বিদেশি সাংবাদিককে রেশমা নিয়ে কিছু বলেননি মিলন
আমার সাথে কোনো বিদেশি সাংবাদিকের দেখা হয় নাই এবং কোনো সাংবাদিককে আমি সাক্ষাৎকার দেইনি। কিংবা এরকম কেউ আমাকে অনুদানও দেয়নি।
কথাগুলো বলছিলেন সাভারের ধবসে পড়া রানা প্লাজার আহত শ্রমিক এনামুল হক মিলন।
বুধবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন এনামুল।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন রেশমার বাড়িওয়ালা দম্পতি মনসুর আহমেদ নুরু এবং হাজেরা বেগম।
সম্প্রতি তাকে উদ্ধৃত করে বিটিশ ট্যাবলেয়েট ডেইলি মিরর এবং ডেইলি মেইল রেশমাকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় তিনি এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
তবে মিররের প্রতিবেদনে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক সহকর্মীর বরাতে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরে তা দেশীয় কয়েকটি পত্রিকায় ফলাও করে প্রচার হয়।
সেনাবাহিনীর আন্ত:জনসংযোগ পরিদপ্তরের আমন্ত্রণে সাংবাদিকরা সেখানে উপস্থিত হলেও সংবাদ সম্মেলনে তাদের কেউ উপস্থিত ছিলেন না।
এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা হলে বক্তার আসনে থোকা এনাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের জনসংযোগ শাখার পরিচালক জাহিদুর রহমান জানান, তারা এখানে এসেছেন আইএসপিআর’র অনুরোধে।
আইএসপিআর তাদের অনুরোধ করেছে সম্প্রতি দুটি বিদেশি পত্রিকা এবং তার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের গণমাধ্যমেও রেশমাকে নিয়ে প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে, যেখানে তারা বলেছে, রেশমা সাভারের রানা প্লাজা ধ্বসের প্রথমদিনেই বের হয়ে এসেছিল সেখানকারই আরেক শ্রমিক এনামুলের সঙ্গে। প্রতিবেদনে রেশমার বাড়িওয়ালার সাক্ষাৎকারও নেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে তাদের অবস্থান পরিষ্কার করার জন্যই এ সংবাদ সম্মেলন।
জাহিদুর রহমান বলেন, তারা মোট ১হাজার ৭’শ রোগীকে চিকিৎসা দিয়েছেন। এর মধ্যে ১হাজার রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে যাদের ইনজুরি খুব একটা মারাত্মক ছিলো না এবং যারা গুরুতর আহত ছিলেন না।
আর বাকি যারা ছিল তাদের অবস্থা এমন ছিল না যে তারা তাদের নাম, ঠিকানা বলার অবস্থায় ছিলো না। তাই প্রথম দুই, তিন কারো নাম নিবন্ধন করা সম্ভব হয়নি। এনাম হাসপাতালে নিবন্ধন শুরু হয় দুই, তিন দিন পর। এখন রেশমা যদি প্রথম দুই দিনে চিকিৎসা নিয়ে চলে গিয়ে থাকে তাহলে নিবন্ধন খাতায় তার নাম থাকার কথা নয়।
তিনি আরও বলেন, ‘আমার দেশ অনলাইন এবং পরে দেশি বিদেশি পত্রিকা দেখে তারা রেশমা এবং জয়া নামটি খুঁজেছেন কিন্তু তাদের খাতায় এ রকম কোন নাম নেই। রেশমা যদি দুই দিন হাসপাতালে ভর্তি থাকতো তাহলে অবশ্যই তাদের নিবন্ধন খাতায় তার নাম থাকতো। আসমা, জরিনা, সখিনা, রেশমা ১, রেশমা ২ নাম নিয়ে কেউ যদি প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে যায় তাহলে সেটা আমাদের জানা নেই। রেশমা নামে রেজিস্টার্ডকৃত কেউ নেই এবং ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যেও এ নামটা নেই।’
আইএসপিআরের অনুরোধে এসেছেন তাহলে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চেয়ারম্যান এনাম সাহেব নেই কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্যার দেশের বাইরে আছেন।
দেশী বিদেশি প্রতিবেদনটি সত্য নাকি মিথ্যা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি সত্য মিথ্যা কিছু বলতে চাই না, শুধু বলবো রেশমা নামে আমাদের হাসপাতালে নিবন্ধিত কোন রোগী ছিল না।’
