিনস পরতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। কোটির পকেটে থাকা চাই পকেট। যেখানেই যান, সেসব পকেটে নেন নোটখাতা ও কলম। সুযোগ পেলেই এঁকে ফেলেন ছবি।
সময়ের সঙ্গে চলতে চান বলেই ল্যাপটপ, স্যামসাং গ্যালাক্সি ট্যাব ব্যবহার করেন। অবসর পেলেই স্পেনের বিভিন্ন গ্রাম দেখতে-ঘুরতে যান। আর কিছুটা সময় বরাদ্দ থাকে ছেলে আরমান ইসলামের জন্য। তখন বাবা-ছেলে মিলে টেনিস খেলা হয়।
নিজের মতো করে থাকতে ভালোবাসেন। নিজের সব কাজ তো বটেই ঢাকার বাড়ি বা স্পেনের বাড়ি দুই জায়গাতেই বাড়ির কাজ তিনি নিজে করেন। নিজেকে কখনো একা মনে হয় না। মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘এই একাকিত্ব আমি নিজেই বেছে নিয়েছি। এটি উপভোগ করি।’
আগস্ট মাসে এই চিত্রশিল্পী ৭০ পেরোবেন। কিন্তু নিজেকে বৃদ্ধ মনে করেন না। মনিরুল ইসলাম মনে করেন তিনিই বৃদ্ধ যাঁর জানা, শেখা ও বোঝার আগ্রহ থাকে না। এই তিনটি বিষয়েই তাঁর আগ্রহ আছে। তাই তিনি চিরতরুণ। বয়স তাঁকে কাবু করতে পারবে না।
ঢাকার ধানমন্ডির পুরো বাসাটাই ছবির স্টুডিও। ছবি আঁকার জন্য দিনের কোন সময়টাকে বেছে নেন? উত্তরে মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ঢাকায় থাকলে দুপুরে খাওয়ার পরেই আঁকতে বসে যাই। আর মাদ্রিদে সকালের নাশতা খেয়ে কাজে লেগে যাই। ভোরের দিকে ঘুমানোর অভ্যাস আমার। খুব সকালে ঘুম থেকে উঠি না। চার ঘণ্টার বেশি অবশ্য ঘুমানো হয় না।’
মনিরুল ইসলামের রান্নার প্রতি আছে বিশেষ ঝোঁক। মাদ্রিদ বা ঢাকা যেখানেই থাকেন না কেন, সব সময় নিজেই রান্না করেন। অতি অতিথিপরায়ণ শব্দটা মনে হয় তাঁর সঙ্গেই মানানসই। বাংলাদেশ থেকে স্পেনে যাওয়া তাঁর পরিচিত প্রায় সবাই একবার হলেও মনিরুল ইসলামের আতিথেয়তা গ্রহণ করেন। মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘অতিথিকে জিজ্ঞাসা করে তাঁর পছন্দমতো খাবার রান্না করি।’ অতিথিরা তাঁকে খুব ভালো হোস্ট—এই স্বীকৃতি দিয়েছেন।
রান্না করলেও নিজেকে ভোজনরসিক বলতে নারাজ। ডায়েট করেন না। তবে পরিমিত পরিমাণে খাওয়া দাওয়া করেন। বাইরের খাবার খুব একটা খান না। তবে স্পেনে হোক বা বাংলাদেশে হোক, বন্ধুরা বললে বা আড্ডা দেওয়ার সময় বাইরের খাবার খাওয়া হয় তাঁর। ভারী ধরনের খাবার ও জাঙ্কফুড এড়িয়ে চলেন। পেঁয়াজও কম খান। আর স্পেনের মানুষের মতো তিনিও আদা ও রসুন খেতে পছন্দ করেন। তিনি মনে করেন, শরীর সুস্থ রাখতে যতটা সম্ভব এসব খাবার না খাওয়া ভালো। মাছ খেতে খুব ভালোবাসেন। স্পেনের সকালটা চা দিয়ে শুরু হলেও কফি তাঁর বেশি ভালো লাগে।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও ফিটফাট থাকতে পছন্দ করেন। তাঁর মতে, চিত্রশিল্পী হলেই পাঞ্জাবি পরতে হবে, অগোছাল থাকতে হবে তা তো নয়। কালো রং মনিরুল ইসলামের প্রিয় হলেও সাদা, খাকি রঙের পোশাকও মাঝেমধ্যে পরা হয়। শীত ও অনুষ্ঠানে শার্টের সঙ্গে ব্লেজার ও জুতা পরেন। ফিতাওয়ালা জুতা ও টাই কখনোই পরেন না। আরামকে সবার আগে প্রাধান্য দেন, তাই বেছে নেন ঢিলেঢালা পোশাক। নিজের জন্য খুব কম কেনাকাটা করেন। বেশির ভাগ পোশাক উপহার হিসেবে পান। তবে দরদাম করে কেনাকাটা করাটা উপভোগ করেন। স্পেনে সুতির হালকা রঙের শার্ট ও জিনস পরেন। বাংলাদেশে এলে খাদি কাপড় কিনে ফতুয়া তৈরি করে নেন। আর কোটি তাঁর খুব প্রিয় অনুষঙ্গ। কাজের সময় কোটি ও জিনস পরতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। কোটির পকেটে থাকা চাই পকেট। যেখানেই যান, সেসব পকেটে নেন নোটখাতা ও কলম। সুযোগ পেলেই এঁকে ফেলেন ছবি।
সময়ের সঙ্গে চলতে চান বলেই ল্যাপটপ, স্যামসাং গ্যালাক্সি ট্যাব ব্যবহার করেন। অবসর পেলেই স্পেনের বিভিন্ন গ্রাম দেখতে-ঘুরতে যান। আর কিছুটা সময় বরাদ্দ থাকে ছেলে আরমান ইসলামের জন্য। তখন বাবা-ছেলে মিলে টেনিস খেলা হয়।
নিজের মতো করে থাকতে ভালোবাসেন। নিজের সব কাজ তো বটেই ঢাকার বাড়ি বা স্পেনের বাড়ি দুই জায়গাতেই বাড়ির কাজ তিনি নিজে করেন। নিজেকে কখনো একা মনে হয় না। মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘এই একাকিত্ব আমি নিজেই বেছে নিয়েছি। এটি উপভোগ করি।’
আগস্ট মাসে এই চিত্রশিল্পী ৭০ পেরোবেন। কিন্তু নিজেকে বৃদ্ধ মনে করেন না। মনিরুল ইসলাম মনে করেন তিনিই বৃদ্ধ যাঁর জানা, শেখা ও বোঝার আগ্রহ থাকে না। এই তিনটি বিষয়েই তাঁর আগ্রহ আছে। তাই তিনি চিরতরুণ। বয়স তাঁকে কাবু করতে পারবে না।
No comments