উত্তরাখন্ড নিয়েও কংগ্রেস বিজেপি কাদা-ছোড়াছুড়ি by সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায়
বন্যাদুর্গত উত্তরাখন্ডে তিন হাজার মানুষ
এখনো লাপাত্তা, গ্রামের পর গ্রাম এখনো বিচ্ছিন্ন, খাদ্য ও পানীয়ের হাহাকার
রাজ্যজুড়ে; অথচ ভারতীয় রাজনীতির ধর্ম মেনে কংগ্রেস ও বিজেপি পরস্পরের
প্রতি কাদা-ছোড়াছুড়িতে ব্যস্ত হয়ে পড়ল।
লোকসভার পরবর্তী নির্বাচনের ‘থিম’ শেষ পর্যন্ত নরেন্দ্র মোদি বনাম রাহুল গান্ধী হবে কি না, সেই জল্পনার মধ্যেই এই দুই অসমবয়সী রাজনীতিকও ফের উঠে এলেন বিতর্ক ও আলোচনার কেন্দ্রে। বিতর্কের অভিমুখ যদি হয় উত্তরাখন্ডের অভূতপূর্ব প্রাকৃতিক বিপর্যয়, আলোচনার অভিমুখ তাহলে ভোটব্যাংকের রাজনীতি। বিতর্কের জন্মদাত্রী অবশ্যই বিজেপি নেত্রী সুষমা স্বরাজ। সোশ্যাল নেটওয়ার্ক মারফত তিনি গত সোমবার সরাসরি উত্তরাখন্ডের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় বহুগুণাকে বরখাস্ত করার দাবি জানিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, পরিস্থিতি মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রী পুরো ব্যর্থ। পাল্টা আক্রমণ করেছে কংগ্রেসও। তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী মনীশ তিওয়ারি বিদ্রূপ করে বলেন, সুষমা বা অরুণ জেটলিরা তো দুর্গত ব্যক্তিদের পাশে দাঁড়াতেই গেলেন না। তখন সুষমার যুক্তি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার সিন্ধে উদ্ধারকাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি যাতে না হয়, সে জন্য ভিআইপিদের দুর্গত অঞ্চলে না যাওয়ারই পরামর্শ দিয়েছেন। বিজেপি নেতাদের পাল্টা কটাক্ষ, রাহুল গান্ধী তো দিব্যি দুই দিন ধরে উত্তরাখন্ড ঘুরলেন! এই চাপান-উতোরে এখন সরগরম দিল্লির রাজনীতি। নরেন্দ্র মোদি অবশ্য তাঁর লক্ষ্য পূরণে অবিচল। প্রধানমন্ত্রীর দাবিদার হতে গেলে দেশের ২০ কোটি মুসলমানের আস্থা অর্জনও যে জরুরি, সেই উপলব্ধি সম্প্রতি মোদিকে মুসলিম সমাজের প্রতিনিধিদের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছিল। গত শনিবার গান্ধীনগরে রাজ্যের ১৫০ যুবককে তিনি আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তাঁদের মন বুঝতে। তাঁদের মধ্যে ৩০ জনেরও বেশি ছিলেন মুসলমান। কী তাঁদের আশা-প্রত্যাশা, অভিযোগ, বিশেষ করে গোধরা দাঙ্গার পর, কীভাবে তাঁদের সমস্যার সমাধান হতে পারে এবং কীভাবেই বা ফিরতে পারে আস্থা, তা জানাই ছিল মোদি-যুব সম্প্রদায় সংলাপের লক্ষ্য। মুসলমানদের মন বোঝার এই তাগিদ তিনবারের মুখ্যমন্ত্রীর ১১ বছরের শাসনকালে আর কখনো দেখা যায়নি। মোদির এই উদ্যোগের পাশাপাশি কংগ্রেসের সংগঠনে ৫০ শতাংশ নারী প্রতিনিধিত্ব নিয়ে রাহুল গান্ধীর মন্তব্যও রাজনৈতিক আলোচনাকে অন্য একটি মাত্রা দিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, মোদির মুসলিম আস্থা অর্জনের চেষ্টার পাল্টা হিসেবে রাহুল গান্ধী নারী কার্ড তুলে ধরতে চাইছেন কি না। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অবশ্য বলা হচ্ছে, নারীর ক্ষমতায়নে তারাই সবার আগে উদ্যোগী হয়েছিল। রাজীব গান্ধীই ছিলেন পথিকৃৎ। পঞ্চায়েতে ৩৩ শতাংশ নারী প্রতিনিধিত্ব আইন তাঁর সময়েরই। নারীবিষয়ক আইনও তারা করতে চান, যা ‘অন্যদের বিরোধিতায়’ হচ্ছে না। কংগ্রেসের চোখে, মোদি তো ‘পাপস্খলন’ করতে মুসলমানদের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন। বিজেপির অভ্যন্তরের মোদিবিরোধীরা নিভৃত আলোচনায় বলছেন, তাঁরা গোধরার কথা মাথায় রেখেই মোদির নামে আপত্তি জানিয়েছিলেন। কারণ, মোদি যা চাইছেন, তা তাঁর পক্ষে পাওয়া যেমন কঠিন, তেমনই বিজেপিও মুসলিম-তোষণ করতে পারবে না হিন্দু ভোট হারানোর আশঙ্কায়। বিজেপির সমালোচনার মুখে দাঁড়িয়ে দল হিসেবে কংগ্রেসের কাছে এই মুহূর্তের বড় চ্যালেঞ্জ উত্তরাখন্ডের দুর্গত ব্যক্তিদের যথাযথ চিকিৎসা ও পুনর্বাসন এবং রাজ্যের পুনর্গঠন। কিন্তু সে জন্য যে পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন, তার জোগান কীভাবে সম্ভব, সেটাই চিন্তার। দলনেত্রী সোনিয়া গান্ধী কংগ্রেসের সব বিধায়ক-সাংসদকে তাঁদের তহবিল থেকে অর্থ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। অর্থ আসছে বিভিন্ন রাজ্য সরকারের কাছ থেকেও। বহুগুণা ঘোষণা করেছেন, আগামী এক মাস দুর্গত ব্যক্তিদের বিনা পয়সায় রেশন দেওয়া হবে।
লোকসভার পরবর্তী নির্বাচনের ‘থিম’ শেষ পর্যন্ত নরেন্দ্র মোদি বনাম রাহুল গান্ধী হবে কি না, সেই জল্পনার মধ্যেই এই দুই অসমবয়সী রাজনীতিকও ফের উঠে এলেন বিতর্ক ও আলোচনার কেন্দ্রে। বিতর্কের অভিমুখ যদি হয় উত্তরাখন্ডের অভূতপূর্ব প্রাকৃতিক বিপর্যয়, আলোচনার অভিমুখ তাহলে ভোটব্যাংকের রাজনীতি। বিতর্কের জন্মদাত্রী অবশ্যই বিজেপি নেত্রী সুষমা স্বরাজ। সোশ্যাল নেটওয়ার্ক মারফত তিনি গত সোমবার সরাসরি উত্তরাখন্ডের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় বহুগুণাকে বরখাস্ত করার দাবি জানিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, পরিস্থিতি মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রী পুরো ব্যর্থ। পাল্টা আক্রমণ করেছে কংগ্রেসও। তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী মনীশ তিওয়ারি বিদ্রূপ করে বলেন, সুষমা বা অরুণ জেটলিরা তো দুর্গত ব্যক্তিদের পাশে দাঁড়াতেই গেলেন না। তখন সুষমার যুক্তি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার সিন্ধে উদ্ধারকাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি যাতে না হয়, সে জন্য ভিআইপিদের