যৌথ সভায় তরিকুল-জাতির আকাঙ্ক্ষার কথা প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে নেই
জাতির উদ্দেশে দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের সমালোচনা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম বলেছেন, 'জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার কোনো কথা তাঁর (প্রধানমন্ত্রীর) ভাষণে নেই। দেশের মানুষ আশা করেছিল, তাঁর ভাষণে বিদ্যমান সংকট নিরসন তথা নির্বাচনের কথা থাকবে।
কিন্তু তা না বলে মিথ্যার ফুলঝুরি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী জনগণকে বিভ্রান্ত করেছেন।'
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর নয়াপল্টনে ভাসানী মিলনায়তনে মহানগর বিএনপির যৌথসভায় তরিকুল ইসলাম এসব কথা বলেন। আগামী ১৫ জানুয়ারি রাজধানীতে ১৮ দলের মানবপ্রাচীর কর্মসূচি সফল করতে ওই সভার আয়োজন করা হয়।
তরিকুল ইসলাম বলেন, 'মানবপ্রাচীরে হাজার হাজার মানুষের শান্তিপূর্ণ অবস্থানের মাধ্যমে সরকারকে জানিয়ে দিতে হবে- নির্দলীয় সরকার ছাড়া এ দেশে কোনো নির্বাচন আর হবে না। আন্দোলন তীব্র্র থেকে তীব্রতর করে এই সরকারকে গণদাবি মানতে বাধ্য করা হবে।'
সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলাম বলেন, 'আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে কেউ কেউ এফবিসিসিআইয়ের নেতা হয়েছেন। তাঁরা বিরোধী দলকে হরতাল না করতে বলেন। আমি তাঁদের বলব, আপনারা প্রধানমন্ত্রীকে বলুন- যে সংকট তিনি সৃষ্টি করেছেন, তা সমাধান করুক। তাহলে আমরা এক দিনও হরতাল দেব না।' চলমান সংকট নিরসনের বিষয়ে বিরোধী দলকে পরামর্শ না দিয়ে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য আহ্বান জানান তিনি।
তরিকুল ইসলাম আরো বলেন, 'এক শ্রেণীর সুশীল সমাজ দুই নেত্রীকে খারাপ বলছে। এটা ঠিক নয়। দুই নেত্রীকে এক পাল্লায় মাপা যাবে না।' সুধী সমাজের প্রতিনিধিদের সুবিধাবাদী আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, 'এদের কোনো জনসমর্থন নেই। এরা বাইরে থেকে উচ্ছিষ্ট পায়।' বিএনপির এই নেতা বলেন, নির্দলীয় সরকার পদ্ধতি সংবিধান থেকে বাতিল সরকারের একটি ষড়যন্ত্র।
সাদেক হোসেন খোকার সভাপতিত্বে যৌথসভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবদুস সালাম, যুগ্ম আহ্বায়ক আবু সাঈদ খান খোকন, মো. সাহাবুদ্দিন, শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক জাফরুল হাসান, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা প্রমুখ।
মানবপ্রাচীর যেসব এলাকায় : নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার পদ্ধতির দাবিতে আগামী মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২ পর্যন্ত মানবপ্রাচীর করবে ১৮ দলীয় জোট। রাজধানীর মহাখালী থেকে শুরু হয়ে তেজগাঁও, সাতরাস্তার মোড়, এফডিসি মোড়, মগবাজার মোড়, বেইলি রোড, কাকরাইল মসজিদ, মৎস্য ভবন মোড়, হাইকোর্ট, শিক্ষা ভবন, কার্জন হল, নগর ভবন, গোলাপ শাহ মাজার মোড়, নর্থ সাউথ রোড, বংশাল রোড, ইংলিশ রোড, ধোলাই খাল চৌরাস্তা হয়ে ভিক্টোরিয়া পার্ক পর্যন্ত এই মানবপ্রাচীর হবে।
মঈনুদ্দিন-ফখরুদ্দীনের বৈধতা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী : এক-এগারোর দিনে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী মঈনুদ্দিন-ফখরুদ্দীনের সরকারকে বৈধতা দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন তরিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, দেশের মানুষ যখন দিনটিকে ঘৃণা দিবস হিসেবে পালন করছিল- তখন প্রধানমন্ত্রীর এই ভাষণ দুঃখজনক। গতকাল সকালে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে 'বর্তমান রাজনৈতিক সংকট ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা' শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগের ইতিহাসই হলো অবৈধ সরকারকে বৈধতা দেওয়ার।