বাড়িওয়ালা মনসুর আহমেদ নুরু বলেন, ‘রেশমা দুই বছর যাবত আমার বাড়িতে থাকে। যখন এসেছিল তখন তার স্বামী সাথে ছিল। বেশ কিছুদিন যাওয়ার পর দেখলাম, তার স্বামী তাকে শারীরিক নির্যাতন করে। রেশমাকে মেয়ের মতো দেখতাম বলেই এসবের প্রতিবাদ করেছি। বলেছি, মারামারি করলে আমার বাড়িতে থাকতে পারবা না।
তিনি আরও বলেন, ‘রেশমা আমাদের প্রথমে বলেছিল, তার এক ছোট বোন ছাড়া কেউ নেই। বাবা মারা যাওয়ার পর তার মা দ্বিতীয় বিয়ে করেছিল। আমার স্ত্রী তাকে এতো ভালোবাসতো যে, বলেছিল, তুমি অফিসে গিয়ে ফোন করবে প্রতিদিন। সে কথা মতোই সেদিন গার্মেন্টে ঢুকে ফোন দিয়ে বলে, অফিসে ঢুকিসি, দুপুরে খাইতে আসবো, আর যাবো না। তার পাঁচ মিনিট পরই খবর পেলাম রানা প্লাজা ধ্বসে গেছে।’
বাড়িওয়ালার স্ত্রী হাজেরা বেগম বলেন, ‘প্রতিদিন তাকে খুজতে যাইতাম। আমাদের নামে এখন এতোদিন পর কে এতো বড় মিথ্যা কথা বললো, তাকে একবার দেখতে চাই। আপনার সাথে কবে রেশমার দেখা হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, ২৮ তারিখ থেকে পরের মাসের ১১ তারিখ পর্যন্ত তারে আমি দেখি নাই, ১২ তারিখে সিএমএইচে গিয়ে দেথা পাইসি। আমাদের ঘিরে পত্রিকায় যে লিখা এসেছে তা মিথ্যা ও বানোয়াট।’
অপরদিকে প্রতিবেদনের সেই এনামুল হক মিলন বলেন, ‘রেশমার সাথে প্রথমদিন আমার দেখা হইছিল যখন সে আমার ফোন থেকে তার বাড়িওয়ালার সাথে কথা বলে। এরপর তার সাথে আর আমার দেখা হয়নি। আমিও সেদিন আটকা পড়ছিলাম, কোন রকমে জানালা ভেঙ্গে আমাকে বের করা হয়। পরে আমি আমার স্ত্রী লিপিকে খুঁজে পাই।’
কোন বিদেশি সাংবাদিক আপনার সাথে কথা বলেছিল কী না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন ‘বলেন, রানা প্লাজা ধ্বসের তিন দিন পর স্ত্রীকে নিয়ে দেশে চলে যাই। তারপর একদিন গাইবান্ধার স্থানীয় সাংবাদিক শাহীন ফোন দিয়ে বলেন, একজন বিদেশি সাংবাদিক আমার সাথে দেখা করে আমাকে অনুদান দেবে। তুমি তোমার বাড়ির ঠিকানা দাও। তার পরেরদিন সকালে
আমি ফেরিতে কাজের জন্য চলে যাই। তখন তিনি একবার আমাকে ফোন করে আমার বাড়িতে যেতে বলেন। আমি রওনা দেই। বাড়ির পথে কিছুদুর আসার পর আমার স্ত্রী এবং মায়ের সাথে দেখা হয়। মায়ের কথা শুনে বাড়িতে যাইনি।’
কেন গেলেন না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার মা বাড়িতে এতো মানুষ, বিদেশি দেখে ভয় পেয়েছিলেন। ভেবেছিলেন হয়তো আমাকে ধরে নিয়ে যাবে।’
তাহলে কারো সাথে আপনার দেখা হয়নি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দেখাও হয়নি, সাক্ষাৎকারও দেইনি এবং অনুদানও নেইনি।’
সম্মেলনের শুরুতেই এই এনামুল সেই এনামুল নয় এমন মন্তব্য করেন অনেক সাংবাদিক। তার আইডি কার্ড দেখতে চাইলে তিনি বলেন, কার্ড সাথে নেই, বেতন নেওয়ার সময় সেটি জমা দিয়েছি।
তবে এনামুলের পক্ষে সাক্ষ্য দেন গাইবান্ধার ৮ নং ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহবুব আলম শাহীন।
তিনি বলেন, ‘এই এনামুলই সেই এনামুল এবং তার বাবার নাম খোকা মিয়া।’
আপনি কেন এখানে এসেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এনামুলকে নিয়ে মিথ্যা লেখা হয়েছে, দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে, আমার মনে হয়েছে এর প্রতিবাদ করা উচিৎ। তাই এখানে এসেছি।’
