'এত কিছুর পরেও মানুষ অনিশ্চয়তার মধ্যে আছে'
বর্তমান সরকারের আমলে নারীর ক্ষমতায়ন
বেড়েছে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা এসেছে। জিডিপির হার বেড়েছে। এত কিছুর পরেও
দেশের মানুষ একটা অনিশ্চয়তার মধ্যে আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট
সমাজবিজ্ঞানী অধ্যাপক মাহমুদা ইসলাম।
তিনি বলেন, আগামী
নির্বাচন কিভাবে হবে এটা এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি। তাই আগামীতে কী হবে বা হতে
যাচ্ছে, তা নিয়ে দেশের মানুষ অনিশ্চয়তা ও উদ্বেগের মধ্যে আছে। তিনি বলেন,
২০০৮ সালে দেশের মানুষ ভোট দিয়ে ব্যাপক ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগকে
ক্ষমতায় বসিয়েছে। তাদের উচিত ছিল জনগণের সে আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটানো।
কিন্তু তারা সেটা করতে পারেনি। অনিশ্চয়তা কাটাতে সরকারের উচিত হবে বিরোধী
দলের সঙ্গে বসে এমন একটা পদ্ধতি উদ্ভাবন করা যাতে আগামী নির্বাচন নিয়ে
মানুষের উদ্বেগটা দূর হয়। দেশের মানুষের মধ্যে শান্তি ফিরে আসে।
সোমবার রাতে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল চ্যানেল ২৪-এর সমসাময়িক বিষয়াবলি নিয়ে আলোচনাভিত্তিক টক শো মধ্যরাতের মুক্তবাক অনুষ্ঠানে আলোচনা করতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
ঢাকসুর সাবেক ভিপি ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো আলোচনা করেন দৈনিক প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান ও অন্য পক্ষ পত্রিকার সম্পাদক মাসুদা ভাট্টি।
আলোচনার শুরুতে সঞ্চালক আলোচকদের কাছে জানতে চান, আজকে সংসদীয় গণতন্ত্রের নামে জাতীয় সংসদে যে ভাষায় বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে এটা আসলে কোন পর্যায়ে পড়ে। রাজনীতি ও রাজনীতির সংস্কৃতি কোনো দিকে যাচ্ছে। কিভাবে এটাকে মূল্যায়ন করবেন।
জবাবে সাংবাদিক সোহরাব হাসান বলেন, যুক্তিতর্ক দিয়ে কোনো বিষয় এস্টাবলিশ করার পরিবর্তে আমাদের রাজনীতিবিদদের কাছে একতরফা কথা বলার প্রবণতাই বেশি করে দেখা যাচ্ছে। প্রতিপক্ষের বক্তব্যের জবাবে শালিনভাবে বক্তব্য দেওয়ার পরিবর্তে তাঁকে হেনস্থা করাটাই যেন মুখ্য বিষয় হিসেবে দেখা দিচ্ছে। তিনি বলেন, আমাদের রাজনীতিবিদদের এ সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। তবেই গণতন্ত্রের পথে অগ্রযাত্রা মসৃণ হবে।
আলোচনার এ পর্যায়ে অন্য পক্ষের সম্পাদক মাসুদা ভাট্টি বলেন, একজন মানুষ ১৮ বছর বয়স হলেই সে সব বিষয় বুঝতে পারে, তার কী করা উচিত, আর কী করা উচিত না। এখন যদি আমাদের সংসদ সদস্যরা এসব বুঝেও নিজ দলের নেতা-নেত্রীকে খুশি করার জন্য সংসদে যা ইচ্ছা তা-ই বলে, তবে তো তা আর মেনে নেওয়া যায় না। তিনি বলেন, যাঁরা সব বুঝেও নিজ দলের হয়ে অযথা অন্যের সমালোচনা করেন তাঁদের রাজনীতি ছেড়ে দেওয়া উচিত।
