বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনীদের আপীলও খারিজ হবে আইনমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধু খুনীদের মধ্যে পলাতক ছয়জন আপীল আবেদন করলেও আদালতে তা মঞ্জুর হবে না বলে মনে করছেন আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ। তিনি বলেন, আইন অনুযায়ী আপীল আবেদন করার সময় বিলম্বের জন্য সুনির্দিষ্ট ও গ্রহণযোগ্য কারণ দেখাতে হয়।
পলাতকরা তা দেখাতে পারবেন না। আমার মনে হয় না এখানে তেমন কোন নির্দিষ্ট কারণ আছে। তাই একজন আইনজীবী হিসাবে আমি মনে করি তাদের আপীল গৃহীত হবে না। পলাতক আসামিদের বর্তমান অবস্থান জানতে ও তাদের দেশে ফিরিয়ে আনতে সব ধরনের চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। এ বিষয়ে 'রেড এ্যালার্ট ' জারি করেছে এবং বিভিন্ন দিক কূটনৈতিক আলোচনা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।শুক্রবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের এলজিইডি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ রেজিস্ট্রেশন সার্ভিসেস এ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সাধারণ সভা থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান আইনমন্ত্রী। নিবন্ধন পরিদফতরের মহাপরিদর্শক মুন্সী নজরম্নল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন আইন প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট মোঃ কামরম্নল ইসলাম, আইন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ শহীদুল হক ও ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব মোঃ আনোয়ারম্নল হক এবং সাধারণ সভা উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব আব্দুস সামাদ মিয়া প্রমুখ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী ভূমি নিবন্ধন ডিজিটাল পদ্ধতির আওতায় আনতে সংশিস্নষ্টদের নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ও দিন বদলের অঙ্গীকার নিয়ে মতায় এসেছে। উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম ডিজিটাল পদ্ধতির আওতায় আনার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। ২০০৮ সালের জুন মাসে মন্ত্রণালয় ও নিবন্ধন পরিদফতরের কর্মকর্তারা ভারত সফরের অভিজ্ঞতার আলোকে যে প্রতিবেদন প্রণয়ন করেছেন তা অনুসরণ করার নির্দেশ দেন আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, সরকারের কোষাগারে রাজস্ব আযের অন্যতম যোগানদাতা হলো নিবন্ধন দফতর। দিন দিন এই দফতরের কার্যপরিধি ও দায়-দায়িত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে। দফতরের সেবা প্রাপ্তির েেত্র জনগণ যেন নিরাশ না হয় সেদিকে কর্মকর্তাদের খেয়াল রাখতে হবে।
No comments