উল্লেখ্য, গত রোববার মিররে ‘বাংলাদেশ ক্লথস ফাক্টরি ডিজাস্টার ইজ ব্র্যান্ডেড এ হোক্স বাই কলিগ অব উইম্যান রেসকিউড’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, রেশমার সহকর্মী জানান, ভবন ধসের প্রথম দিনই বের হয়ে আসেন তিনি।
বুধবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন এনামুল।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন রেশমার বাড়িওয়ালা দম্পতি মনসুর আহমেদ নুরু এবং হাজেরা বেগম।
সম্প্রতি তাকে উদ্ধৃত করে বিটিশ ট্যাবলেয়েট ডেইলি মিরর এবং ডেইলি মেইল রেশমাকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় তিনি এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
তবে মিররের প্রতিবেদনে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক সহকর্মীর বরাতে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরে তা দেশীয় কয়েকটি পত্রিকায় ফলাও করে প্রচার হয়।
সেনাবাহিনীর আন্ত:জনসংযোগ পরিদপ্তরের আমন্ত্রণে সাংবাদিকরা সেখানে উপস্থিত হলেও সংবাদ সম্মেলনে তাদের কেউ উপস্থিত ছিলেন না।
এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা হলে বক্তার আসনে থোকা এনাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের জনসংযোগ শাখার পরিচালক জাহিদুর রহমান জানান, তারা এখানে এসেছেন আইএসপিআর’র অনুরোধে।
আইএসপিআর তাদের অনুরোধ করেছে সম্প্রতি দুটি বিদেশি পত্রিকা এবং তার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের গণমাধ্যমেও রেশমাকে নিয়ে প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে, যেখানে তারা বলেছে, রেশমা সাভারের রানা প্লাজা ধ্বসের প্রথমদিনেই বের হয়ে এসেছিল সেখানকারই আরেক শ্রমিক এনামুলের সঙ্গে। প্রতিবেদনে রেশমার বাড়িওয়ালার সাক্ষাৎকারও নেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে তাদের অবস্থান পরিষ্কার করার জন্যই এ সংবাদ সম্মেলন।
জাহিদুর রহমান বলেন, তারা মোট ১হাজার ৭’শ রোগীকে চিকিৎসা দিয়েছেন। এর মধ্যে ১হাজার রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে যাদের ইনজুরি খুব একটা মারাত্মক ছিলো না এবং যারা গুরুতর আহত ছিলেন না।
আর বাকি যারা ছিল তাদের অবস্থা এমন ছিল না যে তারা তাদের নাম, ঠিকানা বলার অবস্থায় ছিলো না। তাই প্রথম দুই, তিন কারো নাম নিবন্ধন করা সম্ভব হয়নি। এনাম হাসপাতালে নিবন্ধন শুরু হয় দুই, তিন দিন পর। এখন রেশমা যদি প্রথম দুই দিনে চিকিৎসা নিয়ে চলে গিয়ে থাকে তাহলে নিবন্ধন খাতায় তার নাম থাকার কথা নয়।
তিনি আরও বলেন, ‘আমার দেশ অনলাইন এবং পরে দেশি বিদেশি পত্রিকা দেখে তারা রেশমা এবং জয়া নামটি খুঁজেছেন কিন্তু তাদের খাতায় এ রকম কোন নাম নেই। রেশমা যদি দুই দিন হাসপাতালে ভর্তি থাকতো তাহলে অবশ্যই তাদের নিবন্ধন খাতায় তার নাম থাকতো। আসমা, জরিনা, সখিনা, রেশমা ১, রেশমা ২ নাম নিয়ে কেউ যদি প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে যায় তাহলে সেটা আমাদের জানা নেই। রেশমা নামে রেজিস্টার্ডকৃত কেউ নেই এবং ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যেও এ নামটা নেই।’
আইএসপিআরের অনুরোধে এসেছেন তাহলে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চেয়ারম্যান এনাম সাহেব নেই কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্যার দেশের বাইরে আছেন।
দেশী বিদেশি প্রতিবেদনটি সত্য নাকি মিথ্যা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি সত্য মিথ্যা কিছু বলতে চাই না, শুধু বলবো রেশমা নামে আমাদের হাসপাতালে নিবন্ধিত কোন রোগী ছিল না।’