আলোচনার এ পর্যায়ে একজন দর্শক টেলিফোনে অংশ নিয়ে আলোচকদের কাছে জানতে চান, আচ্ছা আপনারা প্রায়ই বলে থাকেন, ভোটাররা ভালো লোককে ভোট দেয় না। আপনারা বলুন তো যদি কোনো দলের একজন ভালো লোককে আমরা ভোট দিয়ে নির্বাচিত করি তবে কি কোনো বিশেষ প্রয়োজনে সেই ভালো লোকটির পক্ষে তাঁর দলের বিরুদ্ধে কিছু বলার সুযোগ আছে।
জবাবে সঞ্চালক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, না। যত দিন ৭৭ অনুচ্ছেদ থাকবে তত দিন রাজনৈতিক দলগুলোর নীতি-আদর্শের বাইরে দলের নেতাদের যাওয়ার বা কথা বলার কোনো সুযোগ নেই।
আলোচনার এ পর্যায়ে মাহমুদুর রহমান মান্না আলোচকদের কাছে জানতে চান, বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বড় দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে কি সমঝোতা হওয়া উচিত কি না।
জবাবে সমাজবিজ্ঞানী অধ্যাপক মাহমুদা ইসলাম বলেন, রাজনৈতিক সমঝোতা করার ক্ষেত্রে সরকারি ও বিরোধী দল উভয়েরই দায়িত্ব আছে। কারণ দেশের মানুষ শান্তি চায়। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা চায়। মানুষ সহিংসতার রাজনীতি চায় না।
আলোচনার এ পর্যায়ে সাংবাদিক সোহরাব হাসান বলেন, রাজনীতি ও বিচার একসঙ্গে চালানো উচিত নয়। তিনি বলেন, সরকারি দলও যেমন বিরোধী দলের কোনো কথা শুনতে চায় না, তেমনি বিরোধী দলও সরকারকে কোনো বিষয়ে পরামর্শ দিতে চায় না। এটা আমাদের সংসদীয় গণতন্ত্রের জন্য অকল্যাণকর। তিনি বলেন, 'জাতীয় সংসদে আমরা জাতীয় ইস্যু নিয়ে আলোচনার পরিবর্তে ব্যক্তিগত কুৎসা নিয়ে বেশি বক্তব্য রাখতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। এটা ঠিক নয়।
আলোচনার এ পর্যায়ে মাসুদা ভাট্টি বলেন, 'এসবের জবাবে আমাদের ভোটারদের হাতেও অস্ত্র আছে। আমরা আর না হোক পাঁচ বছর পর হলেও এসবের জবাব ভোটের মাধ্যম দিতে পারব।' এ সময় তিনি চারটি সিটি করপোরেশনের নির্বাচনকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরে বলেন, এ থেকে রাজনীতিবিদদের শিক্ষা নেওয়ার অনেক কিছু আছে।
সোমবার রাতে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল চ্যানেল ২৪-এর সমসাময়িক বিষয়াবলি নিয়ে আলোচনাভিত্তিক টক শো মধ্যরাতের মুক্তবাক অনুষ্ঠানে আলোচনা করতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
ঢাকসুর সাবেক ভিপি ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো আলোচনা করেন দৈনিক প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান ও অন্য পক্ষ পত্রিকার সম্পাদক মাসুদা ভাট্টি।
আলোচনার শুরুতে সঞ্চালক আলোচকদের কাছে জানতে চান, আজকে সংসদীয় গণতন্ত্রের নামে জাতীয় সংসদে যে ভাষায় বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে এটা আসলে কোন পর্যায়ে পড়ে। রাজনীতি ও রাজনীতির সংস্কৃতি কোনো দিকে যাচ্ছে। কিভাবে এটাকে মূল্যায়ন করবেন।
