ঝুঁকিপূর্ণ পাঁচতলা সরকারি ভবনে ২০ পরিবারের বসবাস by নজরুল ইসলাম
মিরপুরের পাইকপাড়ায় পাঁচতলা একটি সরকারি
ভবন ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করার ১৬ মাস পরও ভবনের বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়নি
আবাসন পরিদপ্তর। বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়ে ২০ পরিবার সেখানে বাস করছে।
উল্টো সুপারিশ অগ্রাহ্য করে ওই ভবনে নতুন বরাদ্দ দিয়েছে অধিদপ্তর।
গত বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি গণপূর্ত ডিজাইন ডিভিশন-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবীব মিরপুরের পাইকপাড়ায় ডি-টাইপ কোয়ার্টারের ৫ নম্বর ভবন পরিদর্শন করেন। এ ব্যাপারে তৈরি করা প্রতিবেদনে ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ বলেন। তাতে আরও বলা হয়, ভবনটির নিচতলার অধিকাংশ কলামে গভীর ফাটল ধরেছে। কলামের রডে গভীরভাবে মরচে ধরেছে। বিম, কলাম ছাড়াও মেঝে ও স্ল্যাবের নিচের অংশের কংক্রিট ভেঙে পড়েছে। কলাম ও বিম কার্যক্ষমতা হারিয়েছে।
এরপর ১ মার্চ গণপূর্ত বিভাগের মিরপুর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী কাজী ওয়াহিদুল ইকবাল আবাসন পরিদপ্তরের পরিচালককে বসবাসকারীদের জরুরিভিত্তিতে অন্যত্র সরিয়ে নিতে চিঠি দেন। একই সঙ্গে ভবনটিতে নতুন কাউকে বরাদ্দ না দেওয়ারও সুপারিশ করেন।
এ ব্যাপারে আবাসন পরিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মাসুদুল আলম দাবি করেন, গণপূর্ত বিভাগের চিঠিতে ভবন সম্পর্কে সুস্পষ্ট মতামত নেই।
কল্যাণপুর হাউজিং এস্টেটের বিপরীত পাশে পাইকপাড়া ডি-টাইপ কোয়ার্টারের ৫ নম্বর ভবনে গিয়ে দেখা যায়, ভবনটির বিভিন্ন স্থানে ফাটল। কয়েক জায়গায় পলেস্তারা খসে পড়েছে। ভবনটির গায়ে সাঁটানো রয়েছে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি। এতে লেখা রয়েছে, ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ, ব্যবহার না করার জন্য অনুরোধ করা হলো, আদেশক্রমে নির্বাহী প্রকৌশলী, মিরপুর গণপূর্ত বিভাগ।
ভবনটির নিচতলার বাসিন্দা ফিরোজা আক্তার ও তাঁর স্বামী কে এম আফজাল হোসেন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা। ফিরোজা আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, ভবনটিতে সন্তান ও পরিজন নিয়ে থাকতে ভয় পাচ্ছেন। তাঁরা ভবনটি ছাড়তেও চান। কিন্তু আবাসন পরিদপ্তর অন্যত্র তাঁদের বরাদ্দ দিচ্ছে না। কে এম আফজাল হোসেন বলেন, বসবাসের অনুপযোগী ঘোষণার পর বেতন থেকে প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকার বেশি কেটে নেওয়া হচ্ছে। অথচ ভবনটিতে কোনো সংস্কারও করা হয়নি।
চলতি বছরের ২৯ এপ্রিল গণপূর্ত বিভাগ মিরপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী আহমেদ আনোয়ার নজরুল আবাসন পরিদপ্তরে চিঠি পাঠিয়ে বলেছেন, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটির বিষয়ে জরুরি পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করা হয়েছিল। বর্তমানে বসবাসকারীদের অন্যত্র সরানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবারও আনুরোধ করা হলো।
কোয়ার্টারের বাসিন্দারা জানান, বসবাসের অনুপযোগী ও ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণার পর তিনটি পরিবার চলে গেছে। আবাসন পরিদপ্তর ওই তিন ফ্ল্যাটে নতুন বরাদ্দ দিয়ে মানুষ উঠিয়েছে। তাঁদের একজন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজির কম্পিউটার অপারেটর সরদার ফোরকান আহম্মদ। ফোরকান প্রথম আলোকে বলেন, তিনি বাসা বরাদ্দের জন্য আবেদন করেছিলেন। অন্যত্র বরাদ্দ দেওয়ার কথা থাকলেও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আবার বাসায় ওঠার আগে গণপূর্ত বিভাগ লিখিয়ে নিয়েছে ‘ঝুঁকিপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও নিজ দায়িত্বে বাসার দখলভার গ্রহণ করেছি।’
