ফরিদপুরে প্রাণবন্ত উৎসব by পান্না বালা
‘ভালো মানুষ, নাকি ভালো শিক্ষার্থী—এই দুটি লক্ষ্যের মধ্যে একটি বেছে নিতে বলা হলে আমরা আগে কোনটা বেছে নেব?’ উপস্থাপক এ প্রশ্নটি করেন গণিত উৎসবে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের। জবাবে প্রায় ৮০০ শিক্ষার্থী সমস্বরে বলে ওঠে, ‘আগে ভালো মানুষ হতে চাই।’
গতকাল শনিবার ফরিদপুরে অনুষ্ঠিত হয় ডাচ্-বাংলা ব্যাংক-প্রথম আলো গণিত উৎসব। সকাল সাড়ে নয়টায় জাতীয় সংগীতের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক দুর্গা রানী সিকদার। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা উত্তোলন করেন প্রবীণ শিক্ষক জগদীশ চন্দ্র ঘোষ এবং বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা উত্তোলন করেন ডাচ্-বাংলা ব্যাংক ফরিদপুর শাখার ব্যবস্থাপক মো. মোতাহারুজ্জামান। এ পর্বের উপস্থাপনা করেন ফরিদপুর বন্ধুসভার সভাপতি মো. গিয়াস উদ্দিন।
উদ্বোধনী ভাষণে দুর্গা রানী সিকদার বলেন, ‘কোনো কিছু জয় করতে হলে স্বপ্ন দেখতে হয়। আর স্বপ্ন দেখতে দেখতে একসময় কাঙ্ক্ষিত জিনিসটি আমাদের আয়ত্তে চলে আসে। এভাবেই আমরা এগিয়ে যাই, সাথে সাথে এগিয়ে যায় দেশ ও জাতি।’
উদ্বোধনী পর্বের পর শিক্ষার্থীরা এক ঘণ্টা ১৫ মিনিটব্যাপী একটি মূল্যায়ন পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরপর বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য মাহমুদুল হাসানের সঞ্চালনায় শুরু হয় প্রশ্নোত্তর পর্ব। তারা চমৎকার সব প্রশ্নে উত্তরদাতাদের বিসিঞ্চত ও হতবাক করে দেয়। মানসমঞ্চত ও উদ্ভাবনীমূলক প্রশ্নের জন্য শিক্ষার্থীদের পুরস্কৃত করা হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা মাদক, মুখস্থ ও মিথ্যাকে ‘না’ বলে। মা, মাতৃভূমি ও বাংলা ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন এবং দেশের জন্য অন্তত একটি ভালো কাজ ও মাকে প্রতিদিন খুশি করার মতো কাজ করার অঙ্গীকার করে। এ ছাড়া, ‘প্রতিযোগিতার পক্ষে নাকি বিপক্ষে’ শীর্ষক তাৎক্ষণিক বিতর্কে অংশগ্রহণকারী ছয় শিক্ষার্থীর অকাট্য যুক্তি ও প্রাণবন্ত উপস্থাপনে শিক্ষক-অভিভাবকসহ সবাই অভিভূত হন।
শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন সরকারি সারদাসুন্দরী মহিলা কলেজের গণিত বিভাগের শিক্ষক রমা সাহা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পদার্থবিজ্ঞান ও ইলেকট্রনিকস বিভাগের শিক্ষক মোসা. হালিমা খাতুন, জীবনকৃষ্ণ মোদক, অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক জুবাইদুর রহমান, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের গণিত বিভাগের শিক্ষক হরিদাস হালদার, অসীম কুমার সাহা ও প্রবীর কুমার ভট্টাচার্য।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সয়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক হানিফ সিদ্দিকী তাঁর বক্তব্যে বলেন, সামাজিক সূচকে অনেক দেশের চেয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে। পাশাপাশি জ্ঞান-বিজ্ঞান, শিল্প-সাহিত্য ও দর্শনেও দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।
শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন প্রথম আলোর ফরিদপুর প্রতিনিধি পান্না বালা।