বাড়িওয়ালা মনসুর আহমেদ নুরু বলেন, ‘রেশমা দুই বছর যাবত আমার বাড়িতে থাকে। যখন এসেছিল তখন তার স্বামী সাথে ছিল। বেশ কিছুদিন যাওয়ার পর দেখলাম, তার স্বামী তাকে শারীরিক নির্যাতন করে। রেশমাকে মেয়ের মতো দেখতাম বলেই এসবের প্রতিবাদ করেছি। বলেছি, মারামারি করলে আমার বাড়িতে থাকতে পারবা না।
তিনি আরও বলেন, ‘রেশমা আমাদের প্রথমে বলেছিল, তার এক ছোট বোন ছাড়া কেউ নেই। বাবা মারা যাওয়ার পর তার মা দ্বিতীয় বিয়ে করেছিল। আমার স্ত্রী তাকে এতো ভালোবাসতো যে, বলেছিল, তুমি অফিসে গিয়ে ফোন করবে প্রতিদিন। সে কথা মতোই সেদিন গার্মেন্টে ঢুকে ফোন দিয়ে বলে, অফিসে ঢুকিসি, দুপুরে খাইতে আসবো, আর যাবো না। তার পাঁচ মিনিট পরই খবর পেলাম রানা প্লাজা ধ্বসে গেছে।’
বাড়িওয়ালার স্ত্রী হাজেরা বেগম বলেন, ‘প্রতিদিন তাকে খুজতে যাইতাম। আমাদের নামে এখন এতোদিন পর কে এতো বড় মিথ্যা কথা বললো, তাকে একবার দেখতে চাই। আপনার সাথে কবে রেশমার দেখা হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, ২৮ তারিখ থেকে পরের মাসের ১১ তারিখ পর্যন্ত তারে আমি দেখি নাই, ১২ তারিখে সিএমএইচে গিয়ে দেথা পাইসি। আমাদের ঘিরে পত্রিকায় যে লিখা এসেছে তা মিথ্যা ও বানোয়াট।’
অপরদিকে প্রতিবেদনের সেই এনামুল হক মিলন বলেন, ‘রেশমার সাথে প্রথমদিন আমার দেখা হইছিল যখন সে আমার ফোন থেকে তার বাড়িওয়ালার সাথে কথা বলে। এরপর তার সাথে আর আমার দেখা হয়নি। আমিও সেদিন আটকা পড়ছিলাম, কোন রকমে জানালা ভেঙ্গে আমাকে বের করা হয়। পরে আমি আমার স্ত্রী লিপিকে খুঁজে পাই।’
কোন বিদেশি সাংবাদিক আপনার সাথে কথা বলেছিল কী না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন ‘বলেন, রানা প্লাজা ধ্বসের তিন দিন পর স্ত্রীকে নিয়ে দেশে চলে যাই। তারপর একদিন গাইবান্ধার স্থানীয় সাংবাদিক শাহীন ফোন দিয়ে বলেন, একজন বিদেশি সাংবাদিক আমার সাথে দেখা করে আমাকে অনুদান দেবে। তুমি তোমার বাড়ির ঠিকানা দাও। তার পরেরদিন সকালে
আমি ফেরিতে কাজের জন্য চলে যাই। তখন তিনি একবার আমাকে ফোন করে আমার বাড়িতে যেতে বলেন। আমি রওনা দেই। বাড়ির পথে কিছুদুর আসার পর আমার স্ত্রী এবং মায়ের সাথে দেখা হয়। মায়ের কথা শুনে বাড়িতে যাইনি।’
কেন গেলেন না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার মা বাড়িতে এতো মানুষ, বিদেশি দেখে ভয় পেয়েছিলেন। ভেবেছিলেন হয়তো আমাকে ধরে নিয়ে যাবে।’
তাহলে কারো সাথে আপনার দেখা হয়নি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দেখাও হয়নি, সাক্ষাৎকারও দেইনি এবং অনুদানও নেইনি।’
সম্মেলনের শুরুতেই এই এনামুল সেই এনামুল নয় এমন মন্তব্য করেন অনেক সাংবাদিক। তার আইডি কার্ড দেখতে চাইলে তিনি বলেন, কার্ড সাথে নেই, বেতন নেওয়ার সময় সেটি জমা দিয়েছি।
তবে এনামুলের পক্ষে সাক্ষ্য দেন গাইবান্ধার ৮ নং ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহবুব আলম শাহীন।
তিনি বলেন, ‘এই এনামুলই সেই এনামুল এবং তার বাবার নাম খোকা মিয়া।’
আপনি কেন এখানে এসেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এনামুলকে নিয়ে মিথ্যা লেখা হয়েছে, দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে, আমার মনে হয়েছে এর প্রতিবাদ করা উচিৎ। তাই এখানে এসেছি।’
উল্লেখ্য, গত রোববার মিররে ‘বাংলাদেশ ক্লথস ফাক্টরি ডিজাস্টার ইজ ব্র্যান্ডেড এ হোক্স বাই কলিগ অব উইম্যান রেসকিউড’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, রেশমার সহকর্মী জানান, ভবন ধসের প্রথম দিনই বের হয়ে আসেন তিনি।
No comments