জবাবে সাংবাদিক সোহরাব হাসান বলেন, যুক্তিতর্ক দিয়ে কোনো বিষয় এস্টাবলিশ করার পরিবর্তে আমাদের রাজনীতিবিদদের কাছে একতরফা কথা বলার প্রবণতাই বেশি করে দেখা যাচ্ছে। প্রতিপক্ষের বক্তব্যের জবাবে শালিনভাবে বক্তব্য দেওয়ার পরিবর্তে তাঁকে হেনস্থা করাটাই যেন মুখ্য বিষয় হিসেবে দেখা দিচ্ছে। তিনি বলেন, আমাদের রাজনীতিবিদদের এ সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। তবেই গণতন্ত্রের পথে অগ্রযাত্রা মসৃণ হবে।
আলোচনার এ পর্যায়ে অন্য পক্ষের সম্পাদক মাসুদা ভাট্টি বলেন, একজন মানুষ ১৮ বছর বয়স হলেই সে সব বিষয় বুঝতে পারে, তার কী করা উচিত, আর কী করা উচিত না। এখন যদি আমাদের সংসদ সদস্যরা এসব বুঝেও নিজ দলের নেতা-নেত্রীকে খুশি করার জন্য সংসদে যা ইচ্ছা তা-ই বলে, তবে তো তা আর মেনে নেওয়া যায় না। তিনি বলেন, যাঁরা সব বুঝেও নিজ দলের হয়ে অযথা অন্যের সমালোচনা করেন তাঁদের রাজনীতি ছেড়ে দেওয়া উচিত।
আলোচনার এ পর্যায়ে একজন দর্শক টেলিফোনে অংশ নিয়ে আলোচকদের কাছে জানতে চান, আচ্ছা আপনারা প্রায়ই বলে থাকেন, ভোটাররা ভালো লোককে ভোট দেয় না। আপনারা বলুন তো যদি কোনো দলের একজন ভালো লোককে আমরা ভোট দিয়ে নির্বাচিত করি তবে কি কোনো বিশেষ প্রয়োজনে সেই ভালো লোকটির পক্ষে তাঁর দলের বিরুদ্ধে কিছু বলার সুযোগ আছে।
জবাবে সঞ্চালক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, না। যত দিন ৭৭ অনুচ্ছেদ থাকবে তত দিন রাজনৈতিক দলগুলোর নীতি-আদর্শের বাইরে দলের নেতাদের যাওয়ার বা কথা বলার কোনো সুযোগ নেই।
আলোচনার এ পর্যায়ে মাহমুদুর রহমান মান্না আলোচকদের কাছে জানতে চান, বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বড় দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে কি সমঝোতা হওয়া উচিত কি না।
জবাবে সমাজবিজ্ঞানী অধ্যাপক মাহমুদা ইসলাম বলেন, রাজনৈতিক সমঝোতা করার ক্ষেত্রে সরকারি ও বিরোধী দল উভয়েরই দায়িত্ব আছে। কারণ দেশের মানুষ শান্তি চায়। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা চায়। মানুষ সহিংসতার রাজনীতি চায় না।
আলোচনার এ পর্যায়ে সাংবাদিক সোহরাব হাসান বলেন, রাজনীতি ও বিচার একসঙ্গে চালানো উচিত নয়। তিনি বলেন, সরকারি দলও যেমন বিরোধী দলের কোনো কথা শুনতে চায় না, তেমনি বিরোধী দলও সরকারকে কোনো বিষয়ে পরামর্শ দিতে চায় না। এটা আমাদের সংসদীয় গণতন্ত্রের জন্য অকল্যাণকর। তিনি বলেন, 'জাতীয় সংসদে আমরা জাতীয় ইস্যু নিয়ে আলোচনার পরিবর্তে ব্যক্তিগত কুৎসা নিয়ে বেশি বক্তব্য রাখতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। এটা ঠিক নয়।
আলোচনার এ পর্যায়ে মাসুদা ভাট্টি বলেন, 'এসবের জবাবে আমাদের ভোটারদের হাতেও অস্ত্র আছে। আমরা আর না হোক পাঁচ বছর পর হলেও এসবের জবাব ভোটের মাধ্যম দিতে পারব।' এ সময় তিনি চারটি সিটি করপোরেশনের নির্বাচনকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরে বলেন, এ থেকে রাজনীতিবিদদের শিক্ষা নেওয়ার অনেক কিছু আছে।
No comments