রুবিকস কিউব প্রতিযোগিতায় প্রথম হয় রাজবাড়ী সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্র ফারহান ইমতিয়াজ এবং দ্বিতীয় হয় গোপালগঞ্জ এস এম মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্র রামকৃষ্ণ বিশ্বাস। এ পর্যায় উৎসবস্থলের (ভেন্যু) স্মারক তুলে দেওয়া হয় দুর্গা রানী সিকদারের হাতে। মাহমুদুল হাসান, প্রিয়াংকা সাহা, কাজী শামসুন্নাহার, মহীতোষ দাস, আরমান হোসেন, শুভ বিশ্বাস, যুগল মালোসহ ফরিদপুর বন্ধুসভার সদস্যরা অনুষ্ঠানে একাধিক গান পরিবেশন করেন।
উৎসবে গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর ও ফরিদপুর জেলার ৫৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৮০০ প্রতিযোগী অংশ নেয়। উৎসব শেষে ৫০ জন শিক্ষার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করে তাদের প্রত্যেককে একটি করে ক্রেস্ট, সনদ ও টি-শার্ট দেওয়া হয়। প্রাথমিকে ১৩, নিম্নমাধ্যমিকে ১৩, মাধ্যমিকে ১২ ও উচ্চমাধ্যমিকে ১২ জন জয়ী হয়।
চ্যাম্পিয়ন যারা: বিজয়ীদের মধ্যে প্রাথমিক শাখায় চ্যাম্পিয়ন হয় ফরিদপুর পুলিশ লাইনস হাইস্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর মো. এমদাদুল হক, জিলা স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীর সীমান্ত কর্মকার ও চতুর্থ শ্রেণীর প্রদীপ বিশ্বাস, গোপালগঞ্জের বীণাপাণি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর তাসনিন ফেরদৌসী এবং ফরিদপুর তারার মেলার চতুর্থ শ্রেণীর অনয় তালুকদার। নিম্নমাধ্যমিক শাখায় চ্যাম্পিয়ন হয় গোপালগঞ্জের এস এম মডেল সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর তাজিবুল ইসলাম, ফরিদপুর জিলা স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর তিন শিক্ষার্থী—মুশাববির আহমেদ, সারওয়ামান মজুমদার ও রাহিব আহমেদ এবং গোপালগঞ্জের বীণাপাণি সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর সামিরা সিদ্দিকা। মাধ্যমিক শাখায় চ্যাম্পিয়ন হয় ফরিদপুর জিলা স্কুলের দশম শ্রেণীর তিন শিক্ষার্থী তানভীর আহমেদ, সাগর বিশ্বাস ও মো. আল আরাফাত এবং নবম শ্রেণীর মো. ফারুকুজ্জামান। উচ্চমাধ্যমিক শাখায় চ্যাম্পিয়ন হয় সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের একাদশ শ্রেণীর তানভির হাসান, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের একাদশ শ্রেণীর দুই শিক্ষার্থী আবিদুর রহমান ও আবু নূর আহমেদ।
উদ্বোধনী ভাষণে দুর্গা রানী সিকদার বলেন, ‘কোনো কিছু জয় করতে হলে স্বপ্ন দেখতে হয়। আর স্বপ্ন দেখতে দেখতে একসময় কাঙ্ক্ষিত জিনিসটি আমাদের আয়ত্তে চলে আসে। এভাবেই আমরা এগিয়ে যাই, সাথে সাথে এগিয়ে যায় দেশ ও জাতি।’
উদ্বোধনী পর্বের পর শিক্ষার্থীরা এক ঘণ্টা ১৫ মিনিটব্যাপী একটি মূল্যায়ন পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরপর বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য মাহমুদুল হাসানের সঞ্চালনায় শুরু হয় প্রশ্নোত্তর পর্ব। তারা চমৎকার সব প্রশ্নে উত্তরদাতাদের বিসিঞ্চত ও হতবাক করে দেয়। মানসমঞ্চত ও উদ্ভাবনীমূলক প্রশ্নের জন্য শিক্ষার্থীদের পুরস্কৃত করা হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা মাদক, মুখস্থ ও মিথ্যাকে ‘না’ বলে। মা, মাতৃভূমি ও বাংলা ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন এবং দেশের জন্য অন্তত একটি ভালো কাজ ও মাকে প্রতিদিন খুশি করার মতো কাজ করার অঙ্গীকার করে। এ ছাড়া, ‘প্রতিযোগিতার পক্ষে নাকি বিপক্ষে’ শীর্ষক তাৎক্ষণিক বিতর্কে অংশগ্রহণকারী ছয় শিক্ষার্থীর অকাট্য যুক্তি ও প্রাণবন্ত উপস্থাপনে শিক্ষক-অভিভাবকসহ সবাই অভিভূত হন।
শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন সরকারি সারদাসুন্দরী মহিলা কলেজের গণিত বিভাগের শিক্ষক রমা সাহা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পদার্থবিজ্ঞান ও ইলেকট্রনিকস বিভাগের শিক্ষক মোসা. হালিমা খাতুন, জীবনকৃষ্ণ মোদক, অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক জুবাইদুর রহমান, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের গণিত বিভাগের শিক্ষক হরিদাস হালদার, অসীম কুমার সাহা ও প্রবীর কুমার ভট্টাচার্য।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সয়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক হানিফ সিদ্দিকী তাঁর বক্তব্যে বলেন, সামাজিক সূচকে অনেক দেশের চেয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে। পাশাপাশি জ্ঞান-বিজ্ঞান, শিল্প-সাহিত্য ও দর্শনেও দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।
শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন প্রথম আলোর ফরিদপুর প্রতিনিধি পান্না বালা।
রুবিকস কিউব প্রতিযোগিতায় প্রথম হয় রাজবাড়ী সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্র ফারহান ইমতিয়াজ এবং দ্বিতীয় হয় গোপালগঞ্জ এস এম মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্র রামকৃষ্ণ বিশ্বাস। এ পর্যায় উৎসবস্থলের (ভেন্যু) স্মারক তুলে দেওয়া হয় দুর্গা রানী সিকদারের হাতে। মাহমুদুল হাসান, প্রিয়াংকা সাহা, কাজী শামসুন্নাহার, মহীতোষ দাস, আরমান হোসেন, শুভ বিশ্বাস, যুগল মালোসহ ফরিদপুর বন্ধুসভার সদস্যরা অনুষ্ঠানে একাধিক গান পরিবেশন করেন।
উৎসবে গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর ও ফরিদপুর জেলার ৫৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৮০০ প্রতিযোগী অংশ নেয়। উৎসব শেষে ৫০ জন শিক্ষার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করে তাদের প্রত্যেককে একটি করে ক্রেস্ট, সনদ ও টি-শার্ট দেওয়া হয়। প্রাথমিকে ১৩, নিম্নমাধ্যমিকে ১৩, মাধ্যমিকে ১২ ও উচ্চমাধ্যমিকে ১২ জন জয়ী হয়।
চ্যাম্পিয়ন যারা: বিজয়ীদের মধ্যে প্রাথমিক শাখায় চ্যাম্পিয়ন হয় ফরিদপুর পুলিশ লাইনস হাইস্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর মো. এমদাদুল হক, জিলা স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীর সীমান্ত কর্মকার ও চতুর্থ শ্রেণীর প্রদীপ বিশ্বাস, গোপালগঞ্জের বীণাপাণি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর তাসনিন ফেরদৌসী এবং ফরিদপুর তারার মেলার চতুর্থ শ্রেণীর অনয় তালুকদার। নিম্নমাধ্যমিক শাখায় চ্যাম্পিয়ন হয় গোপালগঞ্জের এস এম মডেল সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর তাজিবুল ইসলাম, ফরিদপুর জিলা স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর তিন শিক্ষার্থী—মুশাববির আহমেদ, সারওয়ামান মজুমদার ও রাহিব আহমেদ এবং গোপালগঞ্জের বীণাপাণি সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর সামিরা সিদ্দিকা। মাধ্যমিক শাখায় চ্যাম্পিয়ন হয় ফরিদপুর জিলা স্কুলের দশম শ্রেণীর তিন শিক্ষার্থী তানভীর আহমেদ, সাগর বিশ্বাস ও মো. আল আরাফাত এবং নবম শ্রেণীর মো. ফারুকুজ্জামান। উচ্চমাধ্যমিক শাখায় চ্যাম্পিয়ন হয় সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের একাদশ শ্রেণীর তানভির হাসান, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের একাদশ শ্রেণীর দুই শিক্ষার্থী আবিদুর রহমান ও আবু নূর আহমেদ।
No comments