দুর্গত অঞ্চলে না যাওয়ারই পরামর্শ দিয়েছেন। বিজেপি নেতাদের পাল্টা কটাক্ষ, রাহুল গান্ধী তো দিব্যি দুই দিন ধরে উত্তরাখন্ড ঘুরলেন! এই চাপান-উতোরে এখন সরগরম দিল্লির রাজনীতি। নরেন্দ্র মোদি অবশ্য তাঁর লক্ষ্য পূরণে অবিচল। প্রধানমন্ত্রীর দাবিদার হতে গেলে দেশের ২০ কোটি মুসলমানের আস্থা অর্জনও যে জরুরি, সেই উপলব্ধি সম্প্রতি মোদিকে মুসলিম সমাজের প্রতিনিধিদের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছিল। গত শনিবার গান্ধীনগরে রাজ্যের ১৫০ যুবককে তিনি আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তাঁদের মন বুঝতে। তাঁদের মধ্যে ৩০ জনেরও বেশি ছিলেন মুসলমান। কী তাঁদের আশা-প্রত্যাশা, অভিযোগ, বিশেষ করে গোধরা দাঙ্গার পর, কীভাবে তাঁদের সমস্যার সমাধান হতে পারে এবং কীভাবেই বা ফিরতে পারে আস্থা, তা জানাই ছিল মোদি-যুব সম্প্রদায় সংলাপের লক্ষ্য। মুসলমানদের মন বোঝার এই তাগিদ তিনবারের মুখ্যমন্ত্রীর ১১ বছরের শাসনকালে আর কখনো দেখা যায়নি। মোদির এই উদ্যোগের পাশাপাশি কংগ্রেসের সংগঠনে ৫০ শতাংশ নারী প্রতিনিধিত্ব নিয়ে রাহুল গান্ধীর মন্তব্যও রাজনৈতিক আলোচনাকে অন্য একটি মাত্রা দিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, মোদির মুসলিম আস্থা অর্জনের চেষ্টার পাল্টা হিসেবে রাহুল গান্ধী নারী কার্ড তুলে ধরতে চাইছেন কি না। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অবশ্য বলা হচ্ছে, নারীর ক্ষমতায়নে তারাই সবার আগে উদ্যোগী হয়েছিল। রাজীব গান্ধীই ছিলেন পথিকৃৎ। পঞ্চায়েতে ৩৩ শতাংশ নারী প্রতিনিধিত্ব আইন তাঁর সময়েরই। নারীবিষয়ক আইনও তারা করতে চান, যা ‘অন্যদের বিরোধিতায়’ হচ্ছে না। কংগ্রেসের চোখে, মোদি তো ‘পাপস্খলন’ করতে মুসলমানদের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন। বিজেপির অভ্যন্তরের মোদিবিরোধীরা নিভৃত আলোচনায় বলছেন, তাঁরা গোধরার কথা মাথায় রেখেই মোদির নামে আপত্তি জানিয়েছিলেন। কারণ, মোদি যা চাইছেন, তা তাঁর পক্ষে পাওয়া যেমন কঠিন, তেমনই বিজেপিও মুসলিম-তোষণ করতে পারবে না হিন্দু ভোট হারানোর আশঙ্কায়। বিজেপির সমালোচনার মুখে দাঁড়িয়ে দল হিসেবে কংগ্রেসের কাছে এই মুহূর্তের বড় চ্যালেঞ্জ উত্তরাখন্ডের দুর্গত ব্যক্তিদের যথাযথ চিকিৎসা ও পুনর্বাসন এবং রাজ্যের পুনর্গঠন। কিন্তু সে জন্য যে পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন, তার জোগান কীভাবে সম্ভব, সেটাই চিন্তার। দলনেত্রী সোনিয়া গান্ধী কংগ্রেসের সব বিধায়ক-সাংসদকে তাঁদের তহবিল থেকে অর্থ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। অর্থ আসছে বিভিন্ন রাজ্য সরকারের কাছ থেকেও। বহুগুণা ঘোষণা করেছেন, আগামী এক মাস দুর্গত ব্যক্তিদের বিনা পয়সায় রেশন দেওয়া হবে।
No comments