গাজীপুর সিটি নির্বাচন ধর্মকে ব্যবহার করে প্রচারণা by শরিফুল হাসান ও মাসুদ রানা
নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী ধর্মীয়
অনুভূতিতে আঘাত লাগে, এমন কোনো কথা প্রার্থীরা বলতে পারবেন না। কিন্তু
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রধান দুই মেয়র প্রার্থীই ধর্মকে প্রধান
ইস্যু বানিয়েছেন। ধর্মকে ব্যবহার করে তাঁরা প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন।
আওয়ামী
লীগ-সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লা খান অভিযোগ করেছেন, বিএনপি-সমর্থিত
প্রার্থীর লোকজন প্রচার করে বেড়াচ্ছেন, আওয়ামী লীগের লোকজন নাস্তিক।
তাঁরা ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ইসলাম রক্ষার জন্য মান্নানের পক্ষে ভোট
চাইছেন। মতিঝিলে হেফাজতের অভিযান নিয়ে নানা গুজব ছড়াচ্ছেন।
অন্যদিকে বিএনপি-সমর্থিত মেয়র প্রার্থী এম এ মান্নানের অভিযোগ, আওয়ামী লীগের কর্মীরা হজের টাকা নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। তাঁরা বলছেন, মান্নানকে ভোট দিলে ইমান থাকবে না। কারণ তিনি হজের টাকা মেরেছেন। আর যে হজের টাকা মারে, তাকে ভোট দেওয়া যায় না।
রিটার্নিং কর্মকর্তা মতিয়ার রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘ধর্মীয় উসকানি দেওয়া নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন। কেউ এ ধরনের কাজ করছে তার প্রমাণ পেলে আমরা বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেব।’ তিনি সব প্রার্থীকে আচরণবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান।
কয়েক দিন ধরে গাজীপুর ঘুরে দেখা গেছে, বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাইতে মাঠে নেমেছে জামায়াত ও হেফাজত। এর মধ্যে হেফাজতের পুরুষ কর্মীরা বিভিন্ন দোকান ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে মান্নানের পক্ষে ভোট চাইছেন। অন্যদিকে, হেফাজতের নারী কর্মীরা বড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করছেন। এসবের মোকাবিলায় আওয়ামী লীগ বিভিন্ন মসজিদের ইমাম ও আলেম-ওলামাদের মাঠে নামিয়েছে। এ ছাড়া এম এ মান্নানের বিরুদ্ধে হজের টাকা নিয়ে প্রতারণা সম্পর্কিত একটি লিফলেট ছাড়া হয়েছে। ‘আলেম-ওলামা ও ইসলামের জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের সাফল্য চিত্র’ শিরোনামের ওই প্রচারপত্রে ‘ইসলাম প্রচারের লক্ষ্যে’ ২০টি উদ্যোগের কথা তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এবং বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে কোন বছর, কতজন হজ পালন করতে গেছেন তার একটি পরিসংখ্যানও তুলে ধরা হয়েছে।
আজমত উল্লার নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির সমন্বয়ক ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম মোজামেঞ্চল বলেন, ‘আমাদের প্রার্থী দীর্ঘদিন ধরে টঙ্গীর মেয়র। বিশ্ব ইজতেমার আয়োজনের সঙ্গে তিনি জড়িত থাকেন। আমরাও তাঁর সঙ্গে ইজতেমায় কাজ করি। সে কারণেই এবারের নির্বাচনে আলেম-ওলামা ও হেফাজেতের নেতারা আমাদের সঙ্গে আছেন। তবে আমরা ধর্ম নিয়ে অপপ্রচার ছড়াই না। কিন্তু প্রতিপক্ষের লোকজন এই কাজ করছে।’
অন্যদিকে এম এ মান্নানের নির্বাচনী এজেন্ট সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘আমাদের প্রার্থীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। আমরা তাই রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’
অন্যদিকে বিএনপি-সমর্থিত মেয়র প্রার্থী এম এ মান্নানের অভিযোগ, আওয়ামী লীগের কর্মীরা হজের টাকা নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। তাঁরা বলছেন, মান্নানকে ভোট দিলে ইমান থাকবে না। কারণ তিনি হজের টাকা মেরেছেন। আর যে হজের টাকা মারে, তাকে ভোট দেওয়া যায় না।
রিটার্নিং কর্মকর্তা মতিয়ার রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘ধর্মীয় উসকানি দেওয়া নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন। কেউ এ ধরনের কাজ করছে তার প্রমাণ পেলে আমরা বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেব।’ তিনি সব প্রার্থীকে আচরণবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান।
কয়েক দিন ধরে গাজীপুর ঘুরে দেখা গেছে, বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাইতে মাঠে নেমেছে জামায়াত ও হেফাজত। এর মধ্যে হেফাজতের পুরুষ কর্মীরা বিভিন্ন দোকান ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে মান্নানের পক্ষে ভোট চাইছেন। অন্যদিকে, হেফাজতের নারী কর্মীরা বড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করছেন। এসবের মোকাবিলায় আওয়ামী লীগ বিভিন্ন মসজিদের ইমাম ও আলেম-ওলামাদের মাঠে নামিয়েছে। এ ছাড়া এম এ মান্নানের বিরুদ্ধে হজের টাকা নিয়ে প্রতারণা সম্পর্কিত একটি লিফলেট ছাড়া হয়েছে। ‘আলেম-ওলামা ও ইসলামের জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের সাফল্য চিত্র’ শিরোনামের ওই প্রচারপত্রে ‘ইসলাম প্রচারের লক্ষ্যে’ ২০টি উদ্যোগের কথা তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এবং বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে কোন বছর, কতজন হজ পালন করতে গেছেন তার একটি পরিসংখ্যানও তুলে ধরা হয়েছে।
আজমত উল্লার নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির সমন্বয়ক ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম মোজামেঞ্চল বলেন, ‘আমাদের প্রার্থী দীর্ঘদিন ধরে টঙ্গীর মেয়র। বিশ্ব ইজতেমার আয়োজনের সঙ্গে তিনি জড়িত থাকেন। আমরাও তাঁর সঙ্গে ইজতেমায় কাজ করি। সে কারণেই এবারের নির্বাচনে আলেম-ওলামা ও হেফাজেতের নেতারা আমাদের সঙ্গে আছেন। তবে আমরা ধর্ম নিয়ে অপপ্রচার ছড়াই না। কিন্তু প্রতিপক্ষের লোকজন এই কাজ করছে।’
অন্যদিকে এম এ মান্নানের নির্বাচনী এজেন্ট সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘আমাদের প্রার্থীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। আমরা তাই রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’
No comments