ইউনিভার্সিটি টিচার্স অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব) আয়োজিত এ সেমিনারে আরো বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মনিরুজ্জামান মিয়া, ইউট্যাবের সভাপতি ড. আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সভাপতি ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মামুন আহমেদ, বিএনপি নেতা খায়রুল কবির খোকন, সৈয়দা আসিফা আশরাফি পাপিয়া এমপি প্রমুখ। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক আ ন ম মনির আহমেদ চৌধুরী।
মনিরুজ্জমান মিয়া বলেন, 'এক-এগারোতে দেওয়া ভাষণে প্রচুর মিথ্যাচার করা হয়েছে। মিথ্যা তথ্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে বর্তমান সরকার।'
সংকট উত্তরণে দিকনির্দেশনা নেই : ড. মোশাররফ : এদিকে দাউদকান্দি প্রতিনিধি জানান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে দেশে বিরাজমান সংকট উত্তরণে কোনো দিকনির্দেশনা নেই। এতে জনগণ হতাশ হয়েছে। পত্র-পত্রিকার জরিপে ৭০ শতাংশ মানুষ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে মতামত দিয়েছে। অথচ এ বিষয়ে তিনি কিছুই বলেননি। ফলে আগামী নির্বাচনকে ঘিরে সংঘাতের আশঙ্কায় জনগণের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ও আতঙ্ক আরো বেড়েছে। তাঁর এ ভাষণ জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপপ্রয়াস।
গতকাল শনিবার বিকেলে কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার তুলাতলী মাঠে স্থানীয় বিএনপি আয়োজিত এক বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় খন্দকার মোশাররফ এসব কথা বলেন। সকালে মেঘনা উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় গণসংযোগ করেন। এ সময় তাঁকে স্থানীয়রা অভ্যর্থনা ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানায়।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর নয়াপল্টনে ভাসানী মিলনায়তনে মহানগর বিএনপির যৌথসভায় তরিকুল ইসলাম এসব কথা বলেন। আগামী ১৫ জানুয়ারি রাজধানীতে ১৮ দলের মানবপ্রাচীর কর্মসূচি সফল করতে ওই সভার আয়োজন করা হয়।
তরিকুল ইসলাম বলেন, 'মানবপ্রাচীরে হাজার হাজার মানুষের শান্তিপূর্ণ অবস্থানের মাধ্যমে সরকারকে জানিয়ে দিতে হবে- নির্দলীয় সরকার ছাড়া এ দেশে কোনো নির্বাচন আর হবে না। আন্দোলন তীব্র্র থেকে তীব্রতর করে এই সরকারকে গণদাবি মানতে বাধ্য করা হবে।'
সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলাম বলেন, 'আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে কেউ কেউ এফবিসিসিআইয়ের নেতা হয়েছেন। তাঁরা বিরোধী দলকে হরতাল না করতে বলেন। আমি তাঁদের বলব, আপনারা প্রধানমন্ত্রীকে বলুন- যে সংকট তিনি সৃষ্টি করেছেন, তা সমাধান করুক। তাহলে আমরা এক দিনও হরতাল দেব না।' চলমান সংকট নিরসনের বিষয়ে বিরোধী দলকে পরামর্শ না দিয়ে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য আহ্বান জানান তিনি।
তরিকুল ইসলাম আরো বলেন, 'এক শ্রেণীর সুশীল সমাজ দুই নেত্রীকে খারাপ বলছে। এটা ঠিক নয়। দুই নেত্রীকে এক পাল্লায় মাপা যাবে না।' সুধী সমাজের প্রতিনিধিদের সুবিধাবাদী আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, 'এদের কোনো জনসমর্থন নেই। এরা বাইরে থেকে উচ্ছিষ্ট পায়।' বিএনপির এই নেতা বলেন, নির্দলীয় সরকার পদ্ধতি সংবিধান থেকে বাতিল সরকারের একটি ষড়যন্ত্র।