গত বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি গণপূর্ত ডিজাইন ডিভিশন-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবীব মিরপুরের পাইকপাড়ায় ডি-টাইপ কোয়ার্টারের ৫ নম্বর ভবন পরিদর্শন করেন। এ ব্যাপারে তৈরি করা প্রতিবেদনে ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ বলেন। তাতে আরও বলা হয়, ভবনটির নিচতলার অধিকাংশ কলামে গভীর ফাটল ধরেছে। কলামের রডে গভীরভাবে মরচে ধরেছে। বিম, কলাম ছাড়াও মেঝে ও স্ল্যাবের নিচের অংশের কংক্রিট ভেঙে পড়েছে। কলাম ও বিম কার্যক্ষমতা হারিয়েছে।
এরপর ১ মার্চ গণপূর্ত বিভাগের মিরপুর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী কাজী ওয়াহিদুল ইকবাল আবাসন পরিদপ্তরের পরিচালককে বসবাসকারীদের জরুরিভিত্তিতে অন্যত্র সরিয়ে নিতে চিঠি দেন। একই সঙ্গে ভবনটিতে নতুন কাউকে বরাদ্দ না দেওয়ারও সুপারিশ করেন।
এ ব্যাপারে আবাসন পরিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মাসুদুল আলম দাবি করেন, গণপূর্ত বিভাগের চিঠিতে ভবন সম্পর্কে সুস্পষ্ট মতামত নেই।
কল্যাণপুর হাউজিং এস্টেটের বিপরীত পাশে পাইকপাড়া ডি-টাইপ কোয়ার্টারের ৫ নম্বর ভবনে গিয়ে দেখা যায়, ভবনটির বিভিন্ন স্থানে ফাটল। কয়েক জায়গায় পলেস্তারা খসে পড়েছে। ভবনটির গায়ে সাঁটানো রয়েছে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি। এতে লেখা রয়েছে, ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ, ব্যবহার না করার জন্য অনুরোধ করা হলো, আদেশক্রমে নির্বাহী প্রকৌশলী, মিরপুর গণপূর্ত বিভাগ।
ভবনটির নিচতলার বাসিন্দা ফিরোজা আক্তার ও তাঁর স্বামী কে এম আফজাল হোসেন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা। ফিরোজা আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, ভবনটিতে সন্তান ও পরিজন নিয়ে থাকতে ভয় পাচ্ছেন। তাঁরা ভবনটি ছাড়তেও চান। কিন্তু আবাসন পরিদপ্তর অন্যত্র তাঁদের বরাদ্দ দিচ্ছে না। কে এম আফজাল হোসেন বলেন, বসবাসের অনুপযোগী ঘোষণার পর বেতন থেকে প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকার বেশি কেটে নেওয়া হচ্ছে। অথচ ভবনটিতে কোনো সংস্কারও করা হয়নি।
চলতি বছরের ২৯ এপ্রিল গণপূর্ত বিভাগ মিরপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী আহমেদ আনোয়ার নজরুল আবাসন পরিদপ্তরে চিঠি পাঠিয়ে বলেছেন, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটির বিষয়ে জরুরি পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করা হয়েছিল। বর্তমানে বসবাসকারীদের অন্যত্র সরানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবারও আনুরোধ করা হলো।
কোয়ার্টারের বাসিন্দারা জানান, বসবাসের অনুপযোগী ও ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণার পর তিনটি পরিবার চলে গেছে। আবাসন পরিদপ্তর ওই তিন ফ্ল্যাটে নতুন বরাদ্দ দিয়ে মানুষ উঠিয়েছে। তাঁদের একজন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজির কম্পিউটার অপারেটর সরদার ফোরকান আহম্মদ। ফোরকান প্রথম আলোকে বলেন, তিনি বাসা বরাদ্দের জন্য আবেদন করেছিলেন। অন্যত্র বরাদ্দ দেওয়ার কথা থাকলেও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আবার বাসায় ওঠার আগে গণপূর্ত বিভাগ লিখিয়ে নিয়েছে ‘ঝুঁকিপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও নিজ দায়িত্বে বাসার দখলভার গ্রহণ করেছি।’
No comments