সাদেক হোসেন খোকার সভাপতিত্বে যৌথসভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবদুস সালাম, যুগ্ম আহ্বায়ক আবু সাঈদ খান খোকন, মো. সাহাবুদ্দিন, শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক জাফরুল হাসান, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা প্রমুখ।
মানবপ্রাচীর যেসব এলাকায় : নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার পদ্ধতির দাবিতে আগামী মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২ পর্যন্ত মানবপ্রাচীর করবে ১৮ দলীয় জোট। রাজধানীর মহাখালী থেকে শুরু হয়ে তেজগাঁও, সাতরাস্তার মোড়, এফডিসি মোড়, মগবাজার মোড়, বেইলি রোড, কাকরাইল মসজিদ, মৎস্য ভবন মোড়, হাইকোর্ট, শিক্ষা ভবন, কার্জন হল, নগর ভবন, গোলাপ শাহ মাজার মোড়, নর্থ সাউথ রোড, বংশাল রোড, ইংলিশ রোড, ধোলাই খাল চৌরাস্তা হয়ে ভিক্টোরিয়া পার্ক পর্যন্ত এই মানবপ্রাচীর হবে।
মঈনুদ্দিন-ফখরুদ্দীনের বৈধতা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী : এক-এগারোর দিনে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী মঈনুদ্দিন-ফখরুদ্দীনের সরকারকে বৈধতা দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন তরিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, দেশের মানুষ যখন দিনটিকে ঘৃণা দিবস হিসেবে পালন করছিল- তখন প্রধানমন্ত্রীর এই ভাষণ দুঃখজনক। গতকাল সকালে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে 'বর্তমান রাজনৈতিক সংকট ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা' শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগের ইতিহাসই হলো অবৈধ সরকারকে বৈধতা দেওয়ার।
ইউনিভার্সিটি টিচার্স অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব) আয়োজিত এ সেমিনারে আরো বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মনিরুজ্জামান মিয়া, ইউট্যাবের সভাপতি ড. আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সভাপতি ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মামুন আহমেদ, বিএনপি নেতা খায়রুল কবির খোকন, সৈয়দা আসিফা আশরাফি পাপিয়া এমপি প্রমুখ। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক আ ন ম মনির আহমেদ চৌধুরী।
মনিরুজ্জমান মিয়া বলেন, 'এক-এগারোতে দেওয়া ভাষণে প্রচুর মিথ্যাচার করা হয়েছে। মিথ্যা তথ্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে বর্তমান সরকার।'
সংকট উত্তরণে দিকনির্দেশনা নেই : ড. মোশাররফ : এদিকে দাউদকান্দি প্রতিনিধি জানান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে দেশে বিরাজমান সংকট উত্তরণে কোনো দিকনির্দেশনা নেই। এতে জনগণ হতাশ হয়েছে। পত্র-পত্রিকার জরিপে ৭০ শতাংশ মানুষ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে মতামত দিয়েছে। অথচ এ বিষয়ে তিনি কিছুই বলেননি। ফলে আগামী নির্বাচনকে ঘিরে সংঘাতের আশঙ্কায় জনগণের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ও আতঙ্ক আরো বেড়েছে। তাঁর এ ভাষণ জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপপ্রয়াস।
গতকাল শনিবার বিকেলে কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার তুলাতলী মাঠে স্থানীয় বিএনপি আয়োজিত এক বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় খন্দকার মোশাররফ এসব কথা বলেন। সকালে মেঘনা উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় গণসংযোগ করেন। এ সময় তাঁকে স্থানীয়রা অভ্যর্থনা ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানায়।
No comments